একজন ঝামেলামুক্ত বিশেষজ্ঞ পশ্চাদপ্রদর্শক

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শনি, ০১/০৯/২০১৮ - ১:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঘটনাটি তুচ্ছ এবং আপাতঃ অনুল্লেখযোগ্য। তবু কোন ঘটনা ইতিহাসের কোন সুত্রে কাজে লেগে যায় কেউ জানে না। যে কারণে বলা হয়, ভবিষ্যতের কাছে অনেক উত্তর লুকোনো থাকে।

একাত্তরের পঁচিশে মার্চ। রাত সাড়ে দশটার পর বঙ্গবন্ধুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেন তাঁর ঘনিষ্ট তিন সহচর। নেতার নির্দেশে আত্মগোপনে যাবার জন্য গাড়িতে উঠলেন তাঁরা। গাড়ি চলছে এবং উদ্বিগ্ন তিন নেতা আলাপ করছেন কী করা যায়, কোথায় যাওয়া যায়। পালানোর জায়গা স্থির হয়নি তখনো।

ধানমণ্ডি ১৩ নম্বর সড়কে আসার পর হঠাৎ করে তাদের একজন বললেন, গাড়িটা থামুক। তিনি ওখানে নেমে যাবেন। বাকী দুজন অবাক হলেন। এভাবে মাঝপথে নেমে যাওয়াতে আপত্তি করলেন। তিনি মানলেন না- জোর করে নেমে পড়লেন গাড়ি থেকে। ওখানে তাঁর এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নিলেন।

নেমে যাওয়া নেতাটি ড. কামাল হোসেন। বাকী দুজন অনেক কসরত করে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পৌঁছে প্রবাসী সরকার গঠনের কাজ শুরু করলেন। সে দুজন হলেন তাজউদ্দিন আহমদ ও ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম।

এই ঘটনা সবার জানা।

এবার একটি কম জানা তথ্যের দিকে চোখ ফেরানো যাক।

ড. কামাল হোসেনের বোন আহমদী বেগমের স্বামী আমানউল্লাহ খান। তিনি জেনারেল মিঠা খানের ঘনিষ্ট বন্ধু। ঢাকায় আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপনরত অবস্থায় ২৮শে মার্চ কামাল হোসেন তার ভগ্নিপতি আমানের মাধ্যমে জেনারেল মিঠার কাছে একটি বার্তা পাঠালেন। তিনি ঢাকার গোলযোগ পরিস্থিতিতে ভীষণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, সুতরাং তাকে যেন অচিরেই গ্রেফতার করে নিরাপদে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। কারাবন্দী থাকলেও শ্বশুরবাড়িতে তাঁর খুব বেশী ভয়ের কারণ হবে না। (সুত্র : জেনারেল মিঠা খানের সাক্ষাতকার, 'পাকিস্তানী জেনারেলের মন' - মুনতাসীর মামুন)

ওদিকে রাও ফরমান আলীও লিখেছিল - কামাল হোসেন নিজেই তো মেজর জেনারেল মিঠার সাথে সাক্ষাতের জন্য এসে উপস্থিত হয়েছিলেন। (বাংলাদেশের জন্ম- রাও ফরমান আলী, পৃ.৮১)

ড. কামাল হোসেন নিজেও জানাচ্ছেন তাঁকে গ্রেফতার করা হয় লালমাটিয়ার এক আত্মীয় বাসা থেকে ৪ এপ্রিল ১৯৭১। সেখান থেকে প্লেনে করে পশ্চিম পাকিস্তান। সেই একই প্লেনে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা ব্রিগেডিয়ার মজুমদারকেও পাকিস্তানে নেয়া হয়েছিল। (ড. কামাল হোসেনের সাক্ষাতকার 'সাপ্তাহিক' পত্রিকার সাথে)।

সব মিলিয়ে মনে হয় তিনি গ্রেফতারে অসুখী ছিলেন না। তিনি পাকিস্তানে থাকলেও বঙ্গবন্ধুর সাথে কোন যোগাযোগ ছিল না। তাঁকে আলাদা কারাগারে রাখা হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন হলো সত্যিই তিনি নিজে গ্রেফতার হবার জন্য আবেদন করেছিলেন কিনা। যে কারো পক্ষে এটা প্রমাণ করা কঠিন। তবে আমি নিশ্চিত মুক্তিযুদ্ধ গবেষকদের কাছে এই বিষয়ে আরো ভালো তথ্য আছে।

