আহ্ বৃষ্টি! ঝুমঝুম বৃষ্টি!!

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২০/০৭/২০১০ - ৭:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রেমের ঋতু হিসেবে বসন্ত নাকি বর্ষা, কোনটা বেশি উপযোগী, এ নিয়ে ধুন্ধুমার তর্ক চলছে। স্থান--শাটল ট্রেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালযে পৌঁছতে ওটাই প্রধান ভরসা। প্রেমের ঋতু বর্ষা,এই ঘোষণা দিয়ে তর্কের সূচনা করে দিলেও, শেষ করার দায়িত্বটা অন্যদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে ট্রেনে জানালার পাশের সিটে বসে আমি বৃষ্টি উপভোগ করছি।

ট্রেন চলছে ঢুলে ঢুলে--কী জানি কিসের মাদকতায়! রেল লাইনের দুধারে বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত। তাতে অবিরাম বর্ষণ। কী অপূর্ব! জানালা গলে বৃষ্টির ছাঁট আমাকে ভিজিয়ে দিচ্ছে। আহা বহুদিন পর বৃষ্টি নেমেছে এমন! তীব্র গরমে ঝিমিয়ে থাকা প্রকৃতিতে নেমেছে প্রাণের জোয়ার। বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে ট্রেনটা যখন পৌঁছালো তখন বৃষ্টির ছোঁয়ায় ঝকঝক করছে সবুজ সজীব ক্যাম্পাস। পাহাড়গুলো স্নিগ্ধতা মেলে ধরেছে। কদমের সারি সারি গাছ ফুলে ছেয়ে গেছে। এতদিন তো লক্ষই করিনি, কখন কুঁড়ি আসলো, পাঁপড়ি মেললো!

ছোট এক পথশিশু হাতে কদম ও চালতার ফুল নিয়ে ঘুরছে বিক্রি করবে বলে। আমি আগে কখনো চালতার ফুল দেখিনি। খুব সুন্দর তো ফুলটা! এমন বৃষ্টির দিনে কী আর ক্লাস করতে ভালো লাগে!

বন্ধুদের বলা হলো, যার যার ক্লাস শেষে অতি দ্রুত ঝুপড়িতে জড়ো হতে। আমাদের ক্যাম্পাসে জারুলতলার ছোটো ছোটো চায়ের দোকানগুলো ঝুপড়ি নামেই পরিচিত। যাই হোক, মনের ভেতর বৃষ্টিতে ভেজার তুমুল আকাঙ্খা নিয়ে ক্লাসের দিকে ছুটলাম। ক্লাসে বসে দেখি ঘন কালো মেঘ আরো ঘন হয়ে এল। অল্পক্ষণ পরেই ঝুমঝুমিয়ে বৃষ্টি নামলো। ক্লাসরুমের জানালার সাথে লাগোয়া পাহাড়্। মুগ্ধ হয়ে পাহাড়ের গায়ে বৃষ্টি ঝরা দেখছি...!

একটু পর স্যারের কথায় সম্বিত ফিরে পাই। স্যার চরম বিরক্তি নিয়ে নাক মুখ কুঁচকে একবার বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে বললেন, কী বিশ্রী বৃষ্টি! বন্ধ করো জানালাগুলো।
আমাদের এই মধ্যবয়সী শিক্ষক বৃ্ষ্টির সৌন্দর্য্য উপভোগের মনটাও হারিয়ে ফেলেছেন! ভাবতেই খারাপ লাগছে।

ক্লাস শেষ করে যখন বের হলাম, তখন বৃষ্টি থেমে গেছে। ঝুপড়িতে গিয়ে দেখি প্রায় সবাই হাজির। কজন তো ক্লাসেই যায় নি। ঝুপড়িতে বসে চা আর বৃষ্টি একসাথে চুমুকে চুমুকে উপভোগ করছে!

