অপ বাক এর ব্লগ

বাউন্ডুলে কথন মন্তব্যের খপ্পরে

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: বুধ, ৩১/০৫/২০০৬ - ১১:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পেশাদার প্রাবন্ধিক না হলে বিষয়নিষ্ঠতা থাকে না তেমন করে এবং অন্য আরও একটা বিষয় থাকে সেটা হলো মানুষের শ্রেনীবিভাগ করে ফেলার অবচেতন প্রয়াস এবং 3য় যে সম্ভবনার কথা মনে পড়ছে তা হলো শব্দের অর্থ বিভ্রান্তি, এসবের যেকোনো এক কারনে বাউন্ডুলে কথন পড়ে ওয়ালির ভেতরে 2টা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে,আমি কি আস্তিকদের সৎ প্রমানের চেষ্টা করছি? অন্য প্রশ্নটা আরও বিমূর্ত এক বোধের বিষয় আমি যখন বলছি আমরা প্রকারান্তরে নিজেদের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছি তখন এই অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার সম্ভবনায় বিজ্ঞান কি বলে?

প্রথম প্রশ্নটা নিয়ে আমার নিজের সংশয় আছে, আমি আস্তিকদের পক্ষ নিয়ে কোনো কথা বলি নি, হয়তো শব্দবিভ্রাট এটা কোনো, নাস্তিকদের সৎ প্রমানের কোনো চেষ্টা


বাউন্ডুলে কথন

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: মঙ্গল, ৩০/০৫/২০০৬ - ১০:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই আলোচনার মূল সুর সংস্কৃতি, কৃষ্টি মানুষের যৌগিক চেতনার উৎপত্তি এবং আমাদের সরলিকরন প্রক্রিয়া, বাকি অংশ এই ভাবনার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন চিন্তার আঁচর। এখানে বিবেচিত বিষয়ের মধ্যে আমার ধারনায় সমাজগঠনের মূল প্রক্রিয়া এবং সাংস্কৃতিক বিবর্তনের পার্থক্য কিভাবে সমাজের সত্তাকে বদলে ফেলে এটার উপর আমার অনুভব, মানুষ মাত্রই অনিশ্চয়তায় ভুগে, এটাও আমার অভিমত, সত্যকে যাচাই করার মূল উপায় পরীক্ষন, কিন্তু সমাজের মতো অনেক লতানো প্যাঁচানো জীবন্ত সত্ত্বাকে পরীক্ষন করার জন্য যেই বিচ্ছিন্নতা প্রয়োজন তা আমাদের নেই, আমরা মানুষকে গিনিপিগ হিসাবে ব্যাবহার করতে পারি না, এবং বিষয়টা মানবিকও না আমার বিবেচনায়, একেবারে প্রাচীন সভ্যতার উত্তরাধিকারি মানুষকে হঠাৎ করে যন্ত্রযুগের


বারোমিশালি প্যাঁচাল

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: রবি, ২৮/০৫/২০০৬ - ২:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিজ্ঞান এবং ধর্ম নিয়ে এবং ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিয়ে ব্লগটা বিভক্ত। অবশ্য ইদানিং সাধারন কিছু নতুন মাপের ঐক্য এসেছে, শালিনতা আন্দোলন, সমমনা ব্লগারদের নিয়ে অশালিনতার বিরুদ্ধে বর্জন কর্মসূচি- মানুষ উদযাপন ভালোবাসে,
মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য থাকবে, মানুষের গন্তব্য এবং উদ্দেশ্যের পার্থক্য থাকবে, এটাই স্বাভাবিক, একেবারে উগ্র ধরনের কামুকও থাকবে এবং অন্য পাল্লায় থাকবে তীব্র বৈরাগি দল। সাধারন মানুষ এই 2 মাত্রার ভেতরে নিজেদের অবস্থান গ্রহন করবে, প্রকৃতির সাম্য বজায় রাখার জন্য মধ্যপন্থি জনগনের সংখ্যা বেশি হবে, ওরাই সংখ্যাগুরু সমপ্রদায় হবে। কিন্তু শালিনতা আন্দোলনটা কি নিয়ে এটাই বুঝে উঠতে পারলাম না এখনও? একেক জন একেক ভাবে বিষয়টাকে


