একজন "ব্যতিক্রমী সেক্টর কমান্ডার"

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: সোম, ১৯/১২/২০১৬ - ৩:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আসুন এ বছর বিজয় দিবসে 'প্রথম আলো'র ব্যতিক্রমী উপহার থেকে ছোট্ট এক টুকরো পড়ি।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কাল রাতে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একজন মেজর। সে রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে অস্ত্র খালাসরত পাকিস্তানি এক জেনারেলের কাছে তাঁকে পাঠানো হচ্ছিল। পরিকল্পনা ছিল তাঁকে ‘গ্রেপ্তার বা হত্যা’ করার (গোলাম মুরশিদ, মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর: একটি নির্দলীয় ইতিহাস)। পথিমধ্যে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের সংবাদ শোনামাত্র বিদ্রোহের সিদ্ধান্ত নেন। চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ফিরে এসে তাঁর কমান্ডিং অফিসারসহ অন্যান্য পাকিস্তানি অফিসার ও সৈন্যকে বন্দী করেন। পরদিন তিনি প্রাণভয়ে পলায়নপর মানুষকে থামিয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদ্দীপনাময় ভাষণ দিতে শুরু করেন (বেলাল মোহাম্মদ, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র)। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি বেতারে নিজ কণ্ঠে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

আসিফ নজরুলের প্রথম আলো বিজয় দিবস সংখ্যায় প্রকাশিত নিবন্ধের সূচনা এই প্যারাটি। খুব আশ্চর্য হয়ে খেয়াল করলাম যে ছোট্ট এই প্যারাতেই তিন তিনটি মিথ্যাচার। এই তিনটি মিথ্যে নিয়ে ছোট্ট একটু আলাপ।

প্রথম মিথ্যেটা মৃদু কিন্তু চরম অসৎ। চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ফিরে এসে তাঁর কমান্ডিং অফিসারসহ অন্যান্য পাকিস্তানি অফিসার ও সৈন্যকে বন্দী করেন

জিয়ার নিজের বক্তব্য অনুসারে ২৫শে মার্চ রাতে আগ্রাবাদে জনতার কাছে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরে আসার পর কমাণ্ডিং অফিসার কর্নেল জানজুয়াকে তিনি বন্দী করেন। কিন্তু বন্দী করার পরবর্তী ঘটনা আমরা আর জানতে পারি না। বন্দী কর্নেল জানজুয়াকে তিনি কার কাছে রেখে যান? সেই রাতে ক্যান্টনমেন্টে ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞ চলে বাঙালী সৈনিকদের উপর। অন্তত এক হাজার নিরস্ত্র সৈনিক মারা যায়। জিয়ার স্ত্রীপুত্র তখন চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে। যার স্বামী বিদ্রোহ করেছেন পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে, যার স্বামী তার কমাণ্ডিং অফিসারকে বন্দী করেছেন, তিনি সেই পাকিস্তানী সেনাবেষ্টিত ক্যান্টনমেন্টে অবস্থান করছিলেন। পরের ইতিহাস যারা জানে তারা দেখবে কর্নেল জানজুয়া একদিন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হবেন। তখন বেগম জিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বেগম জিয়ার প্রধানমন্ত্রীত্বকালে যখন জেনারেল জানজুয়া মারা যান, তখন প্রটোকল উপেক্ষা করে বেগম জিয়া শোকবার্তা পাঠান জানজুয়া পরিবারের কাছে। একাত্তরে ঢাকা সেনানিবাসে স্বেচ্ছায় 'বন্দী' হবার সমীকরণ তখন মিলে যায়।

দ্বিতীয় মিথ্যেটা তীব্র দুর্গন্ধযুক্ত। পরদিন তিনি প্রাণভয়ে পলায়নপর মানুষকে থামিয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদ্দীপনাময় ভাষণ দিতে শুরু করেন

কোন এলাকার মানুষকে তিনি কোথায় যেতে বাধা দিচ্ছিলেন? চট্টগ্রাম শহরের মানুষ? চট্টগ্রামের লোক তখনো তো পালাতে শুরু করেনি। চট্টগ্রাম থেকে প্রথম পালিয়েছিলেন মেজর জিয়া। ২৫শে মার্চ রাতে। সেই রাতে তিনি অস্ত্র নামাতে বন্দরে যাবার সময় বাধা এবং সেনানিবাস আক্রমনের খবর পেয়ে আগ্রাবাদ থেকে ফিরে আসার পর দলবল নিয়ে কর্নফুলী নদী পেরিয়ে করলডেঙ্গা পাহাড়ে আশ্রয় নেন। যিনি নিজে পালিয়েছেন জনবিরল এক পাহাড়ি এলাকায়, তিনি কাদেরকে বাধা দিচ্ছিলেন পালিয়ে না যেতে? বরং কাপ্তাই থেকে ক্যাপ্টেন রফিকের ডাকে আগত ইপিআর সৈন্যদের বাধা দিয়েছিলেন পাকিস্তানীদের সাথে শহরে যুদ্ধরত রফিকের সাথে যোগ দিতে। সেদিন একমাত্র ক্যাপ্টেন রফিকই যুদ্ধ করছিলেন তাঁর সীমিত অস্ত্রবল নিয়ে। মেজর জিয়াকে দুদিন আগে সিআরবি পাহাড়ে ডেকে অনুরোধ করেছিলেন তাঁর সাথে যোগ দিতে। জিয়া তাঁকে কোর্ট মার্শালের ভয় দেখিয়ে যোগ তো দেননি, বরং সোয়াত থেকে অস্ত্র খালাসের কাজে যাচ্ছিলেন পঁচিশে মার্চের রাতে।

