ইতিহাস নিয়ে তামাশা বন্ধে আইন চাই

হাসিব এর ছবি
লিখেছেন হাসিব (তারিখ: বুধ, ১৬/১২/২০০৯ - ৬:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইতিহাস নিজের মতো করে লেখার চর্চা বহুদিন থেকে চালু আছে বাংলাদেশে । এই বছরদুয়েক আগে পর্যন্ত এই স্বরচিত ইতিহাস সীমাবদ্ধ ছিলো পাঠ্যপুস্তকে, রাজনীতিদের বুলিতে রাষ্ট্রিয় প্রচার যন্ত্রের চাপাবাজিতে । এই ইতিহাস বিকৃতির ক্ষেত্রগুলো ছিলো কিছু ঘটনাকে অস্বীকার (denial) বা কোন ঘটনা নিজের মতো করে সংশোধন (revision) করার মাধ্যমে । নিজামীর দেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই দাবি প্রথম প্রকারের উদাহরন হিসেবে দেখা যায় । স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ লোক মৃত্যুবরণ করেনি - এটা দ্বিতীয় প্রকারের উদাহরণ ।

ইতিহাস বিকৃতির এই চর্চা একমাত্র বাংলাদেশেই চালু নেই । ইউরোপ জুড়ে এই চর্চা চালু আছে অনেকদিন ধরে । তবে ইওরোপ থেকে বাংলাদেশের পার্থক্য হলো ইওরোপ তাদের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের একটা আইনী ব্যবস্থা ইতিমধ্যে দাড় করাতে পেরেছে এবং সেইসাথে যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরসুরিরা যুদ্ধাপরাধীদের গণহত্যা বিষয়ে কোনপ্রকার বিকৃতি চালু করতে না পারে সেটার জন্যও তারা আইন করেছে । সাধারণভাবে একে গথহত্যা অস্বীকারের বিরুদ্ধে আইন (Law Against Holocast Denial) বলা হয় । আসুন একটু নজর বোলানো যাক এসকল আইনের দিকে ।

দেশ আইনের নাম কি বলা আছে সেখানে শাস্তি
অস্ট্রিয়া National Socialism Prohibition Law (1947, amendments of 1992) ন্যাশনাল সোশালিস্টদের গণহত্যার ইতিহাস অস্বীকার বা তাদের অপরাধ হালকা করা চেষ্টা, অন্য কারো করা এ জাতীয় কাজ সমর্থন অথবা ন্যাশনাল সোশালিস্টদের কোন কাজের বৈধতা খোঁজার কোন চেষ্টা কোন ধরনের মিডিয়ায় প্রকাশ করা যাবে না । ১ থেকে ১০ বছর কারাদন্ড
বেলজিয়াম Negationism Law (1995, amendments of 1999) জার্মানির ন্যাশনাল সোশালিস্ট আমলের গণহত্যার ব্যাপ্তি হালকা করা চেষ্টা, সমর্থন, বা বৈধতা দানের সকল চেষ্টা শাস্তিযোগ্য অপরাধ । ৮দিন থেকে ১ বছর কারাদন্ড ও সেইসাথে ২৬ থেকে ৫ হাজার ফ্রাঙ্ক জরিমানা ।
চেক রিপাবলিক Law Against Support and Dissemination of Movements Oppressing Human Rights and Freedoms (2001) নাতসি বা কমিউনিস্ট গণহত্যার ইতিহাস অস্বীকার, সন্দেহ, অনুমোদন/স্বীকৃতি বা তাদের কাজের বৈধতা দেবার চেষ্টা শাস্তিযোগ্য অপরাধ । ৬ মাস থেকে ৩ বছরের কারাদন্ড
জার্মানি 130 Public Incitement (1985, Revised 1992, 2002, 2005) জনসমক্ষে ন্যাশনাল সোশালিস্ট আমলের অপরাধসমূহ অস্বীকার, সমর্থন বা তাদের অপরাধ লঘুকরণের চেষ্টা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে । এসংক্রান্ত কোন সিম্বল প্রচার ও প্রদর্শন করাও দন্ডনীয় অপরাধ । ৫ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং/অথবা জরিমানা
লুক্সেমবুর্গ Criminal Code, Act of 19 July 1997 ১৯৪৫ সালের আন্তর্জাতিক ওয়ার ক্রাইম ট্রাইবুনালে ঘোষিত যুদ্ধাপরাধ অস্বীকার, সমর্থন, লঘুকরণের প্রচেষ্টা শাস্তিযোগ্য অপরাধ । ৮দিন থেকে ৬ মাস কারাদন্ড
রোমানিয়া Emergency Ordinance No. 31 of March 13, 2002 গণহত্যার ইতিহাস অস্বীকার শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রেসিস্ট, জেনোফোবিক বা ফ্যাসিস্ট সিম্বল প্রচার করা দন্ডনীয় অপরাধ । ৬ মাস থেকে ৫ বছর কারাদন্ড (কিছু আইনসঙ্গত অধিকার রহিতকরণসহ)
পোল্যান্ড Act of 18 December 1998 on the Institute of National Remembrance ১৯৩৯ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত ন্যাশনাল সোশালিস্ট বা কমুনিস্টদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধ সংক্রান্ত ঐতিহাসিক তথ্যে দ্বিমত শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে । তিন বছর পর্যন্ত কারাদন্ড ও/অথবা জরিমানা
ফ্রান্স LAW No 90-615 to repress acts of racism, anti-semitism and xenophobia (1990) ১৯৪৫-এর লন্ডন চার্টার এর আওতাভুক্ত অপরাধসমূহের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ বা প্রশ্ন উত্থাপন শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে । ১ মাস থেকে ১ বছর বা জরিমানা

তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া

মোটাদাগে বলতে গেলে উপরের তালিকার দেশগুলোতে গণহত্যার ইতিহাসকে বিকৃত করা, গণহত্যার আকার সীমিত করে দেখানোর চেষ্টা, পুরো গণহত্যার ঘটনার উপর অবিশ্বাস/সন্দেহ প্রকাশ, গণহত্যাকারিদের ব্যবহৃত চিহ্ন ব্যবহার বা প্রচার (জার্মানি ও রোমানিয়া), গণহত্যা হালাল করার চেষ্টা সবগুলোই আইনত দন্ডনীয় অপরাধ ।

পশ্চিম থেকে অনেক হাবিজাবি অপসংস্কৃতি শিখতে পারলেও অপরাধীকে বিচারকের সামনে দাড় করাতে হবে এই সামান্য জিনিসটুকু আমরা শিখতে পারিনি । স্বাধীনতার পর এতগুলো বছর পার হলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা যায় নি । গণখুনিরা বহাল তবিয়তেই আছেন এখনো । রিভিশন, ডিনায়ালের পর এবার তারা নতুন করে ইতিহাস লেখার আয়োজন করছেন । এরই একটা উদাহরণ হলো সম্প্রতি রাজাকার মুজাহিদের বক্তব্য । এঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জামায়াতের এক সভায় তিনি দাবি করেছেন -

"আমরা স্বাধীনতা এনেছি, আমরাই তা রক্ষা করব"

আমাদের দুর্ভাগ্য যে একটা স্বাধীন দেশে বসে এই জাতীয় অপলাপ শুনতে হয় । আমরা তাদের রাজনীতির অধিকার দেই । আমরা আমাদের সভাস্থলগুলো তাদের বিষোদ্গারের জন্য ভাড়া দেই । তাদের তৈরী ব্যবসা-শিক্ষা-চিকিতসা প্রতিষ্ঠানে দরকারমতো ধর্না দেই ।

mujahid

এইসব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়তো হবে অথবা হবে না । এমনও হতে পারে বিচার প্রক্রিয়া টেনে লম্বা করতে করতে তাদের অধিকাংশই পটল তুলবে । রয়ে যাবে তাদের ঔরসে জন্ম নেয়া কালসাপগুলো । "বিশেষ ক্ষেত্রে মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় স্বাধীন" এই দেশে ঐ কালসাপগুলোই ভবিষ্যতে বিষ ছড়াবে ।

এই বিষ ঠেকানোর জন্য চাই আইন । যে আইন আমাদের ইতিহাস বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করবে । এই আইনের দাবি শুরু হোক এখন থেকে, এখান থেকে ।

নোট: - একই সাথে ব্যক্তিগত ব্লগে প্রকাশিত ।
- বানান শুদ্ধ করতে সহায়তা কাম্য ।


মন্তব্য

নৈষাদ এর ছবি

চমৎকার প্রস্তাব। সহমত।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এরকম আইন কি আসলেই নাই বাংলাদেশে?
সংগ্রামের সাম্প্রতিক নিবন্ধ পড়লেই বোঝা যায় এরকম আইন প্রণয়ন (যদি না থেকে থাকে) এবং তার বাস্তবায়ন কতো জরুরী।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হাসিব এর ছবি

- বাংলাদেশে গণহত্যা বিষয়ে মিথ্যাচার বন্ধে কোন আইন নেই । ( অন্তত আমার জানা মতে ) ।
- এই আইনটা করা গেলে ফি-আমল পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বদলানোর হাত থেকেও বাঁচা যেত হয়তো ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কয়দিন আগে সরকারের তরফ থেকে ব্লাসফেমি আইন করার জন্য লাফানো হচ্ছিলো, সেটার ব্যাপারে কিছু জানেন?

এটাকি ব্লাসফেমি আইনের মধ্যে পড়ে নাকি সরকার যথারীতি আগেরটা আগে না করে পেছন থেকে একটা ইস্যু তুলে এনে নুন-চুন আর আমের কষের একটা প্রলেপ দেয়ার চেষ্টা করছে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হাসিব এর ছবি

ব্লাসফেমি করলে ভোট বাড়ার সম্ভাবনা । অতএব ঐটা করতে দোষ নাই ।

দৃশা এর ছবি

এটা মনে হয় না ব্লাসফেমি আইনের মধ্যে পড়ে। শরিয়া আইনে ব্লাসফেমি একটা ক্রাইম আমাদের এখানে, কিন্তু পজেটিভ ল'তে না। শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুভূতিতে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত দিলে তাইলে তা ব্লাসফেমির আওতাভুক্ত হয়। কোন এক মান্ধাতামলে এই সেকুলার আইন তৈরী হইছিল সেখানেই আইটকা রইছে ব্লাসফেমির ব্যপ্তি।

দৃশা

আরিফুর রহমান এর ছবি

ব্লাসফেমি এখন মানবাধিকারের অংশ। গেল বছর থেকে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার সংস্থা'র প্রজ্ঞাপন মোতাবেক, বাকস্বাধীনতার বর্ধিতাংশ হিসেবে ব্লাসফেমি বা ধর্ম(ইশ্বর)বিরোধীতা করা অপরাধের অন্তর্ভূক্ত নয়। তবে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক প্রচারণা'র ফসল হিসেবে সংখ্যালঘুদের জীবন ও স্বাস্থ্য হুমকির সন্মূখীন হলে, সেই বিষাক্ত ধর্মীয় বাণী নিষিদ্ধ হতে পারে।

বাংলাদেশে ব্লাসফেমি'র অভিযোগে কিছুদিন আগে চুপিসারে ধর্মকারী ব্লক করে দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের ভেতর থেকে, এবং এই পুরো প্রক্রিয়ায় আমাদের দেশীয় তথাকথিত প্রগতিশীল মহল একেবারে টুঁ শব্দটিও করেন নাই।

সেকুলার রাষ্ট্রে ইশ্বরের সেন্টুতে ঘাই দিলে অপরাধ হতে পারে না। তবে 'রাষ্ট্রের' ইতিহাস নিয়ে অপরাধী পক্ষের হয়ে মিথ্যাচার কঠিনতম শাস্তি'র দাবি করে।

