আমার জাতীয়তাবাদ

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: সোম, ১১/০৬/২০০৭ - ৩:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:
সেই আমি ছাত্রদল করি। এর আগে কয়েকমাস জাসদ এর লগে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই আমাদের সিনিয়াররা একযোগে ছাত্রদলে যোগ দিল। বুঝে হোক আর না বুঝে হোক, আমরাও হয়ে গেলাম ছাত্র। তখন আমি নিতান্তই বালক। ছাত্রদল ছাত্রদল খেলেই যোগ দিলাম কথাকলিতে। কথাকলি হল নাটকের দল। কবিতা আবৃত্তিও হয়। আমি মূলত সেই কাজেই গেলাম। কবিতা বিষয়টা অতি বালক বেলায় আমার বাপ মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। তো আমি কবিতা আবৃত্তি করি সেখানে। এর আগেই অবশ্য কবিতা লেখার জন্য আমি বেশ উচাটন প্রকৃয়া শুরু করেছি। দু-এক কলম লিখছি। নাম নিয়ে প্রবল খেলা চলছে। পারিবারিকভাবে আমি ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন... টাইপের বিশাল নামের মালিকঅ সেই নাম একেক সম্পাদক একক ভাবে ছাপান। কেউ মাথা কেটে লেজ রাখেন কেউ কাটেন লেজ! অনেক পরে আমার নামটা এই রূপে নিয়ে আসি। সেই কথা আরেকদিন পারলে বলব। আজ বলি ছাত্রদল সংক্রান্ত কথা। বাপের কাছ থেকে কয়েকটা বিষয় আমি পেয়েফি তার মাঝে একটা বিষয় হল ইতিহাস চেতনা। আব্বা সন তারিখ খুব ভালোভাবে মুখস্ত রাখতে পারেন। তিনি এই ষাট বছর বয়েসেও অবলিলায় ১৯৭১ সালের অনেক ঘটনা তারিখ, সময় এবং ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে বলে যেতে পারেন। তো আমার আব্বা এভাবেই আমাদের মাথায় অনেক তথ্য ঢুকিয়ে দিতে পেরেছিলেন। আরেকজন ছিলেন আমার নানাজান। যাকে আমরা নানাসাহেব বলতাম। তিনি রাজনীতির অনেক বিষয় আমার পিচ্চি মাথায় ঢুকিয়ে আমাকে অনেকটাই পাকিয়ে ফেলেছিলেন... আহারে আবারও প্রসঙ্গান্তর ঘটল! বাপ আমারে ইতিহাস শুনাতে গিয়ে ৭ মার্চ, ২৫ মার্চ, বিজয়, বঙ্গবন্ধু এই বিষয়গুলা নিয়া ভালই ধারনা দিয়ে রাখছেন। সেই হিসাবে আমি বঙ্গবন্ধুরে বঙ্গবন্ধুই বলি। এইটা নিয়াই আমি পড়লাম বিপদে। আমি যেই গ্রুপটাতে কাজ করতাম সেটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই গ্রুপ নামে পরিচিত ছিল। এরা মূলত লাঠি পার্টি। কোন কাজ নাই হুদাই মারামারি করায় উস্তাদ। এদর লেখাপড়া জ্ঞান খুব ছিল বলা যায়না। অন্তত আমি যাদের সাথে চলতাম। তবু রাজনীতি নিয়ে আলাপ চলত। সমস্যা হল সেখানেই। এরা এমন জাতীয়তাবাদী হল যারে এককথায় মৌলবাদী বলা চলে। এরা বিএনপি আর জিয়া ছাড়া কিছুই বুঝেনা। বঙ্গবন্ধুকে মুজিব বলে আরাম পায় মাঝে মাঝে জুতার ফিতাও বলে! আমিতো আর এসব সহ্য করতে পারিনা। নিজের মত বঙ্গবন্ধু বলি, মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার আগে মুজিব এইসব কথা বলতে কোন সমস্যাবোধ করিনা... বন্ধুরা সেইটা মানতে নারাজ! তাদের সাফ কথা বিএনপি হইলে আসল বিএনপি হইতে হইব। ভেতরে জালভেজাল থাকলে চলবে না! সেই হিসাবে আমার ভেতরে ওইসব উপাদান ভালই আছে... ইতিমধ্যে প্রান্তিকেও আমি বেশ জমে গেছি, বুঝে গেছি আমারে দিয়া ওইসব হবেনা... আমি আর জাতীয়তাবাদী হতে পারলামনা...

মন্তব্য

নজমুল আলবাব এর ছবি
এই লেখায় কেউ কিছু খুজবেননা। ঘাড় তেড়া নিয়ে এমনি এমনি অকিবন্যাস্ত পুরনো কথার কয়েক টুকরা তুলে দিলাম... !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
নজমুল আলবাব এর ছবি
মন্তব্য ডিলিট হয়না কেন? !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
মাশীদ এর ছবি
ভাল লাগল, বস্! বারবার খেই হারিয়ে অন্য গল্পে চলে যাচ্ছিলেন দেখে মজা লাগল। যেকোন আড্ডায় যেমন হয় আর কি! পড়ে তাই মনে হল যেন সামনাসামনি গল্প শুনছি। --------------------------------------- হারিয়ে যেতে হবে আমায় ফিরিয়ে পাব তবে।

ভাল আছি, ভাল থেকো।

হাসান মোরশেদ এর ছবি
কয়দিন আগে দেখলাম 'জাসদ টু ছাত্রদলের' পাঠা কয়টারে মদের বোতল সহ ধরছে সড়কভবন থেকে । জিল্লুর,ইমন-আহারে সোনার পুতলারা, কি নবাবী দিন গেলো তাদের! -------------------------- আমি সত্য না হইলে গুরু সত্য কোনকালে?

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
ওহ! বোঝা গেলো, জাতীয়তাবাদী হইলে দুধ চা খাওয়া যায়। আপনি কোনোটাই পারেন নাই।
নজমুল আলবাব এর ছবি
ইদানিং রং চাও খাইতে পারিনা শিমুল। আপনে আমার ব্লগস্পটটা দেইখেনতো। কেম হইতাছে। !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
দেখতেছি। আমারটা আজ অন্য কম্পিউটার থেকে চেক করে দেখলাম, কিচ্ছু পড়া যায় না।
আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লেখার সাইজ এখনো ছোট। ফন্ট বড় করে দেন।
নজমুল আলবাব এর ছবি
কনকি? তাইলেতো আমারটাও পড়ন যাইবনা মনে হয়। ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
স্যরি, রিফ্রেশ করে দেখলাম, নতুন বেশ কিছু পোস্ট দিয়েছেন। ঠিক আছে এখন। সুন্দর হয়েছে।
নজমুল আলবাব এর ছবি
থ্যংকস... ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।