ড. জাফর ইকবাল, সজীব ওয়াজেদ জয়ের মন্তব্যের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে যা বলেছেন তাক- একজন শিক্ষকের নমনীয় স্বরে যুদ্ধের প্রস্তুতির আহ্বান বলা যায়।
একের পর এক ব্লগার হত্যার ক্ষেত্রে সরকারী দলের নীতিনির্ধারকদের মন্তব্য আর প্রশাসনের যে ভূমিকা তার প্রেক্ষিতে তিনি বলেছেন, এই সরকারের কাছে প্রাণের নিরাপত্তা চাওয়ার আশা করে লাভ হবে না। তারা মুক্ত চিন্তার চর্চা করেন যারা তার প্রাণের নিশ্চয়তা দিতে প্রস্তুত নয়। তিনি মুক্ত চিন্তার মানুষদের স্বীয় প্রজ্ঞা, বুদ্ধি ও সাহস দিয়ে নিজেদের প্রাণ রক্ষা করার ব্যবস্থা নিজেদেরই গ্রহণ করার দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
একজন নেতার সাথে একজন শিক্ষকের বলার ভঙ্গিটুকুর পার্থক্য বাদ দিলে- ড. জাফর ইকবালের বক্তব্যের অন্তরনিহিত অর্থ ৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ‘আর একটা যদি গুলি চলে-- যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে ঝাপায়ে পড়’- এই দিকনির্দেশনার সাথে খানিকটা মিলে যায়। তিনি ঝাঁপানোর কথা বলেন নি, কিন্তু নিজেকে রক্ষার কথা বলেছেন। নিজেদের নিরাপত্তা বলয় তৈরী করতে বলেছেন। এই কৌশল একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের প্রাথমিক অবস্থার একটি রূপরেখা বলা যেতে পারে।
যা আগামীতে আওয়ামী লীগের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আসতে পারে।
রাজনৈতিক দিক দিয়ে আওয়ামী লীগ মনে করে এই ঘটনা তাদের পক্ষেই যাবে। ধর্মের বিরোধী এবং প্রগতিশীলরা সরকারের ওপরে ক্ষিপ্ত এমন একটি আবহ রক্ষণশীল মনোভাবাপন্ন জনগণের কাছে ফুটে উঠলে তা আওয়ামী লীগ লাভ বলেই মনে করে। তৃণমূল রাজনীতির জন্য আওয়ামী লীগ যে আসলে রক্ষণশীল মুসলমানদেরই একটা সংগঠণ- এই পরিচয় তুলে ধরাকে খুবই প্রয়োজনীয় মনে করে।
একজিন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে সজীব ওয়াজেদ জয়ের মন্তব্যটি যেভাবে করেছেন, তা তার জন্য মঙ্গলজনক হয় নি। কারণ এর ফলে তাদের নৈতিক অবস্থানের দূর্বলতা এবং দ্বৈতভাব প্রকাশ করেছে। যা একজন নেতার জন্য কর্মীদের আস্থা হারানোর ক্ষেত্র তৈরী করে।
কিন্তু এটিও হয়তো তত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতো না, ড. জাফর ইকবাল মুক্তচিন্তার স্বাধীনতার পক্ষে তার শক্ত ঐতিহাসিক শক্ত অবস্থানটি গ্রহণ না করতেন। বিষয়টি বেচে থাকার, টিকে থাকার। ব্যক্তি হিসেবে- এবং মুক্ত চিন্তার ধারক হিসেবে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে যারা মুক্ত চিন্তা করতে চান, আগামী বাংলাদেশ এবং পৃথিবী গড়ে উঠবে অবাধ স্বাধীন চিন্তার মিথস্ক্রিয়ার মধ্যে এই স্বপ্ন দেখেন - সেই আগামী প্রজন্মের দিক নির্দেশক হিসেবে নতুন যুগের একজন নেতার ভূমিকায় ড. জাফর ইকবালের আবির্ভূত হওয়ার একটি প্রেক্ষাপট রচিত হলো ...
