লেখক-সম্পাদক থেকে প্রকাশক

আহমেদুর রশীদ এর ছবি
লিখেছেন আহমেদুর রশীদ (তারিখ: শুক্র, ২২/০২/২০০৮ - ১১:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছিলাম পাঠক।
একসময় দেখলাম লিখতেও পারি কিছু।
লিখতে লিখতে পত্রিকার পোঁকা ঢুকে গেলো মগজে।
এখন সব ছাপিয়ে পরিচয়টা দাড়িঁয়েছে প্রকাশক।

আজ হিসাব করতে বসে মনে হলো, আমি বোধ হয় একেকটি পর্যায় অতিক্রমের সাথে সাথে পেছনের পরিচয়টি ফেলে রেখে আসি কোথাও।
আজকাল অনেকেই আমাকে পরিচয় করিয়ে দেন এভাবে -আমার প্রথম/সবগুলো বইয়ের প্রকাশক।
দুএকদিন আগে এক আড্ডায় আলাপ জমেছিলো এই প্রসঙ্গে।আমার বর্তমান পরিচয়ের অনুভুতি আমি ব্যাখ্যা করেছিলাম এভাবে-গল্পটা হলো,আমাকে বেশ কিছুদিন আমার এক দুলাভাইয়ের অধীনে কাজ করতে হয়েছিলো।দুলাভাই আবার ছিলেন আমার ফার্স্ট কাজিন।কিন্তু লোকজন আমাকে বসের শালা ভাবতেই বেশী সুখবোধ করতো।
সবই বাস্তবতা।

বি:দ্র: শুদ্ধস্বর' এই সময়ের গল্প সংখ্যা বেরিয়েছে।


মন্তব্য

মাহবুব লীলেন এর ছবি

অনেকেই আমাকে পরিচয় করিয়ে দেন এভাবে -আমার প্রথম/সবগুলো বইয়ের প্রকাশক।

এই বাক্যটার সম্পূর্ণ দায় এবং দায়িত্ব আমার। কথাটা আমিই বোধহয় একমাত্র বলি
বলি জনাম কবি এবং সম্পাদকের আঁতে ঘা লাগানোর জন্য
কারণ এই কবি এবং সম্পাদককে ঘা লাগানো বেশ কঠিন

ঘা লাগানোর কতগুলো কারণ আছে
০১
আহমেদুর রশীদ কবি কিন্ত কবিতা লেখে না দীর্ঘদিন। বললে বলে গুছিয়ে নেই তারপর লিখব
গুছিয়ে নিয়ে কবিতা লেখা যায়?

০২
আহমেদুর রশীদ সম্পাদক। কিন্তু সম্পাদকীয় কমেন্ট দিতে গাঁইগুঁই করেন

০৩

অতদিনতো প্রকাশক বলতাম। এবার বইমেলায় তো আরেক কাঠি এগিয়ে গিয়ে বলেছি এরপর থেকে বলব- প্রিন্টিং এজেন্ট

০৪
আহমেদুর রশীদকে নিয়ে আমার এই কবিতাটা ৯৯ এ লেখা। আমার প্রথম বই কবন্ধ জিরাফে সংকলিত। কিন্তু কোনো দিনও বলিনি এটা তাকে নিয়েই লেখা। আজ না বললে দায় সব আমার উপরই থাকবে

নিখোঁজকে চিঠি

আয়রে ভাই বাপের ভিটাতেই ফিরে আয়
আয় কবিতার গ্রামে

বাক্যের বেসাত ছেড়ে যারা নিয়েছে সন্যাস; জলের কুমিরে খেয়েছে ওদের
যারা সংসারে গেছে; সাত পাঁকের নাগপাশে আবদ্ধ ওরা
যারা যায়নি তারা দীন; তবু কামড়ে আছে শেষ ঠাঁই;
ভাববাদী পিতার স্বপ্ন-বসত

তুই ফিরে আয় ভাই
মুক্তবাজার বাণিজ্যে তোর হাড়গুলো ক্ষয়ে কঙ্কাল
শব্দের চাষা তুই; এখনো আঙুলে কড়া; কলমের দাগ

