নব্বই এর দশকে Radiohead নামের বৃটিশ ব্যান্ডের গাওয়া Creep গানটা Rockstar Supernova অনুষ্ঠানটার সুবাদে আবার অনেকদিন পরে শোনা হল। আমার খুব ভাল লাগা এই গানটির ভিডিও দেখা যাবে এখানে । লিরিকসটাও এখানে তুলে দিলাম। অনেক দিন পরে আবার শুনে যাচ্ছি বারবার। When you were here before
Couldn't look you in the eye
You're just like an angel
Your skin makes me cry
You float like a fe
স্কুলের পর্ব শেষ হয়ে গেল 1994-এ। স্কুল জীবনের সব অসাধারণ বন্ধুর জন্য তখন মন খারাপ লাগত। অবশ্য এর-ওর সাথে দেখা হত স্যারদের বাসায়। শুধু অপুর সাথেই যেন দেখা হওয়া বন্ধ হয়ে গেল। ক্লাস নেই, ক্লাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকানো উদাস কোন ছেলেও নেই।
সে যা হোক, 1995 এর শুরুতে ভারী গলার উদাস কোন ছেলেকে নিয়ে ভাবার খুব একটা সময় ছিল না। এস এস সি পরীক্ষা সামনে। পরীক্ষার পড়া তো আছেই, তার সাথে আছে বিটকেলে গোল্লা পূরণ। মাঝখানে পরীক্ষার আগে আগে চিকেন পঙ্ হল। সব ম
আজকে সপ্তাহান্তে অনেক দেরী করে ঘুম থেকে উঠে ল্যাপটপ নিয়ে বসে আমার নিত্যসঙ্গী youtube.com এ closeup1 এর অনুষ্ঠান দেখছিলাম। হঠাৎ করে রাজীবের একটা অনুষ্ঠানে গাওয়া গান শুনে খুব মন খারাপ হয়ে গেল। খুবই খারাপ। মা'কে নিয়ে একটা খুব সুন্দর গান। রাজীব গেয়েছেও ভীষণ দরদ দিয়ে। গানটার কথা এরকম -
ব্যস্ততার এই নগর ছেড়ে
অনেক দূরের মফস্বলে
ডাকছে আমার মন
শেষ দেখেছি কবে জানি
আদর ভরা ঘোমটাখানি
ইচ্ছে করে যাই ছুটে এখন
ছুটি পেলে এবার মা গো
তোম
ক্লাস টেনের শুরুটাই হল খুব চমৎকারভাবে। একটা পিকনিক দিয়ে। এমন না যে অন্য ক্লাসে পিকনিক হয়নি। তবে এবারের পিকনিকটা যেন একটু ভিন্ন ছিল । স্কুলের শেষ ক্লাস বলে আমাদের ক্লাসের ছেলে-মেয়ে সবার মধ্যে হঠাৎ করে বন্ধুত্ব বেড়ে গেল। এর আগ পর্যন্ত শুধু ক্লাসমেটই ছিলাম, কিন্তু বন্ধু ছিলাম না সবাই। এটা নাইন থেকেই বোধ হয় শুরু হয়েছিল। যা হয় আর কি! আর একসাথে দেখা হবে না, ক্লাস করা হবে না, একই সাবজেক্ট আর টিচারদের নিয়ে ফাজলামী হবে না - এই বোধ হুট করেই সবাইকে এক করে
ক্লাস ফাইভের দিকে কি কোন ঝগড়া হয়েছিল? ঠিক মাথায় আসছে না। হতে পারে। আবার নাও হতে পারে। ঝগড়া বোধ হয় শুরু হয়েছিল তারো অনেক পরে।
যা হোক, ক্লাস সেভেন থেকে আবার শুরু করছি। মাঝখানের 3 টা বছর অপুর প্রতক্ষ্য প্রভাববিহীন বলেই হয়ত আমার কাছে বেশ স্মৃতিবিহীন।
অপু বরাবরই খুব চুপচাপ ছেলে। ক্লাসের এক কোণায় বসে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকে। যেন ক্লাসে থেকেও নেই! আমি অন্যদিকে এক মুহূর্তও চুপ থাকতে পারিনা। পড়ালেখায় ভাল ছিলাম, তাই বাবা-মা'র কাছে টিচারদে
