অনুরোধ করতে পারি এই পোষ্টকে স্টিকি করবার-

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/০৫/২০০৮ - ৮:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাননীয় কতৃপক্ষ আপনাদের নীতিমালা বলছে আপনারা অন্য কোথাও লেখা কোনো পোষ্টকে প্রথম পাতায় রাখবেন না। সেটা আপনাদের নিজস্ব নীতিমালা- সেটার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এখানে লেখালাখি করতে হবে আমাদের।
আজকের এই লেখাটা অবশ্য আমার নিজেরও না, অন্য একটা ব্লগে প্রকাশিত এবং সেখান থেকে কপি পেস্ট করা। আপনার ইচ্ছা করলেই নীতিমালার দোহাই দিয়ে মুছে দিতে পারেন। আমার এই বিষয়ে কোনো অভিযোগ থাকবে না।
---------------------------------------------------------
তবে অক্ষম অনুরোধ করতে পারি এই পোষ্টটাকে স্টিকি করবার
---------------------------------------------------------

অনিবার্যকে উপেক্ষা করে মানুষের বেঁচে থাকবার লড়াই চিরন্তন। কিছু কিছু সংগ্রামী মানুষের দৃঢ়তা দেখে শ্রদ্ধা জাগ্রত হয়।

আজ শ্বাশত সত্যকে নিয়ে লেখা প্রতিবেদন পড়ে শ্বাশত সত্যের সংগ্রাম দেখে শ্রদ্ধায় অবনত হলাম। মৃত্যুকে অবজ্ঞা করে তার বেঁচে উঠবার লড়াইয়ে সঙ্গী হতে অনুরোধ করতে পারি। কাউকে বাধ্য করতে পারি না।

মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও মরিয়া মানুষ অসম্ভবের ডানায় ভর করে বেঁচে উঠবার স্বপ্ন দেখে। মানুষের প্রতি মানুষের আস্থা আর বিশ্বাসের প্রতিদান দিতে পারে শুধু মানুষ।

আমারা সম্মিলিত ভাবে একজন শ্বাশত সত্যকে বাঁচিয়ে তুলতে পারি।

শাশ্বত সত্য’র পাশে দাঁড়াবোই
আ-আল মামুন

প্রথম বর্ষের ক্লাস নিতে গিয়ে আমি বিস্মিত হয়েছি, বহুদিন পরে। ক্লাসে আমি মুদ্রণ শিল্পের ইতিহাস পড়াচ্ছি, মাঝে মাঝে প্রশ্ন করি এক দিন, দুই দিন, তিন দিন। একটা ছেলে প্রশ্নগুলোর জবাব জানে। অনেকদিনের অভিজ্ঞতায় হতাশা জন্মেছে, ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা অনেকটা ছেড়েই দিয়েছে যদি বলি মহাভারত পড়েছ? জবাব পাই, না স্যার পড়িনি, তবে কেউ কেউ বলে টিভিতে দেখেছি। সেহেতু হতাশা জন্মেছে, তবু অভ্যাসবশে বক্তৃতার মাঝে মাঝে প্রশ্ন করি উত্তরের প্রত্যাশা না-করেই। এবার অবাক হয়েছি, একটা ছেলে জবাবগুলো জানে। বলি, কাগজ কোন দেশের মানুষ আবিষ্কার করেছিল, জবাব আসে চীন দেশে। প্রশ্ন করি, আধুনিক মুদ্র্রণশিল্পের জনক কাকে বলা হয়, তার সাকিন কোথায় জবাব পাই গুটেনবার্গ, জার্মানীর মেনজ শহরে। বরীন্দ্রনাথের উপন্যাসগুলো পড়েছো? হ্যাঁ। মানিক পড়েছ? হ্যাঁ স্যার কিছু পড়েছি। আমার চোখ বারবার ঘুরে যায় উত্তরদাতার দিকে।

আমি ছেলেটা সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠি, মনোযোগ দিই। নাম শাশ্বত সত্য। প্রাণবন-, উজ্জ্বল চোখের দৃষ্টি। বামহাতে ক্র্যাচে ভর দিয়ে তার চলাফেরা। ও মাঝেমধ্যে আলাপ করতে আসে, আমি পরামর্শ দিই, অবশ্যপাঠ্য বইগুলো পড়তে বলি, সাংবাদিকতার অ-আ-ক-খ শেখাই আমার ভালো লাগে। পড়ালেখা-করা ছেলে নজরে পড়লে শিক্ষক হিসেবে আমি স্বভাবতই তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হয়ে উঠি। ভাবি, বেশতো পড়ালেখা করছে ছেলেটি, এখন আরও বইপত্র পড়িয়ে ও আলাপচারিতার মাধ্যমে গড়েপিঠে নেব রাষ্ট্রকাঠামো, সমাজ আর মিডিয়ার সমাজতত্ত্ব বিষয়ে সচেতন করে তুলবো। এভাবেই দিনগুলো চলছিল, এভাবে আমরা ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠতে থাকি।