তৃতীয় মিথ্যেটা সবচেয়ে ভয়ংকর এবং ইতিহাস হন্তারক। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি বেতারে নিজ কণ্ঠে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

আপাত নিরীহ এই তৃতীয় মিথ্যেটি হলো উপরে দেয়া বাকী দুটো বক্তব্যের চুড়ান্ত ফলাফল বা উপসংহার। উপসংহারটি হলো - মেজর জিয়া পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তার কমাণ্ডিং অফিসারকে বন্দী করে রাস্তায় নেমে আসেন এবং পালাতে থাকা লোকজনকে ভাষণ দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগদানের জন্য আহবান করেন এবং তারপর চট্টগ্রাম বেতারে গিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণা শুনে দেশের মানুষ উদ্দীপিত হয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

কিন্তু বাস্তবতা কী বলে?

চট্টগ্রাম শহর তখনো পাকিস্তানীদের করায়ত্ত্ব হয়নি। ক্যাপ্টেন রফিক সিআরবি পাহাড় থেকে পাকিস্তানীদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন ইপিআরের সীমিত অস্ত্রবল নিয়ে। মেজর জিয়াকে তিনি দুদিন আগেই জানিয়েছিলেন তাঁর সাথে বিদ্রোহে যোগ দিতে, কিন্তু জিয়া বিদ্রোহে যোগ দেননি। পঁচিশে মার্চ বাধ্য হয়ে 'বিদ্রোহ' করে মাঝরাতের পর চট্টগ্রাম শহর ছেড়ে কালুরঘাট সেতু পেরিয়ে বোয়ালখালী থানার করলডেঙ্গা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান নেন। ২৬ তারিখ সেখান থেকে চলে যান আরো দক্ষিণের পটিয়া থানায়। খুঁজতে খুঁজতে বেলাল মোহাম্মদ যখন তাঁকে পান তখন তিনি পটিয়া থানার ওসির কক্ষে বসে মুরগীর ঠ্যাং চিবোচ্ছিলেন। সেই অবস্থাতে তাঁকে অনুরোধ করা হলো কালুরঘাট বেতারের নিরাপত্তার একটা ব্যবস্থা করতে। তিনি নিরাপত্তা দিতে রাজী হলেন এবং সম্ভবতঃ ওদিকে পাকিস্তানী সৈন্যদের আক্রমন শুরু হয়নি জেনে নিজেই সৈন্যদল নিয়ে কালুরঘাট বেতারে এসে উপস্থিত হন ২৭ তারিখ বিকেলে। সেই সময়ে স্বাধীনতার ঘোষণা একাধিকবার পাঠ হয়ে গেছে এম এ হান্নান সহ আরো কয়েকজনের মুখে। বেলাল মোহাম্মদ তখন একজন 'মেজর' হিসেবে ঘোষণাটি পাঠ করার অনুরোধ করলে জিয়া সানন্দে ঘোষণাটি পাঠ করেন।

এসব ইতিহাস এখন সবার জানা। একাত্তরের পঁচিশে মার্চ থেকে সাতাশে মার্চ চট্টগ্রামে কী ঘটেছিল তার ইতিহাস জানতে মাত্র দুটো বই যথেষ্ট। মেজর (অব) বীরউত্তম রফিকুল ইসলামের 'লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে' এবং বেলাল মোহাম্মদের 'স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র' বই দুটিতেই এই ইস্যুর প্রায় সকল তথ্য আছে। এই দুজন চট্টগ্রামে ছিলেন, জিয়ার সাথেও যোগাযোগ ছিল তাদের, জিয়াও তাদের অস্বীকার করেনি। এই দুটি বইয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে খুব বেশী আপত্তি দেখিনি। অন্ততঃ সেই সব তথ্য যা নিয়ে আসিফ নজরুল এখন নাড়াচাড়া করছেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে। এ যুগের তরুণদের কাছে এই তথ্যগুলো অনেক বেশী পরিষ্কার।

