দুই শিক্ষাব্যবস্থাকে সমমান দেয়ার মানে হলো, সত্য আর মিথ্যাকে সমমান দেয়া: অধ্যক্ষ কাজী ফারুক

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: শনি, ০৩/০৬/২০০৬ - ৩:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ বলেছেন, বিপরীতমুখী দুই শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমমান দেয়ার মানে হলো 'সত্য আর মিথ্যাকে সমমান' দেয়া। পশ্চাৎপদ দৃষ্টিভঙ্গি আচ্ছন্ন দল বা গোষ্ঠীর ব্যবস্থাপত্রে বিপরীতমুখী দুটি শিক্ষাব্যবস্থাকে সমমান দেয়া সমর্থনযোগ্য নয়।

এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত মাদ্রাসায় শিক্ষি-তদের অংশগ্রহণ ছিল স্বাধীন মুক্তবুদ্ধি ও আলোর যাত্রীদের বিপরীতে। এখনো পর্যন্ত অধিকাংশ মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের চর্চা নেই। মাদ্রাসা পাঠ্যক্রমে বাঙালির সংগ্রাম, শৌর্যর্-বীর্য, গৌরবগাথা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস পড়ানো হয় না। এধরনের শিক্ষাকে সমমান দিতে কোনো জোর-জবরদস্তি শুভ ফল বয়ে আনবে না।

অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ বলেন, আরবি 'দারসুন' শব্দ থেকে মাদ্রাসার উৎপত্তি। যার শব্দগত অর্থ হলো 'পাঠ'। 800 বছরের ইতিহাস থেকে দেখা যায়_ মাদ্রাসা মানে হলো আরবি ভাষা ও ইসলামি শিক্ষার ওপর বিশেষায়িত পাঠদান প্রতিষ্ঠান। এ শিক্ষা ব্যবস্থাকে কোনো গোষ্ঠী যদি অপরিহার্য মনে করে, তাহলে তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে স্বকীয় ধারায় বিকশিত হোক। কিন' গোঁজামিল দিয়ে সমমান দেয়ার অপচেষ্টা করা হলে, তা সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে ফেলবে। সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট জাতীয় ঐকমত্য ছাড়া সমমান দেয়ার অধিকার জোট সরকার কেন, কোনো সরকারেরই নেই।

সৌজন্যে: আমাদের সময়
সাংবাদিক: দীনেশ দাস
সম্পাদনা: আবুল হোসেন খোকন

বিবেকবান লোকেরা সত্য কথা বলতে দ্্বিধা করে না। কাজী ফারুক প্রমাণ করলেন। স্যারকে শতকোটি সালাম।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।