অপ বাক এর ব্লগ

বৈ বাহক জীবন

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শুক্র, ০৩/০৩/২০০৬ - ১:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনুরূদ্ধ হয়ে বই নিয়ে সাতকাহন
প্রথম পড়া বই সম্ভবত শিশু একাডেমি বা বাংলা একাডেমির প্রকাশিত কোনো বই যা আমি বানান করে পড়তে শেখার পর সে আনন্দে আমার বাবা উপহার দিয়েছিলো, সেই থেকে শুরু, বিভিন্ন ছোটোদের বিজ্ঞান জাতিয় বই ঢেলে আমার শৈশবের দফারফা শেষ করার পর তার সর্বশেষ উপহার ছিলো চিলড্রেন্স নলেজ গাইড বলে 6 কিং 7 খন্ডের এক বই, সেটাও অনুরোধে ঢেকি গেলার মতো শেষ করতে হয়েছিলো।

এসব জ্ঞানী জ্ঞানী বইয়ের ফাঁকে ফাঁকে নবারুন আর শিশু পত্রিকা পড়ে আউট বই পড়ার শুরু, সেটা এক সময় প্রধান কাজ হয়ে যাওয়ায় শাসন বারন চোখ রাঙ্গানো, সেবা প্রকাশিনির ঐ বেশী পড়া হতও কারন আমার এক পরিচিত মামা ছিলো গ্রাহক, আমি বছরে 2 থেকে 3 বার সে বাসায় যেতাম, দুপুরে 3 ঘন্টা পুকুরে দাপানো


বিবর্তনবাদ নিয়ে কিছু কথা

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: বুধ, ০১/০৩/২০০৬ - ৮:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডারউইনের বিবর্তনবাদ একটা ব্যাখ্যা পৃথিবীর জীববৈচিত্রের। কিন্তু বেশ বিতর্কিত একটা বিষয় এটা। ইশ্বরের অভিপ্রায় ছাড়া সয়ম্ভু জীবন এটা মেনে নিতে ধর্মবিশ্বাসিদের বেশ কষ্ট লাগে।

ইশ্বরবিশ্বাস একটা সান্তনার প্রলেপ হিসেবে কাজ করে সবসময়, যখন মানুষ হতাশাগ্রস্থ এবং বিষন্ন তখনও তার আস্থা ও আশার আধার হয়ে থাকে ইশ্বর। ডারউইনের মতবাদ নিয়ে বিতর্ক অনেকটা আস্থার আধার বিলুপ্ত হওয়ার শঙ্কা থেকেও শুরু হয়।
কোথাও নিজেকে স্থাপন করে রাখা, নিজের ভিত্তিটাকে ধরে রাখা, জীবনের একটা আদর্শ খুজে পাওয়া, জীবন যাপনে শৃংখলা আর শান্তি খুঁজে পাওয়া ধর্ম মানুষকে অনেক কিছুই দেয়, ইশ্বরচেতনা সেখানে ইশ্বরে স্বয়ংসম্পুর্নতার নিদর্শন হিসেবে তাকে সকল জীব ওজড়ের স্রষ্টা এবং প্রতিপালক হিস


আগুন ও যৌনতার উন্মেষ- সভ্যতার গল্প ২

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: বুধ, ০১/০৩/২০০৬ - ১০:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নদী তার পথ বদলায়, সভত্যার পালাবদল হয়, খাদ্য এবং নদী দখলের জন্য মানুষের প্রথম লড়াই, মানুষ তখনও প্রকৃতিকে জয় করতে শুরু করে নি,

প্রকৃতি জয়ের প্রথম ধাপ আগুনের ব্যাবহার শেখা। বৈনাশিক আগুনের লীলা দেখেছে মানুষ, শোভন আগুনের আঁচে পিঠ পেতে মানুষের সভত্যার গল্প একটানে কয়েক পাতা সামনে চলে যায়। আগুনের ব্যাবহার শেখার পর মানুষ আগুন তৈরি করতে শিখে নি, আগুনের উৎস ছিলো প্রকৃতি, তাই আগুনকে জিইয়ে রাখতে হতো তাদের,
কেউ কেউ আগুনপ্রহরী হয়ে থাকতো, তখনও যাযাবর জীবন শেষ হয় নি বিধায় মানুষ আগুন বহন করে নিয়ে যেতো নিজেদের সাথে, অগি্নপ্রহরী মানুষেরা এজন্যই উপাস্য হয়ে উঠে সভত্যার একটা ধাপে।
আগুনের মাহত্ব সভত্যায় কতবেশি এটা বলতে হলে এক কথায় বলা যায় পশু ধাপ থেকে ম