বাংলাদেশের ভেতরে ব্লাসফেমি এবং লেখকের প্রতিধ্বণিত প্রস্তাব, দুইয়ের মাঝে এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। আমরা যতোই ধর্ম থেকে ধর্মীয় রাজনীতি এবং তদসংক্রান্ত অপরাধসমুহকে আলাদা করবার চেষ্টা করি না কেন, আজকের বিশ্বে এরা একে অপরের পরিপূরক।

ব্লাসফেমি সংক্রান্ত সকল আইন বন্ধ যেমন জরুরী, তেমনি জরুরী ইতিহাস বিকৃতি বন্ধে আইন প্রণয়ন।

(মন্তব্যটি শুধুমাত্র উপরের মন্তব্য প্রসঙ্গে)

দুর্দান্ত এর ছবি

'স্মৃতিসৌধ বা শহীদ মিনারে গিয়ে স্বাধীনতার গান গাইলে আল্লাহ রহমত বর্শিত হয়, রাজাকার, ছাগুরা সব কাফের, মুক্তিযোদ্ধারা এক একজন ফেরেশতা ও আল্লাহর ওলী', দেশব্যাপি এই রকম ফতোয়া জারী করার আগে ব্লাসফেমি আইন দিয়ে ইতিহাস বিকৃতি ঠেকানো কঠিন হবে।

নিঘাত তিথি এর ছবি

আহারে কত কি-ই না শিখি আমরা বিদেশী সংস্কৃতির...খালি কাজের কাজগুলোই শিখা হয় না। এই রকম আইন যদি এই দেশগুলোতে সম্ভব হয়, আমাদের দেশের তো সেটা আরো জরুরী। সেদিন "সংগ্রাম" পত্রিকার একটা লিংক দেখলাম এরকম যে, ১৪ই ডিসেম্বরে বুদ্ধিজীবীদের নাকি রাজাকার-দালালরা হত্যা করে নি, করে ততকালীন ভারতীর গুপ্তচরেরা, জহির রায়হানের অন্তর্ধান তদন্ত করলেই নাকি এটা পরিষ্কার হয়! আজকে আরেক তামসা। এইসব আর ভাল্লাগে না...। এরকম আইন সত্যিই দরকার।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

হাসিব এর ছবি

একটু খেয়াল করলে দেখবেন আগে এরা ইতিহাস সংশোধন বা অস্বীকারের দিকে যেত । এখন এরা চেষ্টা করছে ইতিহাস নতুন করে লিখতে । কদিন পরে হয়তো শুনবো শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণ গু-আযম লিখা দিছিলো ।

অম্লান অভি এর ছবি

লেখাটি ষ্টিকি করা হোক। আর আসুন সোচ্চার হই এই বাচ্চা শুয়ার গুলোর মুখ বন্ধের। যদিও আমাদের মত এই ব্লগারদের ক্ষুদ্র লেখায় মহামতি নেতাদের কোন শুরশুরি অনুভব প্রকাশ পায় না। তবু আমরা তো ঐ বদ্ধ থাকলাম।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দর।

যারা ক্ষমতায় যেয়ে ঘুমিয়ে থাকে তাদের আমলেই এসব শুনতে হচ্ছে! মুক্তিযুদ্ধ যাদের নিজেদের অর্জন বলে দাবী করে থাকে তারা আজ এদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা করেনা!! সত্যিই আজব সময় কাটাচ্ছি আমরা। ভাবতেই অবাক লাগে। কিন্তু এখন আর অবক হইনা, এসব যে হবে তা আন্দাজ করা কঠিন ছিলনা।

আওয়ামী লীগের এটুকু বোঝা উচিত যে এদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে এগুলোই একসময় বৈধতা (গ্রহণযোগ্যতা) পেয়ে যাবে। যেমনটা বলা হয় "শেখ মুজিবের আমলে যুদ্ধাপরাধীদের মাফ করে দেয়া হয়েছিল" বা এরকম কিছু...

হিমু এর ছবি

এই লেখাটির লিঙ্ক সবাই ফেইসবুকে শেয়ার করুন প্লিজ।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অতিথি লেখক এর ছবি

করলাম। অনুমতি দেয়ার জন্য ধন্যবাদ, ( অবশ্য না দিলেও করতাম)
স্টিকি করার জন্য মডুদেরকেও ধন্যবাদ।
- বুদ্ধু

হিমু এর ছবি

আসলে লিঙ্ক শেয়ার করার জন্যে তো কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই। লিঙ্কের স্বত্বাধিকারী বলে কিছু নেই। কনটেন্টের আছে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সহমত।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নাশতারান এর ছবি

জরুরি ভিত্তিতে আইন প্রয়োজন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

রণদীপম বসু এর ছবি

যুদ্ধাপরাধী বিচারের বিষয়টাই নির্ধারণ করে দেবে এই আওয়ামী সরকার আগামীতে আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে না কি জাতির চেতনায় ঠাঁই পাবে ।
auto

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

রণদা,
আপনার মন্তব্যটা একদম আমার মনের কথা। এই সামান্যবোধটুকু যদি শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ সরকারের না থাকে !! এখন আবার শুরু করছে নামকরণ নিয়া পুরানো খেলা। মানুষজন যে এইসব নিয়া চরম বিরক্ত হয় এই সহজ জিনিসটাও কি শেখ হাসিনাকে বোঝানোর মত কেউ নাই তাঁর আশেপাশে। চরম হতাশ লাগে এইসব দেখলে।