এর মধ্যে ওদের প্রথম ইনকোর্স পরীক্ষা হলো। জিজ্ঞেস করি, কেমন পরীক্ষা দিলে শাশ্বত? ও বলে, ‘ভালো হয়নি স্যার।’ আমি মনক্ষুন্ন হই, বলি ‘কেন ভালো হলো না?’ জবাব পাই: ‘বেশিক্ষণ একটানা লিখতে পারি না, হাত অবশ হয়ে আসে স্যার।’ এতোদিন আমি ওর মনোজগতের বিকাশ নিয়ে আগ্রহী ছিলাম, এখন ওর শরীরতত্ত্বও সামনে এসে হাজির হয়।

আপন শরীর নিয়ে ওর লড়াইয়ের ইতিহাস বড়ই করুন আর দীর্ঘ। সেই ১৯৯৮ থেকে ২০০৮। পরিস্থিতির নিয়মিত অবণতি ঘটেছে, শরীরের অঙ্গগুলো একটার পর একটা বিদ্রোহ করেছে, অচল হয়ে যাচ্ছে। আর প্রচণ্ড মনোবল সম্বল করে ও এগিয়ে চলেছে, সামনে নিশ্চিত পরাজয় জেনেও। ডাক্তারিবিদ্যা ও বিজ্ঞান বলছে ওর পরাজয় ঘটবে হাত-পা-কোমরের জয়েন্টগুলো অচিরেই অচল হবে, মেরুদণ্ড আরষ্ট হয়ে যাবে, ও চলচ্ছক্তিরহিত একদলা মাংশপিণ্ডে পরিণত হবে। তারপরে মৃত্যু অনিবার্য। কিন্তু বিজ্ঞান মানুষের মনের তালাশ এখনও করতে পারেনি। বিজ্ঞান জানে না মানুষের মন কী অপরিমেয় শক্তি ধারণ করে, কতোটা অমৃত ফলাতে পারে। প্রতিটি মানুষের মনে যে আল্লা বাস করে করে এবং অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলে তার তালাশও বিজ্ঞান করতে পারেনি, অদূর ভবিষ্যতেও করতে পারবে না বলেই মনে হয়।

২০০৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিছানায় পড়ে ছিল শাশ্বত, পিঠে গোটা গোটা ঘা হয়েছিল। সবাই ওর পঙ্গুত্ব মেনে নিলেও মানতে পারেনি শাশ্বত নিজে। দেহ-মনের সর্বশক্তি জড়ো করে ২০০৬ সালের প্রথম দিকে ও হামাগুড়ি দিয়ে, ছেঁচড়ে উঠে বসেছিল। তারপর একসময় দুই ক্র্যাচে ভর দিয়ে কুঁজো হয়ে দাঁড়িয়ে এক পা দুই পা করে হাঁটতে শুরু করেছিল, শরীরের অসীম যন্ত্রণা উপেক্ষা করে। এবং ২০০৭ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে এক ক্র্যাচে ভারসাম্য রেখে এবছর আমাদের বিভাগে ভর্তি হয়েছে। একটা ক্লাসেও ওকে অনুপস্থিত দেখি না। ও যেন মৃত্যুর সাথে, পরাজয়ের সাথে পাশা খেলে চলেছে নিয়মিত বিলম্বিত করে তুলছে আজরাইলের কাজটি। আমি ওর লড়াই দেখি আর অবাক মানি।

এই লড়াইয়ের কাহিনী শুনতে একদিন শাশ্বতসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে বসেছিলাম আমার বাসায়। বাবা-মা স্থানীয় ডাক্তার ছেড়ে একসময় নিয়ে গেছেন কোলকাতার পেয়ারলেস হাসপাতালে। জেনেছেন, সিরোনেগেটিভ রিউমেটয়েড আর্থারাইটিস নামের নাম না-জানা দুরারোগ্য ব্যাধি ধরেছে শাশ্বতকে। তিন মাস অন্তর গিয়ে দেখাতে হবে। ফিরে আসার সময় ব্যাথা সামান্য কম থাকলেও দুই মাস পেরোতে না পেরোতেই ব্যাথার তীব্রতা এতোই বাড়ে যে তিন মাসের অপেক্ষা না-করেই তাকে ছুটতে হয় কোলকাতা। ঐ অবস্থাতে ক্লাস না-করে ২০০১ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেয় সে। ফল ৩.৫০। কথা বলতে বলতে খুব উৎফুল্ল হয়ে বলে, ‘২০০১ থেকে ২০০৩ এর মে মাস পর্যন্ত আমি অনেক ভালো ছিলাম। ব্যাথা প্রায় হতোই না। কিন্তু মে মাসে হঠাৎ করেই এমন পরিস্থিতি হলো যে আমার পক্ষে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা চিন্তা করাও অসম্ভব ছিল।’ ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে ওর শরীরের ওজন ছিল ৬০ কেজি আর ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তা নেমে গিয়েছিল ২৮ কেজিতে। বাহ্যজ্ঞান বিলুপ্ত হয়েছিল প্রায়। দিনে ২/৩ চামচ বার্লির বেশি কিছু খেতে পারতো না, এটুকু খেলেও নীল বমি হয়ে বেরিয়ে আসতো। বাবা অরুণ সত্য তাকে কোলকাতায় আর না-দেখিয়ে নিয়ে এবার গেলেন ভেলোরে ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজে। সেখানেও ডাক্তার জানালেন পিত্তথলী ভর্তি অসংখ্য পাথর। সিরোনেগেটিভ রিউমেটয়েড আর্থারাইটিস তো আছেই। ঔষুধ নিয়ে যখন দেশে ফিরে আসে তখন তার উঠে দাঁড়ানোর শক্তি আর অবশিষ্ট নাই। একটার পর একটা ঔষুধে ক্লান্ত শাশ্বতর এবার বুকে ব্যাথা শুরু হয়েছে, আর রাত্রে জ্বর হচ্ছে, শরীর বিছানাগত। বাবা-মা তার জীবনের আশা ছেড়ে দিলেন।

