Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

তালাশ - শেষ পর্ব

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩১/১২/২০২০ - ১২:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(প্রথম পর্বের পর)

মাসখানেক পরের কথা। নিজাম শাহী সেনাপতি মালিক অম্বরের তাঁবু। ভোর।

সূর্য ওঠেনি পুরোপুরি। মশালের আলোয় মাথা ঝুঁকিয়ে ইয়াকুত খাঁ বললেন, পেশওয়াজি। তিমুরি বাহিনী বিজাপুর থেকে সরে গেছে, আর আদিল শাহী সিপাইরাও ভাটওয়াড়িতে মারা পড়েছে সব। দূর্গ দখলের এই ই প্রকৃত সময়!

পাশ থেকে শাহজি গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন, হাঁ ঠিক কথা। মারাঠা ঘোড়সওয়ার সব প্রস্তুত। কেবল হুকুম দেন, এখুনি বিজাপুর আক্রমণে পাঠিয়ে দিচ্ছি।

দীর্ঘদেহী মালিক অম্বর অল্প চুপ থাকার পর মাথা এগিয়ে হিসহিসে গলায় বললেন, তার সাথে অন্য কাজ আছে। শুয়োরের বাচ্চা ইব্রাহীমের সাধের নগরী ধুলায় মিশিয়ে দেয়া চাই, কমবখৎ বেঈমান। তিমুরির পা চাটা কুত্তা। গুঁড়িয়ে দে। তার নয়া শহরের একটা ইটও যেন খাড়া না থাকে। একটা গাছের পাতাও যেন বেঁচে না যায়। তার কবি গাতক সবগুলির পাছায় আগুণ দিয়ে বের করে দে। মাটিতে মিশিয়ে দে শহর রাতে। মাটিতে মিশিয়ে দে!


ধাওয়া (পর্বঃ ১)

অবনীল এর ছবি
লিখেছেন অবনীল (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৪/১২/২০২০ - ৩:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নিকষ কালো আকাশের বুক চিরে ধমনীর মত আলো ঝলকে উঠলো। ঝলকের মাঝে দেখে মনে হবে, কোটি কোটি শীতল, পড়ন্ত বৃষ্টি ফোটা হঠাৎ যেন মাঝপথে থমকে গেছে। পানিজমে থাকা রাস্তায় প্রতিফলিত হলো সেই স্বর্গীয় অগ্নিঝলক। যেন ভাঙা কাচের টুকরো দিয়ে সাজানো ঢালাই করা রাস্তাটা। তারপর আবার নিকষ আঁধারে ফিরে গেলো বজ্রাহত আকাশ। আর ফের শুরু হলো যেন অব্যহত বৃষ্টির ধারা। ফুটপাথটা অন্ধকার। নিকষ কালো রাতের পেশী যেন চারিদিক থেকে চেপে ধরতে চাইছে। দাতে দাত চেপে, ডানপাশের ব্যাথাটা অগ্রাহ্য করার চেষ্টা করলো গোয়েন্দা ফ্র্যাঙ্ক শ' । অন্ধকারের মধ্যে তার চোখদুটো কুচকে রয়েছে। দু-হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে রেখেছে স্মিথ এন্ড ওয়েসন পয়েন্ট আটত্রিশ চিফ'স স্পেশাল। একজন শুটারের ভংগিতে দাড়িয়ে দুই রাউন্ড গুলি করলো সে। ফ্র্যাঙ্কের কিছু সামনে, দ্রুত দৌড়ে কাছের একটা গুদামঘরের কোনায় আশ্রয় নিয়ে কোনমতে নিজেকে বাচালো কার্ল স্ক্যাগ। প্রথম গুলিটা শীষ কেটে চলে গেলো পেছন দিয়ে, আর দ্বিতীয়টা গুদামঘরের দেয়ালের কোনায় লেগে চলটা উঠিয়ে ফেললো। গুদামঘরের ধাতব চালায় আর ফুটপাথে আছড়ে পড়া অবারিত বৃষ্টির গর্জন, আর এর সাথে বিদ্যুতচমকের শব্দ, দুয়ে মিলিয়ে গুলির শব্দকে প্রায় ঢেকে দিলো। ব্যক্তিগত প্রহরীররা যদিও কাছেপিঠে থেকে থাকে , তারা মনে হয় কোন কিছু শুনতে পায়নি। তাই ফ্র্যাঙ্ক-এর সাহায্য পাবার আশা সুদূর পরাহত। সাহায্য পেলে ও অবশ্য স্বাগতই জানাতো, স্ক্যাগ বিশালদেহী, শক্তিশালী এক সিরিয়াল খুনি । এ পর্যন্ত কমপক্ষে বাইশটা খুন করেছে সে। সবচেয়ে ভালো দিনেও লোকটা ভয়ঙ্কর-রকম বিপদজনক, আর এই মূহুর্তে সে একটা ঘুর্ণায়মান কাঠচেরা করাতের মতোই ভয়াবহ।


তালাশ - প্রথম পর্ব

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: বুধ, ২৩/১২/২০২০ - ২:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পর্তুগীজ অধিকৃত গোয়া, ১৬২৪। ভোর।

ঢকঢক করে পাশে রাখা বাদামের শরবৎ অল্প যতটুকু বাকি ছিল খেয়ে হাতের উল্টোপিঠ দিয়ে মুখ মুছলেন জামশিদ খাঁ হামাদানি। আগের রাতে জাহাজ ভিড়ার পরে বন্দর এলাকা বেশ খালি ছিল, সারাদিন বৃষ্টির পরে কাদায় থিকথিক করছিল এলাকা। সহযাত্রী তারিক খুদাবন্দ গোয়াতে নিয়মিত আসেন, তার সাথেই এই সরাইতে আগমন হামাদানির। বেশ পরিচ্ছন্ন সরাই, নমাজের জায়গা একপাশে। ঘুমানোর বালিশের উপরে জানালা, ঝিরিঝিরি বাতাস দিচ্ছিল সারারাত।

হেঁটে বাইরে এসে বাগানে দাঁড়াতেই হামাদানি দেখলেন খুদাবন্দ দাঁড়িয়ে খোরমা খাচ্ছেন। হেসে বললেন, কী ঘুম হল?


