জল জঙ্গলের গল্প - ১

কীর্তিনাশা এর ছবি
লিখেছেন কীর্তিনাশা (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০৬/২০১৯ - ১১:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


একটা গাধা হাসতে খেলতে নাচতে নাচতে এক নতুন জঙ্গলে এসে পড়ে। মনে তার দারুণ ফুর্তি। এ জঙ্গলে কত নতুন ধরণের গাছ, লম্বা লম্বা ঘাস। আনন্দে গাধা – ‘ইঁইইই অঁঅঅঅ, ইঁইইই অঁঅঅঅ!’ আওয়াজে গান গেয়ে নেয় কিছুক্ষণ। তারপর মুখ ডুবিয়ে লম্বা রসালো ঘাস খেতে মনযোগী হয়।

হঠাৎ পেছন থেকে একটা ম্যাঁ-এ্যা-এ্যা-এ্যা আওয়াজ হয়। গাধা ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে একটা দশাসই রামছাগল দাঁড়িয়ে আছে। মাথায় তার ছোটখাটো কিন্তু চোখা শিং, চোখের চারপাশে কেমন কাজল টানা কালো দাগ, থুতনির নিচে কালো চকচকে একমুঠো দাড়ি।

গাধাকে মাথা তুলতে দেখে ছাগল বলে – বন্ধু, এ জঙ্গলে মনে হয় নতুন এসেছ ? গাধা হ্যাঁ সূচক মাথা ঝাঁকায়। ছাগল বলে – তা বেশ বেশ! তোমাকে এ জঙ্গলে স্বাগতম। কিন্তু এ জঙ্গলে থাকতে হলে যে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে!

কী নিয়ম ? – গাধা জিজ্ঞেস করে।

ছাগল গলা খাঁকারি দিয়ে তিনবার ‘ম্যাঁ-এ্যা-এ্যা-এ্যা! ম্যাঁ-এ্যা-এ্যা-এ্যা! ম্যাঁ-এ্যা-এ্যা-এ্যা!’ আওয়াজ করে বলা শুরু করে – এ জঙ্গলে থাকতে হলে তোমাকে ছাগল হতে হবে। ছাগলের মতো ম্যাঁ-এ্যা-এ্যা-এ্যা আওয়াজ করতে হবে। ছাগলের মতো হাটতে হবে। আর শুধু কাঁঠাল পাতা খেতে হবে। অন্য কিছু খাওয়া চলবে না।

গাধা অবাক হয়ে বলে – বলো কী ?! এতো দেখি অদ্ভুত নিয়ম।

ছাগল জবাব দেয় – অদ্ভুত হোক আর যাই হোক এটাই এই জঙ্গলের আইন। এখানে থাকতে হলে তোমাকে এটা মানতে হবে আর তা না হলে এ জঙ্গল ত্যাগ করতে হবে।

গাধা আরো অবাক হয়ে প্রশ্ন করে – কিন্তু আমি তো গাধা, আমি কী করে ছাগল হবো ?

ছাগল হাসে – সে চিন্তা তোমাকে করতে হবে না বন্ধু। তুমি শুধু সম্মতি দেবে। বাকি কাজ আমাদের। আমরা তোমার মাথা ফুটো করে দুটো শিং বসিয়ে দেব। ঘুসি মেরে দুচোখের চারপাশ কালো করে দেব। থুতনির লোম টেনে লম্বা করে দাড়ির আকার দেব আর লেজটা একটু কেটে ছোট করে দেব। ব্যাস তুমি ছাগল হয়ে যাবে।

গাধা স্বগতোক্তি করে – কী বলছ এসব ?!

ছাগল মাথা নাড়ে – হুম, এ তো খুবই সহজ। কেবল কিছুদিন তোমাকে ম্যাঁ-এ্যা-এ্যা-এ্যা আওয়াজ করার রেওয়াজ করতে হবে। তাহলে এটাও ঠিক হয়ে যাবে। এ জঙ্গলের সবাই পেরেছে তুমি পারবে না কেন ?

