ফিরে দেখা:অপারেশন সূর্যদীঘল বাড়ি-(৫)

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/০৩/২০০৭ - ৫:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


1 2 3 4
-----------------------------------------------------

রাতেই সূর্যদীঘল বাড়ির বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সকালের সময়টায় অভিযানে বিরতি দিয়ে 11 টা সাড়ে 11টার দিকে আবারও শুরু হয় ডাকাডাকি। সিলেটের ডি.সি, র্যাবের ডিজি, সবাই শায়খকে আত্মসমর্পনের আহ্বান জানালেন। মেয়র কামরানও ডাকলেন। কে শুনে কার কথা। কোন সাড়াশব্দ নাই! হুমকি দেওয়া হল হামলা চালানো হবে। নাই তবু সাড়া! চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়! অনেকেই মন্তব্য করেন বেটা আত্মহত্যা করল কীনা! যুক্তিও খাড়া হয় এর বিরুদ্ধে, এতবড় কামেল(জালেম) লোক আত্মহত্যার মত কাজ করবেনা! এদিকে আমাদের মাঝে পিকনিক পিকনিক ভাব চলে এসেছে! কানে ফোন লাগিয়ে হয়ত একজন অফিসে নিউজ দিচ্ছে। আরেকজন তাকে খুচা দিল তখন! বিড়ি সিগারেটের মচ্ছব হচ্ছে। ইতিমধ্যে র্যাবের ভাই বেরাদরদের সাথেও বেশ একটা ভাব হয়ে গেছে।

12 টার দিকে শুরু হয় টিয়ার সেল নিপে। প্রায় আধাঘন্টা শেলিং করার পর বিরতি দিলে খুলে যায় সূর্যদীঘল বাড়ির জানলা। শায়খ চিৎকার করে বলে উঠে, ' এখানে শিশু ও নারীরা রয়েছেন, তবু আপনারা টিয়ার সেল নিপে করছেন! পানি বিদ্যুত বন্ধ করেছেন। এটা মানবাধিকারের লংঘন!!!!'
এপাশ থেকে বলা হয়, 'শায়খ আপনার মুখে এসব মানায়না। নিরিহ মানুষকে বোমা মেরে হত্যা করে মানবাধিকারের দোহাই দিতে লজ্জা করেনা।'
শায়খ এড়িয়ে যায় প্রশ্ন। আবারও কয়েকপ্রস্ত টিয়ার শেলিং হলে, ভেতর থেকে জানানো হয়, নারী ও শিশুদের বের করে দেয়া হবে। 12টা 55 মিনিটে সূর্যদীঘল বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে নারী ও শিশুর 9জনের একটি দল। শায়খের স্ত্রী জানান, তার স্বামী দুই সহযোগীসহ ভেতরে আছেন। আর কোন কথা তাকে বলতে দেয়া হয়না। 9 জনকে নিয়ে যাওয়া হয় র্যাব-9 এর সদরদপ্তরে।

(চলবে)


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।