সুমিমা ইয়াসমিন এর ব্লগ

ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৭/১২/২০১৪ - ৪:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মানুষ দেখতে বড় ভালো লাগে আমার। ভিড় অপছন্দ, তবু ভিড়ের মুখগুলোতে বৈচিত্র্য খুঁজতে ভালো লাগে। বিজয় দিবসের বিকেলে শাহবাগ, জাদুঘর, পাবলিক লাইব্রেরি, ছবিরহাট, টিএসসি, বাংলা একাডেমি ঘুরলাম। ঢাকার সব মানুষ যেন এই এলাকায় জড়ো হয়েছে! সেজেগুজে পুরো পরিবার নিয়ে ঘুরছে মানুষ। উৎসব-উৎসব আমেজ চারিদিকে! প্রায় সবার পরনে কিছুটা হলেও লাল-সবুজের ছোঁয়া। রিকশাওয়ালা, ফল বিক্রেতা, চুড়ি বিক্রেতা, পথশিশু এবং গার্মেন্টস শ্রমিকদের অনেকেও পোশাকে লাল-সবুজ ধারন করেছে। এতো সুন্দর লাগছিল! আমাদের বিজয় উৎসবের রং লাল-সবুজ। এই রং সর্বজনীন।


‘আমার কেসটা তো আলাদা’

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৬/১০/২০১৪ - ১০:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অফিসে আমার পাশের টেবিলে বসে কাজ করতো উচ্ছল একটা মেয়ে। খুব ভালো আবৃত্তি করতো সে।
তার সাথে প্রেম ছিল আমাদের আরেক সহকর্মীর। সেই ছেলে ভীষণ বাকপটু। কথার জালে সবাইকে জড়িয়ে রাখতে জানে। জুটি হিসেবে তারা চমৎকার!

প্রেমের বিষয়টা তারা স্বীকার না করলেও অফিসের প্রায় সবাই জানতো। মেয়েটিকে কেউ এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে মিষ্টি একটা হাসি দিতো। ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করলে গম্ভীর হয়ে অন্য প্রসঙ্গে চলে যেতো।


শৈশব

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৯/১২/২০১৩ - ৬:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বুকের ভেতর লুকিয়ে থাকা মধুময় শৈশব ডাকে— আয়, ফিরে আয়…। আহা ফেলে আসা শৈশব; জীবনের সুবর্ণ সময়!

লাটিম ঘোরানো, ঘুড়ি ওড়ানো দুরন্ত শৈশব ফিরে আয় একবার! তোকে দেব সোনায় গড়া পঙ্খীরাজ ঘোড়া; তুই ফিরিয়ে দে আমার মাঠে-মাঠে ছোটা ধুলো-মাখা রোদ্দুর, আর কুয়াশামাখা রাতে ঝিঁঝিঁ'র সঙ্গীত আসর। চুমুক দিয়ে পান করবো শিশির-ঝরা ভোর।


শ্রাবণে শ্রাবণে

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৪/০৭/২০১৩ - ৯:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
শূন্যতার অর্থ জানো তুমি? অনুপস্থিতি মানেই শূন্যতা নয়। কাছাকাছি থেকেও কাছে না পাওয়ার হাহাকারটুকুই শূন্যতা। আমার কথা শুনে তুমি ভুবন ভোলানো হাসিটা ছড়িয়ে দিয়ে বললে, তাই বুঝি কাছে আসতে ভয় পাও? দূরত্ব নির্মাণ করে যাও, নৈকট্য লাভের আশায়! আমি বললাম, দূরত্ব কখনো নির্মাণ করা যায় না, দূরত্ব তৈরি হয়। নির্মাণ করা যায় নৈকট্য।


১২ বৈশাখ ১৪২০

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৪/০৫/২০১৩ - ৫:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাথাভর্তি যন্ত্রণা। সারাদেশে একের পর এক দুর্ঘটনা। নির্মম মৃত্যু। হাহাকার। সাভার ট্র্যাজেডি কাঁপিয়ে দেয় ভেতরটা। আজকাল নিজের মুখোমুখি হতে ভয় হয়। আয়নার নিজের চেহারাটা দেখে অপরাধ বোধ হয়। কেন বেঁচে আছি, এই মৃত্যুপুরীতে! এ এক ট্রমাটিক পিরিয়ড। পত্রিকা, টিভি, ব্লগ, ফেসবুকে রাতদিন মুখোমুখি বসে থাকি দুঃসময় আর অসহায়ত্বের হাত ধরে। মুক্তি নেই!

