বলো তুমি কেমন মানুষ?
ভেতরে কি পাহাড়, নদী
তার পাশে পথ; পথিক চাইলে হাঁটতে পারে?
আছে আকাশ? মেঘলা দুপুর—
গাছের ছায়ায় রাখালরা কি মনের সুখে বাঁশী বাজায়?
জানলা আছে? চুল ওড়ানো ফুলের বাতাস?
রোজ বিকেলে চিঠির আশায় কেউ কি বলো
দাঁড়িয়ে থাকে?
মানুষটা কি এমন তুমি?
পাল তোলা এক মনের মাঝে ‘বউ কথা কও’ পাখি পোষো,
যত্ন করে ছড়িয়ে রাখো সোনালী ধান উঠোন জুড়ে—
আবার বাড়ী বদলাতে হচ্ছে । দু’দিন আগেও ঘরের যেখানে যেটা থাকার কথা, তাই ছিল...এখন সব অগোছালো । বইয়ের শেলফগুলো হা হা শুন্যতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । কিচেনের কাউন্টারে স্তূপ করে রাখা জিনিস বাক্সবন্দী হওয়ার অপেক্ষায় । লিভিংরুমের মেঝেতে এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে নির্ঝরের পাজলের টুকরো...ছোট্ট রাবারের শার্ক...কবেকার কোন জন্মদিনের পার্টিতে পাওয়া না-খোলা লুটব্যাগ (সেখান থেকে উকি দিচ্ছে মোড়কসহ ললিপপ)...হলুদ
ডমিনাস শপে একদিন
__________________
চৌকোনা টেবিলের মুখোমুখি একলা
ডমিনাস শপে, নীচে
মোজাইক আকাশ, ঝকঝকে কৈশরের মতো
কাঁটা চামচের সঙ্গীত ও
অনুরোধের গানের সুর য্যানো অবিরাম মেনুর
এক.
সমুদ্রবালক জলের তৃষ্ণা নিয়ে হাত বাড়ায় আকাশবালিকার পানে। বিপুল জলরাশির ভিড়েও তৃষিত সমুদ্রবালক প্রতীক্ষার প্রহর গোনে, তৃষ্ণার জল নিয়ে আসবে আকাশবালিকা!
নামঃ "আকাশনীলা"
ইমেইলঃ
অন্তরা আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু ছিলো। কেনো যেনো মনে হতো পৃথিবীতে ও-ই একমাত্র মানুষ যে আমাকে বুঝতে পারে। আর যেদিন এই উপলব্ধি হয়েছিলো, সেদিন থেকেই ওকে আপন করে নিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা বা দেরি হয় নি। অন্তরাও বুঝতে পেরেছিলো সেটা। তাই আমাকে বন্ধু করে নিতে ও-ও কোনো কার্পণ্য করে নি।
কাছাকাছি বাসা হওয়ার সুবাদে এরপর থেকে ঘনঘন আমাদের যাওয়া-আসা চলতে ল...
আকাশটা কথা কয় নিমগ্ন সুরেতে
তুমি ডাক প্রায়ই;
আমি তো আকাশ পানে চেয়ে আছি গত
একুশটি শরৎ
একুশটি কুয়াশাময় পৌষে সাজিয়েছি
প্রেমাঞ্জলি কিছু।
জানি আসবে না, আসবে কি?
আকাশতো নিরুত্তর।
সে শুধু যে চিরন্তন সাদাকালো মেঘ
বয়েই নিয়ে চলেছে
আমার তো অনুভুতি –সব কেড়েই নিয়েছে
এক হাড় কাঁপানো শীতে।
আকাশটা কথা কয় নিমগ্ন সুরেতে
‘আশায় থাক।’
আমিতো আশায় আছি।
তুমি ডাক প্রায়ই
‘এসো।’
‘কিভাবে?’
‘না ...