হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের দলিল

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: বুধ, ২৯/০৩/২০০৬ - ৬:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


সাড়ে একানব্বই হাজার বন্দী সৈন্যসহ হানাদার পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত সেই মাহেন্দ্রক্ষণে আত্মসমর্পণের দলিলেই তারা প্রথম বাংলাদেশের অস্তিত্ব মেনে নেয়। কিন্তু সেই প্রায় এক লাখ বন্দী সৈন্যের সাথে আমরা ব্যবহার করেছি বীর জাতির ব্যবহার। তারা যে প্রাণহানি ঘটিয়েছে এ দেশে তার জন্য কোনো আন্তর্জাতিক বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাইনি তাদের। পাকিস্তানে আটকে পড়া কিছু বাঙালি সৈন্যদের মুক্ত করে আনতে এসব হানাদার বাহিনীকে পাকিস্তান যেতে দেয়া হয়েছিলো সসম্মানে। সে পদক্ষেপ কতটা সঠিক ছিল তাও নিশ্চয়ই একদিন বিশ্লেষণ করা হবে। কারণ সেসব পাকিস্তান ফেরত বাঙালি সেনাবাহিনীর পরবর্তী কার্যকলাপ স্বাধীনতা সংহতির দিকে যায়নি। আর পাকিস্তানের কাছে আমাদের পাওনা আদায় করা যায়নি। সে পাওনা আদায়ের জন্য এই একলাখ সৈন্যকে জিম্মি হিসেবেই ব্যবহার করা যেত হয়তো। বরং তারা ফেরত নেয়নি তাদের তাবেদার বিহারিদেরকে। দেশের মধ্যে তারা নানা হঠকারি কাজ করে গেছে ।আমরা হারিয়েছি জহির রায়হানের মত সূর্য সন্তানদের। আর কিছু না হোক, একটি বিচারের আয়োজন করা উচিত ছিল এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে পাওয়া যেত তাদের বিরুদ্ধে আরো কঠিন ও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া যেত। শত্রুকে এত সহজে ছেড়ে দেয়া হয়তো উচিত হয়নি। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো নতুন প্রজন্মের কোনো বাঙালি সু-সন্তান এ বিষয়ে গবেষণা করবেন আর আমাদেরকে সচেতন করে দেবেন জাতি হিসেবে আমাদের ভুল পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।