কতিপয় সংজ্ঞা - ১

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শনি, ২৫/০২/২০০৬ - ২:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অবস্থা দেখে মনে হলো এখন কিছু বিষয়ের সংজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন। তাই এ লেখা। ব্লগের বহুল ব্যাবহৃত শব্দগুলোর সংজ্ঞা দেওয়া যাক তাহলে।
পদবিভাজন করে দেই, লোকজনের বাংলা এবং ভাষাজ্ঞান তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সবার কথা বলছি না, কিছু কিছু অদ্ভুত বাংলাদেশির জন্য এ সংজ্ঞায়োজন।

ভাষাঃ মানুষের পরস্পরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম। স্বরযন্ত্রের কম্পনজাত আলোড়ন যা বাতাসে বাহিত হয়ে একই লোকালয়ে বেড়ে ওঠা অন্য একজন মানুষের কর্নকূহরে প্রবেশ করলে তার চেতনায় নাড়া দেয়, এবং তার বোধগম্য হয়।
বিভিন্ন ভাষা পৃথিবীতে আছে, প্রতিটা ভাষার লৌকিক একটা উচ্চারণরীতি আছে, আমরা বাংলায় ওটাকে আঞ্চলিকতা বলে থাকি।
ভাষা একই লোকালয়ে বেড়ে ওঠা বিভিন্ন মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম, প্রাচিন কালে সেই জনগোষ্ঠির অনর্ভুক্ত মানুষেরাই এটাকে বুঝতো এবং বুঝতো বলেই পালটা জবাব দিয়ে যোগাযোগ করতে পারতো।

হায় সেই রামও নেই সেই অযোধ্যাও নেই। এখন বাংলা ভাষাভাষি লোকজনও বাংলা বুঝে না।

বর্নমালা: ভাষার লিখিত রূপ। ভাষায় ব্যবহৃত উচ্চরন গুলোকে কেউ কেউ আরও ছোটো এককে ভাগ করে বর্নমালার জন্ম দিয়েছে, বেশিরভাগ ভাষারই বর্নমালা আছে, ব্যাতিক্রম চীনা ভাষা, ওদের প্রতিটা শব্দের আলাদা চিহ্ন আছে, একটু কঠিন চীনা ভাষা। তবে শব্দের মধ্যে ব্যাবহৃত উচ্চরন গুলোকে পৃথক করে বর্নমালায় স্থান দেওয়া হয়। আমরা যে ভাষা ব্যাবহার করি তার নাম বাংলা। এর বর্নমালায় 50টা অক্ষর, তার 11টা স্বরবর্ন 39টা ব্যাঞ্জন বর্ন।
ব্যাঞ্জন বর্নগুলোর আবার 2টা ধাঁচ। বর্গ ীয় বর্ন এবং বর্গছাড়া বর্ন। প্রথম 25টা বর্ন মিলে 5টা বর্গ তৈরি করেছে, এদের প্রতিটা বর্গের বর্নগুলো পরস্পরের সাথে মিলে যুক্তাক্ষর তৈরি করে।
ঙ ক, ঙ খ ঙ গ ঙ ঘ। কিন্তু অন্য বর্গের বর্নের সাঠে এদের মিলমিশ নেই।
তেমনি। ঞ চ ,ঞ ছ, ঞ জ, ঞ ঝ, চ ঞ, ছ ঞ, জ ঞ, ঝ ঞ, চ ছ,
তেমনি
ত ন, দ ন, থ ন, এসব যুক্তাক্ষর তৈরি করা যায়।

তাই ণ ঠ, ণ ড, ণ ট ঢ ণ, এসবও তৈরি করা যায়।
এবং প ব ভ ব ম ভ, প ম।
কিছু ব্যাতিক্রম আছে, যেমন, ন ড , গ ম, ন ম , এগুলো আমরা জানি। আর যারা আরও জানতে চায় তাদের সহযোগিতায় ইশতিয়াক জিকো ভাই আছে, তার বাংলার দখল আমার তুলনায় অনেক অনেক বেশী।
একটা কথা বলে রাখা ভালো আরবি বর্নমালায় 'প' বলে কোনো বর্ন নেই তাই আরবের লোকেরা "পেঁপেঁ প্যারিস "এসব বলতে পারে না।
এমন কি এই যে সহজ 'পারে' এটাও বলতে পারবে না।
এ ভাষার বর্নমালার তদারকি করেছেন। ইশ্বরচন্দর বিদ্যাসাগর ভদ্্রলোক। আমি এ ভাষার আলোচনা শুরু করলাম এ ব্লগে তাই আমি অপ বাক চন্ডর বিদ্যাঢিবি।

ব্যাকরনঃ ভাষা শুধু বর্নমালা দিয়ে হয় না, ভাষার ক্ষুদ্্রতম একক শব্দ, ভাষার কিছু নিয়মকনুন আছে, সেই নিয়মকানুনের পুস্তককে বলে ব্যাকরন বই। এখানে সাধারনত শব্দগুলো কিভাবে কিভাবে পরস্পর সাজাতে হবে এ দিক নির্দেশনা থাকে। কিছু ব্যাকরন অসিদ্ধ শব্দ তৈরির ঝোক থাকলে তাকে অবশ্যই বড় মাপের কবি বা সাহিত্যিক হতে হবে, এছাড়া পার পেয়ে যাওয়ার সম্ভবনা কম।
আগ্রহীরা হুমায়ুন আজাদের ব্যাকরন নিয়ে রচিত বইটা পড়তে পারেন, অথবা মুখফোড়ের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, অথবা সেই জিকো ভাই।

যারা বাংলা মাধ্যমে পড়েছেন তাদের ব্যাকরন শেখানোর দরকার নেই। আমি নিজেও খুব একটা ভালো জানি না, তবে এটুকু বলতে পারি প্রতিটা শব্দের ব্যাকরনসিদ্ধ এবং প্রায়োগিক একটা অর্থ বিদ্যমান। সময়ের সাথে প্রায়োগিক অর্থ বদলাতে পারে, শব্দের সংযোজন বিয়োজন মিশ্রন এসব ঘটলে মিলিত শব্দগুলোর অর্থ বদলে যেতে পারে, এমনকি ঐতিহাসিক কারনেও শব্দের অর্থচু্যতি ঘটে থাকে। এসব নিয়ে বলার লোকজন আসবে আশারাখি।

তবে শব্দের প্রায়োগিক অর্থ বুঝে না এমন লোকজন বাংলায় ব্লগ লিখছে, তাদের সামান্য জ্ঞান দানের এ মহৎ লোভ ছাড়তে পারলাম না। অন্তত নিজের ভাষাটা জানুক, নিজের দেশের লোকজনের সাথে যোগাযোগে সক্ষম হোক এটাই আমার গুপ্ত চাওয়া। তাদের জন্য বাকি সংজ্ঞার আয়োজন।

সহায়ক পোষ্ট চাই অভিজ্ঞ লিপিকারেরা।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।