‘কোলকাতায় থাকতে আমি একটা বইতে প্রাণায়ামের বিষয়টি পড়ি। সেটা করে মনের দৃঢ়তা ফিরিয়ে এনে আমি ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াই ২০০৬ সালের প্রথমদিকে, তাও কুঁজো হয়ে,’ শাশ্বত বলে। ছেলের এই চেষ্টা অসহায় বাবা-মাকে আশান্বিত করে। আবার নিয়ে যান ভেলোরে জুন মাসে। চিকিৎসক বললেন, সিরোনেগেটিভ রিউমেটয়েড আরথাইটিস আরো একধাপ এগিয়ে এনকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস এ রূপান্তরিত হয়েছে। আরও জানান, বাম পায়ের হিপ জয়েন্ট বা অস্থসন্ধি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে এবং শরীরের প্রত্যেকটি জয়েন্ট নষ্ট হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। যদি-না তাকে ৪টি বিশেষ ইনজেকশন অতিসত্ত্বর দেয়া হয় তাহলে তার দেহের অন্যান্য হাড়ের জয়েন্টও নষ্ট হয়ে যাবে।

এক একটি ইনজেকশনের দাম দুই লাখ রুপি, মানে বাংলাদেশী ১৬ লাখ টাকা। বাবার সামর্থ্য নাই, গত দু’বছর তার চিকিৎসা তাই বন্ধ রয়েছে। বাম পা ও মেরুদণ্ড ইতোমধ্যে একটু বেঁকে গেছে। ডান দিকের হিপ-জয়েন্ট ও পা আক্রান্ত হয়েছে। হাত দিয়ে লিখতে পারে না বেশিক্ষণ, ফুলে যায়। নিজে পোশাক বদলানো, একটানা একঘণ্টার বেশি শুয়ে থাকা, একটানা পনেরো মিনিট বসে বা দাঁড়িয়ে থাকার শক্তিও তার নাই এখন মেরুদণ্ড বাঁকা হয়ে যায়, বুকের খাঁচা হৃদপিণ্ড কামড়ে ধরে।

স্বাসযাজ্জল শরীরের ছেলেটিকে দেখলে কে বলবে প্রতিনিয়ত তার জয়েন্টগুলো খুলে খুলে যাচ্ছে। কে বলবে প্রতি রাতে দু’হাজার পাওয়ারের ব্যাথানাশক খেয়ে বিছানায় যায় সে। অনেকটা সময় কথা বলতে বলতে চেয়ারে গা এলিয়ে দিয়ে বলে, ‘স্যার আমার চার্জ শেষ হয়ে আসছে। বাসায় গিয়ে রাতে একটা ব্যাথার ওষুধ খেয়ে ঘুম দিব। তবেই কাল সকালে ক্লাসে আসতে পারবো। এই ওষুধই এখন আমার চার্জার।’ আমরা ওকে রিকসায় উঠিয়ে দিয়ে আসি। নির্ভার শরীর নিয়ে আমরা কেউ কারো সাথে কথা বলতে পারি না। শাশ্বতর কথাগুলো এপ্রিলের গরম বাতাসে আর আমাদের মগজে রাজত্ব করতে থাকে।

শাশ্বতর মা গৃহিণী, বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল-শিক্ষক। পনেরো বিশবার কোলকাতা ও তিনবার ভেলোরে চিকিৎসা করাতে গিয়ে, আর উচ্চ-ক্ষমতা-সম্পন্ন ব্যথানাশক কিনতে কিনতে আর্থিক অবস্থা তলানিতে ঠেকেছে। লিখিত হিসাব অনুযায়ীই তারা ১১ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন, আর অ-লিখিত ব্যয় কতো তা আমরা জানি না। সর্বশান- বাবা-মা জানেন না সন্তানকে কীভাবে বাঁচিয়ে তুলবেন।

