'তুমি ভাবোতো আকাশটা।
sky
blue
বিশাল
উদার
অসীম।
এই আকাশের বাইরে কয়টা আকাশ?
আমি আকাশের দিকে তাকাই। তারারা ঝিলমিল করছে। Glittering tears. কান্নার নদী। আকাশ জুড়ে এরকম অসংখ্য কান্নার নদী ছড়িয়ে ছিটিয়ে। ছায়াপথ। ছায়াপথগুলোকে নদী মনে হয়। এরকম একটা নদী ধরে ভেসে যাচ্ছি। Milky way. দুধনদী। দুধসাগর। পথই আমাদের কাছে নদী মনে হয় সাগর মনে হয়।
পৃথিবী নামের নৌকায় চেপে আমরা সাগর পাড়ি দিচ্ছি।'
স্ স্ স্ হ স হু...উ। সসহ ধুম।
হুম। ড্রয়ারটা হয়ে খুব আরাম হয়েছে।
না গুছালেও সমস্যা নাই, এর মধ্যে ফেলে রাখলেই হলো।
‘ড্রয়ার’- ব্যাপারটা আসলে ভালই।
কারো কারোতো পুরো রুমটাই- ড্রয়ার ।
পুরা বাড়িটাই ড্রয়ার বানিয়ে রেখেছে- এই রকম লোকও আছে।
রঙধনু রঙের মগ্ন আনন্দে মশগুল পৃথিবী বাইরে পড়ে থাকে। দমবন্ধ ঘরের বদ্ধ বাতাসে শ্বাস নিতে নিতে মৃত্যূকেও বড্ড বদ্ধ মনে হয়। বাঁচতে ইচ্ছে করে না। মরাও হয়ে ওঠে না। জটপাকানো রোদ আর অন্ধকার বুকের পাঁজরে একটু পরপর টোকা দিয়ে যায়।
লাস্টবেঞ্চি আবার মাথার ভেতর ঘুরপাক খায়।
“যখন অনিচ্ছাসত্ত্বেও মৃত্যু ঘটে নিশ্চয়ই তোমার উপর মৃত্যু জয়লাভ করে।
পাঠে নিমগ্ন হইয়া বালক নিবিড় কন্ঠে উচ্চারণ করিতেছে = ‘বল দাও মোরে বল দাও…’
(দুধের) স্বরবর্ণ
অ - অন্যের ভালমন্দের পরোয়া করিও না; নিজের লাভ-লোকসান আগে দেখিও।
আ - আমদানি রফতানির আধুনিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এই যে, আমদানি মানে আমার পকেটে আমদানি; রফতানি মানে তোমার পকেট হইতে রফতানি।
ই - ইহকালে ইলেকশন বৈতরণী পার হইতে পারিলে পরকালে পোলসিরাতের ভাবনা থাকিবে না। অতএব ইউনিয়ন বোর্ড হইতে হাত-সাফাই কর।
প্যারামাউন্ট পিকচার্স যদি ‘অ্যান আমেরিকান ট্র্যাজিডি’র বদলে ‘এ বাংলাদেশী হিরো’ নামের একটা ছবি বানাতো - তাহলে দিব্যি আযাদের গল্পটা সিনেমায় ঢুকিয়ে দেয়া যেত। মফস্বলের ঐ গেয়ো ছেলেটাই আমাদের মধ্য থেকে সবচেয়ে উন্নতি করেছে। ওর কথা বললেই বন্ধূদের চেখে মুখে চোখে মুখে একটা ঈর্ষার ভাব ফুটে ওঠে। এখন এই শহরের জাদরেল মার্কেটিয়ারদের মধ্যে - সে একজন কেউকেটা।
২০০৯। গ্রীষ্মের ছাঁতিফাটা গরমে হাসফাঁস করছে কলকাতা। আমরা আধো অন্ধকার আলোর মধ্যে ঘরময় বইয়ের স্তুপের ভেতরে বসে আছি। আমার চোখ কবি ও প্রাবন্ধিক তরুণ স্যানালের মুখের উপর স্থির। দু'কান - প্রাণভরে তার কথা শুনছে। কথা বলতে বলতেই- মাঝে মাঝে তার দৃষ্টি চলে যাচ্ছে জানালার পাশে বেড়ে ওঠা রক্তজবা গাছটির পাতার ফাঁক গিলে আকাশের দিকে। ঝাকড়া চুলের মত বেড়ে ওঠা এই রক্তজবার চারাটি তিনি বয়ে এনেছিলেন সেই সূদুর পাবনা থ
শূন্য একোরিয়ামের মধ্যে একটা আলো- ঘরের মধ্যে আর কোন আলো জ্বলে না। চল্লিশ পাওয়ারের টাংস্টেন বাল্বের হলুদ আলো একোরিয়ামটার স্বচ্ছ কাঁচের দেয়ালের মধ্যে দই এর মত জঁমাট বেঁধে আছে। কিছুদিন আগেও ওখানে একজোড়া গোল্ডফিশ লেজ নেড়ে সাতরে বেড়াতো। যতেœর অভাবে দুটোই মরে গিয়েছে। প্রথমে একটা। নিঃসঙ্গতার যন্ত্রনায় অন্যটা। শূন্য একোরিয়ামটার দিকে তাকাই- নিঃসঙ্গ গোল্ডফিশটার শেষদিনগুলো ওখানে ভেসে বেড়াচ্ছে। একস
গল্পটা সবচেয়ে পুরনো। ইহুদি, খ্রীষ্টান আর মুসলিম ধর্মে আমরা যারা বড় হয়েছি- তারা সবাই এই গল্পটা সত্যের মতন জানি।
বৃষ্টি শেষ হয়ে গেছে সেই কখন । আকাশটা একদম নীল। বৃষ্টিশেষের সোনালী রোদে সেই নীল - অনেক উচুঁতে মনে হয়। জানালার গ্রীলে জমে থাকা বৃষ্টির ফোটাগুলো মুঁক্তোদানার মত জ্বলছে। সেখানে একটু ছোঁয়া লাগাতেই তর্জনীটা কেমন ভিজে যায়। চোখের সামনে ভেজা আঙ্গুলটা নিয়ে এসে ‘এ’ যখন ভাবছে - এই ভেঁজা ভেঁজা জলটা একটু আগেই মেঘ হয়ে আকাশে উড়ছিল...