আগামী প্রজন্মের (অন্তত একটা অংশের) দিক নির্দেশকের আসনে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার অনেক দিন ধরেই আছেন। বরং ‘নেতা হিসাবে’ তার আবির্ভাবের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে এ ধরনের বক্তব্য/ধারণা তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক শত্রুতাই বৃদ্ধি করবে বলে মনে করি। আর ‘বিষয়টি বেঁচে থাকা’ বলতে কী বুঝাচ্ছেন? “জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এই দেশের প্রতিটা নাগরিকের বেঁচে থাকার অধিকার আছে। এবং সেই অধিকারে যারা বিঘ্ন ঘটাবে সরকার তাদের কঠোর হাতে দমন করবে।” এমন একটা বক্তব্যই সরকারের থেকে কাম্য ছিলো। তার বদলে লঘুক্তি জঙ্গিদের কিছুটা হলেও শক্তি যুগিয়েছে, কথাটা জাফর ইকবাল স্যার পয়েন্ট আউট না করলেও সত্যি থাকতো।
একের পর এক ব্লগার হত্যার ক্ষেত্রে সরকারী দলের নীতিনির্ধারকদের মন্তব্য আর প্রশাসনের যে ভূমিকা তার প্রেক্ষিতে তিনি বলেছেন, এই সরকারের কাছে প্রাণের নিরাপত্তা চাওয়ার আশা করে লাভ হবে না। তারা মুক্ত চিন্তার চর্চা করেন যারা তার প্রাণের নিশ্চয়তা দিতে প্রস্তুত নয়। তিনি মুক্ত চিন্তার মানুষদের স্বীয় প্রজ্ঞা, বুদ্ধি ও সাহস দিয়ে নিজেদের প্রাণ রক্ষা করার ব্যবস্থা নিজেদেরই গ্রহণ করার দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
একজন নেতার সাথে একজন শিক্ষকের বলার ভঙ্গিটুকুর পার্থক্য বাদ দিলে- ড. জাফর ইকবালের বক্তব্যের অন্তরনিহিত অর্থ ৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ‘আর একটা যদি গুলি চলে-- যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে ঝাপায়ে পড়’- এই দিকনির্দেশনার সাথে খানিকটা মিলে যায়। তিনি ঝাঁপানোর কথা বলেন নি, কিন্তু নিজেকে রক্ষার কথা বলেছেন। নিজেদের নিরাপত্তা বলয় তৈরী করতে বলেছেন। এই কৌশল একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের প্রাথমিক অবস্থার একটি রূপরেখা বলা যেতে পারে।
যা আগামীতে আওয়ামী লীগের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আসতে পারে।
রাজনৈতিক দিক দিয়ে আওয়ামী লীগ মনে করে এই ঘটনা তাদের পক্ষেই যাবে। ধর্মের বিরোধী এবং প্রগতিশীলরা সরকারের ওপরে ক্ষিপ্ত এমন একটি আবহ রক্ষণশীল মনোভাবাপন্ন জনগণের কাছে ফুটে উঠলে তা আওয়ামী লীগ লাভ বলেই মনে করে। তৃণমূল রাজনীতির জন্য আওয়ামী লীগ যে আসলে রক্ষণশীল মুসলমানদেরই একটা সংগঠণ- এই পরিচয় তুলে ধরাকে খুবই প্রয়োজনীয় মনে করে।
একজিন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে সজীব ওয়াজেদ জয়ের মন্তব্যটি যেভাবে করেছেন, তা তার জন্য মঙ্গলজনক হয় নি। কারণ এর ফলে তাদের নৈতিক অবস্থানের দূর্বলতা এবং দ্বৈতভাব প্রকাশ করেছে। যা একজন নেতার জন্য কর্মীদের আস্থা হারানোর ক্ষেত্র তৈরী করে।
কিন্তু এটিও হয়তো তত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতো না, ড. জাফর ইকবাল মুক্তচিন্তার স্বাধীনতার পক্ষে তার শক্ত ঐতিহাসিক শক্ত অবস্থানটি গ্রহণ না করতেন। বিষয়টি বেচে থাকার, টিকে থাকার। ব্যক্তি হিসেবে- এবং মুক্ত চিন্তার ধারক হিসেবে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে যারা মুক্ত চিন্তা করতে চান, আগামী বাংলাদেশ এবং পৃথিবী গড়ে উঠবে অবাধ স্বাধীন চিন্তার মিথস্ক্রিয়ার মধ্যে এই স্বপ্ন দেখেন - সেই আগামী প্রজন্মের দিক নির্দেশক হিসেবে নতুন যুগের একজন নেতার ভূমিকায় ড. জাফর ইকবালের আবির্ভূত হওয়ার একটি প্রেক্ষাপট রচিত হলো ...