গাধা শুধায় – সবাই পেরেছে মানে ?

ছাগল হাসে – হ্যাঁ, এই জঙ্গলে এখন কোন বাঘা, ভালুক, সিংহ, হরিণ বা অন্য কোন পশু-পাখি নেই সবাই আমরা ছাগল হয়ে গেছি। এ জঙ্গলে এখন চলছে ছাগ-তন্ত্র। বলেই ছাগল - ম্যাঁ-এ্যা-এ্যা-এ্যা! ম্যাঁ-এ্যা-এ্যা-এ্যা! ম্যাঁ-এ্যা-এ্যা-এ্যা! করে তিনবার চিৎকার করে ওঠে। সাথে সাথে পুরো জঙ্গল যেন সরব হয়ে ওঠে। জঙ্গলের যত প্রাণী সবাই সমস্বরে - ম্যাঁ-এ্যা-এ্যা-এ্যা! ম্যাঁ-এ্যা-এ্যা-এ্যা! ম্যাঁ-এ্যা-এ্যা-এ্যা! আওয়াজে আকাশ-বাতাস ভরিয়ে তোলে।

গাধা মাথা তুলে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে আসে পাশে আরো অনেক ছাগল এসে জড়ো হয়েছে। আকারে তারা একেকজন একেক রকম কিন্তু দেখতে অবিকল ছাগলের মতো। পাখা ঝাপটানোর শব্দ শুনে উপরে তাকিয়ে দেখে আকাশেও নানা আকৃতির ছাগল উড়ে বেড়াচ্ছে। আগে হয়তো অন্য কোন পাখি ছিল কিন্তু এখন তারা সবাই ছাগল। উড়ছে আর মুখে ম্যাঁ ম্যাঁ আওয়াজ করছে।

গাধা রামছাগলের দিকে তাকিয়ে বলে – কিন্তু আমি তো ছাগল হতে চাই না। আমি গাধা, গাধাই থাকতে চাই।

রামছাগল রাগত স্বরে উত্তর দেয় – তাহলে তো এই জঙ্গল তোমাকে ছাড়তে হবে। ছাগল ছাড়া সব প্রাণী আমাদের শত্রু। ছাগল ছাড়া কোন প্রানীর এই জঙ্গলে জায়গা নেই।
গাধা আঁতকে ওঠে – ঠিক আছে, আমি তবে চলে যাচ্ছি।

রামছাগলে চেঁচায় – চলে যাচ্ছ মানে ! পালাও পালাও ! আমরা যদি তোমাকে ধরতে পারি তবে তোমাকে মেরে কাঁঠালগাছের তলায় পুঁতে ফেলবো। তোমার শরীর পচে ভালো সার হবে। কাঁঠালগাছেও অনেক রসালো পাতা হবে। আমরা মজা করে খাবো। তোমার আগে অনেক প্রাণী যারা আমাদের প্রস্তাবে রাজি হয়নি, তাদেরও ঠিকানা হয়েছে কাঁঠালগাছ তলার মাটি।

ভয়ে আতঙ্কে গাধা ছুটতে থাকে আর তার পিছু ধাওয়া করে ছাগলের পাল। কিছু কিছু ছাগল তার নাগাল পেয়ে সজোরে তার পশ্চাদ্দেশে শিং দিয়ে গুঁতো মারে। আকাশ থেকে ছাগ-পাখিরাও সুযোগ পেয়ে তার মাথায় ঠোকর মারে। তবুও গাধা দমে না, থামে না। পড়িমরি করে সে ছাগলের জঙ্গল ছাড়িয়ে আরেক জঙ্গলে গিয়ে উপস্থিত হয়। ছাগলের পাল সব নিজেদের জঙ্গলের সীমানায় দাঁড়িয়ে ম্যাঁ, ম্যাঁ আওয়াজ করতে থাকে।