ঝুপড়ি থেকে বেরিয়ে সবাই মিলে লাইব্রেরির কার্নিশের নিচে গিয়ে বসলাম। লাইব্রেরিটা টিলার ওপর হওয়াতে চারপাশটা ভালোভাবে দেখা যায় এখান থেকে। সামনে জারুল বাগান, বেগুনি ফুলে রঙিন। সবুজ ক্যাম্পাসটা যেন বেগুনি চাদর জড়িয়েছে গায়ে! তুমুল তোড়ে বৃষ্টি নামলো আবার। সবাই মিলে গান ধরি এবার-...মন হারাবার আজি বেলা/ পথ ভুলিবার খেলা...।

এরমধ্যে একজন এসে খবর দিল, খেলার মাঠের ওদিকে প্রচুর সোনালো ফুল ফুটেছে। এবার তুমুল বৃষ্টির মধ্যেই দল বেঁধে ছুটলাম ওদিকে। জারুল ফুলের বেগুনি চাদরের মুগ্ধতা না কাটতেই আরকেবার মুগ্ধ হই; সোনালু ফুলে ছেয়ে আছে খেলার মাঠের আশপাশ। যেন হলুদ ওড়না জড়িয়েছে স্নিগ্ধ সবুজ তন্বী! গাছে যতগুলো ফুল ঝুলে আছে,তার চেয়ে বেশি ঝরে পড়েছে মাটিতে। পিচ ঢালা রাস্তাটি যেন হলুদ কার্পেটে মোড়ানো!

বর্ষায় আমাদের ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য্য উথলে ওঠে। ইচ্ছে করছে বিশাল এই ক্যাম্পাসে উড়ে বেড়াতে! ওড়াওড়ির ইচ্ছেটা স্থগিত হয়ে যায়, যখন দেখি ফিরতি ট্রেনের সময় হয়ে গেছে।

আকাশের দিকে তাকিয়ে বেলা বোঝার উপায় নেই। তবু বিকালের ঘ্রাণ পাই। স্টেশনে পৌঁছলাম। ট্রেনের ভেতর-বাহির বৃষ্টিতে মাখামাখি। আর ট্রেনের চালের অসংখ্য ফুটো আমাদের ভেজার সুবন্দোবস্ত করে রেখেছে। ট্রেনে উঠতে যাব, এমন সময় এক বন্ধুর ডাকে পেছন ফিরে তাকাই। সে অনেকগুলো পদ্মফুল নিয়ে এসেছে গোলপুকুর থেকে। ফুলগুলোতে জড়িয়ে আছে পবিত্র এক সৌন্দর্য্য! হাতে নিতেই স্বর্গীয় অনুভূতি!

ঝুমঝুম্ বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে আমাদের ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছেড়ে ছুটে চলে...। ট্রেনের বগি চাপরে গান ধরে কিছু ছেলেমেয়ে। বৃষ্টির গান। এক কোনায় বসে বন্ধু কবিতা লেখে-

রাস্না আর ফলসা পাতার বন ভিজে গেছে
ভেজানো জোছনায়
শেষ সীমানা অবধি বয়ে বয়ে গেছে যে মন
সে কি আর ভিজবে কোনোদিন?
সদূরে সেই ক্ষণগুলো
মিছে আশায় ভোলানো প্রতিশ্রুতি
যখনই ‘আসবো’ বলে কিছু কথা ছিলো
তখনই ‘আশা’, ‘ভালোবাসা’, ‘স্বপ্ন’
এসব কিছু শব্দও কি ছিলো না?
রাস্না আর ফলসা পাতার বন ভিজে যায়
কিছু মানুষ তবু বসে থাকে
‘যন্ত্রণা’, ‘অন্ধকার’,তবুও ‘ভালোবাসা’, তবুও ‘স্বপ্ন’
এইসব আপাত কিছু অর্থহীন শব্দ নিয়ে।


