এক.
বাসার ঠিক পেছনেই পাইন হিকরির একটা জঙ্গল। যখন বাতাস আসে, যখন হাওয়ার দমকে কেঁপে কেঁপে ওঠে বুড়ো থুড়থুড়ে গাছ গুলোর পাতা, তখন বড় ভয় লাগে, মনে হয় কারা যেন কেঁদে কেঁদে কথা বলছে। বাতাস না থাকলে আবার শুনশান চারিদিক। হঠাৎ হয়তো দুরের কোন গাছের ডালে ডানা মেলে ডেকে ওঠে একটি পাখি, কখনো বা ভয়ার্ত গলায় খ্যা খ্যা করতে করতে বেরিয়ে পড়ে কোন কাঠবিড়ালির ছানা। জংগলটার দিকে চোখ পড়লেই মনে হয় কী যেন একটা গুঁড়ি মেরে বসে রয়েছে গাছগুলোর আড়ালে।
পথে দুজনে দেখা হলো।
যে দিকে দুচোখ যায় চলে যাবে বলে
মাতৃগর্ভ থেকে বেরিয়ে এসেছিল ওরা।
দুজনে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে
পৃথিবীর দিকে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখলো,
একটিই পথ। চলে গেছে দূরে।
দিনের আলোর মত ঝকঝকে।
ওরা পাশাপাশি হেঁটে চলে যতক্ষণ না
সন্ধ্যের অন্ধকার ঘনিয়ে আসে।
রাত নামলো,
ওরা মুখোমুখি বসে
পাশাপাশি বসে
দুজন।
দুজনের চোখের সামনে শুধু দুজনেই।
প্রেমময় অন্ধকার
(পূর্বের অংশ এখানে সংযুক্ত করা হলো)
১৬৩০ সালের এক মেঘলা দুপুরে তমিজউদ্দিন চারটা বাণিজ্য জাহাজে পণ্য নিয়ে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন বন্দরে ঢুকে পছন্দমতন জায়গা বেছে নোঙর ফেললো। জায়গাটা বড় সুন্দর নিরিবিলি। এখানে একটা ফ্যাক্টরি করতে পারলে মালামাল আমদানি রপ্তানি গুদামজাত করা ইত্যাদির বেশ সুবিধা হতো। আবহাওয়া ঠাণ্ডা মেন্দামারা হলেও জায়গা খারাপ না।
হাফজুলুম মারজুক ঢাকেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন। শিক্ষক হিসেবে।
আন্তেনিওর জন্ম হয়েছিলো চব্বিশে জুলাই। এমনিতে জুলাই মাসের আলাদা কোন বিশেষত্ব নেই, প্রতি বছরই আসে একটা করে, আর সংখ্যা হিসেবেও চব্বিশ তেমন আহামরি কিছু নয়। তবে আন্তেনিওর জন্মের দিনটা মনে রাখার মতো কেননা ওই দিনই জেনারেল জর্জ প্যাটন সসৈন্যে সিসিলিতে অবতরণ করেছিলেন। এটা উনিসশ তেতাল্লিশ সালের কথা। ইটালির ক্ষমতায় তখন বেনিতো মুসোলিনি। আন্তেনিওর বাবা আরিগো ফেনুচ্চি মুসোলিনির কুখ্যাত গোপন বাহিনী 'ওভরা'র এক
ঘুম থেকে উঠে গুণে গুণে তিরিশটা বুকডন আর উনিশবার সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা করার পর ভাদ্রমাসের তালপাকা গরমে হাঁপাতে থাকা ধাঙ্গড়দের তিনঠ্যাঙে নেড়ি কুকুরটার মতো আধা হাত জিব্বা বের করে দম নিতে নিতে বাম চোখের কোনা দিয়ে দেখলাম বাক্সটা এখনও মেঝের উপর পড়ে।
আমাদের পরিকল্পনা ছিল খুব সাদামাঠা- লুইসকে বল দাও।সে কখনোই পেছপা হবে না।– ডেজা ভ্যু।এইরকম কথাটা যেন কাকে নিয়ে শুনেছিলাম-লিওনেল মেসি!হ্যা,মেসিই।কিন্তু এই লুইস কি মেসি?