আর হাসিব ভাই এর পোস্টের সাথে পুরোপুরি সহমত। এই রকম একটা আইন খুবই দরকার দেশে। কিন্তু ভয় হচ্ছে আইনটা টিকবে কিনা এইটা নিয়ে। বিএনপি যদি তার কাঁধ থেকে জামাতকে না নামায় এবং সরকার যদি এই টার্মে ব্যর্থ হয়--তাহলে জনগণ কিন্তু ভোট দিয়ে আবার বিএনপি-জামাত জোটকেই ক্ষমতায় আনবে।
এইজন্যই এই টার্মে আওয়ামী লীগের ঠিকঠাকভাবে দেশ চালনা করাটাকে আমি অনেক, অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। আর আমি মনে করি তাদের সফলতার সবচেয়ে বড় মানদণ্ড হবে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারটা আদৌ আন্তরিকভাবে করার চেষ্টা করল কিনা সেটা। আর আমি আশা করব দেশের মানুষকে বোকা মনে করার মত বোকামি এই টার্মে তারা আর করবে না।

দেশের মানুষ যে বোকা না --গত ৪টা নির্বাচনের ফলাফলেও যদি এইটা বুঝতে না পারে--তাহলে এই নির্বোধ আর গর্দভ নেতাদের নিয়ে আমার কিছু বলার নাই। বরাহদের কাছে পর্যুদস্ত হওয়াই তাহলে এদের নিয়তি।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

তবে আমি মনে করি এর পাশাপাশি বাঙলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ আইন করা উচিত। এছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হওয়া উচিত। না হলে লাউর নাম কদু হয়ে অন্য হাটে বিক্রি হবে।
ফেইসবুকে শেয়ার করলাম।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

শশাঙ্ক বরণ রায় এর ছবি

সহমত। ভাল লাগল।

বর্তমান সরকারের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগর প্রায় অগস্তযাত্রা, জনাবিশেক জানোয়ারের বিচার হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া ইত্যাদি পুরো জাতির রাজাকার-আলবদরদের প্রতি তীব্র ঘৃণা'র উপশম ঘটাবে কিনা সেটা মনে হয় ভাবা দরকার।

খেকশিয়াল এর ছবি

সহমত আর অনেক অনেক ধন্যবাদ, খুবই দরকার ছিল পোস্টটার চলুক

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ওডিন এর ছবি

সময়োচিত লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ছড়িয়ে দিলাম।
______________________________________
আসলে কি ফেরা যায়?

অমিত এর ছবি

গুরু গুরু

নাইম এর ছবি

পাকিস্তানি জ়েনারেলদের বিচার চাই, যেভাবে NAZI দের বিচার হয়েছিল এখন ও হছচে,কিন্তু এটা কি সম্ভব??

হাসিব এর ছবি

সম্ভব অসম্ভব পরের কথা । আগে তো চেষ্টা শুরু করতে হবে । নাকি ?

দুর্দান্ত এর ছবি

আগে নিজের দেশের মাটিতেই যেগুলো আছে সেগুলোর হিসাব নেয়া হোক।

পাকিস্তানের কথা বললে সেখানের সামরিক-অসামরিক আলাদা করে ভাবার কি দরকার? শুধু কি যারা এখানে এসে যুদ্ধ করেছে তাদের দোষ? যারা বেসামরিক সরকারি বা বেসরকারি অবস্থানে থেকে এই যুদ্ধের সমর্থন, মদদ ও রসদ যুগিয়েছে, অথবা জেনে বুঝেও এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেনি, তাদের ছাড় দেব কেন?

তবে কিছু ঘটনা চক্রাকারে ঘটে। ৭১ এ পাকিস্তান যা আমাদের করেছে, আজকে এসে আমেরিকা/তালেবান তার কিছু স্বাদ তাদের দিচ্ছে। তবে পাকিস্তানের মত নীচ হওয়া বোধহয় আমেরিকা/তালেবানের সম্ভব নয়।

দুর্দান্ত এর ছবি

আগে নিজের দেশের মাটিতেই যেগুলো আছে সেগুলোর হিসাব নেয়া হোক।

পাকিস্তানের কথা বললে সেখানের সামরিক-অসামরিক আলাদা করে ভাবার কি দরকার? শুধু কি যারা এখানে এসে যুদ্ধ করেছে তাদের দোষ? যারা বেসামরিক সরকারি বা বেসরকারি অবস্থানে থেকে এই যুদ্ধের সমর্থন, মদদ ও রসদ যুগিয়েছে, অথবা জেনে বুঝেও এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেনি, তাদের ছাড় দেব কেন?

কিছু ঘটনা চক্রাকারে ঘটে। ৭১ এ পাকিস্তান যা আমাদের করেছে, আজকে এসে আমেরিকা/তালেবান তার কিছু স্বাদ তাদের দিচ্ছে। তবে পাকিস্তানের মত নীচ হওয়া বোধহয় আমেরিকা/তালেবানের সম্ভব নয়।

দুর্দান্ত এর ছবি

আগে নিজের দেশের মাটিতেই যেগুলো আছে সেগুলোর হিসাব নেয়া হোক।

পাকিস্তানের কথা বললে সেখানের সামরিক-অসামরিক আলাদা করে ভাবার কি দরকার? শুধু কি যারা এখানে এসে যুদ্ধ করেছে তাদের দোষ? যারা বেসামরিক সরকারি বা বেসরকারি অবস্থানে থেকে এই যুদ্ধের সমর্থন, মদদ ও রসদ যুগিয়েছে, অথবা জেনে বুঝেও এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেনি, তাদের ছাড় দেব কেন?

