আমরাই লিখি আমাদের জন্মযুদ্ধের ইতিহাস

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৬/০৩/২০১৫ - ২:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৫।
সকাল দশটা। ৪ নং সেক্টর, উত্তরা, ঢাকা। আমরা দুজন। আমি এবং সহসচল নজরুল একটা বাসা খুঁজে বের করি। একজন আমাদের অপেক্ষায় ছিলেন। আমরা তার সাথে বসি।
বয়স প্রায় আশির কোটায়। শরীর ঋজু এখনো। হাতে ছড়ি ব্যবহার করেন, চেহারায় আভিজাত্য। একটা এলাকার বিখ্যাত চৌধুরী পরিবারের মানুষ তিনি।
১৯৭১। বয়স ৩৬। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তানের সহসম্পাদক হিসেবে ঢাকায় চাকরী করছেন। তিনি সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী। ন্যাপ রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।

২৫ মার্চের আগেই সদ্যোজাত সন্তান সহ স্ত্রীকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন গ্রামের বাড়ি। গনহত্যা শুরু হওয়া পর নিজে পায়ে হেঁটে সাইকেল চালিয়ে ঢাকা থেকে ময়মসিংহ, কিশোরগঞ্জ হয়ে গামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই পৌঁছান। ঐসব এলাকায় তখনো পাক আর্মি পৌঁছেনি কিন্তু সশস্ত্র দালাল বাহিনী গড়ে উঠেছে ইতিমধ্যে, পাক আর্মিকে দাওয়াত দেয়া হয়েছে যে কোন দিন আসবে। হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামের পর গ্রাম উজাড় ( কল্পনা করুন- একটা দুটো নয় অনেকগুলো গ্রাম আক্ষরিক অর্থেই একেবারে জনশূন্য)
সালেহ চৌধুরী স্থানীয় আওয়ামী লীগ,ছাত্রলীগ ও ন্যাপের কয়েকজনকে নিয়ে ভাটি এলাকার গ্রাম গঞ্জে নৌকা নিয়ে ঘুরেন, সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে মানুষকে সাহস যোগান। একসময় টের পান দেশের বাইরে গিয়েই প্রতিরোধ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। সুনামগঞ্জের বালাট সীমান্তে যান, কলেরায় মারা যাচ্ছে শত শত শরনার্থী। আরো পশ্চিমের সীমান্ত টেকেরঘাটে যান।সেখানে ভীড় করেছেন সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের শরনার্থীরা। দিরাই শাল্লার তরুন সংসসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত টেকেরঘাট তত্বাবধান করছেন। এর আগে ৪ এপ্রিল শেরপুরে ভয়াবহ প্রতিরোধ যুদ্ধ হয়েছে। সুরঞ্জিত সেই যুদ্ধে দায়িত্বশীল ছিলেন। শেরপুরের পতন ঘটলে পিছিয়ে চলে এসেছেন টেকেরঘাট।

সুরঞ্জিত পরামর্শ দেন সালেহ চৌধুরীকে সীমান্ত পাড়ি না দিয়ে দিরাই ফিরে যেতে। মুক্তিযোদ্ধাদের ছোট ছোট গ্রুপ রেডি হচ্ছে, কিছু অস্ত্র ও পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো দিয়েই প্রতিরোধ শুরু করতে হবে। সালেহ চৌধুরি ফিরে আসেন। দশ বারোটা থ্রি নট থ্রি হাতে আসে, মুক্তিযোদ্ধাদের ছোট একটা দল, নিজের কোমরে ছুরি আর হাতে ছড়ি- সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী হয়ে উঠেন প্রতিরোধের যুদ্ধের নায়ক। দিরাই থানা দখল হয়, জগন্নাথপুর দখল হয়। হাওর পাড়ি দিয়ে দখল করা হয় রাজাকার অধ্যুষিত আজমিরীগঞ্জ। শেরপুর থেকে পেছনে ছুটে আসছে পাক আর্মির জাহাজ, সালেহ চৌধুরীরা অপারেশন শেষ করে নৌকা বোঝাই রাইফেল নিয়ে ছুটছেন জগন্নাথপুর, দিরাই, জামালগঞ্জ পেরিয়ে টেকেরঘাটে অস্ত্র জমা দিতে। ঐখানে সাব সেক্টর গড়ে উঠবে।
ঐ সাব সেক্টরেই আরো পরে একজন শহীদের কবর হবে। নাম তার সিরাজুদ্দিন। কিশোরগঞ্জ থেকে আসা যোদ্ধা। জামালগঞ্জ থানা মুক্ত করার যুদ্ধের শহীদ হবেন সিরাজ, তার লাশ বহন করে নিয়ে আসবে জগতজ্যোতিরা। সিরাজ শহীদ হবার কয়দিন আগে বাবাকে চিঠি লিখবেন- ‘আমার বোনদেরকে পুরুষদের মতো শিক্ষিত করে তুলবে, কেউ দালালী করবেনা, দালালের ক্ষমা করবেনা বাংলাদেশ, জয় আমাদের হবেই’ – স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সেই চিঠি পড়ে শুনানো হবে।

