একটি পুকুর। সুন্দর সবুজ পানিতে টলোমলো পুকুর। মৃদুমন্দ দখিনা বাতাসে ছোট ছোট ঢেউ খেলে যাওয়া পুকুর। সূর্যের সোনালী আলোয় ঝিলমিল ঝিলমিল স্বপ্নিল পরিবেশের এক পুকুর।
১
একটা গাধা হাসতে খেলতে নাচতে নাচতে এক নতুন জঙ্গলে এসে পড়ে। মনে তার দারুণ ফুর্তি। এ জঙ্গলে কত নতুন ধরণের গাছ, লম্বা লম্বা ঘাস। আনন্দে গাধা – ‘ইঁইইই অঁঅঅঅ, ইঁইইই অঁঅঅঅ!’ আওয়াজে গান গেয়ে নেয় কিছুক্ষণ। তারপর মুখ ডুবিয়ে লম্বা রসালো ঘাস খেতে মনযোগী হয়।
[justify] সেদিন সকালে আলসেমি করে আর অফিস গেলাম না। বউ-এর ধাক্কাধাক্কি সহ্য করে বিছানায় পড়ে থাকলাম মটকা মেরে। তাতে লাভ যা হলো তা হচ্ছে একটা দিবাস্বপ্ন দেখে ফেললাম একদম ফাউ।
--------
দেখলাম - এক বিশাল জঙ্গল। সে জঙ্গলে অগুনতি পশু-পাখি। আর তাদের রাজা হলো এক ডোরাকাটা বাঘু। তার নাম 'পুটুর পুট'। বনের পশু-পাখিরা তার নাম অনেক সমিহ করে উচ্চারণ করে। রাজার নামের আগে অন্তত পাঁচবার মহামান্য বলা সেখানে আইন করে বাধ্যতামুলক।
সেই জঙ্গলের এক কোনে এক গাধা তার পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে। পরিবার বলতে গাধার বউ আর তার দুই আন্ডাবাচ্চা। তো সেদিন গাধা ঘাস খেতে গিয়ে আনমেন এক ঝার বুনো বোম্বাই মরিচ খেয়ে ফেলেছে। আর ফলাফল স্বরূপ কিছুক্ষণ পর থেকেই শুরু হয়েছে তার দারুন পেটে ব্যাথা আর থেকে থেকে পাতলা হাগু। যতক্ষণ হাগু করে সে ততক্ষণ কোঁকায়। আর হাগু থামলে পেটের ব্যাথায় আর পুটুর জ্বলুনিতে মাটিতে গড়াগড়ি খায়।
[justify]কবির চোখ দিয়ে অঝরে অশ্রু ঝরছে। আহা কী একখানা লাইন লিখলাম! - মনে মনে ভাবে সে। তার আবেগ সব চোখ গলে গলগল করে বেরিয়ে আসছে। মধ্যরাত। চারদিক শুনশান। কবি তার ঘরের দক্ষিণের জানালার পাশের টেবিলে মগ্ন কবিতা লেখায়। পাশের ঘর থেকে হঠাৎ মায়ের কাশির শব্দ ভেসে আসে - খক্ খকর খক্ !
পারিবারিক ঝামেলায় ঢাকার বাইরে যেতে পারি না অনেক দিন। মনটা কেমন আনচান করে। আমার ভাগ্নেকে ব্যাপারটা বলতেই বলল - ঢাকার বাইরে না মামা, চলো তোমাকে ঢাকার ভেতরেই একটা নতুন জায়গা দেখিয়ে আনি। নাম তেরমুখ। জায়গাটা তুরাগ নদী আর বালু নদীর মিলনস্থল।
ভাবলাম যাই ঘুরে আসি। ঢাকার বাইরে যেহেতু যেতে পারছি না, তেরমুখেই যাই। দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাই। জায়গাটা উত্তরার আজমপুর দিয়ে পূবে অনেক ভেতরে।
স...
