অন্য কোথা অন্য কোনখানে --- গিয়েছিলাম পাহাড়ে- একঃ আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায় ঐ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০৫/০৩/২০১২ - ১০:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[img]Copy of DSC00697[/img]
নীলগিরির চূড়া থেকে নীলাকাশ

বায়স্কোপের নেশা আমায় ছাড়ে না...

বায়স্কোপ নামীয় অদ্ভুত দর্শনযন্ত্রটি আমাদের ছেলেবেলায় বিলুপ্তপ্রায় হবার অপেক্ষায় ধুঁকছিল। আমার এক বিদেশ ফেরত নিকটাত্মীয় বায়স্কোপের একেবারে শেষের দিকের এক সংস্করণ দেশে নিয়ে এলেন। প্রায় বাক্স আকৃতির ছোট জিনিসটার পেছনের দিকটা দুই ভাগ হয়ে চোঙ্গার মতন একটু বাইরের দিকে ছড়ানো। তাতে দুটো কালো কাঁচের লেন্স পাশাপাশি চশমার আদলে লাগানো ছিল। লেন্সে চোখ লাগানোর সাথেই খুলে যেত একেকটা রূপকথার রাজ্য। স্থিরচিত্রে ধারণ করা খুব ছোট্ট ছোট্ট ছবিগুলো প্রক্ষেপণে ভীষণরকম বড় আর জ্যান্ত হয়ে ধরা দিত। আমরা ছোটরা অবাক বিস্ময় নিয়ে বিপুল আগ্রহে একটার পর একটা ছবি দেখতাম। আর অপেক্ষায় থাকতাম এর পরের ছবিটা কি আসবে! তখন গ্রাম গঞ্জে বড় একটা বাক্স আকৃতির বায়স্কোপ নিয়ে কিছু মানুষ ঘুরত। হাট বাজারের এই বায়স্কোপওয়ালারা ভীষণ রসিক আর কাব্যিক ছিলেন। ‘‘রমনা পার্ক চইলা গ্যাছে, লালবাগ কেল্লা আইয়া পড়ছে...’’এই রকম ছন্দময় আর সুরেলা বর্ণনায় ছবি দেখার আনন্দ সেদিনের স্কুল ফেরত বাচ্চা ছেলেটির টিফিনের পয়সা বাঁচানোর কষ্টের ক্ষতে একেবারে মোলায়েম পরশ বুলিয়ে দিত। বান্দরবানের নীলগিরি যাবার পথে বীর বাহাদুরের মতন একা একটা মাইক্রোবাস ভাড়া করে অবেলায় অনেকগুলো টাকা খসানোর কষ্টের ক্ষতে কোন এক বায়স্কোপওয়ালা যেন এরকম একটা মোলায়েম প্রলেপ বুলিয়ে দিচ্ছিল...। সেই গল্পটাই করব আজ।

বান্দরবান এসেছিলাম আগেও একবার। শহরের পা ধুয়ে বয়ে চলা শান্ত শঙ্খ(আমরা বলি সাঙ্গু) নদীর বুকে ভেসে এসেছিলাম বহুদূর। তখন একটু শীতের মুখে ঘুম ঘুম মেঘেরা নদীর বাঁকে বাঁকে ছায়া ফেলে ফেলে আতিথেয়তা দেখিয়েছিল ভীষণ। নদীর দুধারে আকাশ আড়াল করে জেগে থাকা পাহাড় আমায় ডেকেছিল খুব। তবে পাহাড়ের খুব মুখের কাছে সেবার যাওয়া হয়নি। শঙ্খের কাকচক্ষু জলের ওপর ঝুঁকে থাকা চাঁপা কলার ঝাড় আর বুনো জারুল সেগুনের দোলানো পাতার দিকে চেয়ে বলেছিলাম শুধু, আসব। ফলে, এবং বেঁচে থাকায়, আবার আসা হল।