মন্তব্য

মুস্তাফিজ এর ছবি

চিটাগাং ইউনিভার্সিটিতে যাওয়া হয়নি কখনও। গতবছর সুযোগ ছিল, বিশ্ববিদ্যালয় ডে তে আমার তোলা ছবি আর ডিজাইন দিয়ে এক রাতের ভিতর পুরো ট্রেন স্টিকার লাগিয়ে ঢেকে দিয়েছিলাম, পরদিন সবার প্রতিক্রিয়া দেখার আগেই আমি কক্সবাজার। যাওয়া হয়নি আর।

...........................
Every Picture Tells a Story

অতিথি লেখক এর ছবি

মুস্তাফিজ ভাই, ওই চমৎকার কাজ আপনার! ওহ্, কী অসাধারণ! মুগ্ধ হয়েছি আমরা সবাই।
আপনাকে চট্টগ্রামে নিমন্ত্রণ।

সুমিমা ইয়াসমিন

মুস্তাফিজ এর ছবি

হু, এবং কাজটা করার পয়সাও আমিই জুগিয়েছিলাম (পরে অবশ্য কয়েকটা কোম্পানী খরচের টাকাটা দিয়ে দিয়েছিলো)। ঢাকায় এক আড্ডায় হঠাৎ করেই আইডিয়াটা মাথায় এসেছিলো, ওটা ছিলো সরাসরি রাজাকার মুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণার মতন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ঢালী মামুনের মাধ্যমে দেয়া প্রস্তাবে ভিসি সাথে সাথেই সম্মতি দিয়েছিলেন।
যাক্‌ এ নিয়ে বিস্তারিত একসময় লেখবো আশা আছে।

...........................
Every Picture Tells a Story

অতিথি লেখক এর ছবি

দুর্দান্ত আইডিয়া। আপনার সেই লেখাটা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।

সুমিমা ইয়াসমিন

তাসনীম এর ছবি

সুন্দর লেগেছে লেখাটা। ঝুমঝুম বর্ষা আমারো খুব প্রিয়। গত ১৫ বছর বর্ষা দেখি না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনও যাওয়া হয় নি, একবার বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল, শেষ পর্যন্ত আর হয়ে উঠে নি। যেতে হবে।

লিখতে থাকুন।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যাবাদ,তাসনিম ভাই।
আহা, ১৫ বর্ষা...! কোনো এক বর্ষা নিশ্চয় আপনার অপেক্ষায়...।অবশ্যই আসবেন।

সুমিমা ইয়াসমিন

অতিথি লেখক এর ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি কয়েকবার। সত্যিই খুব সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয়। লেখাটাও ভালো। তবে একটা কৌতুহল জাগল; শাটল ট্রেন বেশ ধীরে চলে দেখেছি, কিন্তু চলন্ত ট্রেনে বসে কবিতা লেখার মতোন অতটা ধীরে তো নয়। কবিতাটা ট্রেন থেমে থাকার সময় লেখা হয়েছিল, তাই না?

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ, নাম না জানা অতিথি। নামটা কি জানতে পারি?
চলন্ত ট্রেনেও লেখা যায় । চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

সুমিমা ইয়াসমিন

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার ব্যক্তিগত ধারণা মোবাইল বা ল্যাপটপ না হলে চলন্ত ট্রেনে বসে খাতা-কলমে লেখা একটু দুরূহ। তবে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল ট্রেন নাই বলে কখনো চেষ্টা করা হয় নাই।
--চিরায়ত পাঠক (গতবারেও নাম লিখেছিলাম, কেমন করে জানি হাওয়া হয়ে গেছে!)

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- প্রেমের ঋতু বর্ষাও না, বসন্তও না। প্রেমের ঋতু হলো শীত। দেখেন না, বেশিরভাগ বিয়েই শীতে হয়! চৈত মাসে কোনো বিয়া হয়? গরমে পোলাও-বিরিয়ানি খাইবো ক্যামনে মানুষ!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

বিয়ের মধ্যে আপনি প্রেম পাইলেন কই? বিয়ে হলো প্রেমের মৃত্যু।
একবার মনে কইরা দেখেন তো, এমন কোনো অমর প্রেম কাহিনি আছে, যেটা বিয়ে পর্যন্ত গড়াইছে!

