কলিফর্ম একটা জীবাণু নয়। একাধিক গোত্রের জীবাণুদের একটা গ্রুপকে কলিফর্ম বলে। পরীক্ষা করা সহজ বলে এই পরীক্ষা করা হয়। কলিফর্মের উপস্থিতি খাবারে অন্য বিপজ্জনক জীবাণুর অস্তিত্ব নির্দেশ করতে পারে। ই কোলাই নিজেও একটা কলিফর্ম। ই কোলাই-এর উপস্থিতি মোটাদাগে খাবার পয়ঃজনিত বর্জ্যের সংস্পর্শে এসেছে বলে নির্দেশ করে।
প্রথম আলোর রিপোর্টটাতে কোনো তথ্যের ভুল চোখে পড়েনি। ই কোলাইয়ের অনেকগুলো অ্যান্টিবায়োটিক-রোধী প্রজাতি রয়েছে। এইগুলোতে সংক্রামিত হলে সেটা প্রাণঘাতি হওয়া অসম্ভব না। সালমোনেলা (এক গোত্রের ব্যাকটেরিয়া) এবং মাইকোটক্সিন (ছত্রাকের তৈরি বিষ) বিপজ্জনক। তবে ইস্ট সেভাবে নয়। পরিষ্কার বাতাসেই ইস্ট পাওয়া যায়। সুস্থ মানুষের জন্য সেটা সমস্যার কিছু নয়।
মূল কথা হচ্ছে আমার দেখা বাংলাদেশের কোনো স্ট্রিট-ফুড নিরাপদ নয়। আচার ইত্যাদি জিনিসে 'প্রিজারভেটিভ' থাকে বলে জীবাণুর উপস্থিতি পাওয়া যায় না। তবে বিপজ্জনক রসায়নিক যথেষ্ট পাবেন বলে আমার বিশ্বাস। আমাদের শিক্ষা, অর্থনীতি এবং অভ্যাস
এইসব ব্যপারে খানিকটা বেপরোয়া।