মিত্রবাহিনীর মেজর ভাট সালেহ চৌধুরীকে দায়িত্ব দেবেন শেরপুর থেকে আজমিরীগঞ্জ হয়ে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত নৌ পথ দখল করে নিতে হবে কারন ঢাকা থেকে বৃহত্তর সিলেটে পাক বাহিনীর অস্ত্র ও রসদ সরবরাহের প্রধান রুট এটি। সালেহ চৌধুরী চেয়ে বসবেন একটা চৌকস দল , নৌ যুদ্ধের জন্য যাদেরকে তৈরি করা হবে। ভাট প্রতিশ্রুতি দিলেন।
জুলাইয়ের মাঝামাঝি সেই বিশেষ গেরিলা দল এলো সালেহ চৌধুরীর কাছে। দলের প্রধান একুশ বছরের এক জেদী তরুন, হিন্দী ও ইংলিশে যে কথা বলতে পারে স্বচ্ছন্দ্যে। দেখতে সেনাবাহিনীর তরুন অফিসার বলে ভ্রম হয়। নাম তার জগতজ্যোতি দাস। তার নামেই গেরিলা দলের নাম দাস পার্টি।
দাস পার্টির একের পর এক আক্রমনে অস্ত্র বোঝাই, রসদ বোঝাই পাক জাহাজ ডুবতে থাকবে, ল্যান্ড মাইনকে দেশীয় প্রযুক্তিতে মাছ ধরার জালের সাথে জড়িয়ে তারা জাহাজ উড়িয়ে দেবে- ঢাকা থেকে পাক আর্মির বিশেষ কমান্ডো বাহিনী আসবে ‘টেরর দাস’ কে শেষ করার জন্য, বিমান আক্রমন ও হবে। উত্তরে তাহিরপুর থেকে দক্ষিনে বাহুবল পর্যন্ত দাস পার্টি হয়ে উঠবে কিংবদন্তী। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে পাক আর্মি এই নৌ পথকে পরিত্যক্ত বলে ঘোষনা দেবে রেডিওতে।
নভেম্বরে ষোল তারিখে বিশ্বাসঘাতকতা শিকার হয়ে জগতজ্যোতি আটকে যাবে ফাঁদে। ২০০ পাক আর্মির স্পেশাল গ্রপের সাথে সারাদিন লড়াই করতে করতে সন্ধ্যা বলে তার কপালে গুলী লাগবে,সাথী কিশোর যোদ্ধা ইলিয়াসকে বলবে – ‘ আমি যাইগা’ । ইলিয়াস তার কমান্ডারের শরীর বিলের পানির নীচে কাদার মধ্যে ডুবিয়ে দেবে। রাজাকাররা খুঁজে বের করবে সেই শরীর। পরদিন ঈদের আগের বাজার। সেই শরীর খুঁটি দিয়ে গেঁথে রাখা হবে আজমিরীগঞ্জ বাজারে। ছবি তোলা হবে। গঞ্জে গঞ্জে প্রদর্শন হবে। তার বাড়ির ঘাটে ও আসবে। মা বাবাকে ডেকে আনা হবে দেখার জন্য আর পেছনে পুড়িয়ে দেয়া হবে বাড়ি। পেছনে দাউদাউ আগুন আর সামনে খুন হয়ে যাওয়া সন্তানের লাশ- বাড়ির পাশে অপারেশনে আসলে ও সে মাকে দেখতে আসেনি কারন শপথ করেছিলো দেশ স্বাধীন করেই মাকে দেখতে আসবে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র মুজিব নগর সরকারের বরাতে ঘোষনা করবে জগজ্যোতিকে সর্ব্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদকের। স্বাধীন দেশে সেই কথা কেউ রাখবেনা।