তবু কোন খেয়ালে, কী উদ্দেশ্যে আসিফ নজরুল সাহেবরা এসব মীমাংসিত বিষয়ে নতুন করে মশলাপাতি যোগ করছেন তা বোঝা মুশকিল। তিনি অবশ্য প্রতিটি বাক্যে অন্যজনের ঘাড়ে বন্দুক রাখার চেষ্টা করেছেন। অমুক বাক্যটি তমুক ব্যক্তির বইতে আছে। সেই ব্যক্তিদের বই থেকে বেছে বেছে সুবিধাজনক বাক্যগুলি এনে জিয়ার অনুকুল পরিস্থিতি তৈরী করার উদ্দেশ্যটা ইতিহাসের জন্য শুভ নয়। এদেশে শিক্ষিত লোকগুলোর মিথ্যাচার নিয়ে আমাদেরকে বারবার বিভ্রান্ত হতে হয়েছে। ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেবার চেষ্টা হয়েছে একের পর এক।

বাংলাদেশের বিশাল একটা জনগোষ্ঠী ছাপার অক্ষরে কিছু দেখলে তাতে ঈমান আনে। আজকাল তাতে যোগ হয়েছে ইন্টারনেট। যে মানুষগুলো মিথ্যাচারে পারদর্শী তারা যদি বিখ্যাত হন তাহলে বিপদ আরো বেশী। আর সেই বিখ্যাত মানুষের সাথে যদি যোগ হয় বড় কোন পত্রিকা, তাহলে তো কুৎসিততম মিথ্যাও নির্ভয়ে হাইওয়ে ধরে চলতে পারে। আর ছাপার অক্ষরে ঈমান আনা সরল জনতা তখন তাদের পরিবেশিত বিকৃত সত্য কিংবা নির্ভেজাল মিথ্যাচারগুলোকে বাইবেলরূপে বিশ্বাস করে।

আসিফ নজরুল ইতিহাসকে সত্যের মোড়কে কুৎসিত মিথ্যের কিমা বানিয়ে পরিবেশন দক্ষতায় প্রথম সারির কারিগর। তাই তার প্রথম আলোর 'ব্যতিক্রমী সেক্টর কমাণ্ডার' বিজ্ঞাপনচিত্রটি পড়ে খুব অবাক হইনি।

জনাব আসিফ নজরুল, আপনার সাথে আমি একমত। মেজর জিয়া সব সেক্টর কমাণ্ডারদের মধ্যে সত্যি ব্যতিক্রম। একমাত্র তাঁকেই জোর করে মুক্তিযুদ্ধে টেনে আনতে হয়েছিল।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

পরের ইতিহাস যারা জানে তারা দেখবে কর্নেল জানজুয়া একদিন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হবেন।

জিয়ার হুকুমে প্রথমে বন্দী পরে নিহত লেফটেন্যান্ট কর্নেল রশিদ জানজুয়া (৮ম বেঙ্গলের সিও) আর পরবর্তীতে জেনারেল হওয়া (আসিফ নেওয়াজ(?)) জানজুয়া ভিন্ন লোক। জিয়া ৮ম বেঙ্গলের টুআইসি ছিলেন, তিনি তাঁর ব্যাটেলিয়নের বাঙালি সেনা-কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে সরে পড়েন, যখন ইবিআরসিতে ২২তম বালুচ রেজিমেন্টের হাতে ইবিআরসির নিরস্ত্র বাঙালি সেনা-কর্তারা কচুকাটা হচ্ছে। জিয়া প্রতিরোধ করলে সেখানে অনেক সেনা-কর্তার প্রাণ বাঁচতো হয়তো।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

দুঃখিত জানজুয়া বিষয়ে একটু তথ্য বিভ্রাট ঘটেছে। ঢাকার তৎকালীন ব্রিগেড কমাণ্ডার আসিফ নাওয়াজ জানজুয়ার আতিথ্য গ্রহন করেছিলেন খালেদা জিয়া। চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে কার আতিথ্যে ছিলেন সেটা জানতে পারিনি। চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের জানজুয়াকে মেজর জিয়া 'বন্দী' করেছেন এটুকু জানি। পাকিস্তানী আর্মি স্টাফ কলেজ সাইটে তাকে ২৬শে মার্চ ১৯৭১ শহীদ হিসেবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু কারা তাকে হত্যা করেছে সে সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজ পাইনি। বাঙালী কোন সেনাদলের পক্ষ থেকে সে রাতে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে কোন অপারেশান হয়েছে বলেও জানা নেই। এখানে একটু ধোঁয়াশা আছে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

হিমু এর ছবি

রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের "লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে" বইটাতে এ পর্বের খানিক বর্ণনা আছে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

দ্বিতীয় জানজুয়া'র (জেনারেল) ওপর বিস্তারিত কোন রেফারেন্স জানেন?

