হাসান মোরশেদ এর ব্লগ

যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশঃ নানা পক্ষের ভূমিকা

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: বুধ, ২৮/১২/২০১৬ - ১১:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]১২ জানুয়ারী ১৯৭২ যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ও তার মন্ত্রীপরিষদ গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিলেন তার মাত্র ২৬ দিন আগে নতুন রাষ্ট্রের জন্ম। তারও নয় মাস আগে শুরু হওয়া পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর গনহত্যা এবং গনহত্যার প্রতিরোধে বাঙালীদের মুক্তিযুদ্ধ- এক কোটি মানুষের শরনার্থী হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া, দেশের ভেতরে আরো দুই কোটি মানুষের বাস্তুচ্যুতি, ৩০ লক্ষ মানুষের খুন,কম


দাসপার্টির খোঁজে # খসড়া পর্ব-৬

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: রবি, ১১/১০/২০১৫ - ৩:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

২০ জুন ২০১৫। রমজানের দ্বিতীয় দিন।

সকাল সাতটার দিকে আমরা কাকেলছেও গ্রামের নদীর ঘাটে। ইলিয়াস পড়েছেন গাঢ় সবুজ রংয়ের একটা ইউনিফর্ম পায়ে বুট মাথায় ক্যাপ। জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন দেয়া মুক্তিযোদ্ধাদের পোষাক এটি। ইলিয়াস তার সবথেকে বেদনাবিধুর যুদ্ধক্ষেত্রে আজ ফিরে যাবেন প্রায় ৪৪ বছর পর যোদ্ধার সাজে।
আমাদের আজকের পরিকল্পনায় জগতজ্যোতি দাসের গ্রাম জলসুখা। না তার পরিবারের কেউ সেখানে নেই এখন আর, ভিটে বিক্রী হয়ে গেছে। আমরা যাবো তার ছোটবেলা বন্ধু ও যুদ্ধদিনের সহযোদ্ধা আব্দুর রশিদের সাথে দেখা করতে, যে জায়গা দিয়ে তার লাশ রাজাকারেরা নিয়ে এসেছিলো প্রদর্শনের জন্য সেই জায়গাটা দেখা। তারপর জগতজ্যোতি দাসের শেষযুদ্ধের স্থান খৈয়াগোপির বিল, সম্ভব হলে পাহাড়পুর এবং অবশ্যই মাকালকান্দি।
এবার আমাদের নৌকা চলছে উজানে, কাকেলছেও থেকে আজমিরীগঞ্জের দিকে। এখনো রোদ উঠেনি তেমনভাবে, ছায়া ছায়া ভেজা ভেজা ভাব, আকাশে মেঘ আছে, নদী ও বিশাল। গতকাল সারাদিন যে জায়গাগুলো ঘুরেছি সেগুলো ক্রমশঃ পেছনে সরে যাচ্ছে।


দাসপার্টির খোঁজে # খসড়া পর্ব-৫

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: সোম, ০৩/০৮/২০১৫ - ১২:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
১৯জুন। পহেলা রমজান। সকাল বেলা।
কাকৈলছেও, আজমিরীগঞ্জ, হবিগঞ্জ।
সেহরীর পর সামান্য কিছু সময় আমরা ঘুমিয়েছি। আটটার দিকে বের হই। আমি, নজরুল, তানিম ও ইলিয়াস। সামান্য পায়ে হেঁটেই নদীর পাড়ে আসি। কাল রাতে এসে পৌঁছে ছিলাম অন্ধকারে। এখন সকালের নরম আলোয় নদী দেখি, নদীবর্তী জনপদ দেখি। শেরপুর থেকে কুশিয়ারা নদী আজমিরীগঞ্জ হয়ে এদিকে এসেছে ভেড়ামোহনা নামে। ভেড়ামোহনা নেমে গেছে আরো ভাটিতে। পেছন দিকে সুনামগঞ্জ, দিরাই হয়ে কালনী এসে মিশেছে। ভেড়ামোহনা ও কালনী মিশেছে আরেকটু ভাটিতে, সেখান থেকে মেঘনার মোহনা। ঐ মোহনা ধরে এগুলেই ভৈরব। আমর দাঁড়িয়ে আছি কাকেলছৈও লঞ্চঘাটের কাছে। একসময় কাঠের ব্যবসার জন্য বিখ্যাত ছিলো এইঘাট।
নদী এখানে বিশাল। ইলিয়াস তার পরিচিত এক ইঞ্জিন নৌকা নেন। ছোট্ট একটা নৌকা। মাঝি ও ইলিয়াস হালের কাছে বসেন, আমি তাদের সামনে দাঁড়াই। নজরুল ও তানিম সামনের দিকে। নৌকা ভাসে ভাটিতে, আমরা পশ্চিমে নামতে থাকি- যতো ভাটিতে যাই ততো নদী আরো প্রশস্ত হতে থাকে। কিছুক্ষন যাওয়ার পর নদীর বুকেই বিদ্যুতের খুঁটির লম্বা সারি দেখি উত্তর-পুর্ব কোনে। ইলিয়াসকে জিজ্ঞেস করি- কোন এলাকা? বলেন- জয়সিদ্ধি। ইটনা থানার জয়সিদ্ধি। বাংলার প্রথম র্যাং লার আনন্দমোহন বসুর বাড়ি, ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ তার অবদান।