বিষয়টি নিয়ে এত বছর পরও নাড়া দেবার কারণ হলো, তাঁর সম্পর্কে আমার একটি অভিমত ব্যক্ত করা। আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ হলো ড. কামাল হোসেন বরাবরই একজন ঝামেলামুক্ত মানুষ। ঝামেলা দেখলেই তিনি সময়মত পশ্চাদপ্রদর্শন করেন। এই পারদর্শীতার কারণে তিনি এই জোট সেই জোট পেরিয়ে বাংলাদেশের কুটিল রাজনীতিতে এখনো টিকে আছেন। কারণ তিনি সবসময় ঝামেলা এড়িয়ে রাজনীতি ব্যবসার ফলাফল উপভোগ করতে পছন্দ করেন। বর্তমান পরিস্থিতিতেও তিনি তাই করবেন বলে ধারণা। যারা তাঁকে নিয়ে জোট করেছেন তারাও অচিরে সেটা উপভোগ করবেন।


মন্তব্য

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

গুড জব বস্‌!

পতিত সামরিক স্বৈরাচার এরশাদের আমলে তেল কোম্পানী 'সিমিটার'-এর সাথে বাংলাদেশ সরকারের সম্পাদিত চুক্তির অসঙ্গতি নির্ণয়ে গঠিত গণতদন্ত কমিশনের প্রধান হিসাবে উনি জানান যে চুক্তিটিতে বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি। তখন এরশাদ সরকার জানিয়ে দেয় যে, চুক্তিটি করার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের পরামর্শক ছিলেন উনি নিজেই। তখন খবরের কাগজে এসব নিয়ে একটা ছড়া বের হয়েছিল। পুরোটা মনে নাই।

"কামাল তুনে কামাল কিয়া ভাই
গাছেরটা খাও, তলারটা খাও তোমার জুড়ি নাই
হায়রে এতো তাড়াতাড়ি
ভেঙে দিলো হাটে হাঁড়ি
ভুলে গেলো এতো দিনের পুরনো আশনাই"

"যারা তাঁকে নিয়ে জোট করেছেন তারাও অচিরে সেটা উপভোগ করবেন" > "যারা তাঁকে নিয়ে জোট করেছেন তারাও অচিরে সেটা উপলব্ধি করবেন" - এমনটা হবার কথা না!


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

'উপভোগ' - স্যাটায়ারিস্টিক অর্থে লিখেছি হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নীড় সন্ধানী এর ছবি

সিমিটারের ঘটনাটা কৌতুকের শামিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ঠিক মনে পড়ছে না, কামাল হোসেন নাইকোর উকিল হিসেবেও কাজ করেছিলেন বোধহয়। এরকম কেস আরো পাওয়া যাবে খুঁজলে। আন্তর্জাতিক খ্যাতির এই এক বিড়ম্বনা বটে!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

হাসিব এর ছবি

পড়ি পড়ি করেও মুনতাসির মামুনের বইটা এখনও পড়া হয়ে ওঠেনি। পড়া থাকলে হয়তো বুঝতাম কামালুকিলের কতিপয় fanboi কেন মুনতাসির মামুনের উপর ক্ষিপ্ত।
আর উনি ঝামেলা দেখলে বিদেশে উড়াল দেন এটা সত্য। আবার এও হতে পারে উনি নিজেকে উনার আশপাশের প্রাক্তনদের সবার উপরে না দেখতে পেলে লন্ডন গিয়ে ফোন বন্ধ করে বসে থাকেন। উনার কার্যকলাপ নিয়ে দুটো ইন্টারেস্টিং স্টাডি হতে পারে,
১। উনার প্রতি বার রাজনৈতিক উদ্যোগ, সেখানে সবার উপরে ছড়ি ঘোরানর ক্ষমতা হারানোর সাথে বিদেশে গিয়ে গায়েব হয়ে যাওয়া সংক্রান্ত একটা ইভেন্ট স্টাডি।
২। নির্বাচন ঘনিয়ে এলে উনার বিবিধ পশ্চিমা অ্য্যাম্বেসিতে ও সেখানকার লোকেদের সাথে ওঠাবসার একটা সিজনাল স্টাডি।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ভবিষ্যতে ওনার জীবনের উপর সফট পলিটিকো সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার তৈরী করার সম্ভাবনাও যাচাই করে দেখতে পারে চলচ্চিত্র বোদ্ধারা। দশকে দশকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটি চালানের যেসব আন্তর্জাতিক তৎপরতা জড়িত সেখানে আরো কয়েকজনের সাথে তাঁর নাম শীর্ষস্থানে থাকবে নিঃসন্দেহে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

হিমু এর ছবি

বাংলাদেশের রাজনৈতিক চালপটে (ড্যাশবোর্ড) একটা কামালকাঁটা রাখা যায়। এটার দুটো পাঠ থাকবে, "দেশে" আর "বিদেশে"। রাজনীতির হালচাল বিশ্লেষণের সময় চট করে কামালকাঁটায় চোখ বুলিয়ে নিলে কাজ সহজ হবে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

