স্কুলে বসেই টিঙ্কু পাঁচপেয়ে রাণীর সাক্ষাত চেয়ে একটা আর্জি পত্রবাহক মারফৎ পাঠিয়ে দিয়েছে। রাণীকে সংকেতের মাধ্যমে আর্জি জানানো আইন বিরুদ্ধ। সম্মতি বার্তা নিয়ে বাহক ফিরেও এসেছে। রাণী তার জন্যে আজ বিকেলে তিন মিনিট সময় বরাদ্দ করেছেন। সময়ের ব্যাপ্তি দেখে টিঙ্কুবুড়োর শূঁড়ে একটা কম্পন বয়ে যায়। অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝতে পারে রাণী তার সাথে গুরুতর কিছু নিয়ে আলোচনা করতে চান। ঠিক কোন বিষয়ে রাণী তার সাথে আলোচনা করতে চান সেটা তার জানবার কথা নয়। তাই সেটা নিয়ে না ভেবে টিঙ্কু নিজে যে কারণে তার সাক্ষাত প্রার্থনা করেছে সেটা গুছিয়ে লিখবার জন্যে ডায়েরি খুলে বসে। আগেভাগে যে কোনো কাজের পরিকল্পনা করে নেয়া এবং তার খুঁটিনাটি বিষয়াদি ডায়েরিতে লিখে রাখাটা তার অভ্যাস। টিঙ্কু পাঁচপেয়ের লেখা ভারী চমৎকার।
১.
টিঙ্কু পাঁচপেয়ের কাছ থেকে ফিরে আসা অবধি গুম হয়ে আছে উড়ুক্কু। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, কিছু একটা ওকে গভীরভাবে ভাবাচ্ছে। শৈশব থেকেই উড়ুক্কু চিন্তাশীল স্বভাবের। কোন ব্যাপারে না জেনে হুটহাট সিদ্ধান্তে পৌঁছায় না। আজ টিঙ্কু পাঁচপেয়ে পাঁজিসহ আরো বিভিন্ন তথ্যসূত্র দেখিয়ে যা বোঝালো তাতে উড়ুক্কু নিশ্চিত, সে এশিয়ান প্রজাতিভুক্তদের একজন।