শৈশব

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৯/১২/২০১৩ - ৬:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বুকের ভেতর লুকিয়ে থাকা মধুময় শৈশব ডাকে— আয়, ফিরে আয়…। আহা ফেলে আসা শৈশব; জীবনের সুবর্ণ সময়!

লাটিম ঘোরানো, ঘুড়ি ওড়ানো দুরন্ত শৈশব ফিরে আয় একবার! তোকে দেব সোনায় গড়া পঙ্খীরাজ ঘোড়া; তুই ফিরিয়ে দে আমার মাঠে-মাঠে ছোটা ধুলো-মাখা রোদ্দুর, আর কুয়াশামাখা রাতে ঝিঁঝিঁ'র সঙ্গীত আসর। চুমুক দিয়ে পান করবো শিশির-ঝরা ভোর।

তোকে দেব মুঠো-মুঠো নাগরিক ঝংকার; শুধু ফিরিয়ে দিস ছেলেবেলার সেই আনচান দুপুরের ছোঁয়া, পুকুরের জলে মাছেদের সাথে ডুবসাঁতারের বেলা। তোকে দেব একতাড়া রঙিন আল্পনা— ফিরে পেতে চাই শুধু কালো শ্লেটে আঁকা সাদাকালো শৈশব।

আমার সব রঙ মিশে আছে জানি, ওই সাদাকালো শৈশবে। বৃষ্টির ঘ্রাণ আর মাতাল হাওয়ার সুর— তাতেই বেঁধেছিলাম ছেলেবেলার যত গান। মাটির ওই সোঁদা গন্ধ জানে জীবনের সব সজীবতার গল্প।

পালতোলা নৌকা ভেসে যায় যে-নদীর কূল ছেড়ে, সে-নদীর কোলে পড়ে রয় উচ্ছল ছেলেবেলার সব দূরন্তপনা!

কতশত পথ পেরিয়ে হারিয়ে যায় জীবনের দোতারাটা। তবু শৈশবের উঠোনে ওই পেখম মেলে ময়ূর নাচে...!









১০

১১

১২

১৩

১৪

ক্যামেরা: SONY DSC H-50


মন্তব্য

তিথীডোর এর ছবি

১, ২, ৭ অতীব চমৎকার।
বিশেষত ১।

কিপিটাপ। চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

যদি সত্যিই ভালো কোনো ছবি তুলতে পারতাম!

অতিথি লেখক এর ছবি

বাহ্‌! ভাল লাগলো ছবিগুলো। মিঠে শৈশবটা মনে পড়ে যায়।

শুভকামনা হাসি

গান্ধর্বী

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

ধন্যবাদ, গান্ধর্বী। শৈশবের অনুভূতি বড় সুন্দর!

অতিথি লেখক এর ছবি

মিস করি শৈশব। ১ নং ছবিটা অসাধারণ।

চলুক

শব্দ পথিক

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

ধন্যবাদ, শব্দ পথিক

দীনহিন এর ছবি

ফিরে পেতে চাই শুধু কালো শ্লেটে আঁকা সাদাকালো শৈশব।

দুর্দান্ত!
১ আর ৮ অসাধারণ।
মন খারাপ হয়, মন ভাল হয়, মনের অন্দরে এমনি আলোআঁধারির খেলা সাদাকালো শৈশবের!

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

মন ভালোই থাক সবসময়। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

রেললাইন ছিল না তবে পুকুর ছিল, লাফঝাপ ছিল, লাটিম ছিল, নির্ভেজাল বন্ধুত্ব ছিল।
শৈশব গুলো কেমন একই রকম, তাই না।
ভীষন নষ্টালজিক করে দিলেন।
- দীপালোক

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

দীপালোক, সব শৈশবই ভীষণ সুন্দর!

বাউলিয়ানা এর ছবি

চলুক
সুন্দর ছবি

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

ধন্যবাদ, বাউলিয়ানা।

ফাহিম হাসান এর ছবি

চমৎকার এসেছে ছবিগুলো

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

বড় ভালো লাগলো, ফাহিম হাসান।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাততালি ( মন খারাপ )

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- (বেজার কেনু!)

অনিকেত এর ছবি

আহ অপাপবিদ্ধ শৈশব---
সকল ছবির ভীড় ঠেলে এক নম্বর ছবিটা অনেক দিন মনের মাঝে রয়ে যাবে---

অফুরান শুভ কামনা--

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

ছবিটা যতদিন আপনার মনের মাঝে রয়ে যাবে, তার চেয়ে বেশি দিন মন্তব্যটা রয়ে যাবে আমার মনে।

কড়িকাঠুরে এর ছবি

"...কৈশোর শেষ হওয়া রং চং স্বপ্নের দিন
চলে গেছে রং হারিয়ে
চলে গেছে মুখ ফিরিয়ে..."