সন্দেহ নাই, ক্ষমতার পটপরিবর্তন বোঝার জন্য কামালকাঁটা সময়ের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ড্যাশবোর্ডের বঙ্গানুবাদ শেষমেষ চালপটে এসে দাঁড়ালো? হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

হিমু এর ছবি

চালনায় সহায়তার জন্যে যে পট (ব্যাকগ্রাউন্ড/বোর্ড) ইতি চালপট।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। হেহেহে, কামালকাঁটার কথা শুনে হ্যারি পটারের উইজলি পরিবারের ঘড়িটার কথা মনে হল! হো হো হো

২। "চালপট" শুনে কেবলি কন্ডেন্সমিল্কের কৌটা দিয়ে বানানো 'চাল মাপার পট' চোখে ভাসছে! ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মন মাঝি এর ছবি

ইংরেজিতে বিশেষ ধরণের ঝামেলামুক্ত আর সুশীলদের জন্য তিন অক্ষরের একটা শব্দ আছে - RAT. প্রশ্ন হচ্ছে কামালুকিল কি সে গোত্রের ঝামেলামুক্ত সুশীল?

****************************************

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ইংরেজি র‍্যাট নিয়ে জানা নেই, খুলে বলেন আরেকটু। হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

মন মাঝি এর ছবি

এখানে দেখুন

****************************************

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমার মনে হয় এয়ার লাইনগুলি এই লোকরে লাস্ট মিনিট টিকেটে কমিশন দেয়।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

প্রধানমন্ত্রী দেখি আপনার কথারই প্রতিধ্বনি করলেন গতকাল

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

জীবনে কতকিছু যে শেখার বাকি রয়ে গেছে এখনো- কামালুকিল, কামালকাঁটা। হো হো হো

নীড় সন্ধানী এর ছবি

শেখার কোন শেষ নাই, বয়স নাই। এই বছরের শেষটা হবে অনেক নতুন শিক্ষামূলক বিষয় দিয়ে

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

হাসিব এর ছবি

কামালুকিলের হঠাত করে বিদেশ গমন দেখি সবাই জানে,

তিনি আরও বলেন, ‘‘একটা ঐক্য হচ্ছে ভালো। আর একটা বিষয় আপনারা জানেন যে, ড. কামাল হোসেনের পকেটে সবসময় টিকিট থাকে। আর তিনি যদি খুব গরম বক্তব্য দেন যে, ‘এখন থেকে সব কাজ বন্ধ’, তখন ধরে নেবেন যে তার প্লেন রেডি। বাক্সটা গাড়িতে। তিনি আমাদের সঙ্গে যখন ছিলেন আমরা দেখেছি তাকে।’’

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্নদের পকেটে বার্ষিক ওপেন টিকেট কাটা থাকে। যে কোনদিন চড়ে বসতে পারেন তারা।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আয়নামতি এর ছবি

কামাল হোসেনের এই যেচে পাকি সেনাদের হাত ধরে সখা নিয়ে চলো কারাগারের ঘটনাকে ঘুরিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের উপর চালাতে শুনেছি অনেকবার।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

দীর্ঘাকায় শেখ মুজিবকে খাটো করার এই প্রবণতা চিরকাল বহমান থাকবে ছাগকুলের পক্ষে

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

এক লহমা এর ছবি

এ ত একেবারে কামাল লোক দেখছি! লেখায় যেমনটি আশা করার - উত্তম জাঝা! হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সোহেল ইমাম এর ছবি

উত্তম জাঝা!

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

কিন্তু প্রশ্ন হলো সত্যিই তিনি নিজে গ্রেফতার হবার জন্য আবেদন করেছিলেন কিনা। যে কারো পক্ষে এটা প্রমাণ করা কঠিন।

এসব তো আর সাক্ষী-সাবুদ ডেকে করা হয় না, বরং কিছুটা বিমূর্ত ব্যপারই বটে। একই সময়ে তাঁর আশেপাশে থাকা অন্যান্যদের স্মৃতিচারণা থেকে কাটাকুটি খেলে অসম্ভবটা বাদ্দিলে যা কিছু তলানি থাকে, ঐটাই আসল বেপার। এই ভারিক্কি স্মৃতিচারণেও কিন্তু তেমন ইঙ্গিতই পেয়েছি। বইটি এই মুহূর্তে হাতের কাছে না থাকায়, কড়াকড়িভাবে তথ্যসূত্র দিতে পারছি না। ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।