ব্যাবিলনের দেবতাকূল

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শনি, ২৭/০৫/২০০৬ - ৮:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সভ্যতায় প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মাগমনের বিষয়টা নিয়ে লিখবো ভাবছিলাম, অনেক আগে থেকেই, আরও কিছু দিন সময় লাগবে বিভিন্ন উপকথার জন্ম এবং বিবর্তন কিভাবে হলো এটা বোঝার জন্য। গত কোনো এক লেখায় উৎসের মন্তব্য ছিলো মিশরের পুরোহিত তন্ত্রের অনুমান কেনো, অন্য কোনো সমসাময়িক সভ্যতায় কি পুরোহিত তন্ত্র ছিলো না? সমসাময়িক এবং কাছাকাছি সভ্যতা বলতে ব্যাবিলনের সভ্যতা এবং এসিরিয় সভ্যতা, মিশরের সভ্যতার আচমকা বিবর্তনে এদের ভূমিকা আছে, এমন কি প্যালেস্টাইনের সভ্যতাও মিশরের মাটিতে প্রবাহিত হয়েছে, পারস্পরিক বিনিময়ের সবটা হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না, মানুষ নির্মম, যখনই কোনো শহর দখল করেছে সেই শহরের সবকিছু পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে, এবং মানুষ ফিনিক্সের মতো সেই পোড়া শহরেই আবার নতুন বসতি গড়েছে


পুরোহিত তন্ত্রের উদ্ভব এবং ধর্মের রাজনৈতিক ব্যাবহার।

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৫/০৫/২০০৬ - ১০:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রায় 5000 বছর আগে প্রথম ধর্মের রাজনৈতিক ব্যাবহার এবং পুরোহিত তন্ত্রের উদ্ভব হয় মিশরে।এর আগের সভ্যতায় ধর্ম এসেছিলো শাসনের অনুষঙ্গ হয়ে যেমন প্রাচীন ব্যাবিলনিয় সভ্যতা যেখানে সম্রাটরা ইশ্বরের প্রতিনিধি হয়ে রাজ্য শাসন করতো, কিন্তু মিশরের অনন্যতা এখানেই যে ভৌগলিক বিচ্ছিন্নতা এড়াতেই সম্ভবত এখানের প্রথম এবং 2য় রাজত্নত্রের সময়ে সাধারন মানুষকে ধারনা দেওয়া হয় সম্রাট স্বয়ং ইশ্বর যার নাম হোরাস, এবং মিশর যেহেতু ভৌগলিক ভাবে বিচ্ছিন্ন 2টো অংশে জুড়ে তৈরি, তাই সম্রাটেরও নিরংকুশ আধিপত্য 2টো দেবীর উপরে একটা মিশরের উপরের অংশের পরিচায়ক অন্যটা মিশরের নীচের অংশের পরিচায়ক।
মিশরের সভ্যতার পালাবদলের সূচনা আরও আগে, অনুমান করা হয় প্রায় 2000 বছরের ধারাবাহিকতায় মিশর


মাদ্্রাসা শিক্ষা ব্যাবস্থা

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: রবি, ২১/০৫/২০০৬ - ৭:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জনাব আশার আলোর মাদ্্রাসা শিক্ষা নিয়ে করা পোষ্টটা পড়ে বেশ আমোদিত হলাম, তার লাখ লাখ হাজার হাজার সংখ্যা দেখে প্রথমে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলাম আমি, বাংলাদেশের বয়েস 35 বছর, প্রতিবছর একটা করে হলে 35টা ব্যাচ বের হয়েছে, বুয়েটে এখন ছাত্র সংখ্যা প্রতি বছরে 1000 এর মতো, এমন 5টা প্রতিষ্ঠান আছে। অতীতে এদের ধারন ক্ষমতা আরও কম ছিলো, তাই ধরে নিলাম 700 একটা গড় সংখ্যা- 35 বছরে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়েছে 3500* 35 =122500 জন ছাত্র, ঢাকা, রাজশাহী, চিটাগাং, সিলেট, জাহাঙ্গির নগর, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, এই 6টা থেকে যদি গত 35 বছরে গড়ে 5000 করে ছাত্র বের হয় তাহলে 10 লক্ষ 50 হাজার হয়, , এবং প্রতিবছর চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে ছাত্র নেওয়ার গড় হচ্ছে 1000, এই হিসাবে 35 হা


মুসলিম বিজ্ঞানী

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: রবি, ২১/০৫/২০০৬ - ৬:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুসলিম বিজ্ঞানী বলে এক গরূরের ছানার কথা শুনছি আমি, সেই বিজ্ঞানীরা কারা এবং তাদের অবদান কি বিজ্ঞানে এ বিষয়টা নিয়ে আমার একটু কৌতুহল তৈরি হয়েছিলো, যদিও তেমন বিশেষ কিছু পেলাম না তবে একেবারে তাক লাগানো কোনো তত্ত্ব তারা তৈরি করতে পারে নি বোধ হয়, যাই হোক পরিচিত কিছু নাম যাদের কথা মুসলিম বিজ্ঞানী হিসেবে চলে আসে তাদের সবার ধর্ম যে ইসলাম তাও নয়, বরং এটা বলা ভালো হবে যে যখন ইসলামি সাম্রাজ্যবাদের শুরু তখন বিশাল একটা ভূখন্ড মুসলিমদের শাসনে ছিলো, এই বিশাল ভূখন্ড আরব উপদ্্ব ীপ থেকে রাশিয়ার কিছু অংশ, অন্য দিকে ইরান হয়ে আফগানিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত, এবং অন্য দিকে তুরস্ক, স্পেন, এবং আফ্রিকার ভূমধ্য সাগরের তীরবর্তি অংশ, মিশর, সুদান, এসব অঞ্চলও মুসলিম শাসনাধীন