দাসপার্টির খোঁজে # খসড়া পর্ব-৪

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: রবি, ২৮/০৬/২০১৫ - ১:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
দাসপার্টি নিয়ে কাজ শুরু করার প্রথম থেকেই একটা মানুষকে খুঁজছি।
দাসপার্টি সংক্রান্ত প্রকাশনা ও আলাপচারীতা থেকে জেনেছি- জগতজ্যোতি দাসের সবচেয়ে আস্থাভাজন ও ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা ছিলেন আঠারো/ উনিশ বছরের এক তরুন। নাম তার ইলিয়াস চৌধুরী। জ্যোতির সাথেই যুদ্ধের প্রশিক্ষন নিয়েছেন এবং প্রতিটি যুদ্ধে তার সাথে ছিলেন। শেষ যুদ্ধে ও শেষ পর্যন্ত ইলিয়াসই ছিলেন একমাত্র তার সাথে। ইলিয়াস নিজে ও গুলীবিদ্ধ হয়েছিলেন বুকে কিন্তু জ্যোতিকে একা ফেলে যাননি। তার কমাণ্ডার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলে পর, বিলের পানিতে কমাণ্ডারের মৃত শরীর ডুবিয়ে গুলী করতে করতে পিছিয়ে এসেছিলেন- তখনো তার নিজের বুক থেকে ও রক্ত ঝরছে।
সালেহ চৌধুরী বলছিলেন- ১৬ নভেম্বর জ্যোতির মৃত্যুর পর ইলিয়াসরা যখন কুঁড়ি-বলনপুরের ক্যাম্পে ফিরে আসেন তখন তার বুকের ক্ষত দেখতে পান। বাম পাশে গুলী লেগে বের হয়ে গেছে আর এক ইঞ্চি দূরে হলেই হৃদপিন্ড ছেদ করতো। সালেহ চৌধুরী তাকে টেকেরঘাট পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, সেখানে তখন অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া প্রয়োজনে শিলং ও পাঠানো যেতো।
কিন্তু ইলিয়াস যেতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান, দাদার খুনের প্রতিশোধ নিতে চান। চিকিৎসার জন্য আর কোথাও না গিয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যান্ডেজ করেই ইলিয়াস যোগ দেন দাসপার্টির পরবর্তী একশনে এবং দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী একমাস যুদ্ধ করতে থাকেন।