কিছু ঘটনা চক্রাকারে ঘটে। ৭১ এ পাকিস্তান যা আমাদের করেছে, আজকে এসে আমেরিকা/তালেবান তার কিছু স্বাদ তাদের দিচ্ছে। তবে পাকিস্তানের মত নীচ হওয়া বোধহয় আমেরিকা/তালেবানের সম্ভব নয়।

তাসনীম [অতিথি] এর ছবি

Holocaust Denial Act-- সমর্থন করি, কিন্তু কতখানি সফল হবে সন্দেহ আছে, যে দেশে মানুষ খুনের বিচার হয় না। জামাত এখন অনেক strong, Thanks to জোট সরকার।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

পূর্ণ সহমত।

বর্ষা এর ছবি

উদ্ধৃতি
"আমরা স্বাধীনতা এনেছি, আমরাই তা রক্ষা করব"---এইটা পড়ে আমি আওয়ামীলীগ সরকারের দুর্বলতা বেশী চোখে পড়লো। এই সরকারের আমলে যদি এরা এই সাহস দেখাতে পারে, তাহলে সরকারের মুরোদ আর ইচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন জাগে মনে। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পোষ্ট , ফেইসবুকে আগেই ছড়িয়েছি।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

স্বাধীন এর ছবি

দরকার শুধু বিচারের পর্বটা শুরু করা। এতদিন বিচার না করে আজ তাঁদের এই পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়েছে। সবাই ব্লগে ব্লগে যেটা করেন, বিচারের কাজ শুরু করার জন্য আওয়াজ তুলেন। আমার মতে যতদিন বিচারের কাজ সত্যিকার অর্থে শুরু না হচ্ছে ততদিন একদিনের জন্যও ব্লগ খালি রাখা চলবে না। বিচারের দাবীতে লিখে জান সবাই।

সবার এক দাবী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। ব্যানার হোক, পোস্টার হোক, শ্লোগান হোক, কবিতা হোক, গান হোক, কার্টুন হোক, গল্প হোক, লেখা হোক। স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত আমরা এটা চালিয়ে যাই, আরা আওয়াজ তুলি স্বাধীনতা দিবসের আগেই বিচারের কাজ শুরু করা হয়েছে এটা দেখতে চাই।

আরিফ হাসান এর ছবি

পূর্ণ সহমত। গত কয়েকদিনের এইসব খবর দেখে মেজ়াজ় ঠান্ডা রাখা দায়...।

অতিথি লেখক এর ছবি

কেউ কি আমাকে আত্মঘাতী হামলার কৌশল শেখাবেন ?অথবা শক্তিশালী কোনা বোমা বানানোর কৌশল? কুত্তাগুলারে একসাথে বোমা মাইরা উড়ায় দিতাম। জীবনে একটা হইলেও ভালো কাজ হইতো।

---নীল ভূত।

হাসিব এর ছবি

আবেগ নিয়ন্ত্রিত থাকাই ভালো মনে হয় ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সহমত
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

আবেগ না... এটা হচ্ছে প্রতিশোধ দেঁতো হাসি

এতো সন্ত্রাসী হামলা হয়, একটা দুইটা অগো উপ্রে ফালায় না কেন ?

নীল ভূত।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

এইটা কি নইলেন.. নিজের গায়ে বোমা মারার মতন বলদ তো ওরা না.. তাইলে তো কোনো সমস্যাই থাকত না।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

সচল জাহিদ এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ গুরুত্ত্বপূর্ন ও তথ্যনির্ভর এই পোষ্টের জন্য।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ভণ্ড_মানব এর ছবি

ইতিহাস নিয়ে তামাশা বন্ধে আইন চাই

দুঃসাহসীদের সাহস যদি তাতে কিছু কমে...
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সিডিউল ঠেইলা ফেব্রুয়ারীতে পাঠাইছে। এখন ভাবতাছি এইটারে আবার কয় ঠেলায় ২০১৪ পার করে ....



অজ্ঞাতবাস

আশাহত এর ছবি

আইন করেও কি লাভ হবে? কত আইন হইল, কত আইন গেল, কত কিসুর মামলা হইল, কয়টা ফলল? দিনে দিনে জামাতের মিছিল বড় হয়, জামাতের ভোট বাড়ে, মন্ত্রীও হয়। দেশের মাইনষের বুদ্ধি না হইলে সত্তই একদিন "জয় বাংলা"র বদলে খালি "নারায়ে তকবির" শুনা যাবে।

দিনে দিনে খালি মোল্লার দৌড় বাড়তিসে!

আলমগীর এর ছবি

আইনতো করাই যায়। আবার পরে যারা আসবে তারা পাল্টাবে নিজেদের মতো।
হলোকাস্ট ঘটেনি- একথা বলার বিশ বছর পর অস্ট্রিয়াতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছে ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ একজন। নামটা স্পষ্ট মনে নেই। তত দিনে তিনি তার বিশ্বাস পাল্টেছেন বলেও রেহাই পাননি। জিও নিয়ে হাঁচি দিলেও সেটা এন্টিসেমিটিজম- বিশেষত ইউরোপ আর আমেরিকার দেশগুলোতে। কাজেই একটু ধন্ধ আছে।

আলীগ বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের জন্য যতটুকু আন্তরিক ছিল, যে পরিমাণ রিসোর্স ব্যয় করেছে তার কণামাত্রও করেনি জাতীয় নেতাদের হত্যার বিষয়ে। এখনও সেটা অব্যহত। আর সার্বিবভাবে পুরো যুদ্ধাপরাধের বিচারে তাদের অবস্থান দিনকে দিন পরিস্কার হচ্ছে। (এ সপ্তাহে প্রথম আলো আর মানবজমিনে দুটো রিপোর্ট অন্তত সে কথা বলে।) মানবজমিনের মতে অপ্রিয় অনেক কিছু বের হয়ে আসবে বলেই আলীগ পুরোনো কিছু ঘাটতে নারাজ এখন।

আলীগ প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, বিচার না করলে আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না, এসব কথা বাহুল্য। আলীগ খুব ভাল করেই জানে মুক্তমনা মানুষগুলার আলীগ ছাড়া গতি নাই- অন্তত ভোটের বেলায়। এটা এবার একেবারে প্রমাণিত ১১দলের সাথে বোঝাপড়া নিয়ে। বিপদ হলো জামাতও এসব জানে, তাই তারাও কথা বলতে ভয় পায় না। এত কিছুর সমীকরণের ভেতরে আর্মিও আছে।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

আলমগীর ভাইয়ের মন্তব্যে উত্তম জাঝা!