সভ্যতা

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শুক্র, ১৯/০৫/২০০৬ - ৪:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সভ্যতার বিকাশ য়েছে নদীর আশে পাশে, অন্তত আমরা যেসব সভ্যতার সাথে পরিচিত সবগুলোর উৎসই নদীকূলবর্তি অঞ্চল, তবে সভ্যতার বিকাশে অন্য একটা বিষয় চোখ এড়িয়ে যায়,যেই ফাঁক দিয়ে হারুন ইয়াহিয়ার মতো চালিয়াতেরা বলতে পারে পৃথিবীতে সভ্যতার বিভিন্ন স্তর এখনও বর্তমান সুতরাং এই একই রেখা অতীতে টেনে নিয়ে গেলে দেখা যাবে সভ্যতার অসম বিস্তার সব সময়ই ছিলো পৃথিবীতে।
সভ্যতার বিকাশের ক্ষেত্রে অন্য একটা নিয়ামক হলো অন্য সব সভ্যতার সংস্পর্শ, কথাটা বর্তমানের প্রেক্ষিতে যেমন সত্য অতীতের সময়ও একই ভাবে সত্য ছিলো, মানুষের মেধাপাচারের ইতিহাস সহস্রাব্দ প্রাচীন। ভারত থেকে জ্ঞান পাচার হয়ে গেছে গ্র ীসে, গ্র ীসের জ্ঞান গেছে নীলনদ অববাহিকায়, আবার মিশর থেকে জ্ঞানের প্রবাহ গেছে ভূমধ্য


ইহুদি ধর্ম

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: রবি, ১৪/০৫/২০০৬ - ৫:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আদমের বয়েস যখন 130 বছর তখন তার একটা সন্তান হয় তার নাম সেথ, এটার ইসলামি করন হয়েছে বোধ হয় শীস নামে। শীস বা সেথ এর বয়েস যখন 105 বছর তখন এনাশ নামের এক ছেলে হয় তার,
এনাশের বয়েস যখন 90 বছর তখন জন্ম হয় কেনান এর।
কেনান এর বয়েস যখন 70 তখন মাহলালেল এর জন্ম হয়, মাহলালেলএর বয়েস যখন 65 তখন জন্ম হয় যারেদের জন্ম হয়,
যারেদের বয়েস যখন 162 তখন জন্ম হয় এনুশের। এনুশ65 বছর বয়েসে সেই সন্তানের জনক হয় তার নাম মেথুসেলাহ,
মেথুসেলাহর 187 বছর বয়েসে যেই সন্তান জন্ম হয় তার নাম লামেশ, লামেশের বয়েস যখন 182 তখন নোয়ার জন্ম হয়।
সংখ্যাগুলো যোগ দেওয়া যাক
130, 105, 90, 70,65, 65, 162, 187, 182
এটা হয় 1057, আদমের বয়েস ছিলো মৃতু্যকালে 930 বছর, সেথ এর বয়েস ছিলো


রাজাকারদের বিচারপ্রসংগে

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শনি, ১৩/০৫/২০০৬ - ৩:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাইমুম একটা প্রশ্ন তুলেছিলো রাজাকারদের বিচার নিয়ে, কেনো রাজাকারদের বিচার করা সম্ভব হলো না এই দেশের মাটিতে।
অনেকগুলো তত্ত্ব আছে এর জন্য যেই পরিমান তথ্য প্রয়োজন তা এই মুহূর্তে হাতের কাছে নেই, তাই এই কয় দিন বিভিন্ন সূত্র থেকে যোগার করে যতটুকু বুঝলাম তা বলার চেষ্টা করি,
রাজাকার, আলবদর, আল শামস শান্তি বাহিনী তৈরি করা হয়েছিলো পাকিস্তানি সৈন্য বাহিনীর সহায়ক শক্তি হিসেবে, এটা সামরিক বাহিনীর সংযুক্ত শাখা, কারন এই রাজাকার বাহিনীতে যোগদানের জন্য বেতন পাওয়া যেতো, এদের কাজ ছিলো
পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনীদের জন্য বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা
বিশেষত মুক্তিবাহিনী সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের চিহি্নত করা।
এরা মূলত মুসলিম লীগ, জামাত এ ইসলা