নতুন জঙ্গলে এসে গাধা হাঁফ ছাড়ে। বড় একটা বটগাছ দেখে তার ছায়ায় বসে পড়ে। মনে ভাবে – বাপরে বাপ, বড় বাঁচা বেঁচে গেছি! আরেকটু হলে গেছিলাম।

গাছতলায় বসে গাধা চারদিকে তাকায়। এ জঙ্গলটাও বেশ সুন্দর। বড় বড় গাছ, লম্বা লম্বা রসালো ঘাসে ভরা বিস্তৃত তৃণভূমি। একটু বিশ্রাম নিয়ে গাধা তৃণভূমিতে গিয়ে ঘাস খাওয়া শুরু করে। মনে তার আবার আনন্দ ফিরে আসে। হঠাৎ পেছন থেকে শব্দ হয় – হা ম্ ম্ ম্ বা আ আ আ !

গাধা ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে এক অতিকায় ষাঁড় দাঁড়িয়ে আছে। মাথায় তার লম্বা বাঁকানো শিং। গায়ের লোম মিশমিশে কালো। মোটা নাকের ফুটো দিয়ে ভোঁস ভোঁস করে নিঃশ্বাস ছাড়ছে। গাধাকে তাকাতে দেখে ষাঁড় বলে – বড় যে ঘাসে এসে মুখ দিয়েছ ! কারো অনুমতি নিয়েছ ?

গাধা অবাক হয়ে বলে – জঙ্গলের ঘাস খেতে আবার অনুমতি লাগে নাকি ?

ষাঁড় জবাব দেয় – লাগে লাগে, এ জঙ্গলে লাগে। ঘাস খেতে লাগে, এ জঙ্গলে থাকতে হলেও লাগে। অনুমতি লাগে, নিয়ম মানতে হয়।

গাধা একটু ঘাবড়ে যায়। জিজ্ঞেস করে – কী নিয়ম মানতে হয় ? কার অনুমতি লাগে ?

ষাঁড় হাসে তারপর বলে – প্রথম নিয়ম হল, এ জঙ্গলে থাকতে হলে তোমাকে গরু হতে হবে। গরু ছাড়া এখানে কারো জায়গা নেই। তারপর তোমার আকার, আয়তন, চাল-চলন দেখে তুমি ঘাস খাবে না পাতা খাবে তা ঠিক করে দেবে আমাদের সর্ব-গরু মানে আমাদের নেতা।

গাধা মৃদু স্বরে বলে – কিন্তু আমি যে গাধা, আমি গরু হবো কী করে ?

ষাঁড় আবারো হাসে – সে নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না। তুমি শুধু সম্মতি দাও। বাকি কাজ আমাদের। আমরা তোমার মাথা ফুটো করে দুটো শিং বসিয়ে দেব। লেজ টেনে আরেকটু লম্বা করে দেব। গুঁতো মেরে নাকের ফুটো বড় করে দেব। শুধু হাম্বা ডাকটা একটু রপ্ত করে নিতে হবে। কিছু দিনের চেষ্টায় তাও ঠিক হয়ে যাবে।

গাধা করুন চাহনি দেয় – কিন্তু আমি গাধা, গাধাই থাকতে চাই। গরু হতে চাই না।

ষাঁড় রাগে ভোঁস ভোঁস করে ওঠে – তবে রে ব্যাটা গরু ছাড়া অন্য সব প্রাণী আমাদের শত্রু। তুইও আমাদের শত্রু। তোকে মেরে এই মাঠেই পুঁতে ফেলবো। ভালো সার হবে। ষাঁড় বিকট শব্দে ‘হামমমমমমমমমমমমমবা’ করে ওঠে।

