হে
কুকুর,
মিছিলের রাস্তা ছেড়ে
সুরম্য
পুঁজিপতির কাছে
চলে যাও-
এখানে একমাত্র
তারই আছে
মানুষ মাড়াইকল,
যেখানে নরোম আখ নয়
বরং
হাড় মাংস মন
সব গলে
বেরিয়ে আসে
উচ্ছিষ্ট অর্থের মতো,
তিন বেলা
পেট পুরে খেতে পারবে
চাও তো
চারবেলা-
পূত্রের ছুঁড়ে দেয়া হাড়
কন্যার চু চু চুমোয়
নাদুসনুদুস অনুভূতিতে
তারপর
লেজ নাড়তে নাড়তে
অল্পদিনেই
তুমি
হয়ে উঠবে
তার
কাছের সম্পাদক,
দেহটা নিজের দখলে আছে ভাবলেও আমার শরীরে অসংখ্য এলিয়েন বা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অণুজীবের বসবাস। এই জীবগুলিকে ছাড়া আমি আসলে ঠিক আমি নই। তাদের নিয়ে একটি সাধারণ পরিচিতিমূলক লেখা।
আপনি কিন্তু শুধু মানুষ নন, আসলে আপনার দেহের বেশিরভাগটাই মানুষ নয়!
এই যে আপনি আর আমি মুখোমুখি বসে আছি-
এই যে দুইজন আমরা এখন কথা বলছি...
আমরা এরকম আর থাকবো না, তাই না?
না কি, আমরা কোনদিনও এরকম ছিলাম না?
তাহলে এই যে বসে আছি, এ কেমন?
সাধুদের বথাগুলো এরকমই।
পথের ধারে ফুটে থাকা বুনো ফুলের মতন। এমনিতে চোখে ধরবে না কিন্তু যে এর রস পেয়েছে, তার জন্য পৃথিবীটা হয়ে উঠবে- মস্ত একটা ফুলের বাগান। সাধুর কথা মনে নিলে, গোটা মানব জীবন হয়ে ওঠে একটা রসের আধার।
চারপাশের মানুষগুলো কষ্টের ভার বইতে না পেরে যখন নুয়ে পড়ে হতাশায়, একের পর এক মুখগুলো যখন ঢাকা পড়ে বিষাদের আচ্ছাদনে, খুব অসহায় লাগে নিজেকে।
আর তখন-
প্রায়শই মনে হয়, চলমান এই দুঃসময়ে, ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত এই পৃথিবীর একাকীতম বোধ করা প্রতিটি মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াই। তার হাতটা স্পর্শ করে, শক্ত আলিঙ্গনে, ফিসফিসিয়ে বলি, "পাশে আছি..."
মানুষ দেখতে বড় ভালো লাগে আমার। ভিড় অপছন্দ, তবু ভিড়ের মুখগুলোতে বৈচিত্র্য খুঁজতে ভালো লাগে। বিজয় দিবসের বিকেলে শাহবাগ, জাদুঘর, পাবলিক লাইব্রেরি, ছবিরহাট, টিএসসি, বাংলা একাডেমি ঘুরলাম। ঢাকার সব মানুষ যেন এই এলাকায় জড়ো হয়েছে! সেজেগুজে পুরো পরিবার নিয়ে ঘুরছে মানুষ। উৎসব-উৎসব আমেজ চারিদিকে! প্রায় সবার পরনে কিছুটা হলেও লাল-সবুজের ছোঁয়া। রিকশাওয়ালা, ফল বিক্রেতা, চুড়ি বিক্রেতা, পথশিশু এবং গার্মেন্টস শ্রমিকদের অনেকেও পোশাকে লাল-সবুজ ধারন করেছে। এতো সুন্দর লাগছিল! আমাদের বিজয় উৎসবের রং লাল-সবুজ। এই রং সর্বজনীন।
১.
অন্তু এখন ঘুমাতে হবে, এসো, হেনা ডাক দেয়।
আরেকটু কার্টুন দেখি আম্মু, অন্তু সোফায় নড়েচড়ে আয়েস করে বসে। ওর চোখ টিভির পর্দায়। সেখানে ছোট্ট এক ইঁদুরের দাপটে তাগড়া গোফওয়ালা বিড়াল কুপোকাত।
আর না বাবা, এখন সোজা বিছানায়, চোখ বন্ধ করে ঘুম, হেনা রিমোট টিপে টিভি বন্ধ করে দেয়।
তুমি একটা পচা আম্মু! অন্তু বিরক্তি দেখিয়ে সোফায় সটান শুয়ে পড়ে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে রাখে।
[justify]মিন, মিনু, মিনি - এক ভাই, দুই বোন। বয়স সপ্তাহখানেকের মত হল। ছোট ছোট পাখা গজিয়েছে সবেমাত্র। উড়াউড়ির প্রাইমারী ট্রেনিংটাও মোটামুটি রপ্ত হয়েছে তাদের। ব্লাড সাকিং মেথডোলজি সম্পর্কে থিওরিটিক্যাল জ্ঞান রপ্ত করলেও, প্র্যাক্টিক্যাল ট্রেনিংটা এখনো করা হয়ে উঠেনি ওদের। এতদিন তো মা নিয়ে আসতো, আর ওরা আরামসে চুষে খেতো। তবে সেই সুখ বোধহয় আর বেশিদিন থাকার নয়। কারণ জীবনের প্রথম শিকার অতিশীঘ্রি সম
না না, আপনারা বিচলিত হবেন না। আপনারা বসুন। আপনারা শান্ত হোন। আপনাদের কাপড়ের দাম বেড়ে যাবে না। শুধু লাল রংগুলো খানিকটা ক্রিমসন হয়ে যেতে পারে কিছু দিন। পুড়লে যা হয় আরকি। ওসব আমরা সামলে নেব ঠিক। ক’টাই তো মোটে মানুষ মরেছে। এখনো অ-নেক উদ্ধৃত আছে।