কিন্তু আমরা জানি। আমরা জানি কীভাবে শাশ্বতকে পঙ্গুত্ব ও অকাল মৃত্যু থেকে রক্ষা করা যায়। শাশ্বতর বাবার একার পক্ষে যা নিশ্চিতভাবেই অসম্ভবজ্জযে কারণে তিনি ২০০৬ সালে ১৬ লক্ষ টাকার কথা ভেবে ভেলোর থেকে পাংশু মুখে ফিরে এসেছিলেন সেকাজ আমাদের লক্ষ হাতের জন্য অনায়াশসাধ্য। আমরা জানি, লক্ষ হাত সহজাত প্রবণতাবশে শাশ্বত’র দিকে এগিয়ে আসবেই। আমরা জানি, বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে এখনও ‘মনুষত্ব্যের বোধ’ প্রবল।

তাই আমরা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারী মিলে শাশ্বত চিকিৎসা-সহায়তা কমিটি গঠন করেছি। ২টি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে আমরা অর্থ সংগ্রহের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি-১) ‘শাশ্বত চিকিৎসা-সহায়তা’ একাউন্ট নং: ৩৪২৬০৪৯৮, অগ্রণী ব্যাংক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা; এবং ০২.‘Saswota Chikitsa-Sohayota’ AC no: 135-101-33705, Dutch-Bangla Bank Limited.

শরীরের যেটুকু ক্ষমতা তারচে অনেক বেশি আদায় করে নিতে চেয়েছিল শাশ্বত। তাই শরীর আবার বিগড়ে গেছে। এই মে মাসে ওদের দ্বিতীয় ইনকোর্স পরীক্ষা চলছিল। ও দুটো পরীক্ষা পার করতে পেরেছে কোনোমতে, তারপর শরীরের কাছে হার মেনে আবারও বিছানা নিয়েছে। আমরাও বুঝে নিয়েছি, বড্ড দেরি হয়ে যাচ্ছে। পরীক্ষা না-দিতে পারা অবসন্ন শাশ্বতকে আমি পিঠে হাত বুলাতে গেলে বলে, ‘স্যার প্লিজ হাত দেবেন না, ব্যাথা’। ডাক্তার-কথিত ইনজেকশন নিলে শাশ্বত অনিবার্য পঙ্গুত্ব ও অকাল মৃত্যু থেকে রক্ষা পাবে হয়তো। কিন' হাড়ের গিটে গিটে ব্যাথা নিয়েই ওকে জীবন পার করতে হবে, কোনোদিনই সারবে না।

আমরা চাই, এক-শরীর ব্যাথা নিয়ে হলেও শাশ্বত যেন আমাদের মাঝে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ওর উজ্জ্বল সক্রিয় উপস্থিতিটুকু বজায়ে রাখতে পারে। ও যে মুক্তো ফলানোর স্বপ্ন দেখে, বিষময় শরীর নিয়ে হলেও যেন সেই স্বপ্নের মানচিত্রজুড়ে হাঁটতে পারে। ওকে দেখি আর আবুল হাসানের পদ্যের দুটো লাইন বারবার মনে পড়ে আমার: ‘ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও/ভিতরে বিষের বালি, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।’

আমরা যেন এই নিশ্চয়তাটুকু ওকে দিতে পারি।

২৩শে মে ২০০৮

(লেখক: সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।)


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

২) 'ঝধংড়িঃধ ঈযরশরঃংধ-ঝড়যধুড়ঃধ' অঈ হড়: ১৩৫-১০১-৩৩৭০৫, উঁঃপয-ইধহমষধ ইধহশ খরসরঃবফ.

এটা একটু সংশোধন করে দিতে পারেন সম্ভব হলে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

হিমু এর ছবি

পোস্টটিকে সাময়িকভাবে স্টিকি করা হলো। পরবর্তীতে পোস্টটির লিঙ্ক সচলায়তনের নীড়পাতার বাম প্যানেলে অনির্দিষ্টকালের জন্যে যোগ করা হবে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আমরা যেন এই নিশ্চয়তাটুকু ওকে দিতে পারি।


মনে হয় তবু স্বপ্ন থেকে জেগে
মানুষের মুখচ্ছবি দেখি বাতি জ্বেলে

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

শাহীন হাসান এর ছবি

কষ্ট হচ্ছে খুব!
আমরা কী কিছু করতে পারি?
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

আলমগীর এর ছবি

খুব মন খারাপ করা বিষয়। জানিনা কী করতে পারব।

দুই লাখ রুপি মানে ১৬লাখ টাকা- এটাও সংশোধন করলে ভাল হয়।

অপ বাক এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের।

অপ বাক এর ছবি

২ লাখ রুপী মানে ১৬ লাখে হিসাবটা আমিও দেখলাম, তবে সেটা যার লেখা তার অনুমতি ছাড়াই সংশোধন করে দিতে ইচ্ছা করলেও সাহস পাচ্ছি না।
আমার মনে হয় ৪টার জন্য ৮ লক্ষ রুপী- সেটা বদলালে হবে ১৬ লক্ষ টাকার মতো।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কি কষ্টদায়ক!