মুহূর্তে চারিদিক থেকে বিভিন্ন আকারের একপাল গরু এসে হাজির হয়। আকাশে পাখা ঝাপটানোর আওয়াজ শুনে গাধা উপরে তাকায়। সেখানে নানা আকারের গরু-পাখি উড়ছে।

গাধা যা বোঝার বুঝে নেয়। ভয়ে আতঙ্কে ছোটা শুরু করে সে। একছুটে গরুর জঙ্গল পার হয়ে অন্য এক জঙ্গলে হাজির হয়। পেছনে তাড়া করা গরুর পাল তার নাগাল পায় না।


নতুন জঙ্গলে এসে গাধা ভীষণ হাঁপাতে থাকে। মনে মনে ভাবে – ওরে বাবা! এ কী অবস্থা! এর চেয়ে তো আমার নিজের জঙ্গলই ভালো ছিল। গাধা চারপাশে তাকায়। এ জঙ্গলটাও বেশ বড়। বড় বড় কত গাছ, আর আছে কচুবন। বড় বড়, ছোট ছোট কত আকৃতির, কত জাতের কচু গাছ ছড়িয়ে আছে সবদিকে।

গাধা একটু বিশ্রাম নিয়ে কচুগাছের তলায় জন্মানো ঘাস খেতে শুরু করে। হঠাৎ পেছনে ঘোঁত, ঘোঁত শব্দ হয়। গাধা তাকিয়ে দেখে বিশালাকার এক শুকর দাঁড়িয়ে আছে। মুখের দুপাশ থেকে দুটো বড় চোখা দাঁত বেরিয়ে আছে তার। কান গুলো সূচালো লম্বা। বড় বড় চোখ আর লম্বা বড় নাক।

গাধা হতাশ হয়ে বলে – বুঝতে পেরেছি। এটা শুকরের জঙ্গল। এখানে থাকতে হলে সবাইকে শুকর হতে হবে। খেতে হবে শুধু কচু। তাই তো ?

শুকর ঘোঁত ঘোঁত আওয়াজ করে মাথা নেড়ে সম্মতি দেয়।

গাধা আবার বলে – আর কেউ যদি শুকর হতে না চায় তাকে মেরে কচুগাছের নিচে পুঁতে ফেলা হবে, ঠিক ?

শুকর আবারো মাথা নাড়ে – ঘোঁত ঘোঁত !

গাধা আর অপেক্ষা করে না, ছোটা শুরু করে। ছুট ছুট ছুট। শুকরের পাল তাড়া করে তার নাগাল পায় না।


ছুটতে ছুটতে সব জঙ্গল ছাড়িয়ে গাধা এসে পৌঁছায় নিজের জঙ্গলে। যে জঙ্গলে তার জন্ম, বেড়ে ওঠা। সে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে – যাক বাবা বাঁচা গেল। এখানে অন্তত তাকে কেউ তাড়া করবে না। সে একটা গাছের ছায়ায় বসে পড়ে, বিশ্রাম নেবে বলে। তখন ওপর থেকে কা কা শব্দ ভেসে আসে।

গাধা ওপরে তাকিয়ে অবাক হয়। গাছের ডালে ডালে অসংখ্য, অগুনতি কাক বসে আছে। একটি কাক গাধার দিকে এগিয়ে এসে বলে – তুমি এখানে কোত্থেকে এলে ?

গাধা জবাব দেয় – কোত্থেকে এলাম মানে? আমি তো এই জঙ্গলেরেই গাধা। অন্য বনে ঘুরতে গিয়েছিলাম। এখন আবার ফিরে এসেছি।

কাক বলে – এই জঙ্গলের গাধা ছিলে। এখন আর নেই। এই জঙ্গলে এখন সবাই কাক। তুমি থাকতে চাইলে তোমাকেও কাক হতে হবে।

গাধা আঁতকে ওঠে – বলো কী !!

