জীবনের স্বাদ
রিপোর্ট কার্ডে যখন দেখি পাঁচ বিষয়ে ফেল,
কিংবা যখন দাম বেড়ে যায় গ্যাস-জ্বালানি তেল,
রিকশা-গাড়ি-ভলভো এবং সিএনজি-ট্রাক দিয়ে
ট্র্যাফিক জ্যামে থাকার সময় মাথায় কাকের 'ইয়ে',
কিংবা যখন ম্যানহোলেরই গভীর তলে ডুব -
এসব সময় সাধের জীবন তিক্ত লাগে খুব।
পাওনা টাকা চাইতে হঠাৎ কেউ যদি বা আসে,
কিংবা যখন সুইটি বলে, 'আর রব না পাশে',
মা-বউ-এরই ঝগড়া শেষে সাপোর্ট দিলে মা'কে,
হায় কি দারুণ মধুর নামেই বউ আমাকে ডাকে!
বাবার ঝাড়ি
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরে আমরা এখন অনেক বাংলাদেশী। এবার ইউনিভার্সিটির 'ইন্টারনেশনাল ফিয়েস্টা 2006' তে তাই আমাদের শ্রদ্ধেয় হাইকমিশনার সাহেবের আহবানে আমরা সবাই যোগ দেই। ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশী শিক্ষক-ছাত্র যার কাছে দেশীয় যা কিছু ছিল সব দিয়ে স্টল সাজিয়ে আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক'জন পাকা রাঁধুনি ছাত্রের রান্না করা নানা রকম পিঠা, চটপটি আর চানাচুর মাখা নিয়ে আমরা তুলে ধরি আমাদের দেশকে। অন্যান্য দেশের মধ্যে ছিল চীন, জাপান, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশ
আজকেও একটু মন খারাপ। আরেকটা পহেলা ফাল্গুনে দেশের বাইরে। বাসন্তী শাড়ি পরা হল না। আরেকটা বইমেলায় যাওয়া হল না। ল্যাবে এসেছি একটা বাসন্তী সালোয়ার-কামিজ পরে। পথে এক বিদেশী বন্ধু বলল, 'ইউ লুক ভেরি অরেনজ টুডে'। মনে মনে বললাম, 'আজকে বাংলাদেশে গেলে বুঝতি অরেনজ কত প্রকার ও কি কি'। যাহোক, আশা করি এটাই যেন শেষ বসন্ত আর বইমেলা দেশের বাইরে কাটে।
সাদিকের 01.01.2006 এর কাক বিষয়ক পোস্টের সাথে আমি একমত। কাক আসলেই একটা খুব ইন্টারেস্টিং পাখি। কিছুক্ষণ ধরে কাকের কার্যকলাপ দেখলেই বোঝা যায় এটা কত্ত মজার একটা পাখি। আর ছাতার সিঙ্গাপুরে এসে এসে এই ফানি পাখিটাকে কী যে মিস করছি প্রতিদিন ! ঢাকার বন্ধুরা, প্লিজ আমার পক্ষ থেকে আজকে ঢাকার সব কাককে হ্যালো জানিয়ে দিয়েন।
এইমাত্র লেখা শুরু করলাম। আজকে মন ভাল নেই। আম্মা, অপু আর ঢাকার জন্য কষ্ট হচ্ছে। এটা নতুন কিছু না। গত এক বছর ধরে এভাবেই চলছে। সাইক্লিক অর্ডারে একটা না একটা কিছু নিয়ে মনটা খারাপই রয়ে যায়। কিছুই ভাল লাগেনা।এখন তাই আর লিখবনা। আবার আরেক দিন। ও আচ্ছা, সবাইকে আমার শুভেচ্ছা