[img]DSC03030[/img]
কাজল নদীর জলে, ভরা ঢেউ ছলছলে

সার্কিট হাউসের ঠিক নীচে পায়ের কাছে ফিসট রেস্টুরেন্টের দরজা খুলে যখন ঢুকলাম, ঘড়ির কাঁটা তখন বেলা এগারোটা ছুঁই ছুঁই। এই অবেলায় কোন হোটেলে সকালের নাস্তা আশা করা অন্যায় বৈকি। তবে আমায় অবাক করে দিয়ে ওয়েটার বলল নাস্তা হবে। আমার সকালের নাস্তাটা কামাই হলনা শেষ পর্যন্ত। নাস্তা শেষে বেরুতে বেরুতে বারটা বাজিয়েই ছাড়লাম এই যা। আগের রাতে ঠিক করেছিলাম, নীলগিরি যাব। ঐ পথের বাহনগুলো অদ্ভুত কিছুটা। ভারী পিক আপ ধরণের যানগুলো চাঁদের গাড়ি নামেই চেনে সবাই। হুড খোলা। তাতে হুহু করে হাওয়া বয়। এই গাড়িগুলো থেকে চাঁদ দেখা ঠিক কতটা জুতসই হবে তা ভেবে যে কেউ অবাক হতে পারেন। এর চালকরা নাকি বলে থাকে একটা সিঁড়ি বানিয়ে দিলে এই গাড়ি নিয়ে ওরা যে কারুকে চাঁদে পৌঁছে দিতে পারবে। এছাড়া আছে কতোগুলো জীপ। আর আছে মাহিন্দ্র। সমতলের সিএনজি স্কুটার গুলোর থেকে মাহিন্দ্রর পশ্চাদদেশ একটু প্রশস্ত। আর ড্রাইভারের আসনের ঠিক পেছনটায় হালের অটোগুলোর মতন একটা সিট জোড়া দেয়া আছে। বেলা বারোটায় আমি যখন গাড়ির খোঁজ নিলাম, তখন সব গাড়ি নীলগিরিতে। অনেক খুঁজে পেতে অন্য পথের একটা মাইক্রো পাওয়া গেলো। অগত্যা কি আর করা! শুরু হল অভিযান নীলগিরি।

পথ হারাব বলেই এবার...

নীলগিরি যেতে হবে থানচির পথ ধরে। বান্দরবান সার্কিট হাউস আর জেলা পরিষদ ডাক বাংলোর বিশাল টিলার (নাকি পাহাড়!) কোল ঘেঁষে একে বেঁকে শহর ছেড়ে বেরিয়ে গেছে রাস্তাটা। বিশ মিনিটের মাথায় একটা লোহার পুল। তার পড়েই হাতের ডানে চোখ আটকে গেলো একটা শৈলপ্রপাতে। ফেরার পথে প্রপাতে দাঁড়াবো বলে ঠিক করলাম। কাজেই পথ পেছনে রেখে আরও দূরের পাহাড়ের হাতছানিতে এগিয়ে চলল গাড়ির চাকা। পথটা যেন একটা মালার মতন ঘুরে ঘুরে পাহাড়গুলোকে আঁকড়ে ধরেছে। কোথাও কোথাও একবারে খাড়া উঠে গেছে আসমানের পানে। চালক সুমন ঘন ঘন গাড়ির গিয়ার বদলাচ্ছিল। এইসব রাস্তায় ফোর্থ গিয়ারেই পেরুতে হয় অনেক পথ। পাহাড়ের শরীর খুড়ে রাস্তাটা খুব অসমান হয়ে একেবেকে চলেছে কোন এক অজানায়! মাঝে মাঝে একেবারে প্রায় ৯০ ডিগ্রি তীক্ষ্ণ বাঁক। একধারে মৌন পাহাড়ের বিপুল আড়াল। অন্যধারে অতলে নেমে যাওয়া ভয়ংকর খাঁড়ি। রাস্তায় চলন্ত গাড়ি থেকে প্রায়ই ঠাহর করা যাচ্ছিলোনা নীচের খাড়িটার শুরুটা ঠিক কোথায়। এরপরও গাড়ির গতি বলে দিচ্ছিল সুমনের এপথ খুব চেনা হবে হয়ত। একটু ভয় পেয়ে আমি ওকে বললাম গাড়িটা আস্তে চালাতে, যাতে দুপাশের উদার সৌন্দর্যকে আমি আরেকটু সময় নিয়ে উপলব্ধি করতে পারি। আমার অনুরোধে কাজ হল মনে হয়। এবার আমার মনোযোগ গেলো এক অদ্ভুত সুন্দর কাব্যময় বায়স্কোপের পর্দা মেলে ধরার দিকে।