দাসপার্টির খোঁজে # খসড়া পর্ব-৩

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: সোম, ০৮/০৬/২০১৫ - ১:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
১ লা মে ২০১৫।
সালেহ চৌধুরীর উত্তরার বাসায় উপস্থিত হই আমি ও নজরুল সকাল ঠিক দশটায়। এর আগে এসেছিলাম ফেব্রুয়ারীর ২৩ তারিখে, প্রথমবারের মতো। মাঝখানের এই দিনগুলোতে আমি এই অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংশ্লিষ্ট বই ও প্রকাশনাগুলো সংগ্রহ করে পড়ার চেষ্টা করেছি। দাস পার্টির অপারেশন সমুহের উল্লেখযোগ্য একটি স্থান সাচনা ও জামালগঞ্জ ঘুরে এসেছি, কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সাথে আলাপচারীতা হয়েছে যারা অন্য গ্রুপের হলে ও একই সাব-সেক্টর টেকেরঘাটে ছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা করেছি বানিয়াচঙ্গ, আজমিরীগঞ্জ, শাল্লা দিরাই অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দাস পার্টির জীবিত গেরিলাদের সন্ধান নেয়ার, বিশেষ করে ইলিয়াসের- যিনি শুরু থেকে একেবারে শেষযুদ্ধ পর্যন্ত কমান্ডার জ্যোতির সাথে ছিলেন।
দুমাস সে অর্থে দীর্ঘ সময় নয়। কিন্তু এই সময়ের ব্যবধানেই সালেহ চৌধুরীকে বেশ ক্লান্ত লাগে। নিজ থেকেই জানান পা ও কোমরের ব্যথায় ভুগছেন। চেয়ারে বেশীক্ষন বসে থাকতে পারছেন না। কুশল বিনিময়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আমি তাকে গত দুমাসের আমার কাজের অগ্রগতি জানাই।


দাসপার্টির খোঁজে # খসড়া পর্ব-২

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০৫/২০১৫ - ১:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৫।
দাসপার্টির খোঁজে আমাদের যাত্রা শুরুর আজ প্রথম দিন। আমি এবং নজরুল ইসলাম- সচলায়তনে আমার সহ ব্লগার, নাট্যনির্মাতা- আমরা দুজন এসেছি উত্তরার একটি বাসার খোঁজে। সকাল দশটা বেজে কয়েক মিনিট।
এই মানুষটার খোঁজ আমাকে দিয়েছেন সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিক আল-আজাদ। আল-আজাদ নিজে ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজ করেন বহুবছর। ক্যাপ্টেন মুত্তালিব এর সাথে ঘনিষ্ঠ ছিলেন। মুত্তালিব এর শেষ সময়ে, যখন গুরুতর অসুস্থ তখন আল-আজাদ তার ভাষ্যে উত্তর-পূর্ব রণাঙ্গনের একটি বিস্তারিত বর্ণনা নিয়ে গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। ছোট্ট কিন্তু গুরুত্বপুর্ণ একটি কাজ।
আমরা এসেছি সালেহ চৌধুরীর খোঁজে। ইনি ও সাংবাদিক। বাংলাদেশের সিনিয়র সাংবাদিকদের একজন। এপ্রিল ১৯৭১ পর্যন্ত দৈনিক পাকিস্তানের সাব-এডিটর ছিলেন। তারপর আবার বাহাত্তুর থেকে অবসর নেয়া পর্যন্ত দৈনিক বাংলায়। মাঝখানে মুক্তিযুদ্ধের মাসগুলো ছিলেন অস্ত্রহাতে যোদ্ধা। না, সালেহ চৌধুরীকে ঠিক অস্ত্র হাতে যোদ্ধা বললেই তার ভূমিকা শেষ হয়ে যায়না।


দাসপার্টির খোঁজে # খসড়াপর্ব- ১

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: বুধ, ২২/০৪/২০১৫ - ৩:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
১৭ এপ্রিল ২০১৫।
বাসা থেকে বের হয়েছি সকাল সাড়ে সাতটায়। বৈশাখের আজ চতুর্থ দিন। গত চারদিন প্রচন্ড গরম, কড়া রোদ নেই অথচ চড়া তাপমাত্রা, বাতাস নেই- হাসফাস লাগে আমার। অথচ আজ এই সকালবেলা, বৈশাখের চতুর্থদিনের সকালবেলা হেমন্তের সকালের মতোই স্নিগ্ধ ও মায়াময়- হালকা কুয়াশার মতো চারদিক, ঘাসের ডগায় একটু শিশির।


মনোটোনাস মনোলোগস (০/৫)