রণদীপম বসু এর ছবি

‘ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও/ভিতরে বিষের বালি, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।’

আমরা যেন এই নিশ্চয়তাটুকু ওকে দিতে পারি।

হৃদয়বিদারক পোস্ট ! পড়ে কষ্টে নীল হয়ে গেছে মনটা। আমরা কীভাবে কী নিশ্চয়তা দিতে পারি ? সামর্থ সীমিত, সাধ সীমাহীন। আসুন, তবুও চেষ্টা করি আমরা।

কর্তৃপক্ষের যদি আপত্তি না থাকে এবং যদি কেউ এখনো না দিয়ে থাকেন, দয়া করে অনুমতি সাপেক্ষে কেউ কি সামহোয়ারইনব্লগে একটা লিংকপোস্ট দিয়ে দেবেন ?
অনুমতি দিলে আমিও দিতে পারি।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অতিথি লেখক এর ছবি

শাশ্বত সত্যের প্রতি আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শ্রদ্ধা রইল ।

ডাক্তারিবিদ্যা ও বিজ্ঞান বলছে ওর পরাজয় ঘটবে হাত-পা-কোমরের জয়েন্টগুলো অচিরেই অচল হবে, মেরুদণ্ড আরষ্ট হয়ে যাবে, ও চলচ্ছক্তিরহিত একদলা মাংশপিণ্ডে পরিণত হবে। তারপরে মৃত্যু অনিবার্য। কিন্তু বিজ্ঞান মানুষের মনের তালাশ এখনও করতে পারেনি। বিজ্ঞান জানে না মানুষের মন কী অপরিমেয় শক্তি ধারণ করে, কতোটা অমৃত ফলাতে পারে। প্রতিটি মানুষের মনে যে আল্লা বাস করে করে এবং অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলে তার তালাশও বিজ্ঞান করতে পারেনি, অদূর ভবিষ্যতেও করতে পারবে না বলেই মনে হয়।

বিজ্ঞান কি তার শত্রু ? চিকিৎসককে অনেক সময় মারাত্মক অপ্রিয় সত্যকথা বলতে হয় । যিনি সামনে বসে শুনেন, তিনি ভাবেন "ব্যাটা কষাই" । কিন্তু সেই সময় চিকিৎসকের হৃদয় যে সত্যি সত্যি কষাইয়ের ছুরির আঘাতে ছিন্ন হতে থাকে বার বার কেউ সেটা মনে হয় টের পায় না ।

- এনকিদু

সবজান্তা এর ছবি

কি আশ্চর্য !

মাত্র কিছুদিন আগেই, ডিপার্টমেন্টের এনকোলাইজিং স্পন্ডিলাইটিস আক্রান্ত এক ছোট ভাই জয় এর জন্য লেখা দিয়েছিলাম এখানে।

এত দ্রুত এই বিরল রোগে আক্রান্ত কারো ব্যাপারে শুনতে হবে, এমনটা আশা করিনি।

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মূহুর্তে পরীক্ষা চলছে, তাই সবাই ব্যস্ত। তবু চেষ্টা করবো, যদি কোন ভাবে সাহায্য করতে পারি। তবে জয় এর চিকিৎসাকালীন অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি কিছুটা এই ব্যাপারে।

একটা বেশ ভালো সম্ভাবনা মনে পড়ছে এই মহুর্তে। ভারতের মেডিকেল কলেজগুলি অর্থাৎ যেখানে রোগ নিয়ে নানা রকম গবেষণা হয়, তারা যদি কেউ এই বিরল রোগকে একটা কেস হিসেবে বিবেচনা করে সে ক্ষেত্রে প্রায় কোন টাকাই লাগে না। তবে এরকম কিছু করতে হলে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর কতৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক চিঠি লাগবে মেডিকেল কলেজের প্রধান বরাবর। এ ব্যাপারে আরো খোঁজ নিয়ে দেখা যেতে পারে।

আরো কিছু ব্যাপারে হয়ত সাহায্য করতে পারবো যদি দরকার হয়।

সাহায্যের ব্যাপারে সচলায়তন কতৃপক্ষ কি ভাবছে , জানার অপেক্ষায় রইলাম।


অলমিতি বিস্তারেণ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কিছু লেখার পাচ্ছি না

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সচলায়তন থেকে সবাই মিলে একটা ফান্ড করে দেওয়া যায়... ক্ষুদ্র জলকনা মিলে সাগর না হলেও লেক অন্তত হোক...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দ্রোহী এর ছবি

বলার কিছু খুঁজে পাচ্ছি না।

আমি খুবই দরিদ্র ছাত্র - আমার সামর্থ্যটুকুও তাই দরিদ্র। নজরুল ভাইয়ের প্রস্তাবে আমিও সম্মতি জ্ঞাপন করছি। সচলায়তন থেকে একটা ফান্ড খুলে সামান্য কিছু যদি সংগ্রহ করা যায় তাহলে কিছুটা হলেও কাজ হয়।


কি মাঝি? ডরাইলা?

