পূণ্যের আশায় আরবের ঈশ্বরের সৃষ্টিবাজির গল্প-১

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/১১/২০০৬ - ১২:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আনপড়, বিধর্মীদের পথে আনতে ধর্মবিশ্বাসীরা শোনান ঈশ্বরের মহক্ষমতার গল্প। সৃষ্টির কাহিনী। এখনকার ধর্মপ্রচারকরা অবশ্য তাদের ঈশ্বরের ধ্বংস আর লানতের ক্ষমতার ফিরিসি্ত দেন। (পুন:বন্যার পর যদি ঈশ্বর আবার পৃথিবী গড়ে পুসত্দক পাঠান তবে তাতে উড়োজাহাজের আঘাতে জালিমদের উঁচু উঁচু দুই প্রাসাদ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার গল্পও থাকবে)। তবে ধ্বংসের ক্ষমতার চেয়ে সৃষ্টির ক্ষমতা দিয়ে ঈশ্বর চেনা যায় ভালো। পৃথিবী জোড়া চালু নানা গল্পের মধ্যে আরবের ঈশ্বরের গল্পগুলো মনকাড়া। এসব গল্প যত বলবেন, আলোচনা করবেন তত পূণ্য। সেসব গল্প আপনাদের বলে পূণ্য করতে দেন আমাকে। পৃথিবী ও স্বর্গ তৈরি করার আগে ঈশ্বর এরকম কাজ আর করেছেন বলে তার বায়োডাটায় উলেস্নখ নাই। সুতরাং মাটি আগে না জল আগে বানাবেন তা নিয়ে দ্বিধা তার মধ্যে থাকতেই পারে। স্বর্গ সাজাবেন কি প্রকারে সে বিষয়ে ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ধারণাটাও তার পরিষ্কার ছিল না। তবে আরবের ঈশ্বরের জয় হোক, তার হাতের কাছে একটা শ' তিনেক বছরের পুরনো রেসিপি ছিল। এই রেসিপির নাম এনুমা এলিশ। সুতরাং তাওরাতের ঈশ্বর যে সৃষ্টিপর্বের বর্ণনা দেন তার অনেক আগেই গল্পটা সিরিয়া-ব্যাবিলন এলাকায় আমরা পেয়ে যাই। সেই এনুমা এলিশের রেসিপি মতে আরবের ঈশ্বরের সৃষ্টি কাজ সহজ হয়ে যায়। যে কেউ চেষ্টা করতে পারেন:প্রথমে অন্ধকারে ঢাকা আকারহীন জল নিন (জলটা অবশ্য আপনারই বানানোর কথা, নতুবা আসবে কোথা থেকে, তবে অন্য কেউ বানিয়ে থাকলে তাতেই চলবে) এবং কোনো কিছু করার আগে আলো বানান (না হলে দেখবেন বা কি করে কোনটা জল কোনটা মাটি)। সুতরাং আরবের ঈশ্বর বললেন লেট দেয়ার বি লাইট। ক্ষমতার দ্বন্দ্বে ধর্মগুলো যদিও পরষ্পরের বিরম্নদ্ধে যুদ্ধ চালায় প্রায়ই, মূল গল্প তাদের একই । তবে প্রথম ভার্সনের গল্পে যেসব ভুল-চুক ধরা পড়েছে পরের ভার্সনে তা সংশোধনের চেষ্টা দেখা যায়। এ অবশ্য খারাপ না। এগিয়ে যাওয়াই তো মানুষের সভ্যতা। [লিংক=যঃঃঢ়://িি.িনরনষবমধঃবধিু.পড়স/ঢ়ধংংধমব/?নড়ড়শথরফ=1্পযধঢ়ঃবৎ=1্াবৎংরড়হ=31 ]প্রথম পবিত্র গ্রন্থে [/লিংক]উঁকি দিলে দেখবেন গল্পটা একটু অগোছালো। অথবা শুধু আলো বললেই হবে। এবং আলো হয়ে গেল। অন্য গ্রন্থে পাবেন আরবের ঈশ্বর আলো দেখলেন এবং বললেন বেশ ভালো। অথবা কোরানের এই আয়াতেও আছে একই কথা। الْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَجَعَلَ الظُّلُمَاتِ وَالنُّورَ ثُمَّ الَّذِينَ كَفَرُواْ بِرَبِّهِم يَعْدِلُونَ তারপর আকাশটাকে চাঁদোয়ার মত টানিয়ে দিতে হবে ওপরে। আর তারাগুলো লাগিয়ে দিতে হবে একটা একটা করে। খুব সহজ। যখন আরবের ঈশ্বর এটা বানালেন তখন এর নাম দিলেন স্বর্গ। তারপর ধাপে ধাপে শুধু কল্পনা আর উচ্চারণ। বললেই হয়ে যায়। সাগর, বাতাস, নক্ষত্ররাজি, কত কি?এই পর্যনত্দ সব ঠিকঠাক চলছিল। গোলমাল বাঁধলো এর পরে। যখন আরবের ঈশ্বর আদম বানাতে চাইলেন। (সে গল্প আরো বলতে চাই ।কিন্তু আগ্রহী পাঠক আছেন কি?)


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।