Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

ইকারুস

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৪/১০/২০১৯ - ২:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক।।

“আপনি তাহলে পাথরে বিশ্বাস করেন না?”

সাইফুল সাহেবের প্রশ্ন শুনে খানিকটা থমকে গেলাম আমি। ভদ্রলোক বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ, মুখের উপর চট করে না বলে দিতে বাঁধছে। শুধু পাথর কেন, ভুত-পেত্নী-দত্যি-দানো-রেখা-রাশি-ঈশ্বর-এলিয়েন কোনো কিছুতেই বিশ্বাস নেই আমার। হাসি চেপে মোলায়েম গলায় বললাম,

“মিছে মিছিই রেগে যাচ্ছেন সাইফুল ভাই। বিষয়টা বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাসের নয়।”

“তাহলে কিসের, শুনি?”


গল্প প্রচেষ্টা-২৬

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৩/১০/২০১৯ - ১:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]মিষ্টিমুখ


সিক্রেট

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/০৭/২০১৯ - ৬:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সিক্রেট
মুসাররাত জাহান শ্বেতা


শোষক

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বুধ, ১০/০৭/২০১৯ - ৭:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি শোষকের বংশধর, তাই চিরকালই শোষকের পক্ষে। জাতিসংঘের কোন অধিকার সনদ আমার জন্য প্রযোজ্য নয় কেননা আমি জন্মসুত্রে অধিকার প্রাপ্ত রক্তশোষক। আমার চৌদ্দ পুরুষ এমনকি চৌদ্দ লক্ষ কোটি পুরুষও রক্তশোষকই ছিল। আমাদের জাতিগত নিয়ম হলো - যেখানে জন্মাইবে সেখানকার সম্ভাব্য সকল প্রাণীর রক্ত শোষণ করিয়া মৃত্যুবরণ করিবে। জন্মের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আমাদেরকে সংক্ষিপ্ত শিক্ষা সফরে নিয়ে বুঝিয়ে দেয়া হয় আমাদের অধিকারের সীমান


জল জঙ্গলের গল্প - ২ ঃ বুদবুদ

কীর্তিনাশা এর ছবি
লিখেছেন কীর্তিনাশা (তারিখ: মঙ্গল, ০৯/০৭/২০১৯ - ৩:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটি পুকুর। সুন্দর সবুজ পানিতে টলোমলো পুকুর। মৃদুমন্দ দখিনা বাতাসে ছোট ছোট ঢেউ খেলে যাওয়া পুকুর। সূর্যের সোনালী আলোয় ঝিলমিল ঝিলমিল স্বপ্নিল পরিবেশের এক পুকুর।


কে বলল, 'দয়া' ভালো গুণ? —মিথ্যে কথা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৯/০৬/২০১৯ - ১১:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ব্যস্ত রাস্তার চলমান বাস ট্রাক টেম্পু অটো-বাইক সামনে এসে ডাইনে বাঁয়ে চলে যাবার পরপরই, এপার থেকে ওপারে চোখ ফেললেই, আলিশান বাড়িটার বন্ধ গেটের সামনে যে ভিড়টা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে— সেটা মানুষের। মানুষের ভিড়।

মানুষগুলো কি আমাদের ঝাঁ চকচকে সভ্য সমাজের? শরীরে ময়লা কাপড়, তেলছোঁয়াহীন রুক্ষ চুল, কোটরের গর্তে ঢুকে যাওয়া চোখ, ভাঙা বা তোবড়ানো গাল— মানুষগুলোর বেশির ভাগেরই। এপার থেকেই বোঝা যাচ্ছে।


হারানো খাম

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৯/০৬/২০১৯ - ১১:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্মৃতির নাগোরদোলায়