স্নিগ্ধা এর ছবি

আমিও নজরুল ইসলামের সাথে একমত - সবাই মিলে চেষ্টা করলে হয়তো তবু মোটামুটি একটা পরিমাণ দাঁড় করানো যাবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত যেভাবেই contribute করা হোক আশা করি বিন্দু বিন্দু মিলে সিন্ধু হবে।

জিজ্ঞাসু

আকতার আহমেদ এর ছবি

নজরুল ভাইয়ের প্রস্তাবটা ভালো । আমরা আমাদের সামর্থ অনুযায়ী চেষ্টা করি ।

অতিথি লেখক এর ছবি

কি বলব বুঝতে পারছি না। নজরুলভাইয়ের প্রস্তাব সমর্থন করছি। কিছু করতে পারলে নিজের কাছে খুব ভাল লাগবে।
রবিন

খেকশিয়াল এর ছবি

নজরুল ভাইয়ের সাথে একমত, একটা ফান্ড করা হোক ।

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই রকমের কাজ আগে করতে গিয়া দেখছি যে সবাই ভাবে আমি মাত্র এই কয়টা টাকা দিবো? সবাই কি ভাববে তাইলে? প্রেস্টিজ কোথায় থাকবে তাইলে...? এই অজুহাতে অনেকেই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এড়ায়া যায়... কিন্তু সে এইটা ভাবে না যে একশজনের পাঁচশ টাকা মিলে কিন্তু পঞ্চাশ হাজার টাকা হয়!!!
কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে অনেকেই তার সামর্থানুযায়ী ক্ষুদ্র অংশটা যোগ করেন না।
আমরা বোধহয় একটা একাউন্ট করতে পারি যেখানে টাকাগুলা জমা হবে... আর সবাইকে অনুরোধ করতে পারি যে যার যা সামর্থ তাই দিক। একটা কমিটি সেইটা তদারক করবে। ৩/৫জনের কমিটি হইতে পারে। মনে হয় খুব দেরি করার দরকার নাই... তারাতারিই কিছু একটা করা ভালো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মডারেটরগণ এই ব্যাপারে তত্তরি একটা কিছু সিদ্ধান্ত জানায়া বাধিত করিতে পারেন।
আর অপবাক এবং মডারেটরদের অনুমতি না নিয়েই আমি এই পোস্টটা একটা ইয়াহু গ্রুপে দিলাম। আমি মনে করি না এইখানে অনুমতির তোয়াক্কা করা উচিত... মানুষ বাঁচুক আগে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তীরন্দাজ এর ছবি

খুবই দু:খজনক বাস্তবতা। সচলাতন কোন একাউন্ট করলে ভাল হয়। সবার মতো আমিও সাধ্যানুযায়ী সাহায্য করবো।

সবাই মিলে মিশে করলে একটি বড় অংক হতে দেরী হয়না।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

পে-প্যাল সাইটের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে টাকা দেয়া যায় ... দেশে কেউ একজন যদি ব্যবস্থাটা নিতে পারেন, তাহলে বেশ সুবিধা হয় .... সত্যের জন্য শুভকামনা রইলো
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বিষয়টা কেরম ধামাচাপা খায়া গেলো? কাহিনী বুঝতেছি না... কারো দেখি রা শব্দ নাই কোনো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আকতার আহমেদ এর ছবি

মডুরা চুপ কইরা রইল ক্যান বুঝতাছিনা । বিকল্প কোন চিন্তা মাথায় আসলে কন বস ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তাহৈলে আর কি... ব্যক্তিগত যোগাযোগেই যা করার করতে হইবো... যারা যারা আগ্রহী তারা তারা ব্যক্তিগতভাবে একজোট হইতে পারে... অপবাকদারে একটা ব্যক্তিগত ম্যাসেজ পাঠাইতে পারি... আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ লাগাইতে পারি... যদিও আমার সেখানে যোগাযোগ কম... ______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অপ বাক এর ছবি

দুঃখিত- চরম ভাবে দুঃখিত আমি।

এইসব কাজে আমার দক্ষতা নেই কোনোও। আমি নেহায়েত সমর্থক গোষ্ঠির মানুষ- তবে শিবলী এসে নাম ঠিকানা এবং যোগাযোগের উপায় বাতলে দেওয়ায় লজ্জাটা কমলো খানিকটা।