বালিশ (প্রথম পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৯/০৯/২০২০ - ১০:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]ডিসেম্বরের শেষ, শীতের বিকেল। অফিস থেকে একটু আগেই বেরিয়ে পরলেন আকরাম সাহেব। রাস্তায় নেমে হাত ঘড়িতে দেখলেন চারটা বেজে পঞ্চাশ মিনিট। কালো প্লাস্টিকের বেল্টের ক্যাসিও ঘড়ি, ডিজিটাল ডায়াল। কই মাছের প্রান টাইপের জিনিস। আকরাম সাহেবের ছেলেবেলায় এই ধরনের ঘড়ি সাধারণত ক্লাস ফাইভ বা এইটে বৃত্তি পেলে কিংবা বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করলে বাবারা ছেলেদের পড়াশোনায় আরও উৎসাহ দেয়ার জন্য কিনে দিতেন। আকরাম স


কথামালা

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: বুধ, ২৬/০৮/২০২০ - ৮:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কথামালা....
কখনও তা দুটো চিন্তার। দুটো অনুভবের। দুটো হৃদয়ের।
কথামালা মানে, সবসময় কাছে আসার জন্য তা কিন্তু নয়।
কখনও অনেক কথা বলি আমরা, দূরে যাওয়ার জন্যও।
দূরে গিয়ে কাছে আসার জন্য।
এই কথামালাটা ধরা পড়েছিলো কানের রাডারে।
একটা পার্কে, তখন সন্ধ্যা নামছে।
আকাশে অনেক পাখি। বাড়ি ফেরার আগে শেষ আলোয় গোসল করে নিচ্ছে।
একটা ছাতিম গাছ, তার তলায় আমি হেলান দিয়ে ছিলাম।


আসসালাতু খাইরুম...

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: সোম, ২৪/০৮/২০২০ - ৪:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.

চৌকির সাথে খাটের যে সম্পর্ক কিংবা কাঁথার সাথে লেপের যে সম্বন্ধ- আলামিনের সাথে ইদ্রিস মওলানার সম্পর্কটা ঠিক সেরকম না হলেও খাট চৌকির বিরোধের কারণে দুজনের সুসম্পর্কটা ভেস্তে গেল দুদিনের মাথাতেই। আলামিন যে মসজিদে আজান দেয়, ইদ্রিস মওলানা সেই মসজিদের ইমাম। ঘটনার সুত্রপাত গত বছরের প্রথম দিকে হলেও আমাদেরকে আরো ছমাস পেছনে যেতে হবে।


বুলগেরিয়ার গল্প-০৬

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: শনি, ২৫/০৭/২০২০ - ১১:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইব্রিয়াম-আলী


তক্ষক

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৭/২০২০ - ১২:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তক্ষকটা প্রত্যেক বিকেলে আসে। পাঁচটা কিংবা তার আশেপাশে। আগেও হয়তো আসতো। কিন্তু খেয়াল করার সময় পাইনি। অতিমারীর কারণে, এই তিন মাসের ক্রমপ্রসারমান ঘরবন্দী জীবন। আশেপাশের আসবাব, দেয়ালের রং, পাখার গতি, সবকিছু খুব আপন । সেই সাথে তক্ষক। সময়ের বুদবুদে ডুবে সময় হারিয়ে ফেলা আমাকে, প্রতিদিন মনে করিয়ে দেয় বিকেল পাঁচটা বেজে গেছে। এমন না যে, তাকে ভয় লাগে না আমার। প্রথম প্রথম গা গুলিয়ে আসতো তাকাতে। কী বি


"রমজান মিয়া নিজেও পজিটিভ ছিলেন!"

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১০/০৬/২০২০ - ১২:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জাল সার্টিফিকেট দালাল রমজান মিয়া নীলক্ষেতের বিরাট ব্যবসায়ী। কম্পিউটার নামক যন্ত্রটি আসার পর আর তথ্য প্রযুক্তির অবাধ বিস্তারে তার ব্যবসা আরো ফুলে ফেঁপে উঠেছে। আগে শুধু জাল সার্টিফিকেট বানাতেন; আজকাল মাস্টার্স, এমফিল, পিএইচডি থিসিস, রিপোর্ট, এসাইনমেন্ট নিয়ে কারবার আরো জমজমাট। রমজান মিয়ার সার্টিফিকেটে কত মানুষের যে চাকরি হলো তার কোন পরিসংখ্যান নাই। তাই রমজান মিয়া বেশ খানিকটা আত্মতৃপ্তিতে ভোগেন। তবে স


লকডাউননামা : কদম আলী!

সুমন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুমন চৌধুরী (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৫/২০২০ - ১১:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কদম আলী পিৎসা ভালোই বানায়। শুধু পিৎসা না বেশ কয়েক ধরণের ইতালীয় পাস্তাতেও তার হাত পাকা। ফাব্রিৎসিও কাসিয়া রীতিমতো হাতে ধরে ইতালীয় রান্না শিখিয়েছেন। সে অনেক কাল আগের কথা। কদম আলীর তখন জার্মানীতে মোটে মাস ছয়েক।