তার নাম রফিক। পাশের যে জন তারও নাম রফিক। একই বাসায় তাদের বাস। তারা ঘরবন্ধু।
তবে তাদের ভেতর বেজায় মালিন্য। তাদের চলে নিত্য নৈমত্তিক বিরতিহীন বচসা। হাতাহাতি। তবুও কোন এক কারণে তারা ভাগাভাগি করে থাকে। বাড়ি বদলায় না। এই একটা জায়গায় তাদের অকথিত বোঝাপড়া।
রোজকারের মতো সেদিনও চলছে তাদের নিরন্তর বাহাস।
এক রফিকঃ শালা কুত্তা কোথাকার! মাত্র তেরো বছরের মেয়ে! তেরো!! কিভাবে পারলি??
অন্য রফিকঃ চুপ শালা! চুপ! একদম চুপ! তাতে তোর কি রে! আমি তোর খাই না পরি?
এক রফিকঃ তুই মানুষ না। তুই জানোয়ার।
অন্য রফিকঃ হ্যাঁ, আমি জানোয়ার।
এক রফিকঃ তুই ইতরেরও নীচের ইতর। মরে যাস না কেন?
সকাল থেকে চামু রোদে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে ফটোকপির দোকানে। একের পর এক কাস্টোমার আসছে কপি করাতে। সবারই তাড়াহুড়া। দোকানদার মামা জানে চামু সবার আগে এসেছে, কিন্তু ছেলেটা এমন বেকুব চুপ করে হাতে খাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, কিছু বলছে না। সবাই পরে এসে মামাকে দিয়ে কপি করিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে। হয়ত চামু ভাবছে একটু ফাঁকা হলে তখন কপি করাবে। আরে বাপ, একটু ছায়ায় সরে দাঁড়া, এইভাবে রোদে পুড়লে তো অসুখে পড়বি। হাসান ভাবছিলো চামুকে
খুব সকালে লাবনীর ঘুম ভাঙল এ্যালার্মের শব্দে। মোবাইলের এ্যালার্ম একটানা বেজেই চলেছে। আওয়াজটা বড় অদ্ভুত। একটা বাচ্চা ছেলে ঠাণ্ডা-কাশিতে ভাঙা খনখনে গলায় শুধু বলে যাচ্ছে – ‘মা'মনি সকাল হয়েছে উঠে পড়। মা'মনি সকাল হয়েছে উঠে পড়।’ বিরক্তি নিয়ে চোখ মেলতে মেলতে লাবনী ভাবে ছোট্ট খোকন মোবাইলে আবার এটা কখন রেকর্ড করলো? আর এ্যালার্মই বা কখন সেট করল?
“তোমার সাথে দাবা খেলে হারতে হারতে আমি শেষ হয়ে গেলাম, তুমি মাঝে মধ্যে একটু খারাপ খেলে আমাকে জিততে দিতে পারো না? তোমার কি কোন ভদ্রতা জ্ঞান নাই?”, চিংকু ওর বিরক্তি প্রকাশ করল।
“নিজের ইচ্ছায় জোর করে আমি হারতে পারি না, কিভাবে জেনে বুঝে হারতে হয় সেটাও আমি জানি না, কাজেই তোমাকে আমার চেয়ে ভালো খেলেই জিততে হবে”, এলিসের সোজাসাপ্টা জবাব।
আলঝেইমারে ফিরে এলো পরকীয়া।
করবী মালাকার
সমুদ্রে প্রায় ডুবে যাওয়া সূর্যটির ছড়ানো গোধূলী আলোর সঙ্গে মিলিন্ডা হারমানের কন্ঠের গানে প্রবীণ নিবাসটি ভরে উঠেছে। তিনি গাইছেন -
"If I was hungry you would feed me
If I was in darkness you would lead me to the light
If I was a book I know you'd read me every night ".
১.
ট্রেনটা বেশ কাছে এসে পড়েছে।
রেলগেটের ঠিক পাশের একটা দোকান থেকে সবসময় সিগারেট কেনেন মনিরুল হোসেন। তার বাসা রেললাইনের অপর পাশে, রাস্তার উল্টো দিকে। অফিস থেকে ফেরার পথে সিগারেট কিনতে থেমেছিলেন। একবার ভাবলেন, পার হয়ে যাবেন। কিন্তু সেদিনের ঘটনাটা তার আবার মনে পড়ে গেল।
অমিতাভকে আর খুঁজে পাওয়া গেল না
করবী মালাকার
মাসখানেক পরের কথা। নিজাম শাহী সেনাপতি মালিক অম্বরের তাঁবু। ভোর।
সূর্য ওঠেনি পুরোপুরি। মশালের আলোয় মাথা ঝুঁকিয়ে ইয়াকুত খাঁ বললেন, পেশওয়াজি। তিমুরি বাহিনী বিজাপুর থেকে সরে গেছে, আর আদিল শাহী সিপাইরাও ভাটওয়াড়িতে মারা পড়েছে সব। দূর্গ দখলের এই ই প্রকৃত সময়!
পাশ থেকে শাহজি গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন, হাঁ ঠিক কথা। মারাঠা ঘোড়সওয়ার সব প্রস্তুত। কেবল হুকুম দেন, এখুনি বিজাপুর আক্রমণে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
দীর্ঘদেহী মালিক অম্বর অল্প চুপ থাকার পর মাথা এগিয়ে হিসহিসে গলায় বললেন, তার সাথে অন্য কাজ আছে। শুয়োরের বাচ্চা ইব্রাহীমের সাধের নগরী ধুলায় মিশিয়ে দেয়া চাই, কমবখৎ বেঈমান। তিমুরির পা চাটা কুত্তা। গুঁড়িয়ে দে। তার নয়া শহরের একটা ইটও যেন খাড়া না থাকে। একটা গাছের পাতাও যেন বেঁচে না যায়। তার কবি গাতক সবগুলির পাছায় আগুণ দিয়ে বের করে দে। মাটিতে মিশিয়ে দে শহর রাতে। মাটিতে মিশিয়ে দে!