(সতর্কতা:এই গল্পে এমন কিছু রক্তাক্ত সত্য বিবরণ আছে যা দুর্বল হৃদয়ের জন্য সহনশীল নাও হতে পারে)
দেশকালসময় সবকিছুর উর্ধে চলে যাবার পরও ক্ষীরোদরঞ্জন নাথ কিছুতেই দৃশ্যটা ভুলতে পারছেন না। নিরবালা দেবী তাঁর স্ত্রী হলেও তার মাথার উপর নিজের কাটামুণ্ডুটি এভাবে হাজির হবে ব্যাপারটা তিনি মেনে নিতে পারেননি। তখনো তার চক্ষু মুদে আসেনি। তিনি স্পষ্ট দেখতে পেয়েছেন কয়েক সেকেণ্ডের সচেতন অচেতনের মাঝামাঝি ভাষাতীত এক মুহুর্ত ছিল সেটি। কাট্টলীর নাথ পাড়ার সবগুলো প্রাচীন বৃক্ষ, সমুদ্রের হাওয়া, চৈতালী ঝড় ক্ষীরোদরঞ্জনের সাথে একমত। তাঁর কোন অভিযোগ নেই কারো কাছে। তবে সেই ঘটনার পর থেকে তিনি শুধু ঘুরে ঘুরে সেই খুঁটিটার কাছে ফিরে আসেন। যে খুঁটির নীচে ঠেস দিয়ে বসে ছিল নিরবালা দেবী। আসলে ঠেস দেয়নি, একটা পাটের দড়িতে বাঁধা ছিল নিরবালা দেবীর শরীরটা।
[justify]ডিসেম্বর মাস আসলে পাকিস্তানের মিডিয়াগুলোতে ‘১৬ই ডিসেম্বর’ প্রসঙ্গে মৃদু নড়াচড়া শুরু হয়। এই সময়ে ‘Dhaka Fall’ নামে ‘ভারতের কাছে যুদ্ধে পরাজয়’ অথবা ‘দেশ ভাঙা’ অথবা ‘পূর্ব পাকিস্তান হারানো’ প্রসঙ্গে কিছু পাকিস্তানী বক্তা টকশো বা সাক্ষাতকারে গরম গরম কথা বলার বা পাকিস্তানী লেখক পত্রিকার কলামে বা ব্লগে গরম গরম লেখার চেষ্টা করেন। বিষয়টা তাদের কাছে গৌরবের না বলে এইসব গরম বক্তা-লেখকগণ চেষ্টা করেন
এই ঘটনাটি অনেকেই জানেন না। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বিকেল সাড়ে চারটায় পাকিস্তানীরা ঢাকার রেসকোর্সে আত্মসমর্পন করলেও চট্টগ্রাম শহর তখনো বিপদমুক্ত হয়নি। চট্টগ্রামের পাক বাহিনীর আত্মসমর্পনের কথা ছিল পরদিন। সেদিন চট্টগ্রাম আরেকটি ভয়াবহ রক্তপাতের সাক্ষী হতে পারতো। ঘটনাটি ঘটতে যাচ্ছিল আগ্রাবাদ হোটেলে। সাক্ষী ছিলেন জাপানী রেডক্রস কর্মী তাদামাসা হুকিউরা।
সুতপা’র একটা চিঠি পেয়েছিলাম।
চৈত্রের তারিখটা মনে নেই।
ও লিখেছিল-
“জানিস এপ্রিলের আগে হয়তোবা পরে অথবা মার্চের শেষেই
ওরা মানে পাষন্ডগুলো, কী জানি নি দোষ পেয়েছিল বাবার,
তাঁর বলিষ্ঠ দেহটাকে মেরে খাক করে ফেলেছিল, ফুটন্ত পানিতে ডুবিয়ে রেখেছিল বাবাকে।
উহ কি নির্মম অত্যাচার সহ্য করেছিলেন বাবা!