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

রানা মেহের এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ লেখা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

তুলিরেখা এর ছবি

খুব গুরুত্বপূর্ণ লেখা। খুব প্রয়োজনীয়।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

হাসিবের দাবির সাথে সহমত ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

সাইফ তাহসিন এর ছবি

খোমাখাতা আর জিটকে লটকাইলাম।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মামুন হক এর ছবি

একমত।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আইন করলে পরের সরকার এসে পাল্টে দিতে পারবে। আবার নতুন করে তৈরি করতে পারবে আইন। এমনকি আমাদের বিচার বিভাগও এখন দলীয় মতবাদের বাইরে থাকে না প্রায়ই। তাই আইনটি নিরাপদ থাকবে সে আশা করা যায় না।
হতো, যদি আইনটি সর্বজনগ্রাহ্য করা যেতো। সেটাই হওয়া উচিত ছিলো। কিন্তু তা হয়নি. কারণ গত ৩৮ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধ আর বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে নানারকম বিভ্রান্তিকর তথ্য শক্তিশালী হয়েছে।

আইন তৈরির আগে তাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন একটি সঠিক ইতিহাস প্রণয়ন করা। সরকারী আমলা আর দলীয় ভাঁড়দের বাদ দিয়ে যোগ্য ব্যক্তি দিয়ে তৈরি হোক সেই ইতিহাস।
আমি মনে করি সততার সঙ্গে যদি সেই ইতিহাস রচিত হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ তা গ্রহণ করবেই।
তারপর সেটাকে সংবিধানের মতো ধরাছোঁয়ার বাইরে রেখে দেওয়া হোক।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

নজরুলের মন্তব্যে উত্তম জাঝা!

চাই নিরংকুশ সত্যের আলোকে মুক্তিযুদ্ধের প্রামান্য ইতিহাস

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

অতিথি লেখক এর ছবি

সহমত নজরুল ইসলাম ভাই।

১. সবার আগে সর্বজনগ্রাহ্য সত্যিকারের ইতিহাস সংবিধানে লিপিবদ্ধ করতে হবে।

২. এই ইতিহাসকে সংবিধান সংশোধন করে "বিশেষ নিরাপত্তা হেফাজত" দিতে হবে, যেন সংবিধান সংশোধন করেও এই ইতিহাসকে পরিবর্তন বা বিলুপ্ত বা প্রতিস্থাপন করা না যায়। এর সাথে গনভোটের ব্যবস্থাও রাখা যেতে পারে।

৩. এই ইতিহাস সংবিধানে লিপিবদ্ধ হয়ে যাবার পর, কেউ যদি এটিকে বিকৃত করার চেষ্টা করে; রাষ্ট্র তার সংবিধানের শ্রেষ্ঠত্ব সমুন্বত রাখার জন্য আইন অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত করবে।

শেখ আমিনুল ইসলাম,

দ্রোহী এর ছবি

আইন হবে, পরের সরকার এসে সুবিধামতো সেই আইন পাল্টাবে নয়তো সংশোধন করবে। এইতো চলছে, চলবে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আইন অবশ্যই থাকতে হবে, সেটা বাতিল হবার আশংকা থাক সত্ত্বেও। চাই সেই আইনের দৃষ্টান্তমূল্ক প্রয়োগ। তাহলে কেঁচো গর্তে মাথা লুকাবে। সবার আগে চাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও কঠিন শাস্তি। তাহলে দেশদ্রোহীদের এসব বারফট্টাই করা বন্ধ হবে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌প্রশ্রয় দুঃসাহসকে উসকে দেয়।
গো-আজম, মুজাহিদ, মতির মতো ঘাতকের দুঃসাহসের উৎস স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারগুলো জিয়া, এরশাদ দিয়েছিল প্রশ্রয়। কিন্তু খালেদা জিয়ার আমল থেকে শুরু হলো অন্তরঙ্গ সাহচর্য। বিগত সরকারের বেডরুমে থাকা রাজাকারগুলো কি এই সরকারের আমলেও গনতন্ত্রের সুযোগে প্রশ্রয়ের ছায়া পেতেই থাকবে? বিজয় দিবসে তাদের এই দুঃসাহসে ক্রোধে জ্বলতে থাকা বাদে কিছুই করার নাই?

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

যেমনটা বলা হয় "শেখ মুজিবের আমলে যুদ্ধাপরাধীদের মাফ করে দেয়া হয়েছিল"
এই কথা আমি স্কুল-কলেজে আমাদের প্রজন্মের কিছু তরুণের মুখে শুনেছি বারকয়েক। নিঃসন্দেহে তাদের মাথায় কথাটি বেশ ভালভাবেই ঢুকিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থকেরা।
এটা খুব বিপজ্জনক।
ইতিহাস নিয়ে তামাশা বন্ধে আইন চাই।

------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

হাসিব এর ছবি

আইনের কার্যকারিতা নিয়ে হতাশদের বলছি -

একটা সার্বভৌম রাষ্ট্রে একটা আইন তৈরী করা অর্থ হলো একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে রাস্ট্রের অবস্থান ঘোষণা করা । এখন এই অবস্থান যদি না ঘোষণা করা হয় তাহলেই বরং যেমনে চলছে চলুক টাইপ অবস্থান সৃষ্টি হবার সম্ভাবনাটা বাড়ে ।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সেটাই। প্রয়োগ না হওয়াটা যতোটা হতাশার আইন না থাকাটা তার চেয়ে আরো বেশী। আইন থাকাটা জরুরী।
যেমন '৭৩ এর গনহত্যা বিরোধী আইনটি দীর্ঘবছর শীতঘুমে ফেলে রাখা হলে ও এসময়ে কাজে লাগার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