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: শনি, ০৪/০৪/২০১৫ - ২:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
মানুষ স্মৃতির কাছে ফেরে।
ফেরার কি কোন মাত্রা বা পরিধি থাকে? বর্তমান থেকে অতীতের এই এতোটুকু নাকি সবটুকুতেই ফিরতে পারে মানুষ? স্মৃতিতে ফেরা একটা ভ্রমনই বটে।
ত্রিশবছর আগে যে উচ্চবিদ্যালয়ে বিদ্যার্থী হয়ে প্রবেশ করেছিলাম তার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশাল আয়োজন ছিলো। ব্যক্তিগত ব্যস্ততা ছিলো প্রবল। এরই ফাঁকে ৪০ মাইল দূরের সেই ছোট্ট শহরে গিয়েছিলাম। সেই শহর আমার প্রথম অনেককিছুই জানে। শৈশবের প্রায় পুরোটা এবং কৈশোরের অনেকটুকুই সেখানে। এইসব আয়োজনে প্রথামাফিক অনেককিছুই থাকে। আমি প্রথা যথসামান্য মেনে বের হয়ে গিয়েছিলাম একটু পুরনো মন্দিরের কাছে। আমাদের শৈশবে মন্দিরটা জরাজীর্ণ ছিলো, একটা টিলার উপর, পাশ দিয়ে নির্জন একটা পায়ে হাঁটা পথ আর স্রোতস্বীনি নদীর দুর্দান্ত একটা বাঁক। মন্দিরের টিলায় উঠলে উত্তরে দীর্ঘ পাহাড়ের নীল হাতছানি। কোন কোন রোদেলা দিনে সেই পাহাড়ে ঝর্ণা ও দেখা যেতো। মন্দিরে উঠার কোন সিঁড়ি ছিলোনা তখন, অনেকগুলো তেঁতুল গাছ ছিলো। পুরহিত মশায়ের প্রায় ভেঙ্গে পড়া একটা চালাঘর ছিলো। তার ছেলে প্রদীপ ছিলো আমাদের বন্ধু।


আমরাই লিখি আমাদের জন্মযুদ্ধের ইতিহাস

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৬/০৩/২০১৫ - ২:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৫।
সকাল দশটা। ৪ নং সেক্টর, উত্তরা, ঢাকা। আমরা দুজন। আমি এবং সহসচল নজরুল একটা বাসা খুঁজে বের করি। একজন আমাদের অপেক্ষায় ছিলেন। আমরা তার সাথে বসি।
বয়স প্রায় আশির কোটায়। শরীর ঋজু এখনো। হাতে ছড়ি ব্যবহার করেন, চেহারায় আভিজাত্য। একটা এলাকার বিখ্যাত চৌধুরী পরিবারের মানুষ তিনি।
১৯৭১। বয়স ৩৬। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তানের সহসম্পাদক হিসেবে ঢাকায় চাকরী করছেন। তিনি সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী। ন্যাপ রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।


'সাক্ষী ছিলো শিরস্ত্রাণ' # সাক্ষী আছে ইতিহাস?

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: মঙ্গল, ১৭/০৩/২০১৫ - ১:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
পড়ে শেষ করলাম সুহান রিজওয়ান এর ‘সাক্ষী ছিলো শিরস্ত্রাণ’
২৩ ফেব্রুয়ারি বইমেলায় একটা অঘোষিত আড্ডা হয়েছিলো। অভিজিৎ, বণ্যা ছিলেন। ছিলেন সুহান রিজওয়ান, রনদীপম বসু, আরিফ জেবতিক, শান্ত, মাহবুব লীলেন, আহমেদুর রশীদ টুটুল সহ সচলায়তনের বেশ কজন। আরো কিছু বইয়ের সাথে ঐদিনই কিনেছিলাম ‘সাক্ষী ছিলো শিরস্ত্রাণ’। কেনার পর সাধারনতঃ খুব দ্রুত আমি বই পড়ে ফেলি। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম হলো রক্তাক্ত ২৬ ফেব্রুয়ারীর কারনে। শুধু লেখা নয়, পড়ার ক্ষেত্রে ও একটা আতংক কাজ করছিলো। এই ট্রমাটা ধীরে ধীরে কাটছে। শেষ পর্যন্ত পড়া এবং লেখার কাছে ফিরে আসা ছাড়া আমাদের পরিত্রান নেই।

এবারের বইগুলোর মধ্যে প্রথমেই পড়লাম ‘সাক্ষী ছিলো শিরস্ত্রাণ’।
তাজউদ্দীন আহমেদ আমাদের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ। একটা প্রগতিশীল, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন বাংলাদেশের স্বপ্ন যারা দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য যারা নিজেদের নিবেদিত ও উৎসর্গ করেছিলেন তিনি তাদের অন্যতম। তাজউদ্দীন আহমদকে নিয়ে আরো বেশী বেশী লেখা, আরো বেশী তাজউদ্দীন চর্চা আমাদের জন্য আরো বহুদিন জরুরী হয়ে থাকবে।