ওপার থেকে শুনে যখন ছুটে এলাম
তখন তাঁর মৃত, দগ্ধ দেহটাকে মাটি চাপা দিয়ে রেখেছিল কেবা কারা।
ঘটনাটি তুচ্ছ এবং আপাতঃ অনুল্লেখযোগ্য। তবু কোন ঘটনা ইতিহাসের কোন সুত্রে কাজে লেগে যায় কেউ জানে না। যে কারণে বলা হয়, ভবিষ্যতের কাছে অনেক উত্তর লুকোনো থাকে।
একাত্তরের পঁচিশে মার্চ। রাত সাড়ে দশটার পর বঙ্গবন্ধুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেন তাঁর ঘনিষ্ট তিন সহচর। নেতার নির্দেশে আত্মগোপনে যাবার জন্য গাড়িতে উঠলেন তাঁরা। গাড়ি চলছে এবং উদ্বিগ্ন তিন নেতা আলাপ করছেন কী করা যায়, কোথায় যাওয়া যায়। পালানোর জায়গা স্থির হয়নি তখনো।
ধানমণ্ডি ১৩ নম্বর সড়কে আসার পর হঠাৎ করে তাদের একজন বললেন, গাড়িটা থামুক। তিনি ওখানে নেমে যাবেন। বাকী দুজন অবাক হলেন। এভাবে মাঝপথে নেমে যাওয়াতে আপত্তি করলেন। তিনি মানলেন না- জোর করে নেমে পড়লেন গাড়ি থেকে। ওখানে তাঁর এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নিলেন।
বিদগ্ধজনের প্রশংসা এবং মলাটের উপর বাংলা একাডেমি পুরস্কারের সিল দেখে এক পাঠক বইটা পড়তে শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা উপন্যাসটির যাত্রা শুরু হয় একাত্তরের মার্চের প্রথম সপ্তাহে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সম্মুখভাগ থেকে। প্রধান চরিত্র মানিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টগবগে তরুণ ছাত্র। পিতা গ্রামের প্রভাবশালী আওয়ামী নেতা। মানিক ভিড় ঠেলে বঙ্গবন্ধুকে এক পলক দেখে উজ্জীবিত হয় কিন্তু ৭ মার্চের ভাষণের পর দেশে গণ্ডগো
[ধারাবাহিক উপন্যাস]
আকাশলীনা নিধি, নজরুল ইসলাম দেলগীর
১.
’আছে মুরগী, দেশি মুরগী, মুরগী নিবেন মুরগীইইইই’ বলে রাস্তায় ফেরিওয়ালা চেঁচাচ্ছে। সেই শব্দে জয়ার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। মুরগীওয়ালা রাস্তা দিয়ে এখনো ন্যাকা স্বরে ’আছে মুরগী, মুরগী নিবেন মুরগীইইইই’ বলে চেঁচাচ্ছে। জয়া বিরক্ত হয়ে কম্বল মুড়ি দিয়ে আবার ঘুমুতে নেয় আর তক্ষুণি তার মনে পড়ে যায়, ইশকুল!
গতবছর অমর একুশে নিয়ে বাণিজ্য এবং তা কতটুকু কুরুচিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা নিয়ে সচলে লিখেছিলাম (এখানে)। আমার ধারনা ছিল আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের ভাবগাম্ভীর্যতা যথাযথভাবে বজায় না রেখে সেটাকে বোধহীনভাবে পুঁজি করে ব্যাবসা করার প্রচলনটা সাম্প্রতিক। আজ আমার কাছে থাকা সংবাদপত্রের ই-আর্কাইভের একটা খবর দেখে ভুলটা ভাঙলো। নীচে সেই খবরের স্ক্র
আহা রে---এই লোকটার এত ভালো হবার কোনই দরকার ছিল না! ছোট দেশের ছোট ছোট মন নিয়ে ঘুরে-বেড়ানো মানুষ আমরা। বড় মাপের মানুষ এই দেশে আঁটবে কেন?