বৈশাখের ঘুঘু ডাকা দুপুর। নানা বাড়িতেই কাটত গরমের দিনগুলো। কাটত, মানে কাটাতাম। আমাদের গ্রামের জনসংখ্যা একটু বেশি। ঝোপ-জঙ্গলও কম। তাছাড়া মা-বাবার চোখ ফাঁকি দিয়ে গণগণে দুপুরে মাঠে বেরিয়ে পড়ার সুযোগ কম ছিল। নানা বাড়িতে ধরা বাঁধার বালাই নেই। তাছাড়া গ্রামটা একেবারে মাঠের ভেতরে। লম্বা একটা রাস্তা। দু’ধারে সার দিয়ে বসতি। বাড়ির পেছনে বাড়ি নেই। মাঠ আর মাঠ। কোথাও বুনো ঝোপে আচ্ছাদিত বাঁশবন, মাঠকে মাঠ খেজুর বাগান। বাঁশ আর উলুঘাসে একাকার হয়ে যাওয়া অবারিত প্রান্তর।
(জেনেটিক মডিফাইড (বিটি) খাবার নিয়ে তিন পর্বের এই সিরিজ শুরু হচ্ছে পৃথিবীর জিএম বীজ সরবরাহের নব্বই ভাগ যার দখলে সেই মনসানটো কোম্পানি দিয়ে। দ্বিতীয় পর্বে থাকবে বিটি খাবার এবং শেষ হবে গোল্ডেন রাইস বা সোনালী ধান দিয়ে।)
(Monsanto) মনসানটো নবযুগের ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি?
কেন জিএম-খাবারকে (genetically modified food) না বলতে চাই, তার কারণ দেখিয়ে ছিল আমার আগের লেখা। বিপক্ষে মতামতই বেশী পড়েছে। আমাদের দেশের মতো গরীব একটি দেশে যদি খাদ্য-সংকট সমাধানের ধুয়ো তুলে জিএম প্রযুক্তির মুলো ঝুলিয়ে দেয়া হয়, তাতে মতামত বিপক্ষেই থাকা স্বাভাবিক। এতে মনসানটো বা এই জাতীয় বিশাল বাণিজ্য সংস্থার বীজবানিজ্যিক নয়া-উপনিবেশিক রাক্ষসের ছোবলের সামনে ভারতের দুই লক্ষ গরীব তুলাচাষী কেন আত্মহত্যা ক
কুওরার এই প্রশ্ন এবং উত্তর থেকে আংশিক অনুদিত।
প্রশ্নটা ছিল এরকম-
প্রকল্পিতভাবে(hypothetically), মহাশূন্য পাড়ি দিয়ে পৃথিবীতে আসার জ্ঞান আছে এমন এমন কোন বুদ্ধিমান এলিয়ান সভ্যতা থেকে থাকে যদি, আমাদের সাথে যোগাযোগ না করার কোন কারণ আছে কি তাদের?
অনেক বছর আগে বিজ্ঞান যখন ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ করছিলো সেই মধ্যযুগে বা তারও আগে কোন এক সময়ে পেরুর জেলেরা লক্ষ্য করেছিলো কোন কোন বছর তাদের জালে বেশি মাছ ধরা পড়ছে, আবার কোন কোন বছর মাছ একেবারেই কম। তারা আরো খেয়াল করলো- যে বছরগুলোতে জালে মাছ কম আসছে সে সময় প্রশান্ত মহাসাগরের পানিও থাকে খুব উষ্ণ, বৃষ্টিপাত হয় বেশি আর এই ব্যাপারটা শুরু হয় ঠিক যখন তারা ‘ক্রিসমাস’ বা যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব পালনে মেতে ওঠে ত
শীতকালে কার্পাস তুলাকে ঘিরে আমাদের গ্রাম যেন উৎসবে মেতে উঠত। গরিব চাষিরা বাঁচত হাঁপ ছেড়ে। মানুষের দুঃখ-দুর্দশা অনেকটাই প্রশমিত করে দিত তুলো নামের এই ফসল।