ততক্ষণে নানান আকারের কাক এসে গাধাকে ঘিরে ফেলেছে। গাধা যে দিকে তাকায় কেবল কাক দেখতে পায়। আকাশে কাক উড়ছে। মাটিতে কাক হাঁটছে। গাছের ডালে কাক বসে আছে। কেউ কেউ ঠুকরে ঠুকরে ময়লা, পোকা-মাকড় খাচ্ছে।

একটি বড় দাঁড়কাক এসে গাধাকে বলে – কাক হয়ে যাও ভালো থাকবে। আর না হলে মরবে।

গাধা ডুকরে ওঠে – আমি গাধা, গাধাই থাকতে চাই। কোন ছাগল, গরু, শুকর কিংবা কাক হতে চাই না!

দাঁড়কাক হেসে বলে – ওরে গাধা। জঙ্গল আর আগের মতো নেই। পাল্টে গেছে। এখানে ছাগলের জঙ্গলে থাকতে হলে ছাগল হতে হবে। গরুর জঙ্গলে থাকতে হলে গরু হতে হবে। শুকরের জঙ্গলে থাকতে হলে শুকর হতে হবে। কাকের জঙ্গলে থাকতে হলে কাক হতে হবে। নইলে মরতে হবে। বলেই সে গাধার মাথায় একটা ঠোকর মারে।

ব্যথায় গাধা আর্তনাদ করে হাউ মাউ করে কাঁদে – না না, আমি গাধা থাকতে চাই। আমি গাধা থাকতে চাই।

কাকেরা উল্লাস করে। এতদিন পরে তারা একটা শিকার পেয়েছে। ঠুকরে ঠুকরে তারা গাধাকে রক্তাক্ত করে। আহত গাধা কাঁদতে কাঁদতেই মরে যায়।

অগুনতি কাক ঠুকরে ঠুকরে গাধার মাংস খায়। ভরপেট খেয়ে তারা উড়ে বেড়ায়, হেটে বেড়ায়, ঘুরে বেড়ায়। আর কা কা স্বরে বাতাসকে প্রকম্পিত করে।

গাছের তলায় পড়ে থাকে গাধার কঙ্কাল।


মন্তব্য

এক লহমা এর ছবি

"জঙ্গল আর আগের মতো নেই। পাল্টে গেছে। এখানে ছাগলের জঙ্গলে থাকতে হলে ছাগল হতে হবে। গরুর জঙ্গলে থাকতে হলে গরু হতে হবে। শুকরের জঙ্গলে থাকতে হলে শুকর হতে হবে। কাকের জঙ্গলে থাকতে হলে কাক হতে হবে। নইলে মরতে হবে।" - সেই রকম-ই মনে হচ্ছে। মন খারাপ

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

কীর্তিনাশা এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অবনীল এর ছবি

গুল্লি

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মন মাঝি এর ছবি

মানুষের জঙ্গলেও একই ব্যাপার। তফাৎ হলো মানুষের জঙ্গলে মানুষ ছাড়া আর সবকিছুই হওয়া যায়ঃ গরু-ছাগল-গাধা-শিয়াল-শুকর-নেকড়ে-হায়েনা-সাপ-ব্যাঙ-বিচ্ছু-ইঁদুর-চামচিকা-কাক-কুত্তা-বিলাই-জ্বিন-ভূত - এনিথিং! মানুষ ছাড়া অন্য কিছু না কিছু একটা হতেই হয় এবং তাদের দলে ভিড়তে হয়। শুধু চেহারাটা মানুষের মত থাকলেই হয়। এজন্যেই মানুষকে বলা হয় সৃষ্টির সেরা জীব। শুধু চেহারা দেখে তাকে চিনবেন না!!! হা হা হা....

****************************************

কীর্তিনাশা এর ছবি

ভাল বলেছেন হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সৌখিন  এর ছবি

অদ্ভুত! জল জঙ্গলের গল্প - ২ এর অপেক্ষায় রইলাম

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।