উৎসর্গঃ কাব্যবিশারদ রোমেল চৌধুরী।
হিমাঙ্কের বালুঘর বদ্ধমুখ হয়েছিল পায়,
শূন্যতার বেলাভূমে কৃশতায় জমেছিল কিছু
নিরাশার সুখ,
বিভাজিত যুগ।
সুনিবিড় ছায়াঘরে জীবনেরা গড়েছিল স্তূপ,
ঝরনার প্রিয়সখা চিরবাধ্য অনুমিত প্রজা
দণ্ডায়মান ঠায়,
শুভ্রসিক্ত কায়।
[center]০১
উন্মাতাল ঢেউ তার উত্তাল গর্জনে
বেসুরো প্রকৃতির কোন কোণে
পাহাড়ের সারি-আকাশকে ছাপিয়ে
অসীম থেকে শুরু আর
পায়ে আছড়ে পড়ে শেষ আমার!
০২
পাশে বালুচর সমুদ্র; শেষে অচলের
গোমরা থমকে যাওয়া চাউনি;
বুক ফেড়ে শ্বেতস্রোতের বিন্দু বিন্দু জলে
বৃষ্টির মত ঝরনা মনে বিষণ্ন সাধ আনে!
এক.
সমুদ্রবালক জলের তৃষ্ণা নিয়ে হাত বাড়ায় আকাশবালিকার পানে। বিপুল জলরাশির ভিড়েও তৃষিত সমুদ্রবালক প্রতীক্ষার প্রহর গোনে, তৃষ্ণার জল নিয়ে আসবে আকাশবালিকা!
জহিরুল ইসলাম নাদিম
১.
ধরা যাক নাম তার
সমুদ্র নিষাদ।
এক চোখে তার দেখি
আলোকের ঝিকিমিকি
আর চোখে ঝুলে থাকে
গভীর বিষাদ!
২.
সমুদ্র নিষাদের মন ভালো নেই
বিবর্ণ দিনটাতে তাই আলো নেই!
৩.
তুমি কোথায় আর আমি কোথায়?
মাঝখানে তের নদী পড়ে থাকে হায়!
৪.
অর্ধেক পৃথিবী উজিয়ে এসে
মনের বনে দোলা দিয়ে যায় সে!
ভয়াবহ একটা দিন পার করে আসলাম আজ। না না, ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি; শরীরের উপর দিয়ে ধকল গেছে এই যা। রিসার্চ গ্রুপের পোস্ট ডক্ আম্মারিন ভোর সাড়ে পাঁচটায় আমাকে বাসার সামনে থেকে পিক্ করার কথা। ঘুম থেকে উঠে পড়লাম একঘন্টা আগেই। প্রতিদিন রাত জেগে জেগে অভ্যাস এমন হয়ে গেছে যে চাইলেও আগে আগে ঘুমোতে পারিনা। কীভাবে কীভাবে যেন দুইটা-তিনটা বেজে যায়। কিছু মানুষ আছে না যখন ইচ্ছে তখন...
দশ বারোজন সখী সখী মেয়ে ছিলো আমাদের অমোঘ পাড়ায়
যেখানে সমুদ্র নাই, সমুদ্রের ছায়া এসে জরাক্রান্ত করে যায় রাত।
সে রকম রাত জমে এলে রন্ধ্রে ঘনিয়ে ওঠা সুর নিয়ে
মেয়েগুলো ছুটে যেতো গভীর দুপুর,
নিষাদ বাতাস ধাওয়া খেতো সোজা রেললাইন।
হারমোনিয়ামের রীড ভেবে তারা বহুদিন রেললাইন বাজিয়েছে,
বাজিয়েছে পরস্পর পরস্পরে, বুকের পাঁজর।
আমাদের পাড়ায় কোন হারমোনিয়ামের চল ছিল না,
ছিলো কিছু গান জানা পা...
সমুদ্রের যে সমুদ্র গুপ্তই থেকে গেলো
-রণদীপম বসু
@ পথ চললেই পথের হিসাব
‘তুমি বললে ফুল/ আমি বললাম কাগজের নিষ্...
কংসাবতী নীল হয়ে ছিল। পাখি ছোট্ট ছোট্ট। এলোকেশে পাহাড়ের হিরণ্যদ্যুতি আসলে সেসবই কুয়াশা।
এক সমুদ্র ছিল বালির কিস্কিন্ধ্যা জুড়ে। বৃষ্টি ভেলা মাছেদের ট্রলার আমাদের বাচালদিন জুড়ে কেবল সেজে গেল খিলি খিলি পানের মত। টিপ টিপ টিপ টিপ...