তানবীরা এর ছবি

একমত
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

কনফুসিয়াস এর ছবি
অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

আর কতদিন ঐ শয়তানগুলা শাড়ীর আঁচলের তলে বয়া বয়া তেলতেলা চামড়া দেখবো আর নয়া নয়া ইতিহাস লেখবো। এইগুলান বন করতে অবশ্যি আইন করা উচিত। হ, নতুন কেউ আসবো আবার আইন পরিবর্তন করবো, তো কি??? কতো আইনইতো আছে, পরিবর্তনও হইছে কিন্তু ঐসব আইনতো কিছু না কিছু উপকারও করছে। সব কিছু নিয়া নৈরাশ্যবাদিতা আমার পছন্দনা।

আইন চাই।

================================================
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

দৃশা এর ছবি

কার্যকারিতার কথা তো পরে আসে, আগে আইনটাতো তৈরী হউক। হিসাবমতে একটা আইন তখনই কার্যকর হয় যখন সেটাকে আমি আমরা সবাই মানি। তাই আগে আইন তৈরী হওয়া প্রয়োজন যেকোন পন্থায় হউক, এরপর না হয় তার কার্যকারিতা আর গ্রহনযোগ্যতা সহ বাকী বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠুক।
তবে বর্তমান সরকার যেভাবে ২০০'টি স্থাপনার নাম পালটানো নিয়ে তুমুল ব্যস্ত তাতেই না তাদের বাকী ৪'টা বছর কেটে যায়।

দৃশা

রণদীপম বসু এর ছবি

আমার জানার সীমাবদ্ধতা স্বীকার করেও খুব দুঃখ নিয়ে বলতে হয়, বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীতে আর কোন দেশ কি আছে যেখানে স্বাধীনতার পক্ষ-শক্তি ও বিপক্ষ-শক্তি বলে দুটো পক্ষ রয়েছে ?

তবে জামাত গং যেভাবে 'স্বাধীনতা এনেছি স্বাধীনতা রাখবো' জাতীয় কথাবার্তা শুরু করেছে, তাতে আগামীতে সবাই স্বাধীনতার পক্ষ-শক্তি হয়ে যাবে বুঝা-ই যাচ্ছে ! সম্ভবত সে সময়টুকু পর্যন্ত আওয়ামী সরকার অপেক্ষা করছে যাতে আর যুদ্ধাপরাধী বিচার না করতে হয় !

দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, এসব আলামত দুঃস্বপ্নে নয়, বাস্তবেই দেখা যাচ্ছে এখন। আগামীতে কি এটাই সত্য হবে ? কেননা সত্য হচ্ছে একটা আপেক্ষিক বোধ ও অবস্থা, পরিবেশের সাথে যার রঙ পাল্টাতে থাকে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

হাসিব এর ছবি

রণদীপম বসু, প্রাক্তন সোভিয়েত দেশগুলোতে এই স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি আছে । ওখানকার অনেকেই নিজেদের রাশান বলে । যে দেশে বাস করে সে দেশের জাতীয়তা বলে না ।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর অনেক রাজাকার আর আল-বদর মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট যোগাড় করেছে। আমরা তাকিয়ে দেখেছি। যুদ্ধাপরাধীরা বাংলাদেশের পতাকা গাড়িতে ঝুলিয়ে ভিয়াইপি সেজেছিল। আমরা দেখেছি। এখন বলতে শুরু করেছে- স্বাধীনতা ওদের দান। আমরা কেবল ব্লগে লিখছি।

যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির জন্য জনতার আন্দোলন দরকার। বিশাল আন্দোলন।

আজ এর ছবি

দেশদ্রোহিতা তেমন খারাপ কিছু নয়। কিন্তু যুদ্ধাপরাধ অমার্জনীয়। এদেশে যখন বরাহরা ক্ষমতায় বসবে (বেশিদিন বাকি নেই), আমি অবশ্যই দেশদ্রোহি হব। দেশদ্রোহিতা একধরনের অধিকার।

আশমএরশাদ [অতিথি] এর ছবি

পূর্ণ সহমত।

আরিফুর রহমান এর ছবি

জরুরী এই বিষয়টিতে আলোকপাত করার জন্য হাসিবকে ধন্যবাদ। ফেসবুকেও শেয়ার করলাম।

নীল ভ্রমর [অতিথি] এর ছবি

আইন চাই......আইন চাই। সবার সাথে সহমত। মোটেও নিরাশ নই।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

শুভাশীষ দাশ মন্তব্য করেছেন :
'বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর অনেক রাজাকার আর আল-বদর মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট যোগাড় করেছে। আমরা তাকিয়ে দেখেছি। যুদ্ধাপরাধীরা বাংলাদেশের পতাকা গাড়িতে ঝুলিয়ে ভিয়াইপি সেজেছিল। আমরা দেখেছি। এখন বলতে শুরু করেছে- স্বাধীনতা ওদের দান। আমরা কেবল ব্লগে লিখছি।'

