চারদিকে সব মোশরেকঃ ওরা চায় রাইফেল নয় বেসবল ব্যাট

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/০৩/২০০৬ - ১০:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আজ 14 মার্চের দৈনিক পত্রিকায় জেএমবি প্রধান শায়খ আব্দুর রহমানের ছেলে নাবিলের গ্রেফতারের খবর ছাপা হয়েছে। দৈনিক পত্রিকায় রিপোর্ট করা হয়েছে, নাবিলকে কপালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রথমে কুমিল্লা সদর হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। "কুমিল্লা সদর হাসপাতালের শয্যায় নাবিল ডাক্তারদের সামনে বারবার উচ্চারণ করছিল, চারদিকে সব মোশরেক, আমাকে একটা এ কে-47 রাইফেল দিলে আমি সবগুলোকে হত্যা করবো।" " ডাক্তারদের সে জানায়, তার কাজ হচ্ছে বোমা বানানো আর মোশরেক হত্যা। মোশরেক কারা_ এ প্রশ্নের জবাবে সে বলে, চারদিকে সব মোশরেক, তোরা সব মোশরেক।"

এই সাইটে মানবের হাদিস অনুবাদ সম্পর্কে আস্তময়ের একটি পোস্টের নীচে ব্লগার ওয়ালী মন্তব্য করেছেন, " আমরা যারা প্রগতিশীল এবং মুক্তমনাদের ভন্ডামিগুলো ধরতে পেরেছি তাদের উচিত এক হয়ে এদের আলু ভর্তা বানানো এবং সাথে শুকনো মরিচ দিযে খাওয়া। তবে দুটি পদ্ধতিই খোলা রাখতে হবে। ইন্টালেকচুয়ালি এবং ফিজিক্যালি। ইন্টালেকচুয়ালি কিভাবে এদের আলুভর্তা বানানো যায় সেদিকটা আপনি দেখতে পারেন বা ভাবতে পারেন। আমি বলছি ফিজিক্যালি এদের কিভাবে আলু ভর্তা বানানো যায়। সব সময় একটা বেসবল ব্যাট হাতের কাছে রাখতে হবে। রাস্তা, মেট্রো, বাস, ট্রাম যেখানেই এদের দেখা যাবে তাদেরকে শরীরের সমস্তশক্তি দিয়ে মেরুদন্ড বরাবর একটা আঘাত করতে হবে যাতে মৃতু্যর আগ পর্যন্ত এরা সোজা হয়ে না দাড়াতে পারে। কিন্তু কাজটা করতে হবে খুব সাবধানে এবং যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী এবং একাজে যারা খুব পারদর্শী তাদেরই অগ্রগামী হওয়া দরকার।"

কি অদ্ভুত মিল বাংলাদেশবাসী নাবিল আর ফ্রান্সবাসি ওয়ালীর মধ্যে। তারা শুধু চারপাশে মোশরেক দেখতে পায়। আর যেহেতু নাবিলের সামর্থ্য বোমা মারা সে তা দিয়েই মারতে চায় আর ওয়ালী যেহেতু ফ্রান্সে এখনও বোমা বানানোর পারদর্শিতা অর্জন করতে পারেনি তাই সে বেসবলের ব্যাট দিয়ে মেরুদন্ড ভাঙতে চায়। এই ওয়ালীই আবার প্রশ্ন করে, শিবিরের ছেলেরা যে রগ কাটে তার কোনো প্রমাণ আছে আপনাদের কাছে? 71-এ যে রাজাকাররা মানুষ মেরেছে তার কোনো প্রমাণ আছে আপনাদের কাছে? তা ওয়ালী আপনার কথাতে ঐ যে বলেছেন আপনি "কাজটা করতে হবে খুব সাবধানে", তা শিবির, রাজাকার আর আপনারা যত সাবধানেই কাজগুলো করেন না কেন, অপরাধী তার চিহ্ন রেখে যায়। হ্যাঁ প্রমাণ আছে। এরকম বোমা ফুটিয়ে, রগ কেটে আর বেসবলের ব্যাটের বাড়ি দিয়ে মুক্তচিন্তা ও প্রগতিশীলতার মেরুদন্ড ভাঙা যায় না। সালেহী বা নাবিলকে দেখেন। নিজের মেরুদন্ড বাঁচাতে উপায় খুঁজে পাচ্ছে না। সময় আছে ওয়ালী সাবধান হয়ে যান। ফিজিক্যাল এ্যাসাল্টের স্বপ্ন নিয়ে বেসবল ব্যাট বিছানায় রেখে ঘুম যাবেন না। স্বপ্নদোষ হয়ে যাবে। শেষে দেখবেন নিজেই ব্যাটের মাথায় চড়ে বসে আছেন। যাকে বলে শূলে চড়া।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।