ক’দিন আগে একখানা বই পড়তে পড়তে চমকে গেলাম আমাদের মস্তিষ্কের এক অপারগতা সম্পর্কে প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখিত একটি গল্প দেখে। আপাতদৃষ্টিতে সহজ এক গাণিতিক ফাঙ্কশন অনুধাবন করতে গিয়ে আমাদের মনে যে কেমন ধন্ধ লেগে যেতে পারে, তা বলতে গিয়ে লেখক উদাহরণ টেনেছেন দাবা খেলার আবিস্কার-কাহিনীর।
মনে করুন আপনি একটা রোবট বানাবেন যা মানুষের মতো ভাবে, ঘোরাফেরা করে বেড়ায়। তাকে কীভাবে সেই ক্ষমতা প্রদান করবেন?
এআই গবেষক প্রফেসর রিচার্ড সাটন এআই-সংক্রান্ত তার মৌলিক কিছু ভাবনা নিয়ে ২০০১ সালে কয়েকটি ব্লগ লিখেছিলেন। ভাবনাগুলো আমার কাছে সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। নিজের ভাবনার সাথে মিল ও ওনার সাথে ভাবনাগুলোর আদান-প্রদানের ব্যক্তিগত ইতিহাসের কারণে। এখানে ওনার Subjective Knowledge ব্লগটির ভাবানুবাদ করলাম।
[justify]এই প্রশ্নটা মুখ ফুটে অনেকে করেন না। কিন্তু বিবর্তন আর ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনের (আইডি) তর্কটা যারা বোঝেন, এআই নিয়ে ভাবতে গেলে তাদের একবার হলেও প্রশ্নটা হয়তো মাথায় আসে। বিবর্তন তত্ত্বানুসারে সকল প্রাণী তাদের বুদ্ধিমত্তা সমেত প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে তৈরি হয়েছে। কোনো বুদ্ধিমান কর্তার হস্তক্ষেপ বা ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন ছা
[i]দুই হাজার এক সনে প্রফেসর রিচার্ড সাটন (Richard Sutton) কিছু ব্লগ লিখেছিলেন। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (কৃবু) শাখা রিইনফোর্সমেন্ট লার্নিং গবেষণার অন্যতম প্রবর্তক। চিন্তার গুরুত্বের কারণে অনেক কৃবু গবেষকের মাঝে ব্লগগুলো সমাদৃত। ইতোপূর্বে জর্জিয়াটেক বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি যোগ্যতা নির্ধারণ পরীক্ষার প্রশ্নে (PhD Qualifying Exam) ওনা
[i]দুই হাজার এক সনে প্রফেসর রিচার্ড সাটন (Richard Sutton) কিছু ব্লগ লিখেছিলেন। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (কৃবু) শাখা রিইনফোর্সমেন্ট লার্নিং গবেষণার অন্যতম প্রবর্তক। চিন্তার গুরুত্বের কারণে অনেক কৃবু গবেষকের মাঝে ব্লগগুলো সমাদৃত। ইতোপূর্বে জর্জিয়াটেক বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি যোগ্যতা নির্ধারণ পরীক্ষার প্রশ্নে (PhD Qualifying Exam) ওনা
[justify]একটা খুব প্রাচীন প্রশ্ন হচ্ছে, মন কি বিজ্ঞান দিয়ে পুরোপুরি বোঝা সম্ভব? এই ধরনের প্রশ্ন পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যতোটা সন্দেহ নিয়ে করা হয়, তার চেয়ে বেশি সন্দেহ নিয়ে করা হয় মনোবিজ্ঞান, নিউরোবিজ্ঞান ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে। এর কারণ যতোটা না মনের জটিলতা, মানুষের আচরণের জটিলতা, তার চেয়ে অনেক বড় কারণ হলো মানুষের ব্যক্তিক, প্রথম পুরুষের দিক থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা। একটা সিস্টেম জটিল হবার অর্থ এই নয় যে সেটা বিজ্ঞানসাধ্য নয়। কিন্তু মানুষের প্রথম পুরুষগত অভিজ্ঞতাটি জটিলতার চেয়েও বেশি কিছু। এর সাথে পর্যবেক্ষণসাধ্যতা ও পুনরুৎপাদনযোগ্যতার প্রশ্ন জড়িত, যেগুলো বিজ্ঞানের মূল ভিত্তি। মানুষের ব্যক্তিক অভিজ্ঞতার প্রকৃতিটাই এমন, যার সাথে বৈজ্ঞানিকতার অসঙ্গতি আছে।
কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তার গবেষণায় এখন যত বিষয় আলোচনা হয়, তার সবগুলোর লক্ষ্যই কিন্তু জীবন-যাপনকারী রোবট তৈরী নয়। অনেক শাখা-প্রশাখা হয়ে গেছে। কয়েকদফা এই গবেষণায় ভাটা এসেছে। তবে এখনো অনেক গবেষণা সরাসরি জীবন-যাপনকারী রোবটকে উদ্দেশ্য করে নিবেদিত। এর সাথে বুদ্ধিমত্তার সম্পর্ক ওতপ্রোত বলে অনেকে মনে করেন। তাই গবেষণার নাম কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তা (কৃবু)।
তবে গবেষণাটি যে ব...
আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সৃষ্টি করতে চাই। এটা সম্ভবত আমাদের সবচেয়ে স্বাভাবিক চাওয়াগুলির একটি। কিন্তু এর আগমন বেজায় বিলম্বিত। এ নিয়ে আমরা কল্পকাহিনীর পর কল্পকাহিনী লিখে যাচ্ছি। কিন্তু আমরা এখনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন জীবন সৃষ্টির কাছাকাছি যেতে পারি নি। পদার্থবিজ্ঞানী মিচিও কাকু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণার বর্তমান অর্জন সম্পর্ক ঠাট্টা করে [url=http://www.youtube.com/watch?v=PW8rgKLPHMg]বলেছেন[...
স্ক্রীন জুড়ে থাকা গবেষণার ফলাফলগুলোকে ধ্রুব এখন আগের চেয়ে বেশি বিশ্বাস করেন। এতটাই বিশ্বাস করেন যে এখন এই গবেষণাকর্মের সেই অবশ্যম্ভাবী পরিণতি নিয়ে ভাবার সময় হয়ে গেছে, যা নিয়ে এ যাবৎকাল পর্যন্ত সম্ভবত বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর লেখকরাই সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত ছিলেন।
দুশ্চিন্তা তাকে আর এই অর্জনের পরমানন্দগুলো পেতে দিচ্ছে না। তাছাড়া, আনন্দানুভূতিগুলো গত ছয়মাস ধরে ছিন্ন ছিন্ন ক...স্ক্রীন জুড়ে থাকা গবেষণার ফলাফলগুলোকে ধ্রুব এখন আগের চেয়ে বেশি বিশ্বাস করেন। এতটাই বিশ্বাস করেন যে এখন এই গবেষণাকর্মের সেই অবশ্যম্ভাবী পরিণতি নিয়ে ভাবার সময় হয়ে গেছে, যা নিয়ে এ যাবৎকাল পর্যন্ত সম্ভবত বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর লেখকরাই সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত ছিলেন।