সুমিমা ইয়াসমিন

নির্ঝর অলয়  এর ছবি

কিছু কিছু তো অবশ্যই আছে! হাসি

নির্ঝর অলয়  এর ছবি

লেখাটা ভালো লাগল। কাব্যিক প্রকাশভঙ্গির সঙ্গে রয়েছে পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার স্মৃতি বেশ মজার। ২০০৫ সাল, মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে বসে আছি, ক্লাস শুরু হয়নি। দীর্ঘ ছুটিতে কক্সবাজার আর চট্টগ্রাম। চবিতে ছিল দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু, তাদের সাথে শাটল ট্রেনে চেপে পাহাড়ে ঘেরা মায়াবী ক্যাম্পাস।

কিন্তু মায়ার ঘোর কেটে গেল। বন্ধুরা তাদের ক্লাস অর্থাৎ মার্কেটিং এর ক্লাসে নিয়ে গেল। আমি বহিরাগত সেটা যাতে না বোঝা যায়, সেজন্যে খাতা-কলমও দেয়া হল। যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে সন্ধ্যে হয়। একটু বাদে মাস্টারমশাই কী যেন জিজ্ঞেস করে বসলেন! বোধহয় আমাকে ফিসফাস করতে দেখেছিলেন। যাহোক ঐ এক ঘণ্টা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বিরক্তিকর সময়। আমি সামান্য বিজ্ঞানের ছাত্র -বাণিজ্য আমাকে টানে না। ক্লাস শেষে একবার মনে হয়েছিল মাস্টারমশাইকে গিয়ে চমকে দিয়ে আসি। তা আর করিনি। শেষে চবিতে সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ। সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের ক্যাম্পাস।

আমাদের গ্রীষ্ম বড় বেশি পোড়ায়, তাই বর্ষার এত আবেদন, এত আকুতি, এত গান, এত কবিতা। যে যুগে ফ্যান, এসি ছিল না -তখনকার মানুষের জীবনে বর্ষার গুরুত্ব আরো অনেক বেশি ছিল।

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

ধন্যবাদ, নির্ঝর। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো। বড় জানতে ইচ্ছে করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে যে একটা ঝর্ণা ছিলো সেটা কি এখনো আছে। মনে আছে, ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে গোসল করেছিলাম ঐ ঝর্ণায় । কে একজন তখন বলেছিলো, আমরা নাকি পরীক্ষা দিতে যাইনি, গোসল করতে গেছি !!!

জাকির জাহামজেদ

অতিথি লেখক এর ছবি

সেই ঝর্ণা এখনো আছে, জাকির। কলকল করে জল বয়ে যায়...

সুমিমা ইয়াসমিন

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার লেখার মধ্যে প্রকৃতিপ্রেম ফুটে উঠেছে। দারুণ লাগলো। বন্ধুর লেখা কবিতাটাও অসাধারণ!

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ, প্রকৃতিপ্রেমিক। প্রেম উপলব্ধির জন্য।

সুমিমা ইয়াসমিন

লাইজু  এর ছবি

চট্টগ্রাম ভার্সিটির পড়াশোনার পাট চুকিয়ে যখন ঢাকাতে থিতু হলাম .....বর্ষাটা তখন ছিল ভারী যন্ত্রণার | বর্ষা মানেই রাস্তায় পানি.......বর্ষা মানেই অফিস দেরী | আর এখন এই দূর প্রবাসে যখন ঝুম ঝুম বৃষ্টি নামে ........দূরের ওই নাম না জানা পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে কেন যেন মনটা চলে যায় সেই ভার্সিটির দিনগুলোতে | চালতা ফুলের ঘ্রাণ টা এখনো নাকে লেগে আছে | ধন্যবাদ সুমি, সুন্দর একটা লেখার জন্য |

অতিথি লেখক এর ছবি

লাইজু আপা, আপনি আপনি আমার লেখাটা পড়েছেন বলে কী যে ভালো লাগছে! আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় বুঝি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলোই।