বৃক্ষ থেকে ভুমিতে- সভ্যাতার ইতিহাস - ১

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: মঙ্গল, ২৮/০২/২০০৬ - ১০:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মানব স্রোতে ভাসাইলাম ভেলা, বিজ্ঞজনেরা লগি দিও।
ভুমিকাঃ এটা শুধুমাত্র তাদের জন্য যাদের পুর্বপুরুষ কোনো এক কালে গাছে ল্যাজ দোলাতো, বিবর্তনের এক ধাপে যাদের পুর্বপুরুষ কোনো এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে 2 পায়ের বিকল্প ব্যাবহার শিখে সেটাকে হাতে রূপান্তরিত করে। এর সূচনা কাল লক্ষাধিক বছর আগে।
তাদের ঠিক মানুষ না বলে মানুষের আদল বলা যায়। মানুষ হয়ে উঠা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, এমন কি এই বর্তমান যুগেও মানুষ হয়ে উঠাটা একটা চেতনার অংশ।

আগুনের আবিস্কার এবং ব্যাবহার শেখার আগে মানুষ কাঁচা খাবার খেতো, এ বিষয়ে যাদের দ্্বিমত নেই এটা তাদের উদ্দেশ্যে।
পশুচারন এবং খাদ্য উৎপাদন(কৃষিকাজ শেখার আগে) মানুষ যাযাবর ছিলো এ কথা যারা বিশ্বাস করে এ লেখা তাদের জন্য।


কতিপয় সংজ্ঞা - ২

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শনি, ২৫/০২/২০০৬ - ৪:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ব্লগ, ব্লগার, ব্লগাচরণঃ
এটা একটা নিয়মিত বিষয়। এ ব্লগের কর্নাধারেরা সবচেয়ে বিপদে আছেন বোধ হয়। তারা ব্লগকে স্বাধীন করে দিয়েও ব্লগারদের রোষের মুখোমুখি হচ্ছেন প্রতিদিন।
ব্লগের প্রতিশব্দ এখনও আমরা খুঁজছি, যারা যারা এটার উন্নতি করতে চান তারা মুখফোড় অথবা হিমুর পোষ্টে গিয়ে মন্তব্য ঝেড়ে আসতে পারেন।
আমি ব্লগের শব্দান্তর করেছি- স্বগতালাপ ( যারা বাংলা কম জানেন তাদের জন্য বলা, স্বগতালাপের প্রায়োগিক অর্থ নিজের সাথে নিজে কথা বলা, বা নিজের কথা প্রকাশ করা) স্বগতোক্তি করতে পারতাম কিন্তু ওটার সাথে আক্ষেপজনিত একটা দুষন রয়েছে বিধায় স্বগতালাপ আমার পছন্দ।
তেমনি ব্লগারকে বলতে চাইছি - লিপিকার, আলাপক, তবে মনপুত হচ্ছে না একটাও।

যাই হোক মূল কথায় ফিরে


কতিপয় সংজ্ঞা - ১

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শনি, ২৫/০২/২০০৬ - ২:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অবস্থা দেখে মনে হলো এখন কিছু বিষয়ের সংজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন। তাই এ লেখা। ব্লগের বহুল ব্যাবহৃত শব্দগুলোর সংজ্ঞা দেওয়া যাক তাহলে।
পদবিভাজন করে দেই, লোকজনের বাংলা এবং ভাষাজ্ঞান তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সবার কথা বলছি না, কিছু কিছু অদ্ভুত বাংলাদেশির জন্য এ সংজ্ঞায়োজন।

ভাষাঃ মানুষের পরস্পরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম। স্বরযন্ত্রের কম্পনজাত আলোড়ন যা বাতাসে বাহিত হয়ে একই লোকালয়ে বেড়ে ওঠা অন্য একজন মানুষের কর্নকূহরে প্রবেশ করলে তার চেতনায় নাড়া দেয়, এবং তার বোধগম্য হয়।
বিভিন্ন ভাষা পৃথিবীতে আছে, প্রতিটা ভাষার লৌকিক একটা উচ্চারণরীতি আছে, আমরা বাংলায় ওটাকে আঞ্চলিকতা বলে থাকি।
ভাষা একই লোকালয়ে বেড়ে ওঠা বিভিন্ন মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম, প্রাচিন কালে


বাংলাভাষা

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শুক্র, ২৪/০২/২০০৬ - ২:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ধানসিঁড়ি ভাই ভাষাকে গ্রহন করতে হয় যেমন তেমন নিজেকেও বদলে ফেলতে হয়,অন্য ভাষার শব্দ গ্রহনে আমার তেমন আপত্তি নেই, তবে এ সুযোগে যদি নিজের ভাষায় নতুন কিছু শব্দ যোগ হয় ক্ষতি কি? গতিশীলতা মানে শুধু অন্যের চাপে পড়ে স্থান বদল হবে কেনো? নিজের আগ্রহে অবস্থান পরিবর্তনও গতিশীলতা হতে পারে। বাংলাভাষি লোকজনের সংখ্যা 30 কোটির মতো, তারা সবাই নতুন নতুন ভাবে বাংলাকে দেখছে,
আমার এক বন্ধু ছিলো তাকে বললাম গৃহহীন এর একটা সুন্দর প্রতিশব্দ আছে, অনিকেত। তার উত্তর ছিলো এমন সুন্দর একটা উপাধি পাওয়ার জন্য বাড়ীঘর হারাতে সমস্যা নেই কোনো।
আর বাংলার বিজ্ঞা পরিভাষা আসলেও অনেক পিছিয়ে, মাইক্রোসফটের বাংলা ইন্টারফেস এর পিছনে কাজ করেছে পশ্চিম বঙ্গের লোকজন। ওদের বিজ্ঞান পরিভাষ