সালেহ চৌধুরীর বয়স প্রায় আশি। অসামান্য তার স্মৃতি শক্তি তবু একটানা তিনঘন্টা কথা বলে মাত্র মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত বলা শেষ হয়। জগতজ্যোতির পুরো বর্ননাই বাকী থেকে যায়। আরেকদিন, আরেকদিন অথবা আরো কয়েকদিন আমরা বসবো আবার তার কাছ থেকে এসব জেনে নিতে।
জেনে নিতে হবে মুক্তিযোদ্ধা আমজাদের কাছ থেকে, সুনামগঞ্জে যিনি বড়ভাই বলে পরিচিত। বড়ভাই ছিলে দাস পার্টির সেকেন্ড ইন কমান্ড । তাহিরপুর ধর্মপাশা মুক্তি হয়েছিলো তার নেতৃত্বে। ইলিয়াসকে খুঁজে বের করতে হবে, জগজ্যোতির শেষ যুদ্ধে তিনিই ছিলেন সাথে। খুঁজে বের করতে হবে সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জের আরো কয়েকজনকে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এর কাছ থেকে সময় নিতে হবে। জগতজ্যোতি তিনিই রিক্রুট করেছিলেন, মেজর মুসলিমউদ্দীন দায়িত্ব নেবার আগে টেকেরঘাট সাব সেক্টরের তিনিই ছিলেন সাব –স্কেটর কমাণ্ডার- এছাড়া বিশাল ভাটি অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক প্রধান ও ছিলেন তিনি।

এই অঞ্চলের যে সব জায়গায় যুদ্ধ হয়েছিলো সেগুলোর ‘ওয়ার ম্যাপ’ বানাতে হবে। এইসব কাজ করতে করতে দালালদের তালিকা এবং গনহত্যার বিবরনগুলো ও লিপিবদ্ধ হয়ে যেতে পারে।

আপনি, আমি, আমরা প্রত্যেকে একটু একটু সময় দিয়ে নিজেদের এলাকার মুক্তিযুদ্ধের এইসব গণ ইতিহাসগুলো লিপিবদ্ধ করে ফেলতে পারি। রাষ্ট্র যাদের বীরের তালিকায় ঠাঁই দেয়নি কিন্তু তারা প্রকৃত বীর ছিলো- আব্দুল হামিদ নামে একজন মুক্তিযোদ্ধা- ধরা পরের যাওয়ার আগের মুহুর্তে যে নিজের মাথায় স্টেনগান চালিয়েছিলো অথবা একজন আবু তালেব যুদ্ধরত অবস্থায় চোরাবালিতে আটকে যে ধরা পড়েছিলো তাকে নিয়ে আসা হয়েছিলো সুনামগঞ্জ শহরে প্রদর্শনের জন্য , বিদ্যালয়ের মাঠে তাকে জুতাপেটা করা হয়েছিলো দেশের মানুষেরই উদ্যোগে তার পর তাকে হত্যা করে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছিলো নদীতে।

পদক আর স্বীকৃতির তালিকায় ঠাঁই না পাওয়া এইসব যোদ্ধাদের অন্ততঃ আমরা যেনো ঠাঁই দেই আমাদের স্মৃতি ও শ্রদ্ধায়।


মন্তব্য

হাসিব এর ছবি

ম্যাপ বানিয়ে স্মারক চিহ্নও স্থাপন করা দরকার। স্কুলের বাচ্চাদের পড়ালেখার অংশ হিসেবে সেসব জায়গাতে শিক্ষকরা শিক্ষাসফরে নিয়ে যাবেন।

গন -> গণ

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমি কিছুটা পড়ালেখা থেকে বুঝেছি, দেরী হলে ও কাজগুলো অসম্ভব নয় এখনো। এক একটা সাব-সেক্টর ধরে কাজ করা সম্ভব। মোটামুটি জুন-জুলাই এর পর থেকে সেক্টর-সাবসেক্টরের অধীনে প্রশিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধাদের মাধ্যমে যুদ্ধ চলছিলো। এর আগে স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক কর্মীরা প্রতিরোধ যুদ্ধ করছিলেন। এইভাবে ডিটেইলসগুলো ধরতে হবে।
আরেকটা ইন্টারেস্টিং অবজার্ভেশন- একটা হাঁটু প্রোপাগান্ডা আছে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব কলকাতায় বসে মদ আর মাগীবাজি করেছে। আমি সিলেট অঞ্চলের ইতিহাসে এইটা দেখিনা। প্রত্যেকটা এমএনএ, এমপিএ- ২৫ মার্চের পর পরই সীমান্ত এলাকায় শরনার্থী ব্যবস্থাপনা, দেশের ভেতর থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রহ, প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা এসবের নেতৃত্বে ছিলেন।
আমি ভাটি অঞ্চলের যে বিশাল এলাকা নিয়ে ফোকাস করছি সেখানে পুরো নয়মাসেই সামরিক বাহিনীর লোকজন যায়নি। সেক্টর কমাণ্ডার ছিলেন মীর শওকত আলী। সশরীরে খুব কম জায়গাতেই তার উপস্থিতি ছিলো। রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীনে গণযোদ্ধারাই মুল কাজগুলো করেছেন।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক শ্রদ্ধা

