যুবকের নাম সান্টিয়াগো। পশুপাল নিয়ে ও যখন পরিত্যক্ত গির্জাটায় পৌঁছল, তখন চরাচরে ঘনিয়ে আসছিল সান্ধ্য আঁধার। গির্জার এদিকটার ছাদ ধ্বসে পড়েছে বহু আগেই। কোনো এক কালে যেখানে সাজঘরটা ছিল, ধ্বসে পড়া ছাদ ফুঁড়ে আজ সেখানে সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল একটা ডুমুর গাছ।
মাঝে মাঝেই ঢাকা শহরের গতি থেমে যায়। রাস্তায় প্রচুর গাড়ীর থেমে যেতে হয়, থেমে থাকতে হয়। যখন গাড়ীগুলো চলে তখনও যে দরকারী গতিতে চ’লতে পারে সেটাও সবসময় নয়। এর নানা কারণ আমরা বলতে পারি। তবে এক-কথায় যদি ব’লতে হয় তা হ’লো, শহরের যাতায়াতের ব্যাপারটা নিয়ে কার্যকর পরিকল্পনা করা হয়নি।
আমাদের স্কুল ছিলো এক আজব মজার জায়গা। শিক্ষকদের মাঝে বৈচিত্রপূর্ণ চরিত্রের যেমন অভাব ছিল না। ছাত্ররাও ছিল তেমনি রঙিন বাহারের। তাদের মেধাদীপ্ত কর্মকান্ড লিখতে গেলে সপ্তকান্ড রামায়ণের প্রায় সমান হয়ে যাবে। তাই বিস্তারিত প্রসঙ্গ থাক। আজ শুধু মোটাদাগে স্কুলের কিছু বিষয়ের টুকিটাকি।
স্কুলভবনের সারল্য
লেবানিজ রেস্তোরাঁটা থেকে বেরিয়ে হ্রদ লেমানের তীরের দিকে হাঁটছি আমরা। হাঁটছি আর দেখছি চনচন করা রোদে জৌলুশ ছড়াচ্ছে জেনিভা শহর। তীরে পৌঁছে জায়গা খুঁজে নিয়ে বসলাম। জিরিয়ে নেব।
শুকনো পাতার ঝিরঝির শব্দের মতো শব্দ পাচ্ছি লেমানের জলে আর বাতাসে। তবে শহরে বেশ শোরগোল। ঝকঝকে দিন। তাই মনেহয় এতো ভিড়। ভাবলাম, এর থেকে বেরিয়ে বরং লেমানের জলে ফেরি ভ্রমনটাই করি।
বিশ্ব এখন আকাশযুদ্ধে চতুর্থ প্রজন্ম পেরিয়ে পঞ্চম প্রজন্মে পা দিয়েছে। আর এজন্য অত্যাধুনিক ফাইটার জেট নির্মাণে পরাশক্তিগুলোর মধ্যে রীতিমত প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। আমেরিকার পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার প্লেন এফ-৩৫ এরই মধ্যে প্রাথমিক ঝুট-ঝামেলা পেরিয়ে পুরোদমে উৎপাদন-ব্যবস্থায় প্রবেশ করেছে। শুধু তাই নয়, তারা প্রয়োজনীয় সংখ্যক এয়ারক্র্যাফটের প্রস্তুতিমূলক অপারেশন সম্পন্ন করে এখন সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে ব্যবহ
জাল সার্টিফিকেট দালাল রমজান মিয়া নীলক্ষেতের বিরাট ব্যবসায়ী। কম্পিউটার নামক যন্ত্রটি আসার পর আর তথ্য প্রযুক্তির অবাধ বিস্তারে তার ব্যবসা আরো ফুলে ফেঁপে উঠেছে। আগে শুধু জাল সার্টিফিকেট বানাতেন; আজকাল মাস্টার্স, এমফিল, পিএইচডি থিসিস, রিপোর্ট, এসাইনমেন্ট নিয়ে কারবার আরো জমজমাট। রমজান মিয়ার সার্টিফিকেটে কত মানুষের যে চাকরি হলো তার কোন পরিসংখ্যান নাই। তাই রমজান মিয়া বেশ খানিকটা আত্মতৃপ্তিতে ভোগেন। তবে স
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে হার্ড ইমিউনিটি নিয়ে বেশকিছু কথাবার্তা হচ্ছে – এবং এর অধিকাংশই অত্যন্ত আশঙ্কাজনক, সেই সাথে হতাশাজনক তো বটেই। হার্ড ইমিউনিটির পক্ষের যে যুক্তিগুলো সেগুলি বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে এখানে অর্থনীতি, বাণিজ্য, সমাজ ব্যবস্থা, মানুষের বিহেভারিয়াল ব্যাপর গুলি আলোচিত হলেও, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যপারটিই কিন্তু একেবারে পুরোপুরি উপেক্ষিত হয়েছে । আর সেটা হচ্ছে ‘জীবন’ । এবং এটি কে
এই দেশ ছেড়ে যাচ্ছি। সিদ্ধান্তটা একরকম হুট করেই নেয়া। আট বছর এক দেশে থাকার পর কোনো প্রস্তুতি ছাড়া আরেক দেশে যাওয়াটা ঝামেলার ব্যাপার। এখন যাচ্ছি অনেক উত্তরে। প্রথম কয়েক দিন তেমন কিছু টের পাই নি, এখন বেশ খারাপ লাগছে। এই আট বছরে কত স্মৃতি, কত মানুষের সাথে পরিচয়, কত সুখ দুঃখের ঘটনা। আমার এই এক সমস্যা, কোনো কিছু একবার ব্যবহার করলে তার প্রতি মায়া জন্মে যায়। যেকোনো কিছু একবার ব্যবহার করলে তার প্র
কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হবার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ একে একে লকডাউন ঘোষণা করছে। দেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব, চিকিৎসা ব্যবস্থা, অর্থনীতি, সাধারণ মানুষের সচেতনতা, নেতৃত্ব ইত্যাদি অনেক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে লকডাউন কতটা কঠোর হবে সেটা নির্ধারিত হচ্ছে। লকডাউনের কারনে অনেক দেশ খুব কম সময়ে ভাল ফলাফল পেয়েছে আবার কোন কোন দেশে সেটা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। লকডাউনের কারনে অর্থনীতি সাঙ্ঘাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হ