পাহাড়ের ওপারে পাহাড়। সবুজের ভেতর সবুজ...

চিম্বুক রেঞ্জের পাহারগুলো অনেকদূর অব্দি ছোট বড় মাথা তুলে দাড়িয়ে আছে। সংখ্যায় অনেক হলেও খুবই অবাক লাগছিল এই দেখে যে পাহাড়গুলো একঘেয়ে নয় মোটেও। একটা পাহাড় আরেকটা থেকে বাহারি রঙে সেজে আছে। কোনটার আকাশ ভরা সেগুন গাছের সারিতে। কোথাওবা বুনো চম্পা কলার অবিন্যস্ত ঝাড়। বেশ কিছু পাহাড়ের মুথা ঘাস আর অজানা বুনো ঝোপ উধাও দেখে মালুম হল এদিকে চাষবাস চলছে বেশ ভালই। রাঙ্গা লালমাটি ছড়িয়ে আছে পাহাড়ের গা জুড়ে। ঝুম চাষের ছোট গর্তগুলো বোঝা না গেলেও সার বেঁধে নানান ফসলের বেড়ে উঠা বাহারি পাতার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল বেশ। কাছে গেলে হয়ত দেখতে পেতাম ওখানে কি সৌহার্দে কাউন ধান, মার্ফা, চিনার লতাপাতারা পরম আত্মীয়ের মতন জড়াজড়ি করে আছে। ওদের মাথার উপর ছায়াদানকারী হয়ে সান্ত্রীর মতন বেড়ে উঠেছে আম্রপালি। দূরে, আরও দূরে, চোখ আটকে যাচ্ছে বোম আর মুরংদের ছোট ছোট মাচাং ঘরগুলোয়।

এই যে এলাম শঙ্খ নদীর ধারে...

বাম দিকে হঠাৎ এক অদ্ভুত শান্ত জলের ধারা দেখে গাড়ি থামাতে বাধ্য হলাম। পূর্ণ দৃষ্টি মেলে পূবের দিকে চেয়ে আমার কেমন দমবন্ধ রকমের ভালোলাগায় পেয়ে বসলো। সড়কের ঠিক বামধার ঘেঁষে ঢালু পাহাড়টা নেমে গেছে প্রায় হাজার দেড়েক ফুট। তার সীমানায় একটু সমতল। ওখানটায় ছাতার মতন পাতা মেলে ধরে মাটিকে আড়ালে রেখেছে অসংখ্য বৃক্ষের সারি। ঢেউ খেলানো সবুজের আড়ালে আবার দূরে জেগে উঠেছে পাহাড়। তারও পরে পাহাড়গুলোর পায়ের কাছে একেবেকে যাওয়া একটা শান্ত জলের ধারা। শঙ্খ নদী! মনে পড়ে গেলো, আগেরবার পাহাড়ে এসে এইপথটুকু ঘুরে গিয়েছিলাম। তবে নদীটাকে পাহাড়ের এই উঁচু থেকে ভালো মতন দেখা হয়নি। এতো সুন্দর! আমি এই অপার্থিব সুন্দরের সামনে দাড়িয়ে এমনকি ছবি তুলতেও ভুলে গেলাম!
Copy of DSC00684
পাহাড়ের পা ধুয়ে বয়ে যাচ্ছে এক নদী