আকতার আহমেদ এর ছবি

আমি আছি

অতিথি লেখক এর ছবি

এই লেখাটি সামহয়ারে প্রকাশিত হয়েছে। মেহেরুল হাসানের একটি পোস্ট সেখানে স্টিকি করা হয়েছে। অপবাককে ধন্যবাদ এখানে লেখাটি দেয়ায়। সচলায়তনকেও ধন্যবাদ প্যানেলে লেখাটি সংযুক্ত করায়। সামহয়ারে কিছু প্রশ্ন এসেছে। সেসবের আলোকে সংশ্লিষ্ট কিছু যোগাযোগের মাধ্যম দিয়ে দেয়া হচ্ছে। ঢাকায় যারা রয়েছেন তারা আনিসুজ্জামান উজ্জলের সঙ্গে ০১৭১৬০০৩৯১১ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। যারা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা না পাঠিয়ে মানি অর্ডার বা কুরিয়ার করতে চান, তাদের জন্য নিচের ঠিকানা:

আ-আল মামুন
সহকারী অধ্যাপক
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাবি
মোবাইল: ০১৭১২০৬১৮০৪
অথবা
মেহেরুল হাসান সুজন
রাবি প্রতিনিধি
সমকাল, রাজশাহী ব্যুরো
১১৩/১১০, রাণীবাজার চতুর্থতলা
বাটার মোড়, রাজশাহী
মোবাইল: ০১৭১৮১৬৯২৬৬

যেকোনো যোগাযোগ আমার এই নম্বরেও করা যাবে: ০১৭১৫১৪০১৬৬

আসুন, সবাই মিলে কিছু একটা করি শাশ্বত সত্য'র জন্য।

-শিবলী নোমান

(সচলায়তনের 'ম্লেচ্ছ' হিসেবে নাম ও ইমেইলখানা আলাদা করে লিখলাম)

অতিথি লেখক এর ছবি

এখন শাশ্বত সত্য'র জন্য লেখার পাশাপাশি টাকা জোগাড় করা জরুরি। বিভিন্ন দেশে যারা আছেন তারা সুনির্দিষ্টভাবে নিজেদের সংগৃহীত অর্থ দিতে চাইলে কীভাবে হলে সুবিধা হয়, তা জানান। আমরা সেই ব্যবস্থা করছি। আর ঢাকায় আমার জানা মতে, ব্লগাররা অনেকেই একে অপরের পরিচিত। তারা একসঙ্গে অনেকে বিভিন্নভাবে বসেন। তাদের সবার কাছে আমাদের অনুরোধ, আপনারা যদি উদ্যোগ নিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে অ্যাকাউন্টে জমা দেন কিংবা অন্য কোনো উপায়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন, তাহলে কৃতজ্ঞ হবো।

-শিবলী নোমান

(সচলায়তনের 'ম্লেচ্ছ' হিসেবে নাম ও ইমেইলখানা আলাদা করে লিখলাম)

স্নিগ্ধা এর ছবি

শিবলী নোমানের মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে টাকাটা একদম এখুনি দরকার, যারা আগ্রহী তাদের বোধ হয় ব্যক্তিগত উদ্যোগে টাকা পাঠাতে হবে। আমি শিবলী নোমানকে ইমেইল পাঠিয়েছি - দেখা যাক কি হয়।

টুটুল এর ছবি

মানুষের জীবন যাপন এখন সত্যি অনেক কঠিন। যেখানে দুমুঠো অন্ন সংস্থানে নাভিশ্বাস। সেখানে সাহয্যের হাত বাড়ানো সত্যি কঠিন। দেখি সামহোয়ারইন এ আমি একটা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। দেখি কতটুকু কি করতে পারি।

টুটুল এর ছবি

শ্বাশ্বতর বন্ধু সুজন এর সাথে সার্বক্ষনিকভাবে যোগাযোগ হচ্ছে। আগামী জুন ১২, ২০০৮ তারিখ রাতে যতটুকু সংগ্রহ করতে পারি সেইটুকু নিয়েই যাব রাজশাহী।

আপনারা চাইলে সহযোগী হতে পারেন।

আপনাদের অবগতীর জন্য: মেহেরুল হাসান সুজন বলেছেন: শাশ্বতকে ১৩ জুন ভারতে নিয়ে যাওয়া হবে। ২১ ও ২৭ জুন ওর চেকআপ। ওর ফিরতে ফিরতে পুরো জুন মাস লেগে যাবে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধন্যবাদ টুটুল ভাই। আমি আপনার সাথে যোগাযোগ করে নেবো... হয়তো রাজশাহী যেতেও পারি... সময় বড় সমস্যা যদিও... তারপরও...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

সামহয়ারে ব্লগার প্রত্যুত্‍পন্নমতিত্ব এই পোস্টটা দিয়েছেন:
শাশ্বত সত্যকে বাঁচাতে চাই আমরা এই আহ্বানে সারা দিতে গিয়ে আমরা যে উদ্যোগ গ্রহণ করি ...

(রিপোস্ট)
একটা ফাউণ্ডেশন করার আগ্রহ আমাদের অনেক দিনের। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা কয়েকজন উদ্যোগি হয়েছি আপনাদের সুবিধার জন্য... আমাদের উদ্যোগের পাশাপাশি... আপনাদের জড়িয়ে আগাতে চাইছি। অনেকেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতেছেন.. কোথায় পৌছাবেন আপনাদের সহযোগীতার ছোয়া। আগামী জুন ১২, ২০০৮ এর মধ্যে আপনাদের কাছ থেকে সংগৃহীত তহবিল শ্বাশ্বত'র হাতে পৌছানো হবে। কিভাবে আপনারা সংযুক্ত হবেন?