অপু আর আমার প্রথম কবে দেখা হয় মনে নেই। ইনজিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুলের প্ল্লেগ্রুপের প্রথম ক্লাসে হয়ত। সেটার কোন স্মৃুতি নেই, থাকার ঠিক কথাও না। তারও বেশ পরে, হয়ত ক্লাস টু বা থ্রিতে ভাল ছবি আঁকিয়ে হিসেবে ওর পরিচিতি বাড়ল। একবার আমার একটা ছোট্ট Bunny মাথার ক্লিপের ছবি এঁকে দিয়েছিল মনে আছে। আরেকবার একটা বাঘের ছবি, আরো একবার একটা সিল মাছ। এরপর ক্লাস ফোরে এসে যখন দু'জনেই ক্লাস ক্যাপ্টেন হিসেবে বন্ধুত্ব বাড়ল, তখনকার একটা ঘটনা আমার ছোট্ট মনে খুব দাগ ক
ঠিক প্রিয় গায়ক বলা যাবে না। Stone Temple Pilots এর এই একটা গানই আপাতত মনে আছে। Interstate Love Song নামের এই গানটা এককালে খুব শু নতাম, ফাটিয়ে গেতামও। কিজানি সার্চ করতে গিয়ে হঠাৎ খুঁজে পেলাম '90 দশকের খুব জনপ্রিয় এই গানটা। অনেকদিন এমনিতেই কিছু আপলোড করছি না। এই গানটা না হয় থাকুক আমার ব্লগে। এখানে গানটার ভিডিও দেখা যাবে।
Waiting on a Su
ভাবনা আমার যায় উড়ে যায়
এই কাছে আর ঐ দূরে যায়
পশ্চিমে আর যায় পূবে যায়
অতল জলে যায় ডুবে যায়
আকাশ জুড়ে মেঘ হয়ে যায়
দমকা হাওয়ার ঝড় বয়ে যায়
বৃষ্টি শেষে রেশ রয়ে যায়
কি যেন সে কি কয়ে যায়
গোপন কথা যায় বুঝে যায়
সবখানে সুখ যায় খুঁজে যায়
একই রকম মন পেয়ে যায়
রঙিন দিনের গান গেয়ে যায়
এই কাঁদে আর এই হেসে যায়
এই ছোটে আর এই ভেসে যায়
একসাথে পথ মাড়িয়ে যায়
আবার হঠাৎ হারিয়ে যায়
খুব চেনা মুখ যায় ছেড়ে যায়
ভাবনা শুধ
তিওমান ভ্রমণের বর্ণনা অরূপ দিয়ে দেয়ায় আমি আর দিলাম না (http://www.somewhereinblog.net/arupblog) । কিন্তু ওর দেয়া তথ্যের শুরুতে একটু ভুল আছে। এই ভ্রমণের মূল পরিকল্পনা ইন্দ্রনীলের। আমরা দু'জন একই ল্যাবের বন্ধু। যখন-তখন আড্ডা আর পট করে কোথাও বেড়াতে যাওয়ায় Advanced Manufacturing Lab আর Microfab Lab এ আমাদের দু'জনকে কেউ হারাতে পারে না। দিনের কোন এক ফাঁকে ইন্দ্রনীল হঠাৎ বলে ওঠে, চ'! আমিও সাথে সাথেই কোথায় যাব সেটা না জেনেই বলি চল! কিন্তু ল্যাবের অন্য ক
সুপ্তি, সুবর্ণা আর আমি। বুয়েটে পড়ার সময় আমরা তিন বন্ধু ছিলাম inseparable. ক্লাসে সব সময় একসাথে বসতাম, ক্লাসের বাইরেও একসাথে ঘুরাঘুরি করতাম। কখনো একজন বা দুইজন কোথাও গেলে 'অন্যজন/অন্য দুইটা কই' এ প্রশ্ন শোনা ছিল অবধারিত। অনেকে ডাকত Three Stooges বলে।
আমাদের তিন বন্ধুর মধ্যে সবচেয়ে আগে বিয়ে করলাম আমি। সে সময় সুবর্ণা প্রায় টানা 15 দিন আমার বাসায় থেকে পুরোপুরি বাড়ির মেয়ে হয়ে গিয়েছিল। সুপ্তিও কম যায়নি। ঘন্টার পর ঘন্টা পারলারে সাজগোজের বিরক্তিকর