একটু আগে একটা গাড়ি পেছনে ফেলে এসেছিলাম আমরা। ঐ গাড়িটা দেখি আমাদের গাড়ির পাশে এসে দাড়িয়ে গেলো। আমি ভাবলাম ঐ গাড়ির যাত্রীরাও বুঝি এখান থেকে নদীটা দেখার লোভে থেমেছে। গাড়ির ভেতর থেকে প্রায় ৯/১০ জন বের হয়ে এলো। ওদের চোখ নীচে শঙ্খ নদীর জলের ধারার দিকে ছিল না। নিজেদের ভেতর ওদের উত্তেজিত কথাবার্তা খুব সহজেই আমার কানে চলে এলো। একজন আবার দেখলাম মুঠোফোন বের করে কার সাথে যেন ঝগড়া করছিল ভীষণ। দেখেশুনে বোঝা গেলো এরা একটা টুরিস্ট গাইড থেকে প্যাকেজ ট্যুরে পুরো পার্বত্য অঞ্চল ঘুরতে এসেছে। প্রথমে বান্দরবান। শহর ছেড়ে থাঞ্চির পথ ধরে কিছুদুর এসেই ড্রাইভার বেঁকে বসেছে। সে সমতলে গাড়ি চালায়। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা উঁচু পথে গাড়ি চালিয়ে সে অভ্যস্ত নয় মোটেও। এরই মাঝে একবার গাড়ি খুব বাঁচা বেঁচে গেছে। সে আর সামনে এগুতে সাহস পাচ্ছে না। এদিকে এই গাড়ি ছেড়ে দিলে নতুন একটা গাড়ি ভাড়া নিতে হবে। সেই ভাড়ার জোগাড় কে দেবে, এই নিয়ে বিপত্তি। আমি সুমনের দিকে তাকালাম। ও বলল এরকম প্রায়ই ঘটে। অতি উৎসাহে সমতলের অনেক ড্রাইভার পাহাড়ে খ্যাপ ধরে চলে আসে। কিন্তু এইপথে গাড়ি চালানো অত সহজ নয়। আমি আবার গাড়িতে উঠে বসলাম। নীলগিরি এখনো অনেক পথ!

একসময় গাড়িটা থামল কয়েকটা টং দোকানের সামনে। দোকানে সারসার পাকা কলার কাঁদি ঝোলানো। পাহাড়ি চম্পা কলা। ভেতরটা একটু লালচে। অসাধারণ স্বাদ তার। কলা খেতে খেতে ডানে তাকিয়ে দেখি একটা ছোট্ট একটা পথ উঠে গেছে চূড়ার দিকে। চিম্বুক পাহাড়ের চূড়া। এবার হেঁটেই রওনা দিলাম চূড়ার দিকে। চিম্বুকের চূড়ায় সওজের একটা বাংলো আছে। পাহাড়ি মাচাংয়ের কায়দায় মাটি থেকে উঁচুতে বানানো। এর পাশের মসজিদে বেশ কিছু মুসুল্লি জুমুআর নামাজের জন্য জড় হয়েছে। তবে কেন যেন পাহাড়ের চূড়ায় তেমন মন কেমন করা সুন্দর কিছু নজরে এলো না। আমি আর ওদিকে পা না বাড়িয়ে নেমে এলাম নীচে। গন্তব্য নীলগিরি। একটু এগিয়েই একটা সেনাক্যাম্প। ক্ষিধে পেয়েছিল বেশ। সুমন বলল ওখানে ভালো খাবার কিছু জুটতে পারে। কিন্তু হা হতোস্মি। খাবার বলতে কেবল সিঙ্গারা। অগত্যা চিম্বুকের টং থেকে কেনা কলা সাবাড় করতে করতে এগুতে থাকলাম নীলগিরির পথে।
DSC00733

মুখে তার চিম্বুকের ছায়া...