কথাটা খুব সহজ। ওদের কার্যক্রমটা দলীয়, সঙ্ঘবদ্ধ, ইসলামি জঙ্গিবাদি ও পাকিস্তানি নীতিতে অচিন্তনীয় রকমের একতাবদ্ধ। বিপরীতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র, বিচ্ছিন্ন, একক, মতামত ও তথ্যের প্রশ্নে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের শিকার।
দলের বিপরীতে লড়তে হলে চাই দল, দলের বিপরীতে ব্যক্তি লড়তে পারে না। একজন মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বা হুমায়ুন আজাদের পক্ষে সম্ভব নয় এই লড়াই চালিয়ে যাওয়া।
তাহলে দরকার কী? দরকার একটা দল।
সেই দলটা আসবে কোত্থেকে? আমরা কি মনে করি, বর্তমান সরকার সেই দল, যে কিনা আমাদের সামনে সত্যিকার ইতিহাস তুলে ধরতে চায়? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে চায়? জামাতি রাজনীতিকে ঘৃণা করে?
বুকে হাত দিয়ে নিজেকে এই কথাটা জিজ্ঞেস করুন তো?
আমি জানি, উত্তর আসবে নেতিবাচক।
মুক্তিযুদ্ধের সময়কার আওয়ামী লীগ আর এখনকার আওয়ামী লীগ এক নয়। স্বর্গত দাদুমনির অপরাধের বিচার করতে গেলে এই সময়ের অনেক নাতি-নাতনির রোমান্টিক সম্পর্কই যে ভেস্তে যাবে! নাড়া পড়বে জমিদারবাড়ির পিলারে পিলারে!
অচিন্তনীয় রকমের ভোটের পেছনে আওয়ামী লীগকে যে কথা বলতে চেয়েছিল বাংলার মানুষ, আমার বিশ্বাস হয় না সেই কথাকে অনুবাদ করার মতো মানুষ আওয়ামী লীগে আছে।
বর্তমান আওয়ামী লীগ যতটা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি, তার চেয়ে অনেক বেশি রাজনৈতিক। ইতিহাসে তার কলঙ্কিত প্রমাণ দাগানো আছে।
না, সেই দল নেই। আছে জনমত। বিচ্ছিন্ন বিচ্ছিন্ন জনরব। পড়াশোনার ফাঁকে, চাকরির ফাঁকে, সংসারের ফাঁকে, জীবনযুদ্ধের ফাঁকে তীব্র রোষে তুলে ধরা মুষ্ঠিবদ্ধ হাত। একটা, দুটো, তিনটা, চারটা। এখানে, ওখানে, সেখানে।
কিন্তু এই হাতগুলোকে এক করবে কে?
এখানেই একটি দলের প্রশ্ন এসে যায়। মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে, সত্যিকার ইতিহাসের প্রশ্নে যারা ঐক্যমত, যাদের আছে নেটওয়ার্ক, যাদের আছে দলীয় কার্যক্রম, যাদের আছে জনমত অর্জনের শক্তি, যারা এই বিচ্ছিন্ন জনমতকে একত্র করে হাতুড়ির মতো আঘাত হেনে সরকারকে খাড়া করিয়ে দিতে পারে জামাতি বাহিনীর সামনে।
যুদ্ধাপরাধী/জামাত, বিএনপি ইতিহাস যে যার প্রয়োজনমতো ঢেলে সাজিয়েছে, যে যখন সুযোগ পেয়েছে। অত্যাচারটা চলেছে পাঠ্যপুস্তকের ওপর, সহযোগী হয়েছে নামিদামি বুদ্ধিজীবিও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিতন্ত্রী ভিসিরা কিন্তু সবাই অনেক মেধাবি, সুলেখক এবং পণ্ডিত। চিহ্নিত হবার পরও তাদের লেখায় প্রভাবিত হয়েছে ইতিহাস না জানা/রাজনৈতিক কামড়াকামড়ির কারণে ইতিহাস বিষয়ে বীতশ্রদ্ধ/পারিবারিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপযুক্ত আবহে বড় না হওয়া তরুণরা।
এর বিপরীতে একটা সঙ্ঘবদ্ধ দল তো দরকার! ঘাদানিক যে বিশাল ভরসা নিয়ে এগিয়ে এসেছিল, তা বাতাসে মিলিয়ে গেছে জাহানারা ইমামের মৃতু্যর সাথে সাথেই।
একটা দল দরকার!!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

হাসিব এর ছবি

মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে, সত্যিকার ইতিহাসের প্রশ্নে যারা ঐক্যমত, যাদের আছে নেটওয়ার্ক, যাদের আছে দলীয় কার্যক্রম, যাদের আছে জনমত অর্জনের শক্তি, যারা এই বিচ্ছিন্ন জনমতকে একত্র করে হাতুড়ির মতো আঘাত হেনে সরকারকে খাড়া করিয়ে দিতে পারে জামাতি বাহিনীর সামনে।

সমস্যাটা হলো এরকম বেশীরভাগই (নাম উল্লেখ করলাম না) পার্টিজানশীপে ভয়াবহ আক্রান্ত । দলের বিরুদ্ধে যায় এরকম সমস্ত কিছুই তারা ইগনোর করেন । আরোও একদল আছেন বিশেষ সময়ে যারা নরম সরম প্রতিবাদের বিশ্বাসী । রাস্তায় নামতে তাদের ব্যাপক অনাগ্রহ । নিজের দল ক্ষমতায় না থাকলে তারা আবার কাছা খুলে নামেন । এই দুইটা কারনে পার্টির ঘেরাটোপ থেকে বের হওয়া জনগণের সংগঠিত রূপ দেখা যায় না ।

স্যাম এর ছবি

এই আইন অতি সত্বর করা হোক - এ বিষয়ে সেদিন লেখা পান্ডব্দার পোস্টটিও খুব ভাল লেগেছে।
মৃদুল দা -

এর বিপরীতে একটা সঙ্ঘবদ্ধ দল তো দরকার! ঘাদানিক যে বিশাল ভরসা নিয়ে এগিয়ে এসেছিল, তা বাতাসে মিলিয়ে গেছে জাহানারা ইমামের মৃতু্যর সাথে সাথেই।

- ২০১৩ তে এসে অন্যরকম মনে হচ্ছেনা? হাসি

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ঠেলা


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

abdul karim এর ছবি

সহমত।

অতিথি লেখক এর ছবি

জামাতকে বাতিল করার চেয়ে বরং আপনার এই প্রস্তাবটার বাস্তবায়ন ভবিষ্যতের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে।
-- জ্যোতিস্কর দাদু

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক
পুরানো কথা, নতুন প্রাসঙ্গিকতা

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সুবোধ অবোধ এর ছবি

এটা যে খুবই দরকারি একটা লেখা ছিল, তা এখনও হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে। সহমত।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।