[justify]১২ জানুয়ারী ১৯৭২ যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ও তার মন্ত্রীপরিষদ গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিলেন তার মাত্র ২৬ দিন আগে নতুন রাষ্ট্রের জন্ম। তারও নয় মাস আগে শুরু হওয়া পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর গনহত্যা এবং গনহত্যার প্রতিরোধে বাঙালীদের মুক্তিযুদ্ধ- এক কোটি মানুষের শরনার্থী হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া, দেশের ভেতরে আরো দুই কোটি মানুষের বাস্তুচ্যুতি, ৩০ লক্ষ মানুষের খুন,কম
আসুন এ বছর বিজয় দিবসে 'প্রথম আলো'র ব্যতিক্রমী উপহার থেকে ছোট্ট এক টুকরো পড়ি।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কাল রাতে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একজন মেজর। সে রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে অস্ত্র খালাসরত পাকিস্তানি এক জেনারেলের কাছে তাঁকে পাঠানো হচ্ছিল। পরিকল্পনা ছিল তাঁকে ‘গ্রেপ্তার বা হত্যা’ করার (গোলাম মুরশিদ, মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর: একটি নির্দলীয় ইতিহাস)। পথিমধ্যে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের সংবাদ শোনামাত্র বিদ্রোহের সিদ্ধান্ত নেন। চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ফিরে এসে তাঁর কমান্ডিং অফিসারসহ অন্যান্য পাকিস্তানি অফিসার ও সৈন্যকে বন্দী করেন। পরদিন তিনি প্রাণভয়ে পলায়নপর মানুষকে থামিয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদ্দীপনাময় ভাষণ দিতে শুরু করেন (বেলাল মোহাম্মদ, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র)। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি বেতারে নিজ কণ্ঠে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
কিছুদিন আগে আমার মনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বার্ষিক বাজেট নিয়ে প্রশ্ন জেগেছিল। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে সেটি খুঁজে না পেলেও তাদের দুটি অর্থবছরের প্রতিবেদন পেলাম যেখানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে একটি করে অধ্যায় আছে। সেখানে দেয়ে তথ্যের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ের কাজকে মূল্যায়ন করার মত প্রশিক্ষণ বা যোগ্যতা আমার নেই। তবে ভাবলাম সচলায়তনের পাঠকদের মধ্যে কারো কারো সেই প্রস্তুতি থাকতে পা
আমাদের দীর্ঘদিনের দাবী ছিলো ইতিহাস নিয়ে তামাশা বন্ধে আইন চাই । অনেক দেরীতে হলেও উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ। ইতোমধ্যে আইনের খসড়া তৈরি হয়েছে। তার ভিত্তিতেই কিছু ব্যক্তিগত মতামত এখানে থাকলো আলোচনার জন্য। আইন বিষয়ে আমার জ্ঞান শূন্যের চেয়েও কয়েক ডিগ্রী নিচে। ভুল হলে ধরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ রইলো।
আমি আমেরিকায় আসি ২০১০ সালের আগস্ট মাসে। বাংলাদেশের হিসেবে তখন রোজার সময়। দেশে ইফতার করতাম সবসময় বাসায়। এখানে এসে জানলাম মসজিদে নাকি মানুষ ইফতার করে। আমার আরো দুবছর আগে আসা একজন আমাকে ধরে নিয়ে গেল কাছের একটি মসজিদে। ইফতারের লাইনে দাড়িয়ে আছে। সামনে দাঁড়ানো একজন জানতে চাইলো আমি কোথা থেকে এসেছি। মনে হয় ইতিউতি তাকানো দেখে বুঝতে পেরেছে আমি ঘরের বাইরে ইফতার করতে অভ্যস্ত নই। বললাম, বাংলাদেশ থেকে এসেছি। ত
যখন তনুর প্রতি অবিচারের এবং বিচারহীনতার হতাশা গ্রাস করে ফেলে সকালটা, গাঢ় করে তোলে রাতের অন্ধকার... ভারতী, ছবি, সবিতার পচন ধরা লাশের গন্ধ এসে নাকে লাগে... মনে পড়ে যায় ইয়াসমীন কিংবা তারো আগের শবমেহেরের কথা... দূর্ণীতি, অব্যবস্থাপনা, লাশের আর রক্তের গন্ধ আসে নাকে... আর অভিজিৎ রায়... হায় রক্ত!
"যুদ্ধদিনের সাথীরা আমার, তোমরা যাঁরা বেঁচে আছ, কিংবা যাঁরা পাড়ি জমিয়েছ অনন্ত পরলোকে, তোমাদেরই একজন হতে পেরে নিজেকে আমি অত্যন্ত গৌরবান্বিত মনে করি।"- যাঁদের উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর লেখা বইয়ে এই কথাগুলো বলেছেন.....................
যতদূর মনে পড়ে ১৯৭১ এর মার্চে রোদের তীব্রতা যেন একটু বেশিই ছিলো। এই উত্তাপ প্রকৃতির খেয়াল না বাঙ্গালীর মনের ক্ষোভের প্রতিফলন – তা ৪৫ বছর পর আজ আর স্মৃতি আলাদা করতে পারেনা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সূত্রমতে [১,২] একাত্তরের মার্চের শুরুতে বঙ্গবন্ধু বিদেশী সংবাদদাতাদের "অফ দ্যা রেকর্ড" বলেছিলেন রবিবারের মিটিংয়ে (৭ মার্চ) তাঁর বক্তব্যে যা থাকবে তা অনেকটাই স্বাধীনতার ঘোষণার মত। পাকিস্তান দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো বিভিন্ন রিপোর্টে আকাশপথে (সি-১৩০, পাকিস্তান এয়ারলাইনস) এবং জলপথে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানে সৈন্যদল আসার ভাসাভাসা খবর আসছিল। হোয়াইট হাউসের সিচ্যুয়