প্রথম পর্বঃ যেভাবে আমরা জানলাম পৃথিবী গোলাকার- আইজ্যাক আসিমভ
[আমার অন্যতম প্রিয় লেখক আইজ্যাক আসিমভ। তার 'হাঊ ডিড উই ফাইন্ড আউট' সিরিজের 'যেভাবে আমরা জানলাম পৃথিবী গোলাকার' বইটি অনুবাদের একটি প্রচেষ্টা নিলাম।তিন পর্বে সমাপ্ত করার আশা রাখি।]
দূরে বিলীন হওয়া জাহাজের গল্প
বৈশাখ মানেই সূর্যের বাহাদুরী। ধানকাটা সারা। খালি মাঠে খাঁ খাঁ রৌদ্রের দোর্দণ্ড প্রতাপ। কৃষকের ব্যস্ততা নাইকো আর। বাগানজুড়ে শুকনো পাতার আস্তর। তপ্ত মরুর নির্জনতা ভর করে মাঠজুড়ে। বাঁশঝাড়ের কঞ্চি-পাতার জটলা থেকে নেমে আসা শ্যামা পাখির সন্তর্পণ পদচারণা। প্রাণহীন দুপরে খসখসে মৃদু ভৌতিক আওয়াজ। নির্জনতার বুক চিরে হঠাৎ ছাতারে দলের তীক্ষ্ণ চিৎকার। শিমুল গাছের মগডালে বাজপাখির জাজ্বল্যমান শ্যেন দৃষ্টি। হঠাৎ রকেটের গতি ভর করে তার ডানায়। ছাতারে দলের পাখায় পিস্টনের উল্লাস। ভীত প্রস্থান। জেট বিমানের মত ডাইভ দেয় বাজপাখি, ছোঁ মারে। বাজের নখরে আটকে থাকা ইঁদুর পুর্ণ আত্মসমর্পণে পৃথিবীকে বিদায় জানায় বৈশাখী হাওয়ায় ভেসে। সেকি জানে এই মৃত্যুই তাঁকে আকাশজয়ী করেছে। করেছে অনন্য। দোপেয়ের লাঠির আঘাতে, গর্তে ধুঁকে ধুঁকে, ড্রেনে পচে কিংবা শ্বাপদের নখরে ছিন্নভিন্ন হওয়ার চেয়ে আকাশজয়ী হয়ে মরা কি শ্রেয় নয়? বাজপাখি উড়ে যায় গ্রীষ্মের লেলিহান শিখার দিকে। বৈশাখের টকটকে বহ্নিশিখা যেন দাউ দাউ করে জ্বলছে কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে। বাজপাখি সেই আগুনে আত্মাহুতি দেয়; মরণের জন্য নয়, রাজসিক ভোজন পর্বটা মহিমান্বিত করতে।
হেনরিয়েটা অসাধারণ কিছু করে বসে অমর হননি। ওনার কেবল একটা রোগ হয়েছিল। ক্যান্সার। জরায়ু মুখে। জরায়ুর মুখকে যদি একটা দেয়াল ঘড়ির সঙ্গে তুলনা করা যায় তাহলে হেনরিয়েটার প্রাথমিক টিউমারটি ছিল চারের কাঁটার কাছাকাছি।
[জিএম এবং বিটি নিয়ে পাঠকদের মধ্যে কিছু অনিশ্চয়তা লক্ষ্য করলাম আগের পর্বে। সে জন্য এই আলোচনার আগে বিষয়টা একটু বলে নেই। আমার তথ্যসূত্র জার্মান ভাষা থেকে নেয়া, কাজেই ইংরেজী উচ্চারণ এবং বানানে হেরফের হতে পারে।
বৈশাখের ঘুঘু ডাকা দুপুর। নানা বাড়িতেই কাটত গরমের দিনগুলো। কাটত, মানে কাটাতাম। আমাদের গ্রামের জনসংখ্যা একটু বেশি। ঝোপ-জঙ্গলও কম। তাছাড়া মা-বাবার চোখ ফাঁকি দিয়ে গণগণে দুপুরে মাঠে বেরিয়ে পড়ার সুযোগ কম ছিল। নানা বাড়িতে ধরা বাঁধার বালাই নেই। তাছাড়া গ্রামটা একেবারে মাঠের ভেতরে। লম্বা একটা রাস্তা। দু’ধারে সার দিয়ে বসতি। বাড়ির পেছনে বাড়ি নেই। মাঠ আর মাঠ। কোথাও বুনো ঝোপে আচ্ছাদিত বাঁশবন, মাঠকে মাঠ খেজুর বাগান। বাঁশ আর উলুঘাসে একাকার হয়ে যাওয়া অবারিত প্রান্তর।
(জেনেটিক মডিফাইড (বিটি) খাবার নিয়ে তিন পর্বের এই সিরিজ শুরু হচ্ছে পৃথিবীর জিএম বীজ সরবরাহের নব্বই ভাগ যার দখলে সেই মনসানটো কোম্পানি দিয়ে। দ্বিতীয় পর্বে থাকবে বিটি খাবার এবং শেষ হবে গোল্ডেন রাইস বা সোনালী ধান দিয়ে।)
(Monsanto) মনসানটো নবযুগের ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি?
কেন জিএম-খাবারকে (genetically modified food) না বলতে চাই, তার কারণ দেখিয়ে ছিল আমার আগের লেখা। বিপক্ষে মতামতই বেশী পড়েছে। আমাদের দেশের মতো গরীব একটি দেশে যদি খাদ্য-সংকট সমাধানের ধুয়ো তুলে জিএম প্রযুক্তির মুলো ঝুলিয়ে দেয়া হয়, তাতে মতামত বিপক্ষেই থাকা স্বাভাবিক। এতে মনসানটো বা এই জাতীয় বিশাল বাণিজ্য সংস্থার বীজবানিজ্যিক নয়া-উপনিবেশিক রাক্ষসের ছোবলের সামনে ভারতের দুই লক্ষ গরীব তুলাচাষী কেন আত্মহত্যা ক
কুওরার এই প্রশ্ন এবং উত্তর থেকে আংশিক অনুদিত।
প্রশ্নটা ছিল এরকম-
প্রকল্পিতভাবে(hypothetically), মহাশূন্য পাড়ি দিয়ে পৃথিবীতে আসার জ্ঞান আছে এমন এমন কোন বুদ্ধিমান এলিয়ান সভ্যতা থেকে থাকে যদি, আমাদের সাথে যোগাযোগ না করার কোন কারণ আছে কি তাদের?