আমারা যা করতে চাই:
১. ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বসবাসরত ব্লগারদের ঠিকানা আপনাদের সুবিধার জন্য তুলে দেয়া। যাতে দ্রুত কমিউনিকেট করতে পারেন।
মিরপুর: ব্লগার মিলটন : +৮৮০১৭১৩৩৬১৭৮৬/ব্লগার নেমেসিস : +৮৮০১৭২০৩৮৬৫৬৬
উত্তরা: ব্লগার ক্যামেরাম্যান : +৮৮০১৯১২০৪৩৫৩০
বনানী+গুলশান: ব্লগার কালপুরুষ দা : +৮৮০১৭১১৮১৩৩২৬
আজিজ সুপারমার্কেট এর কোন ব্লগার এর অংশগ্রহণ কামনা করছি... বিশেষ করে রাহা ভাই কৈ?
.................................................................................
শ্যামলী+ধানমন্ডি: ব্লগার প্রত্যু : +৮৮০১৭১৩০৪৫৪৯১
ব্লগার মেসবাহ য়াযাদ : মোবাইল : ০১৭১৩০৯১৯৭১
মোসবাহ ভাই এর সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন।

২. দেশের বাইরে থেকে কেউ এগিয়ে আসতে চাইলে। ঢাকার একটা ব্যাংক একাউন্ট নম্বর সুইফট কোড সহ প্রদান। যেখানে আপনার টাকা জমা হবে। এবং ব্লগে যদি আপনি বলে যান এমাউন্টটা তাহলে একাউন্ট চেক করে স্বীকারোক্তি তথ্য প্রদান।
একাউন্ট নম্বর:
ক. Name of Account : MD SHAFIQUL ISLAM CHOWDHURY
Bank Account Number : 01-2525712-01
SWIFT Number : SCBLBDDX
Name of Bank and Address : Standard Chartered Bank
Name of Branch : Dhanmondi Branch
Address : House No 37. Road No. 2, Dhanmondi R/A, Dhaka-1205, Bangladesh
Fax : 880-2-9560377

খ. কেউ যদি ওয়েস্টার্ণ ইউনিয়নের (WESTERN UNION) মাধ্যমে টাকা পাঠাতে চান:
Account Name: Md. Shafiqul Islam Chowdhury
Savings Account Number: 5077
UTTORA BANK LTD.
Shyamoli Brnach; Dhaka

৩. সকল তহবিল একত্রিত করে কোন একদিন নিজ নিজ খরচে (কেউ যদি যেতে ইচ্ছুক থাকে) শাশ্বত'র হাতে তুলে দেয়া।

যারা নিজ খরচে যারা রাজশাহী যেতে ইচ্ছুক (১২শে জুন রাতে আমরা রাজশাহী রওনা দিব) :
১. মেসবাহ য়াযাদ
২. নেমেসিস
৩ প্রত্যু
৪. যদি আরো কেউ যেতে চায় (নিজ খরচে)

যারা মেইল করতে চান:

পূর্বের পোস্ট: Click This Link

এই পোস্টের বাইরে নতুন তথ্য শাশ্বত ৯ জুন ভারতে চিকিত্‍সার জন্য যাত্রা করবে।

-শিবলী নোমান

(সচলায়তনের 'ম্লেচ্ছ' হিসেবে নাম ও ইমেইলখানা আলাদা করে লিখলাম)

টুটুল এর ছবি

শুধু পে-প্যাল না, যে কোণ ধরনের ক্রেডিট/ ডেবিট কার্ড দিয়েও পেমেন্ট করা যাবে যদি কারো পে-প্যাল একাউন্ট না থাকে।

দেশের বাইরে তো আমাদের অনেক অনেক ব্লগার আছে... কিন্তু রেসপন্স এত হতাশাজনক ক্যান? একটু আড়ামোরা ভাঙ্গেন... সম্ভবত বিষয়টি আপনাদের অগোচরে থেকে যাচ্ছে...

সব্বাই একত্রে হাত বাড়ালো হয়তো ১৮ লক্ষ টাকা কিছুইনা.. বন্ধুরা শ্বাশ্বত সত্যর জন্য আমরা অনলাইন কালেকশন শুরু করেছি... শুধু আপনাদের জন্য। নিজে উদ্যোগি হোন.. অন্যকে উদ্ভুদ্ধ করুন... আপনার দেয়া ... এই আপনাদের বাড়িয়ে দেয়া সহযোগীতার হাত ধরে শ্বাশ্বত সত্য বেচে উঠুক... প্লিজ প্লিজ প্লিজ...

অনলাইন পেমেন্টের লিংক : http://amarblog.com/donate

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।