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

স্বপ্নের ফেরিওয়ালা  এর ছবি

পদক আর স্বীকৃতির তালিকায় ঠাঁই না পাওয়া এইসব যোদ্ধাদের অন্ততঃ আমরা যেনো ঠাঁই দেই আমাদের স্মৃতি ও শ্রদ্ধায়।/quote] গুরু গুরু চলুক

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

শ্রদ্ধা
পরেরবার বাড়ি গিয়ে চেষ্টা করব ইতিহাস সংগ্রহের। নিজের জীবন নিয়ে অন্ধ হয়ে থাকি বলে এইসব কাজে সময় দেয়া হয়না!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নজমুল আলবাব এর ছবি

দাস পার্টির সেকেন্ড ইন কমান্ড বেতাউকার বাচ্চু ছিলেন না? কালা বাচ্চু

হাসান মোরশেদ এর ছবি

বাচ্চু মামা মুল দলেরই দায়িত্ব পেয়েছিলেন জগতজ্যোতি শহীদ হওয়ার পর। দিরাই, জগন্নাথপুর, নবীগঞ্জ, আজমিরীগঞ্জ বেল্টের। আর আলী আমজদ জগতজ্যোতির সাথের, যারা এপ্রিলেই ভারত চলে গিয়েছিলো ইকো-১ ক্যাম্পে প্রশিক্ষন নিতে।
জগতের কমান্ডে ইনি মুলতঃ তাহিরপুর, ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ অর্থ্যাৎ উত্তরদিকটা দেখতেন। খুবই গরম মানুষ হাসি

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

এক লহমা এর ছবি

চলুক শ্রদ্ধা

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আয়নামতি এর ছবি

চলুক চলুক
এসব ঘটনার সাক্ষীদের বয়স হয়েছে অনেক। যত দ্রুত সম্ভব ঘটনাগুলো লিখে ফেলা দরকার আসলে।
জগতজ্যোতি'কে নিয়ে একটা উপন্যাস লেখা হয়েছে ওটার নামটা বলবেন ভাইয়া?
সম্ভব হলে প্রকাশনীসহ প্লিজ!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সিলেটের মেয়ে অঞ্জলী লাহিড়ী , বিয়ে হয়েছিলো ভারতে। স্বামী ছিলেন মেঘালয় সরকারের বড় কর্মকর্তা। অঞ্জলী লাহিড়ী রেডক্রসের হয়ে সিলেট সীমান্ত দিয়ে আসা শরনার্থীদের সাহায্য করতেন। দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে সীমান্ত অতিক্রম করে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পগুলোতে ও চলে আসতেন। শিলংয়ে তার বাড়ি ছিলো যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রম।
অঞ্জলীর দুটো বই আছে। একটা স্মৃতিকথা যেখানে জগতজ্যোতির কথা আছে আরেকটা উপন্যাস ও তিনি লিখেছেন এই নামে।
দাস পার্টির উপর সুনামগঞ্জ থেকে ২০০০/২০০১ সালে প্রকাশিত একটা বই আছে। অপূর্ব শর্মা আরেকটা বই করেছেন পরে জগতজ্যোতিকে নিয়ে যেটি মুলতঃ অঞ্জলী লাহিড়ি ও সুনামগঞ্জ থেকে প্রকাশিত বইয়ের কপিপেস্ট।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আয়নামতি এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। অঞ্জলী লাহিড়ী সম্পর্কে আরো জানার আগ্রহ তৈরি হলো আপনার কথায়।
"জগতজ্যোতি'' আর "স্মৃতিকথা" বই ২টো সংগ্রহের চেষ্টা থাকবে। হাসি

মাসুদ সজীব এর ছবি

শ্রদ্ধা

ইতিহাস কে বাঁচিয়ে রাখার এমন প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক, এমন লেখা আর কর্মে অনুপ্রাণিত হোক সবাই।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

সুবোধ অবোধ এর ছবি

অসাধারণ উদ্যোগ। চেষ্টা থাকবে সোর্বোচ্চটুকু করার। চলুক

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

আপনি, আমি, আমরা প্রত্যেকে একটু একটু সময় দিয়ে নিজেদের এলাকার মুক্তিযুদ্ধের এইসব গণ ইতিহাসগুলো লিপিবদ্ধ করে ফেলতে পারি।

চেষ্টা থাকবে। সাধুবাদ।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।