আয়- ফিরে আয়
যারা হবার তারা মহামান্য হোক- হোক জেনারেল- মন্ত্রী অথবা বিদেশের চর
যার ইচ্ছা সে বানাক এনজিও- লুট করে নিয়ে যাক বাজেটের খাতা
তোর বংশের বৃত্তি কবিতায় ফিরে আয় তুই

সন্যাসী ভাইদের ভিটেগুলো খালি
সংসারী বোনেরা রেখে গেছে জমিগুলো ফাঁকা
উদ্ভ্রান্ত স্বজনের পতিত মিরাশ
মালিকানাহীন এ তালুকের একমাত্র জমিদার শুধু তুই

আয়রে ভাই
কবিতার রাজত্বে চল্ আবার রাজা হয়ে যাই
১৯৯৯.১১.১৪ রোববার

০৫

প্রকাশক শব্দ শুনতে খারাপ লাগলে আহমেদুর রশীদকে নিশ্চয় এই শব্দটা যাতে শুনতে না হয় তার ব্যবস্থা করেত হবে
তাই না?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমার প্রতিটা বইয়েই কমপক্ষে একটি কবিতা থাকে
যেগুলো সরাসরি কোনো ব্যক্তির নামে নাম
এদের কাউকে কাউকে অনেকেই চেনে
কাউকে কাউকে আমি ছাড়া কেউ চেনে না
এইসব কবিতাগুলো একসাথে করে একটা বই করব এক সময়
বইয়ে নাম
সেইসব সোনালি রূপালি কিংবা ছাইরং মানুষ

প্রতি বছরই এরকম কবিতা জমছে ১০/১৫টা করে

ঝরাপাতা এর ছবি

আমারো।

লীলেন ভাই জিন্দাবাদ।

অফটপিক: খোরোখাতা কিনেছি। কেনার পরে একজন ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করে পড়তে হবে।


রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমার তো খুশি হবার কথা
এর আগে ঠাকুরগাঁওয়ে একজনের বাসা থেকে আমার মাংসপুতুল বইয়ের পাতা ছিঁড়ে একজন একটা কবিতা নিয়ে গিয়েছিল
পরে তাকে পুরো বই পাঠিয়েছিলাম খুশিতে

ছিনতাইকারীকে ধন্যবাদ
(যদিও জানি না সে ঠোঙা বানানোর জন্য আমার বইটা নিয়েছে নাকি পড়তে নিয়েছে)

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- লীলেন ভাই, জেন্ডার ভেদে কি ছিনতাইকারীর পর একটা অতিরিক্ত 'নী' যোজিত হবার কথা না? চোখ টিপি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

মাহবুব লীলেন এর ছবি

নীমানে হচ্ছে এর মাথার উপরে একটা ঘোমটা
খবরদার
নারীজাতিকে আর ঘোমটার ভেতরে রাখার চক্রান্ত চলবে না

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

খারাপ লাগার ব্যাপারটা আঁতের ঘা থেকেই এসেছে স্যার।
প্রকাশনা পেশাকে অসম্মান বা ছোট করার কোন ব্যাপার নেই এতে।
পত্রিকা সম্পাদনা আর প্রকাশনা সম্পাদনা দুইটা দুই জিনিস স্যার।
একদম খাঁটিকথা।আমি এখনো প্রিন্টিং এজেন্ট।
এই লাইনে যতটুকু হয়েছি সব বন্ধু লীলেনের হাত ধরেই।

কবিতাটা আমার জন্য লেখা এটা জানা ছিলো না।তবে যতবার পড়েছি,নিজের ভেতরে তাড়না অনুভব করেছি।আজ জেনে দুর্বল কবি চিত্তের কারণেই কি- না জানি না শুধু চোখ বেয়ে গড়িয়ে নামলো দুই ফোঁটা জল।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কবিতাটা এর আগে তোমার পুরো নামসহই ছাপা হয়েছিল কোনো ম্যাগাজিনে
কিন্তু যখন বইয়ে দেবার প্রশ্ন এলো তখন দেখলাম বইয়ের ভেতরে প্রকাশকের নামে কবিতা থাকলে সেটা প্রশ্ন তুলতে পারে
তাই বাদ দিয়ে দিলাম

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।