মুসাররাত জাহান শ্বেতা

মনযোগ দিয়ে বাংলা ব্যাকরণের কারক-সমাস পড়ার চেষ্টা করছিলাম, ইন + অল = বধ কিভাবে হয় তা বোঝার চেষ্টা করছি, বুঝতে না পেরে হতাশায় হারিয়ে যাচ্ছিলাম, এমন সময় মৃদু শোরগোলের আওয়াজ শুনে পড়ার টেবিল ছেড়ে ওঠার অযুহাত পেয়ে খানিকটা স্বস্তি বোধ করলাম। আমার ঘরের দরজা খুলে উকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম কি হচ্ছে। রান্নাঘরের সামনের করিডোরে অনেকগুলো অপরিচিত বাচ্চা, আট দশ বছর বয়েস হবে, নিজেদের মধ্যে কিচির মিচির করছে, রাঁধুনিখালা ব্যাস্ত হয়ে তাদের সবাইকে টিনের থালায় ভাত খেতে দিয়েছে মেঝেতে পাটি বিছিয়ে। খেতে বসে একজনের হাতে ধাক্কা লেগে পানির গ্লাস অন্যজনের খাবারের ওপর পড়ে ভাসিয়ে দিয়েছে আর তা সামাল দিতে যেয়ে আরেকজনের থালা উল্টে জামায় ডাল পড়ে একাকার। ভর দুপুরে কি হচ্ছে এসব? আমাদের বাড়িতে এরাই বা কারা?


জল জঙ্গলের গল্প - ১

কীর্তিনাশা এর ছবি
লিখেছেন কীর্তিনাশা (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০৬/২০১৯ - ১১:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


একটা গাধা হাসতে খেলতে নাচতে নাচতে এক নতুন জঙ্গলে এসে পড়ে। মনে তার দারুণ ফুর্তি। এ জঙ্গলে কত নতুন ধরণের গাছ, লম্বা লম্বা ঘাস। আনন্দে গাধা – ‘ইঁইইই অঁঅঅঅ, ইঁইইই অঁঅঅঅ!’ আওয়াজে গান গেয়ে নেয় কিছুক্ষণ। তারপর মুখ ডুবিয়ে লম্বা রসালো ঘাস খেতে মনযোগী হয়।


যদি কিছু আমারে শুধাও.....

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শুক্র, ৩১/০৫/২০১৯ - ১:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
বৈশাখে জড়ো হওয়া বৃষ্টির মেঘগুলো এবার জ্যৈষ্ঠমাসে এসে উধাও। অথচ এই দিনে খুব বৃষ্টি ছিল সেদিন। ঝড়ো হাওয়ার সিগন্যাল ছিল। ভিজতে ভিজতে সেই রেস্তোঁরায় ঢুকে পড়েছিলাম জুবুথুবু হয়ে। জিইসির কাছাকাছি সেই রেস্তোঁরা ভেঙ্গে মার্কেট উঠে গেছে এখন। ওখানে আমরা গরমে আইস কফি খেয়েছি কতদিন! স্মৃতিগুলো গল্পের মধ্যেই বেঁচে থাকবে।


বাতায়ন পথে আসা গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৭/০৫/২০১৯ - ১২:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার রসুই ঘরের জানালা বরাবর যে বাড়ীটা রয়েছে সেটা খুবই নিকটবর্তী অবস্থানে দাঁড়িয়ে। সেই বাড়ীটার তৃতীয় তলার বারান্দায় একটি বালিকাকে দেখা যায়। তবে কয়েক পলকের মধ্যেই সে আবার অদৃশ্য হয়ে যায়। সে মূলত আসে কাপড় শুকাতে দিতে। নিশ্চয় প্রতি দ্বিপ্রহরেই আসে সে তবে আমি দেখতে পাই কেবল আমার ছুটির দিনগুলোতে। আমি তাকে দু একবার দেখেছি পথিমধ্যে। তখন তার আপাদমস্তক ঢাকা ছিল মুসলিম নারীর জন্য নির্ধারিত আবরনে। বারান্দায় স