সুমিমা ইয়াসমিন এর ব্লগ

ওরা বঞ্চিত

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/০৬/২০১১ - ৯:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মনের আনন্দে গাইছে শিশুটি, আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি, তুমি এই অপরূপ রূপের বাহির হলে জননী...
প্রিয় গানটি শুনে হঠাৎ আমার চোখ দুটো ভিজে ওঠে। জন্মান্ধ এই শিশুটি কোনোদিন অপরূপ জননী আর রূপসী বাংলাদেশের রূপ দেখতে পায় নি চোখ মেলে!


যখন সময় থমকে দাঁড়ায়

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১৪/০৫/২০১১ - ২:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুনিয়ার ডিভোর্সের খবরটা শুনে আমি বেশ একটা ধাক্কা খাই। প্রথমে ভেবেছিলাম, এটা ঠাট্টা। ঠাট্টা বটে, নিয়তির নির্মম ঠাট্টা! মুনিয়ার সাথে আমার প্রায়ই দেখা হতো বাড়ির গেটের কাছে। বিকেলে আমি বাসা থেকে বেরুতাম অফিসের উদ্দেশ্যে আর মুনিয়া তখন অফিস থেকে ফিরতো বাসায়। টুকটাক কথা হতো। প্রতিবেশীসুলভ কুশল বিনিময়। যদিও আমরা একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, কিন্তু আমাদের প্রথম পরিচয় হয় এপার্টমেন্টের লিফটে। মুনিয়া তার স্বামী-সন্তান-পরিবার নিয়ে থাকতো আমাদের ওপরের তলায়। হাসিখুশি মেয়েটির প্রাণোচ্ছ্বলতা আমাকে ছুঁয়ে যায়। আমাদের আলাপ-পরিচয়টা টুকটাক কথাবার্তাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। একই এপার্টমেন্টে থেকেও কেউ কারো বাসায় যাবার সময় আমাদের হয় না। ইট-কাঠ-কংক্রিটের এই শহরে আমরা ক্রমশ নিরেট নিরস মানুষে পরিণত হচ্ছি। আমরা নিজের মাঝে নিজেকে শামুকের মত গুটিয়ে রাখি। কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের সামাজিক মেলামেশার ঐতিহ্য!


বিষাদে জন্ম তার!

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২১/১০/২০১০ - ২:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভোরের চাদরটা তখনো ঘুমের আবেশ জড়ানো। সে চেয়ে আছে নিষ্পলক। ভোর বেলার বাতাসে একটা আলাদা ঘ্রাণ থাকে। সেই ঘ্রাণে থাকে মিষ্টি এক অনুভব। আমি সবটুকু মিষ্টি অনুভব জড়িয়ে তাকে বলি, ভালো থাকিস আজ সারাদিন। সে কোনো তোয়াক্কা করে না, সে তার মতই থাকে।


চুইস্যা তারপর দিছি

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৩/০৭/২০১০ - ১:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্বপন গাঙ্গুলি। আমাদের অফিসের পিয়ন। এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে অনেক বছর ধরে। পত্রিকা অফিসে সম্পাদক থেকে শুরু করে সবার আচরণই বন্ধুসুলভ। কিন্তু গাঙ্গুলি যেন এই পত্রিকা অফিসে বস। সবার সাথে চলে তার ধমকাধমকি। তাকে কোনো কাজের কথা বললেই ধমক! তবু তার আচরণে কেউ কিছু মনে করে না। তার মাথায় সামান্য দোষ আছে, এটা সবাই জানে।


আহ্ বৃষ্টি! ঝুমঝুম বৃষ্টি!!

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২০/০৭/২০১০ - ৭:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রেমের ঋতু হিসেবে বসন্ত নাকি বর্ষা, কোনটা বেশি উপযোগী, এ নিয়ে ধুন্ধুমার তর্ক চলছে। স্থান--শাটল ট্রেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালযে পৌঁছতে ওটাই প্রধান ভরসা। প্রেমের ঋতু বর্ষা,এই ঘোষণা দিয়ে তর্কের সূচনা করে দিলেও, শেষ করার দায়িত্বটা অন্যদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে ট্রেনে জানালার পাশের সিটে বসে আমি বৃষ্টি উপভোগ করছি।

ট্রেন চলছে ঢুলে ঢুলে--কী জানি কিসের মাদকতায়! রেল লাইনের দুধারে বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত। তাতে অবিরাম বর্ষণ। কী অপূর্ব! জানালা গলে বৃষ্টির ছাঁট আমাকে ভিজিয়ে দিচ্ছে। আহা বহুদিন পর বৃষ্টি নেমেছে এমন! তীব্র গরমে ঝিমিয়ে থাকা প্রকৃতিতে নেমেছে প্রাণের জোয়ার। বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে ট্রেনটা যখন পৌঁছালো তখন বৃষ্টির ছোঁয়ায় ঝকঝক করছে সবুজ সজীব ক্যাম্পাস। পাহাড়গুলো স্নিগ্ধতা মেলে ধরেছে। কদমের সারি সারি গাছ ফুলে ছেয়ে গেছে। এতদিন তো লক্ষই করিনি, কখন কুঁড়ি আসলো, পাঁপড়ি মেললো!


তৃষিত সমুদ্র

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১১/০৭/২০১০ - ৪:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক.
সমুদ্রবালক জলের তৃষ্ণা নিয়ে হাত বাড়ায় আকাশবালিকার পানে। বিপুল জলরাশির ভিড়েও তৃষিত সমুদ্রবালক প্রতীক্ষার প্রহর গোনে, তৃষ্ণার জল নিয়ে আসবে আকাশবালিকা!


হয় না

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৫/০৭/২০১০ - ৭:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাহাড় ঘেরা ক্যাম্পাস। সতেজ সকাল। ঝিকঝিক সুরে ছুটে আসে শাটল ট্রেন। এক নিমিষে মুখর হয়ে ওঠে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

ক্লাস। একঘেয়ে লেকচার। সেমিনার। লাইব্রেরি। টিওটোরিয়াল। মনোযোগ নেই কোথাও। দেখানো হাসি। দেখানো সুখ। দেখানো উচ্ছাস। একটু একটু করে বদলে যাওয়া। আমি কিংবা অন্যের। অথবা দুপক্ষেরই।