বাংলায় আরো দু'টি বর্ণ চাই। একটি তালব্য জ (গ্যারাজ, মেজার, ইত্যাদি), আরেকটি দন্ত্য জ (Zানতি পারো না) এর জন্যে। এর জন্যে স্কুলবই সংশোধন করতে হবে না, উচ্চ মাধ্যমিকে পরিচয় করিয়ে দিলেই চলবে।
বাংলায় অত্যাবশকীয় বর্ণ 'অ্যা' নাই। অধ্যাপক নরেন বিশ্বাসের কাছে ব্যাপারটি শুনেছিলাম, এটা নিয়ে এক কালে বহু কথা হয়েছিল। বহু জনে স্বীকার করেছিলেন বর্ণটির অনস্বীকার্যতা। এর একটা চেহারাও বানানো হয়েছিল ছোট হাতের A-এর উপরে 'এ'-কে সুপার ইমপোজ করে। বিষয়টা শেষে বাংলা ভাষার হর্তাকর্তাবিধাতাদের মনঃপূত না হওয়ায় সেটা আর আলোর মুখ দেখেনি। কোপা শামসুরা পারলে ছ, শ, স, ষ-কে কুপিয়ে একটা বানিয়ে ফেলে সেখানে আপনি বর্গীয়-জ (জ) আর অন্তস্থ-জ (য)-এর পর আরও দুইটা জ-এর দাবী করেন! এইখানে আমি অন্তস্থ-ব কে ফিরিয়ে আনার দাবী জানিয়ে গেলাম। ইংলিশের V, আরবীর و-এর উচ্চারণ 'ভ' নয়, অন্তস্থ-ব।
বাংলায় লেখাণু (গ্রাফিম) আর স্বনাণু (ফোনিম) পরস্পর অনুগামী হওয়ার কথা, ক্রমশ তাতে ব্যতিক্রম বাড়ছে। য দিয়ে Z বোঝানোর ফতোয়া চালু আছে, যেটা পাঠকের চোখে নতুন শব্দের ক্ষেত্রে সংশয় বাড়ায়। এরচে স্বতন্ত্র বর্ণ প্রণয়ন করলে ঝামেলা কমে।