:: বিষন্নতার পদ্য ::

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: রবি, ০৮/০৭/২০০৭ - ১১:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পুরনো কাগজের ভিড়ে ছিল। গতমাসে বাড়ি বদলের সময় আরও অনেক কাগজের সাথে চারলাইন পদ্যও পাওয়া গেল। কম করে হলেও দশ বছর আগের। আমি আমার অধিকাংশ পুরোনো লেখাকেই ছুড়ে ফেলে দিই। কেমন বাচালতা মনে হয় পড়ে। তাই বলে এটা ভাববেননা নিজেকে এখন খুব বড় মাপের কিছু একটা ভাবছি।
তো যেকথা বলছিলাম। সামহোয়ারে এটা পোস্ট করে দিলাম। সেখানে কেউ কেউ পড়লেন। ভালো বল্লেন। এর মাঝে একজন হলেন দৃশা। তিনি শুধু ভালই বল্লেননা, সাথে এটিকে আরও বড় করার আব্দার জানালেন। রাজি হয়ে গেলাম। কিন্তু এর পরেই সেখানে শুরু হল হৈ চৈ। অরূপ জানালেন নতুন বাড়ি প্রস্তুত। আমি আর সে বাড়িমুখো হলামনা। ভুলে গেলাম দৃশার দাবী।
হঠাৎ দেখি দৃশাও এই বাড়িতে হাজির। এবং এসেই থ্রেট...

পদ্যটাকে পদ্য করার যুদ্ধ শুরু করলাম। বুঝলাম কতধানে কত চাল। আগের আলবাব কত আগে মারা গিয়েছে সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম।

আমি অন্তরের লাগি
তোমারে খুঁজি।
আমার বিষন্নতার অন্ধকারে
স্নিগ্ধ আলো তুমি।

এই জীবনে অনেক কষ্ট
মৃত স্বপ্ন, দীর্ঘশ্বাস।
তুমি হবে মুক্ত আকাশ
জোৎস্না ভেজা পূর্ণিমা রাত।

আমার উঠোন রোদবিহীন
মাঠগুলো সব নিস্ফলা।
তোমার কাছে চাইছি আলো
ফসল এবং বন্ধুতা।


মন্তব্য

দৃশা এর ছবি

এইবারে দেখেন আমি এইটারে কিছু করতে পারি কিনা...আপত্তি আছে?

দৃশা

নজমুল আলবাব এর ছবি

নাহ, আপত্তি থাকবে কেন? পছন্দ হইছে আপনার? মেইল দেন একটা পারলে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

'ওই আলবাব ভাই ওই' খুব ভালো হয়েছে। চমৎকার!

দৃশা এর ছবি

দিলাম।

দৃশা

নজমুল আলবাব এর ছবি

ওই শিমুল ওই, ঠিক কইতাছতো হাসি

তারেক এর ছবি

খাইছে। এই পদ্য তো টম ক্রুজের মেয়ের মতন জন্মানোর আগেই হিট হইয়া গ্যাছে দৃশা'র কল্যাণে!
আমি বইসা বইসা মুখস্ত করি এই বেলা। পরে জায়গায় জায়গায় উদ্ধৃতি দিমু! হাসি

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

নজমুল আলবাব এর ছবি

ঠিক আছে তারেক। তবে আপনার নিজের কল্যানে কেমন লাগছে সেইটা বলেন। হাসি

তারেক এর ছবি

ভাল না লাগলে কি আর কষ্ট করে মুখস্ত করি, নজমুল ভাই? খাইছে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

নজমুল আলবাব এর ছবি
তারেক এর ছবি

ডরাইছি মন খারাপ(
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

নজমুল আলবাব এর ছবি
ঝরাপাতা এর ছবি

আমার কেন জানি মনে হয় জোর কইরা পদ্য হয়না। নিজের মধ্যে ঠিকই পদ্য আইসা নাড়া দিতে হয়। এই কবিতায় ঠিক সেইটা মনে হইলো। শেষ দুই প্যারায় কেমন জানি তাড়াহুড়ো। সচেতনভাবে তুমি-আমি দিয়া কবিতা শেষ করার প্রচেষ্টা। বেশি কইয়া ফালাইছি। ভুল হইলে ক্ষমা দিয়েন।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

নজমুল আলবাব এর ছবি

সমালোচনা কোনদিন মন খারাপ কইরা গ্রহন করছি এর একটা প্রমান দেনতো ফলেন ব্রাদার মন খারাপ

ঝরাপাতা এর ছবি

হায় হায় বিড় ব্রাদার। এইটারে সমালোচনা মনে কইরেন না। এইটা আমার মনে হওয়াতে বলছি। আপনার যতগুলো কবিতা পড়ছি সবগুলো মনে হইছে হৃদয় থেকে স্বতোৎসরিত কিন্তু এইটাতে সেইরকম মনে না হওয়াতে কইলাম আর কি।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

নজমুল আলবাব এর ছবি

ভুল হইলে ক্ষমা দিয়েন।

এইটা কইছেন কেন তাইলে মন খারাপ

দৃশা এর ছবি

ওই ঝরাপাতা ওই !!!

দৃশা

ঝরাপাতা এর ছবি

ভুল হলে ক্ষমা করে দিয়েন কথাটা এজন্য বললাম যে আমার প্রেডিকশনটা ভুল হে পারে। অর্থাত এই যে বললাম আপনি তাড়াহুড়ো করে শেষ করেছেন। এমনও হতে পারে, আপনি যথেষ্ঠ সময় নিয়ে ভেবেছেন প্রতিটি শব্দ নির্বাচনে, বাক্য বিনির্মাণে। আমি পাঠক হিসেবে সেটা উপলব্ধি করতে পারিনি, সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছি প্রথম প্যারার সাথে শেষের দুই প্যারার।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

নজমুল আলবাব এর ছবি

আমি একটা ব্যখ্যা প্রথমেই তুলে দিয়েছি কিন্তু হাসি আগে বয়ান পরে কাব্য! নিজের সীমাবদ্ধতাটা খুব বেশি টের পেয়েছি এই ১২ লাইনে। @ ঝরা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।