কিছু বাজে কথা

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শুক্র, ২৪/০২/২০০৬ - ৬:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক দিনে 3টা পোষ্ট করলে আবার জনগন ধরে প্যাঁদানি দিতে পারে সে সমুহ সম্ভবনা মাথায় রেখেও কিছু কথা না বলে পারছি না।

ইসলাম শিক্ষার নামে যা তা কিছু ছাগলের গলায় ধর্মের তকমা ঝুলিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, এদের না আছে ধর্মবোধ, না আছে শালিনতা বোধ, না আছে মনুষত্ববোধ। অথচ এরা একেক জন ভাবের তলোয়ার নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ছে ব্লগসম্রাজ্যে। ধর্মনিয়ে মুক্ত আলোচনায় কারো কোনো বাধা দেখছি না, কিন্তু এদের ধর্ম নিয়ে আলোচনার যোগ্যতা নেই। একেবারে সাধারনিকৃত মন্তব্য হয়ে যাবে তবে এখানে যারা ইসলামের সপক্ষে কথা বলছে ইসলাম নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা তাদের একজনেরও নেই। একজন ছিলো কিন্তু সে আবার পোষ্ট করে ন।

যাই হোক আমার পুরান ঢাকা বসবাসের সুবাদে বেশ সুন্দর কিছু গালি শিখেছিলাম। সেসব


রাজ্য ভাবনা

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শুক্র, ২৪/০২/২০০৬ - ১:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এর আগে আমি বলেছিলাম শিল্পিরা সচারাচর সাম্যবাদি। ধর্মতন্ত্র এবং পুঁজিবাদের বিরোধী। কারনটা যারা শিক্ষিত তারা নিজের মতো উপলব্ধি করে ফেলে। আমি আমার একটা ব্যাখ্যা দাড়া করানোর চেষ্টা করছি মাত্র।
যারা কল্পবিজ্ঞানের বই পড়ে তারা এটা লক্ষ্য করে থাকবে যে সেখানে রাষ্ট্রিয় সীমারেখা অনুপস্থিত। ভয়ংকর তবে সাম্ভাব্য একটা ভবিষ্যত। তার সামান্য নজীর আমরা দেখছি প্রাত্য হিকতায়।
শিল্পবিপ্লবের পর কৃষিক্ষেত্র অভেলিত এমন কেউ বলবে না তবে কোনো কোনো দেশ কৃষিনির্ভরতা কটিয়ে যন্ত্রনির্ভর উৎপাদনের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। যান্ত্রিক উৎকর্ষতার দিকে গবেষনার ক্ষেত্র বাড়ছে, এবং বাংলাদেশের মেধাবি ছাত্ররা সেসব জায়গায় প্রতিস্থাপিত হচ্ছে, তারা নিত্যনতুন উৎপাদন ব্যাবস্থার সৃষ্টি করছে


হুমায়ুন আজাদ

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৩/০২/২০০৬ - ১০:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান নিয়ে সব সময় সরব একজন মানুষ, তাঁর লেখা আমার কখনই মহার্ঘ কিছু মনে হয় নি, তবে সাধারন একজন।
তার সাথে ব্যাক্তিগত পরিচয় ছিলো না কখনও। আমার কাছের এক বন্ধু তার ভক্তশ্রনীভুক্ত ছিলো এবং তার মতে হুমায়ুন আজাদকে ছুঁয়ে দেওয়াও পুণ্য। আমি তেমনটা বিশ্বাস করি নি তাই তেমন করে পুণ্য অর্জন করা হয় নি।
আমি পাঠক হিসেবে তার মূল্যায়ন করার একটা ক্ষুদ্্র প্রচেষ্টা করব, আশা করি তার অগনিত ভক্ত এটাকে আমার নিজস্ব অনুভব বলে ভাববেন।

আমি তার লেখার সাথে পরিচিত হই তার নিজের েশ্রষ্ঠ কাব্য সংগ্রহ পড়ে। তার সম্পাদিত বাংলাভাষার আধুনিক কবিতাও পড়ে ফেলি, নিষিদ্ধ বিধায় কৈশোরের আবেগে পড়ে ফেলি নারী। এবং এর পর তার রচিত উপন্যাসগুলো। অন্তত 2001 পর্যন্ত