বিভিন্নভাবে অনেকবার বললে মিথ্যাও সত্যের মত শোনায়। ব্যাপক প্রচারণার এই হচ্ছে লাভ। দুঃখজনক হলেও সত্যি, আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার বিরোধী গোষ্ঠীর প্রচারণায় অনেক সময়ে বিচারের পক্ষে কাজ করা সমমনা ব্যক্তি-গোষ্ঠী-সংগঠনের মাঝেও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। যেমন আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সংগে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন 'অধিকার'-এর সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান শুভ্রের ঘনিষ্টতা নিয়ে একটি সাম্প্রতিক প্রচারণা কিছু মানুষের কৌতূহলের কারণ হয়েছে। আদিলুর রহমান খান বিএনপি আমলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন, এবং পরবর্তীতে এ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। রাজনৈতিকভাবে বিএনপি বর্তমানে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে চলমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতা করছে। আপাত দৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারবিরোধী রাজনৈতিক সরকারের সময়ে নিযুক্ত আইন কর্মকর্তার সঙ্গে ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং বিভ্রান্তির একটি ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
আইসিএসএফ এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে ঘিরে অপপ্রচারের মাত্রা এই সময়ে অনেক বেশি বেড়েছে। যুদ্ধাপরাধের বিচারবিরোধীরা মরিয়া হয়ে ন্যায়-অন্যায় সকল পথে বিচার বানচালের জন্য চেষ্টা করছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের অপপ্রচারে ভুলে অনেক সাধারণ মানুষও বিভ্রান্ত হচ্ছেন। অনেকের মাঝেই নতুন করে অনেক প্রশ্ন-কৌতূহল তৈরি হচ্ছে। আইসিএসএফ এবং যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ঘিরে সাম্প্রতিক তৈরি হওয়া এমন সব প্রশ্নের জবাব দেয়া হচ্ছে এই ব্লগে। এখানে আপনার কৌতূহলের জবাব না থাকলে মন্তব্য অংশে তা জানাতে পারেন। মন্তব্যে পাঠকের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাব মূল লেখায় যুক্ত করে দেয়া হবে।