পথ প্রায় একই রকম। তবুও তার মাঝে যেন কী একটা বৈচিত্র্য! তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে পুরোটা পথই। মাঝে মাঝে দূরের পাহাড়ের গায়ে পিচ ঢালা মসৃণ পথের উপর রৌদ্রের ঝিকমিক। পথে কয়েকজন ম্রু (মুরং) এর দেখা পেলাম। দুজন মহিলা। পরনে থামির মতন দুই ভাগ করা পোশাক পরনে। খালি পা। পিঠের পরে ঝোলানো থ্রুং(একধরণের পাহাড়ি কায়দায় বানানো বেতের ঝুড়ি) গুলো থেকে সবজির মতন কিছু উঁকি দিচ্ছিল। থ্রুংগুলো অদ্ভুত কায়দায় পিঠে ঝোলানো। পুরুষদের থ্রুং ভরা ছোট ছোট লাকড়িতে। একজনের কাঁধে আবার পুরো মর্তমান চম্পা কলার কাঁদি। কত দামে বেচবে জানতে চাইলে বলল কত আর হবে? এই ৩০/৪০ টাকা! আমি তো অবাক! এতবড় ছড়া মাত্র ত্রিশ টাকা! হতেও পারে। আমি ওদের পথ ছেড়ে দিলাম। ইয়াংমি মুরংদের দলটি শক্ত পোক্ত পায়ের গোছায় ভর করে নীচের কাপ্রু পাড়ার দিকে তরতর করে নেমে কলা আর বুনো ঘাসের ঝোপের আড়ালে মিলিয়ে গেলো।

যতদূরেই রাখি চোখ- কেবলই সবুজ...

শীতের সময় বলে কিনা জানিনা, হঠাৎ এক ঝলক ঠাণ্ডা হাওয়া বয়ে গেলো। ড্রাইভার জানালো আমরা এখন নীলগিরিতে। তিনশো টাকা খসিয়ে গাড়ি পার্ক করে উঠে এলাম সেই স্বপ্নের কাছাকাছি। সবাই বলছিল নীলগিরি যেতে হয় বর্ষায়। মেঘের উপর ভেসে বেড়ানো যায় তখন। বৃষ্টি ধোঁয়া খুব নীল আকাশটা চাইলেই ছুঁয়ে ফেলা যায়। আমি ভুল করে এসেছি শীতের শেষে। এখন কি আর কোন সুন্দর অপেক্ষায় আছে! আমি বেশ সন্দেহ ভরে দৃষ্টি মেলে দিলাম সুদূরে। দেখে দেখে একটা শব্দই বেজে উঠল আমার মনে। অপার্থিব!!
DSC00705
ঐ আঁকাবাঁকা পথটি ধরে

DSC00690
২৬০০ ফুট ওপরে একটা টি পার্টি দিলে কেমন হয় এখানে?

DSC00722
ঐ দেখা যায় শঙ্খ নদীর সোঁতা

পাঠক বিরক্ত না হয়ে থাকলে-- ক্রমশঃ

পথিক পরাণ
-----------------------
Pavel352 অ্যাট yahoo.com


মন্তব্য

অতিথিঃ অতীত এর ছবি

চলুক প্রথম ছবিটা বেশি জোশ!!!!!!!!!!

অতীত

পথিক পরাণ এর ছবি

ঐ ছবিটার বাস্তব অবস্থাটা আসলেই দেখার মতন। ঐদিন আকাশ পরিষ্কার ছিলনা। একটু কুয়াশামাখা। এর ভেতর একটা তাবুর উপর দিয়ে নীচে তাকিয়ে মনটা হুহু করে উঠেছিল।

মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।

---------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---

সাত্যকি. এর ছবি

বাহ। আসুক অবিরত।

শঙ্খ নদী। আমাদের দেশের নদীর নামগুলো সব অসম্ভব সুন্দর আর কাব্যগন্ধী। ইছামতি, চিত্রা, পুণর্ভবা, গড়াই।

ছবিগুলো কেন যেন নীলগিরির মুগ্ধতাটুকু জাগাতে পারছে না। অবশ্য ছবির ব্যাপারে আমার জ্ঞান যাচ্ছেতাই।

পথিক পরাণ এর ছবি

সত্যিই। নদীগুলোর নামেই অদ্ভুত জলের শব্দ পাই যেন। পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া যাবার পথে একটা ছোট্ট শান্ত নদীর নাম জেনেছিলাম-- ভেরসা নদী। গাইবান্ধা শহরের পাশে বয়ে চলেছে ঘাঘট নদী। আরও যে কত!

