এই খ্যাতিমান জীববিজ্ঞানী এবং বিবর্তনবাদী তাত্ত্বিক ছিলেন একজন মুন্সিয়ান সুলেখক যিনি বিজ্ঞান প্রকাশ এবং প্রচারের মডেল হওয়া উচিত ছিলেন।
প্রস্তাবনাঃ
কাহলিল জিব্রান। কবি, চিত্রকর, দার্শনিক এবং কারো কারো কাছে মরমিয়া দ্রষ্টা।
অনেক অনেক বছর আগে, যখন বেশ কিছু নেরুদার কবিতা অনুবাদ করছিলাম, এক বড় ভাই সেগুলো পড়ে বলেছিলেন শার্ল বোদলেয়ারের কবিতা অনুবাদের চেষ্টা করতে। প্রথম চেষ্টায় খুবই কঠিন লেগেছিল অনুবাদ করা সেগুলোকে। তাও একবার একটি কবিতা অনুবাদ করে ফেলেছিলাম। আজকে হঠাৎ খোমাখাতায় ঘুরতে ঘুরতে সেই ভাইয়ের একটি মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা পড়ে আবারও বোদলেয়ারের কথা মনে পড়লো। সেই সূত্র ধরে এই অনুবাদ প্রচেষ্টা…
মূল নিবন্ধঃ https://elifesciences.org/articles/41926
অনুবাদঃ ড. মোহাম্মদ আসিফ খান, স্বাস্থ্য গবেষক।
চিঠিটা পেয়েছিলাম আমেরিকান প্রকাশনা সংস্থা হারপারকলিন্স থেকে, সেখানে বলা হয়েছিল, “দ্য অ্যালকেমিস্ট পড়ে মনে হয়, ভোরে ঘুম থেকে উঠে সূর্যের আবির্ভাব দেখা যাচ্ছে, অথচ বাকি পৃথিবী তখনও ঘুমিয়ে।” বাইরে গিয়ে আকাশের দিকে তাকালাম, নিজের মনেই ভাবলাম, “বইটা তাহলে অনুবাদ হতে যাচ্ছে!”
১
কীভাবে আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম,
তুমি জানতে চেয়েছিলে।
অনেক অনেক কাল আগের কথা,
অনেক দেবতাদেরও তখন জন্ম হয় নি
একদিন খুব গভীর ঘুম ঘুমিয়ে উঠে দেখলাম
আমরা সবগুলো মুখোশ চুরি হয়ে গেছে।
সাত সাতটা মুখোশ,
যেগুলো পরে সাত জন্মের মতো ঘুরে বেড়িয়েছি,
নিজেকে সাজিয়েছি-
সবগুলোই কারা জানি নিয়ে চলে গেছে।
রাগে বেরিয়ে পড়লাম মুখোশ ছাড়াই
‘চোরের দল, অভিশাপ নেমে আসুক তোমাদের ওপর‘
চিৎকার করতে করতে
সেরা পুশকিন বিশেষজ্ঞ সের্গেই ফোমিচেভের পিছন পিছনে ভল্টের ভারী দরজা দিয়ে প্রবেশ করি। এক তাকের উপর থেকে চামড়ায় মোটা নোটবই নিয়ে তিনি দেখান লেখা ছাড়াও সেখানে নানা মুখ ও ফিগার আঁকা, যা কবি শব্দের আবেশের বসে আঁকিয়ে ছিলেন। বিশেষজ্ঞ ভদ্রলোক পাতা উল্টাতে উল্টাতে তিনি দেখাতে থাকলেন কোন পাতায় ‘জিপসি’ লেখা, কোথায় ‘ওনেজিন’ যেখানে এক কোণে রাজকীয় তাতিয়ান দাঁড়িয়ে আছে।
কবির জন্য নির্বাসনের আইনগুলো কিছুটা শিথিলযোগ্যই ছিল। দুচোখে কৌতূহল এআর আনন্দ নিয়ে পুশকিন ক্রিমিয়ার কৃষ্ণসাগর তীরের বাকচিসারায়ে এক সংস্কার করা প্রাচীন তাতার প্রাসাদ নিয়ে কৌতুকও করেছিলেন। কাছেই এক ঝর্ণার সম্পর্কে এই কিংবদন্তীও শুনেন যে এক গোত্রপতি বৃদ্ধ খান তারই হারেমের এক কুমারীর প্রেমে পড়েন, এবং সম্ভবত এই প্রেমই সেই তরুণীর মৃত্যুর কারণ ছিল, হারেমের কোন মহিলা হিংসার বশবর্তী হয়ে তাকে খুন করে, খান
তাঁর কবিতার এত প্রসারে হুইটম্যান হয়তো খুশীই হতেন কিন্তু আমি জানি যে কবিতার কাছে পৌঁছাতে শুধু একটি বই আর মোটেলের কক্ষই যথেষ্ট না। আমার একজন ইংরেজি শিক্ষকের দরকার ছিল, ১৯৮৯ সালে বিখ্যাত চলচ্চিত্র Dead Poet’s Societyর রবিন উইলিয়ামসের মত একজনকে, যে তার ছাত্রদের নিজস্ব চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করতে বলে কবিতার বইয়ের সূচনা কথা ছিঁড়ে ফেলতে বলে কবিতার রোমান্সে হুইটম্যানের প্রবল অস্তিত্বকে ব্ল্যাকবোর্ডে ধরার চেষ্ট