সুমিমা ইয়াসমিন

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ঝুম ঝুম ঝুম বৃষ্টি, কী অনাসৃষ্টি!
অফিস থেকে ফেরার পথে বৃষ্টি প্রায়ই পিছু নেয়। ঘরে ফেরার রাস্তায় জমে হাঁটু পানি। বেশ বিরক্ত লাগে বৃষ্টির ওপর। অবশ্য ঘরে বসে রবিবুড়োর সঙ্গে, কিংবা হাইওয়েতে গাড়ির জানালা দিয়ে বৃষ্টি দেখতে আপত্তি নেই।

অতিথি লেখক এর ছবি

পান্থ, হাইওয়েতে গাড়ির জানালা দিয়ে বৃষ্টি দেখে মজা আছে? একটু নেমে পড়ুন না...। বৃষ্টিতে ভিজে যান...

সুমিমা ইয়াসমিন

বাউলিয়ানা এর ছবি

লেখা ভাল লেগেছে। একবার বর্ষায় গিয়েছিলাম চবিতে। আর্টস ফ্যাকাল্টির পেছনে একটা ঝরনা আছে না? বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ওটা দেখতে গিয়েছিলাম।

ভাল কথা শাটল ট্রেনের ছাদে অসংখ্য ফুটো হয়ে গেছে? বলেন কি!

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ,বাউলিয়ানা।
আপনি আমাদের প্রিয় ঝর্ণাটাও দেখেছেন তাহলে! অনেকেই ওটার সৌন্দর্য্যের খবর জানে না।

সুমিমা ইয়াসমিন

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রতিটা ঋতুরই কিছু বিশেষ বিশেষ সুবিধা ও অসুবিধা আছে, প্রেমের জন্য। যাদের প্রেম সারা বছর জুড়েই চলে, তারা বিশেষ করে সুবিধাগুলো নিতে চেষ্টা করেন আর অসুবিধাগুলোকে সেফমত কাটিয়ে যান। আমার মনেহয় বর্ষার সবচে বড় সুবিধাটা হল, রিকশায় ভিজতে ভিজতে যাওয়া যায়.............।


ছেড়া পাতা
ishumia@gmail.com

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে।

সুমিমা ইয়াসমিন

অতিথি লেখক এর ছবি

চিটাগাং ভার্সিটি আসলেই খুব সুন্দর। আমি ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার জন্য গিয়ে তো পুরা পাগল হয়ে গিয়েছিলাম... অনেক গুলো ইউনিটে চান্স পেলেও বাসার সবার অমতের কারণে শেষমেষ এই কাঠখোট্টা শহরের ভার্সিটিতেই পড়তে হচ্ছে... আমার অনেক প্রিয় সোনালু ফুল ঢাকা ভার্সিটিতেও হয় কিন্তু চালতা ফুল তো মনে হয় কখনো দেখিনি... ওটা দেখতে কি কাঠগোলাপের মতো?

''চৈত্রী''

অতিথি লেখক এর ছবি

চৈত্রী,ধন্যবাদ। চালতার ফুল বড় একটা ফুল,মাঝে আরকেটা ছোট ফুল। গাঢ় সবুজ আর হালকা হলুদ রংয়ের সমন্বয়।

সুমিমা ইয়াসমিন

অতিথি লেখক এর ছবি

সুমিমা, আপনার মাঝে যে একজন প্রকৃতি প্রেমী লুকিয়ে আছে জানতাম না!
বৃষ্টি আমার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। আর বর্ষায় বেলির মন মাতানো ঘ্রাণ আমাকে পাগল করে দেয়।
চিটাগাং ভার্সিটিতে বেলি নেই তাই না?
ওখানে যাওয়ার ইচ্ছেটা আমার অনেক দিনের ..... আপনার লেখা ইচ্ছেটাকে চাঙ্গা করে দিল হাসি

সাবরিনা সুলতানা

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠিক আছে, একদিন আপনাকে নিয়ে যাবো ক্যাম্পাসে।

সুমিমা ইয়াসমিন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।