বিঃ দ্রঃ এই আষাঢ়ে গল্পের উদ্দেশ্য নিছক মজা করা। কারো মনে কষ্ট দেয়া নহে...........
-----------------------------------------------------------------
মোঃ কবির হোসেন সুদূর জ্যামাইকা থেকে তার ঢাকাস্থ জিগরি দোস্ত হিমেলের সাথে চ্যাটবুকে ফেসিং, স্যরি ফেসবুকে চ্যাটিং করছিল -
কবির : দোস্ত মন ভালো নাই। চিক্কুর দিয়া কানতে ইচ্ছা করতাসে
হিমেল : ক্যান্কীহইছে ??
কবির : জীবনের ৩৯টা বসন্ত গত হইছে, ৪০ও যায় যায়। এখন প...
মফিজ প্রতিদিন লালদীঘির পাড়ে বসে থাকে আর উদাস চোখে দেখে কত কত লোক এসে দীঘিতে বর্শি ফেলে বড় বড় মাছ ধরে খুশিতে দাঁত কেলিয়ে বাড়ির দিকে ছুটে যায়। কত ধরণের মাছ যে তারা ধরে - রুই, কাতলা, বোয়াল, মৃগেল, চিতল, কোরাল, পাঙ্গাস, শোল - নামের আর শেষ নেই।
মফিজ উদাস হয়ে দুঃখি দুঃখি চোখ করে কেবল দেখেই যায়। কারণ তার বর্শি নেই, তাই মাছ ধরার মুরোদও নেই। তবে হঠাৎ করেই একদিন মফিজ একটা বর্শি পেয়ে যায়।
আসলে হয়...
তিনটা ছবি
আমার বাসার বারান্দায় দাড়ালে পশ্চিমের আকাশ দেখা যায়। মাঝে মাঝে বিকেলে সেখানে রূপকথার পরিবেশ ভর করে। কেমন যেন মায়াময় অদ্ভুত সব রঙে ভরে যায় আকাশটা। নিচের ছবি তিনটা সেরকম দুটো বিকেলে তোলা।
কৃতজ্ঞতা : ফ্লিকার থেকে কিভাবে ছবি এমবেড করতে হয় তা শিখিয়েছেন প্রিয় প্রকৃতি প্রেমিক ওরফে পিপি'দা। তাই তাঁর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।
শেষ বিকেলের আলো ১
শেষ বিকেলের আলো ২
...
ঠিক এক সপ্তাহ আগে, বুধবারে অফিসে কাজ করছিলাম। তখন দুপুর পেরিয়ে বিকেল হয়েছে সবে মাত্র। হঠাৎ বাসা থেকে বোনের ফোন - তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আয়। সাথে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসবি অবশ্যই।
বুঝলাম সময় এসে গেছে। দ্রুত বাসার উদ্দ্যেশে ছুটলাম। জরুরী ফোনগুলো দ্রুত সেরে ফেললাম পথে। বাসায় পৌঁছেই বউকে নিয়ে হাসপাতালে রওনা হলাম।
তারপর বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা হলো। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত। রাত পেরিয়ে সকাল...
ইদানিং ভীষণ দৌড়ের উপর আছি। লেখালেখি করার সময় পাই না। তাই বলে সচলে পোস্টানো বন্ধ থাকবে তা তো হতে পারে না। নিজের ব্লগ ঘাটতে গিয়ে দেখলাম একটা ছড়া অনেক দিন ধরে আমার ব্লগেই পড়ে আছে মুল পাতাতে দেয়া হয়নি অথবা আসেনি কোন কারণে।
অতএব এই সুযোগ কে ছাড়ে? খড়ার সময় ফাঁকিবাজি ভরসা
--------------------------------------------
ভূতুড়ে ছড়া
শ্যাওড়া গাছের পলকা ডালে
পেত্নী দোলে হাওয়ার তালে
ছাতিম গাছের লম্বা চূড়া...