বন্দী হয়ে আছি কতদিন; চারদেয়াল নয়, হাজার হাজার দেয়ালে বন্দী! ভাবলাম, আজ অন্তত ঘরের দেয়ালটা ছেড়ে কোথাও যাবোই। বাইরে ঝাঁ-ঝাঁ রোদ। মধ্য বৈশাখের দুপুরটা তেঁতিয়ে উঠেছে তীব্রভাবেই।

রিকশায় চেপে লালদীঘি। গন্তব্য জব্বারের বলীখেলা।


গণহত্যা: ফটিকছড়ি

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২১/১১/২০১২ - ৪:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২১ নভেম্বর, ১৯৭১। লেলাং স্তব্ধ হয় পাকস্তানী বাহিনীর গণহত্যায়। চট্টগ্রামে ফটিকছড়ির কয়েকটি স্থানে চলে গণহত্যা। এরমধ্যে আছে লেলাং ইউনিয়নের শাহনগর গ্রাম, কাঞ্চননগর, নানুপুর বিনাজুড়ি খাল, হাসনাবাদ, আজিমনগর, নিউ দাঁতমারা চা বাগান।


ভদ্র মানুষ

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৪/০৩/২০১২ - ১২:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গাল ফুলিয়ে আমার রুমে ঢুকলো ওশিন। একটু আগে তার মা তাকে বকেছে। মৃদু মারও দিয়েছে। পাঁচ বছরের একটি শিশু মুখকে যতটা গম্ভীর করতে পারে, তার চেয়ে দ্বিগুন গম্ভীর মুখে ওশিন আমাকে বললো, জানো ফুফু, মা আর দাদু দোষ করেছে।
আমি বললাম, কী দোষ করেছে?
-- মা আমাকে বকেছে, মেরেছেও! আর দাদু মায়ের বিচারটাই করলো না!


প্রেম কি জাগায় সূর্যকে আজ ভোরে?

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৩/০২/২০১২ - ১১:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছেলেটি শুধু এক মুহূর্ত ভালবেসেছিল মেয়েটিকে। আর কেউ না জানুক, মেয়েটি জানে, সেই একটি মুহূর্ত একটি মহাকাল। ছেলেটি চিনিয়েছিল মেয়েটিকে জীবনের অপরূপ রূপ। মেয়েটি ছেলেটিকে দিয়েছিল একটিমাত্র স্ফুলিঙ্গ— যার তপস্বায় ছেলেটি মগ্ন ছিল জীবনভর।

ছেলেটি মেয়েটিকে ডাকে জুনি। মেয়েটি ছেলেটিকে ডাকে জিউস।


হাসুক নতুন দিন

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/০১/২০১২ - ১১:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সময়গুলো উড়ে যাচ্ছে। পেছনে ফেলে স্মৃতির পালক। বছরের শেষদিনে অস্তগামী সূর্যটার দিকে তাকাতেই মন কেমন যেন করে ওঠে! ওই সূর্যটার সাথে সাথে যেন বছরের সব হাসি-কান্না-আনন্দ-বেদনা ডুব দিচ্ছে। মনে হয়, হারিয়ে যাচ্ছে, ফুরিয়ে যাচ্ছে সব। এভাবেই তো যায়...। সুখ যায়...। দুঃখ যায়...। হারায় কতকিছু। আবার পাওয়া হয় নতুন কিছু। প্রাপ্তির কথা তেমনভাবে গেঁথে থাকে না মনে, যেমন ভাবে গেঁথে থাকে অপ্রাপ্তির বেদনা।


আলো নেই দুচোখে, তবু দৃষ্টি আছে

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/১০/২০১১ - ১০:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাসার লোকেশন জানাতে গিয়ে তিনি আমাকে ফোনে বললেন, ...গলিতে ঢুকে যে-কাউকে ব্লাইন্ড বাপ্পীর বাসা কোনটা জিজ্ঞেস করলে দেখিয়ে দেবে। এমন সহজভাবে কথাটি তিনি বললেন, অথচ শুনে আমার মন কেমন করে উঠলো!

গলির ভেতরে ঢুকে দেখি ৬/৭ বছরের একটি শিশু খেলছে। তাকে বললাম, বাপ্পী ভাইয়ের বাসাটা চেন? সে আঙুল উঁচিয়ে বললো, ও-ই বাড়িটার দোতলায়।