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

হিমু এর ছবি

সে এক রহস্যপ্রুশ।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

দেঁতো হাসি আপনার মাথায় কি নতুন কোনও গল্পের প্লট ঘুরঘুর করছে? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মন মাঝি এর ছবি

২য় জাঞ্জুয়া নাকি ৭১-এর পরেও একবার বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন অনেক পরে। সম্ভবত ৯০-র দশকে (আমার সঠিক মনে নেই - ভুলও হতে পারে)। আমার এক প্রাক্তন সিনিয়র সাংবাদিক সহকর্মীর মুখে শুনেছি - যিনি তখন বাসস-এ কর্মরত ছিলেন - সরকারের প্রেস/মিডিয়া সংক্রান্ত বিশেষ বিভাগ থেকে তখন গভীর রাতে হঠাৎ নির্দেশ এসেছিল ঐ "জাঞ্জুয়া" নাম / ছবি চেপে যেতে।

****************************************

মন মাঝি এর ছবি

আমার খুব কৌতুহল ব্যাটা ঠিক কবে এসেছিল এবং এখানে কার 'আতিথ্য' গ্রহণ করেছিল জানতে! চিন্তিত

****************************************

হিমু এর ছবি

রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে...

মন মাঝি এর ছবি

এই সুযোগে ঝাকানাকে লাগিয়ে দেন এই কেইসে আর আমরাও এক ঢিলে দুই পাখি মারি! কি বলেন? দেঁতো হাসি

****************************************

হিমু এর ছবি

বেশি ডার্ক। কেস তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

একটু সংশোধনী। চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে আক্রমন করেছিল ২০ বালুচ রেজিমেন্ট। ২২ বালুচ ছিল ঢাকা আক্রমনে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সোহেল ইমাম এর ছবি

সত্যিই জিয়া একজন ব্যতিক্রমী সেক্টর কমাণ্ডার, মেজর রফিক বিদ্রোহের আহ্বান জানালে বলেন আমরা পলিটিশিয়ান নই, আবার শেষকালে কিন্তু পলিটিসিয়ানই হয়ে দাঁড়ালেন, তাকে নিয়ে তার স্বাধীনতা ইত্যাদির ঘোষণা নিয়ে পরবর্তীতেও পলিটিকস কম হয়নি। অন্তত এটুকু বোঝা যাচ্ছে জিয়ার মুরিদ গোত্রে একটু হলেও হুঁস ফিরছে তারা ভাবছেন স্বাধীনতা যুদ্ধ, একাত্তর জিনিসটাকে অগ্রাহ্য না করে একটু ব্যবহার করা যাক। বিএনপির পক্ষ থেকে এক স্বাধীনতার ঘোষনা নিয়ে থোড়বড়িখাড়া গোছের দাবী ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে খুব বেশি সম্মান জনক কথাবার্তা অনেক দিনই শোনা যায়না।

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

ইয়ামেন এর ছবি

বিশেষ করে স্বাধীনতা ঘোষণা নিয়ে আবার এতদিন পর আসিফ নজরুল এমন নির্জলা মিথ্যা কথা কিভাবে লেখার সাহস পেলো এতে অবাক হইলাম। তবে আসিফ মিয়া যেই লেভেলের নির্লজ্জ, টেকাটুকা হালাল করতে যে এই মিথ্যা আবার এস্টাব্লিশ করার চেষ্টা করতে পারে, এতে হয়তো অবাক না হইলেও পারতাম।

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

ফাহাদ এর ছবি

জিয়ার স্বাধীনতার "ঘোষক" হওয়াটা বেশ ইন্টারেস্টিং। আসিফ নজরুল বেলাল মোহাম্মদের বইয়ের কথা পাল্টে দিয়েছেন।বই থেকে সরাসরি কোট করে দিলাম

অফিস-কক্ষে শুধু আমরা দুজন। আমি ও মেজর জিয়াউর রহমান। বলেছিলাম : আচ্ছা, মেজর সাহেব, আমরা তো সব 'মাইনর', আপনি মেজর হিসেবে স্বকণ্ঠে কিছু প্রচার করলে কেমন হয়।
কথাটা ছিল নিতান্ত রসিকতা। তিনি নিয়েছিলেন গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব হিসেবে। সঙ্গে সঙ্গে বলেছিলেন : হ্যাঁ। কিন্তু কি বলা যায়, বলুন তো।

এই হচ্ছে বাংলার প্রথম রেডিও জকির ইতিহাস।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আসলেই ব্যাতিক্রমী সেক্টর কমান্ডার! নিজে কোন যুদ্ধ করেন নাই, তার বাহিনীর লোকজন যুদ্ধে গেলে নিরাপদ দূরত্বে বসে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে যুদ্ধের ফলাফল শুনতেন। হাততালি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।