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

এই পাল্টানো সময়ে সে ফিরবে কি ফিরবে না, জানা নেই

বনি এর ছবি

চমৎকার সবগুলো ছবি।
একটা গানের কলি মনে পরে গেল-
দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না , সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

ধন্যবাদ, বনি।

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রতিটি বয়সের নিজস্ব একটা সৌন্দর্য্য আছে. খুব ছেলেবেলায় বাবার হাত ধরে ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়া, বাবার কিনে দেওয়া লিপেষ্টিক মেখে ঠোঁট লাল করা, নতুন জামার গন্ধে বিভোর থাকা,কৈশোরে ঘুড়ি উড়ানো, পুকুরে কিংবা নদীতে ঝাপ দেওয়া. প্রথম যৌবনে কারো মায়াবী হাসিতে নিদ্রাহীন রাত কাটানো, প্রথম কারো প্রেমের চিঠি পাওয়া, প্রথম ভালোবাসি বলা, বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে দল বেধে হৈ হল্লুড় করে এখানে সেখানে ঘুরতে যাওয়া আর হঠাৎ পাওয়া স্বাধীনতাকে উপভোগ করা. পূর্ণ যৌবনে স্থিরতা আর সব কিছুর গভীরে প্রবেশ করার ক্ষমতা..এই সবি মানুষকে ভিন্ন ভিন্ন সুখ দেয়.

এরপর একদিন নিজেই বাবা মা হয়ে যাওয়া, তারপর সন্তানের মুখে হাসি, সন্তানের সাফল্যই জীবনের একমাত্র চাওয়া হয়ে যায়. তারওপর নাতি নাতনিদের কে নিয়ে মেতে থাকা.আসলে এমন করেই সময় বদলের সাথে বদলে যায় মানুষের চিন্তা চেতনা বিশ্বাস আর ভালোলাগা. সময়ের বাঁকে বাঁকে জীবন তার রঙ বদলায় নানান রঙে. তাই জীবনের কোন সময়ই কম উপভোগ্য নয়, কিন্তু আমরা সেটা সময় মতো বুঝে উঠতে পারি না. তাই আমরা বার বার বলি অতীত ভালো ছিলো, কিন্তু সব অতীতি একদিন বর্তমান ছিলো এটা বোধহয় আমরা ভুলে যাই. সুস্থ থেকে জীবনের এই পথ চলতে পারাটাই বোধহয় সবচেয়ে আনন্দের আর সুখের. জীবনের নানান বাঁকে সময়ের অজস্র পথ ধরে চলার অভিজ্ঞতা জীবনকে জীবন্ত করে রাখে..আর তাই জীবনটা এতো অমূল্য আমাদের কাছে. ভালো থাকুক শৈশব, কৈশোর, যৌবন, আর গোধূলী বেলা।
আপনার সবগুলো ছবি শৈশব আর কৈশোরের মতো জীবন্ত হয়েছে।

মাসুদ সজীব

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

ঠিকই বলেছেন, মাসুদ সজীব। প্রতিটি বয়সের আলাদা সৌন্দর্য্য আছে।

তারেক অণু এর ছবি

লেখা -গুড়- হয়েছে জীবন্ত

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ধুসর জলছবি এর ছবি

কতশত পথ পেরিয়ে হারিয়ে যায় জীবনের দোতারাটা। তবু শৈশবের উঠোনে ওই পেখম মেলে ময়ূর নাচে...!

চলুক লেখাটা খুব পছন্দ হয়েছে।
১,২,৮ দারুণ হয়েছে। হাততালি

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

তোমার তাগাদা পেয়েই ভাবছিলাম, একটা পোস্ট দিতেই হবে। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

শাব্দিক এর ছবি

লাটিম ঘোরানো, ঘুড়ি ওড়ানো দুরন্ত শৈশব ফিরে আয় একবার! তোকে দেব সোনায় গড়া পঙ্খীরাজ ঘোড়া; তুই ফিরিয়ে দে আমার মাঠে-মাঠে ছোটা ধুলো-মাখা রোদ্দুর, আর কুয়াশামাখা রাতে ঝিঁঝিঁ'র সঙ্গীত আসর। চুমুক দিয়ে পান করবো শিশির-ঝরা ভোর।

সত্যিই যে কোন কিছুর বিনিময় এমন মিষ্টি শৈশব ফিরে পেতে চাই।
ছবিগুলি অদ্ভুত মিষ্টি। বিশেষ করে ১ আর ৯।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

ফিরে পাবো না বলেই শৈশব এতো মিষ্টি!
ধন্যবাদ, শাব্দিক।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

অভিমন্যু .
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

চলুক চলুক
আমার সব ছবিগুলোই খুব ভাল লাগল। দারুন বিশেষ করে ১,২,৮ আর ১৩। হাততালি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

ক্যামেরাবাজির ব্যর্থ চেষ্টা!
ধন্যবাদ, মন্তব্যে যোগ দেবার জন্য।
(এক বছর পর রিপ্লাই! খাইছে )

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।