ঠিকই ধরেছেন। ঐদিন কুয়াশা ছিল বেশ। তাছাড়া আমার ক্যামেরাটা গরীব। আর আমি কোন ছবি এডিট করতে পারিনা। ঐ বিদ্যা নেই। এই জন্য নীলগিরি এমন অপরিচিত হয়ে গেছে! (এইসবই বানানো কথা। আসল কারণটা গোপনে ব্রাকেটের ভিতর বলে রাখি। আমি ভালো ছবি তুলতে পারি না-----------)

মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

-------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি


লিখা চলতে থাকুক।

পথিক পরাণ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অনেক ভালো থাকুন।

আজহার এর ছবি

পুরাই তারেকাণু হাততালি

পথিক পরাণ এর ছবি

(প্রবল বেগে মস্তক এপাশ ওপাশ নাড়ানোর ইমো হপে)

বলেন কি? আপনি মনে হয় ভুল করে আমার ঠিক নীচের আমাদের ঘনুদার পোস্টের মন্তব্য এইখানে কইরা ফেলাইসেন!

-----------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---

আজহার এর ছবি

নারে ভাই, আপনারেই কইছি...ফীডব্যাক হজম করেন...আশা করছি কাজে লাগবে...

পথিক পরাণ এর ছবি

ভাই তো পুরা ঢেঁকি ধরাইয়া দিলেন! হজমের কেম্নে কি? বুঝবার পারতাসি না---

নিটোল এর ছবি

লেখা তারেকাণু হইছে। দেঁতো হাসি

_________________
[খোমাখাতা]

পথিক পরাণ এর ছবি

নিটোল ভাই---
ভাগ্যিস এই কথাটা নীলগিরিতে থাকার কালে কইয়া ফালান নাই। তাইলে তো পাহাড়ের উপ্রে থাইকা চিতকাৎ হইয়া পইড়া যাইতাম!

মন্তব্যর জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---

মাইনুল এইচ সিরাজী এর ছবি

১৯ ফেব্রুয়ারিতেই গিয়েছি নীলগিরি। ছবিগুলো তাই চেনা মনে হচ্ছে। আপনাকেও!

পথিক পরাণ এর ছবি

চেনা চেনা লাগে--- কোলাকুলি

দামাল ছেলে এর ছবি

দেশটা আসলে ছবির মত সুন্দর। ছবি এবং লেখা লা-জওয়াব।

পথিক পরাণ এর ছবি

ঠিকি কৈসেন। দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া---

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

'দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া___। ভাল লেগেছে। চলুক

পথিক পরাণ এর ছবি

মন্তব্যর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

চলুক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

পথিক পরাণ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তারেক অণু এর ছবি

ভালো লাগল, কত স্মৃতিময় স্থান!
চলুক পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

পথিক পরাণ এর ছবি

অণুদা এইখানে!!

অগুনতি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনার জন্য---

ডাইনোসর এর ছবি

সুন্দর

পথিক পরাণ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

কান্তা মোরশেদ এর ছবি

আবারো চারণ--স্মৃতি তে। নীলগিরিতে ভোর সকালে মেঘে ভিজে,একটাই শব্দ মনে এসেছিলো-অনির্বচনীয় সুন্দর। এই বর্ণনাও তুলছে একই অনুরণন।

পথিক পরাণ এর ছবি

সত্যিই-- দম বন্ধ করে দেয়ার মতন সুন্দর।
ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।