নজমুল আলবাব এর ব্লগ

শস্যপর্ব

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/০২/২০০৭ - ৫:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


শস্যপর্ব কবিতা প্রকাশের একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস। এক সময়, যখন আরও সজিব ছিলাম মননে, তখন আমরা যারা একসাথে বাঁচতাম তারা এইসব কাজের সাথে যুক্ত থাকতাম দিনের বেশির ভাগ সময়। তখন একবারে হঠাৎ বাতাসে শ্বাস নিয়েছিল শস্যপর্ব। তারপর শীতঘুম। প্রায় 7 বছর পর আবারও শস্যের ঘ্রান নিতে ইচ্ছে হল। অন্তর্জালে সংরক্ষনের উদ্দেশ্যে এখানে রাখা হল। কেউ যদি পড়ে ফেলেন কস্ট করে সেটা হবে বাড়তি পাওনা।
---------------------------------------
এখানে পোস্ট করার পরই মনে হ


দেয়ালের দাগ

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: শনি, ২৪/০২/২০০৭ - ১:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


দেয়ালের এক পাশে ছাপ্পান্ন নাম্বার দাগ দেওয়ার সময় দরজায় ঠক ঠক করে আওয়াজ হলো। দাগটা টেনে মতিন সাহেব দরজা খুলে দিলেন।
'চাচা আমাকে চিনতে পারছেন? আমি সাইদ, রনজুর বন্ধু।'
মতিন সাহেব কোনো কথা বললেন না। কিন্তু সেদিকে সাইদের খেয়াল নেই। সে নিজেদের পরিচয় দেওয়ায় ব্যস্ত_ 'আমার কথা কি আপনার মনে পড়ছে না? সিলেটে আপনাদের আর আমাদের বাড়ি ছিল পাশাপাশি। আমার বাবা তারাপুর চা-বাগানে চাকরি করতেন।'

তারাপুর চা-বাগান কথাটা মতিন সাহেবের মাথায় ঢুকেছে। এর আগে সাইদ য


জলজ বিষন্নতা

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: সোম, ১৯/০২/২০০৭ - ২:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


অনেকের মাঝে থেকেও
আমি ঠিক ঠিক একা হয়ে যাই
জলের মায়ায় বেড়ে উঠা জলজ বৃক্ষের মত
মাছেদের সাথে ভেসে থেকেও প্রজাতী ভিন্ন


বৃষ্টি অথবা তোমার বন্দনা

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: বুধ, ১৪/০২/২০০৭ - ৬:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


পেজা তুলোর মতো বৃষ্টি ঝরছিল
অথবা, মখমল বৃষ্টি...
অথচ আকাশের রঙ বৃষ্টিরঙা নয়
আশ্চর্য অন্য আলোয় রাঙা

বারান্দায় দাঁড়িয়ে তুমি হাত বাড়ালে
সিঁড়ির ঠিক পাশে খুলে রাখলে স্যান্ডেল
কংক্রিটের উঠোনে হেটে গেলে কোমল পায়ে
একবারও আমার দিকে তাকালেনা

বৃষ্টির কণা স্পর্শ করছে তোমার চোখের আলো

...বড় ইচ্ছে হয় বৃষ্টি হতে...
...বড় ইচ্ছে হয় বৃষ্টি হই...


হা...হা...হা...

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৮/০২/২০০৭ - ৫:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


নীলু সিনহার ফোন পেলাম। ত্রস্ত কনেঠ বল্ল, তাড়াতাড়ি জিন্দাবাজার পয়েন্টে যান। মজা দেখেন!

দিলাম দৌড়....

ভীড়, মানুষে সয়লাব।
বাদশাহ'র আগমনের পর এমন ভীড় এই প্রথম দেখলাম। অবাক আমি! এগিয়ে গেলাম!

একলোক জিন্দাবাজারে এসছেন, রাস্তার পাশে রিক্সা দাড় করিয়ে ঔষধ কেনার জন্য ফার্মেসিতে গিয়েছেণ... তখনই উদয় ট্রাফিক সাহেব। আইন শেখানোর জন্য রিক্সাওয়ালার মাথায় একটু আদর করলেন। ব্যাটা সেই আদর বুঝলনা। মাথায় হাত দিয়েই শুয়ে পড়ল ফুটপাতে!
আর যায় কই পাবলিক


আমার বাবাই

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৮/০২/২০০৭ - ৬:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


সকাল আটটায় তুলি ডাক দেয়। চোখ টেনে মেলে দেখি সোঁনাজান মাথাটা মায়ের বুকে চেপে পা'টা তুলে দিয়েছেন বাপের উপর। আদর করতে ইচ্ছে করে। ঘুম মুখে এগিয়ে যাই। ফিরিয়ে দেয় তুলি। ইশারায় বলে ফিডারটা দাও... এটাই নিয়ম। রাজপুত্রকে ঘুমের ঘোরে না খাওয়ালে আর খাওয়ানো যাবেনা।
পা টিপে টিপে ডাইনিং রুমে যাই। কষ্ট করতে হয়না। আম্মা জেগে উঠেছেন আগেই। ... দাদু ভাইয়ের জন্য দুধ বানিয়ে দেন। কোনমতে মুখে পুরেদিই... তিনি টানেন ঘুমের ঘোরে। আমি আবারও তন্দ্রাচ্ছন্ন হই!
নয়টা তিরিশে


জ্বরগ্রস্থ বাক্যবিন্যাস

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: শনি, ০৩/০২/২০০৭ - ৩:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


1.

কৈশোরের জ্বরে
মরে যাওয়ার ইচ্ছে হত।

এখন
শুধু তোমার কাছে
আসতে ইচ্ছে করে।

2.

যতই গভীরে যাই কোমল
কোমল কোমল পলি
আমি চাষে মাতি...

ফসলের ঘ্রানে মেতে উঠুক
উঠোন তোমার আমার


চন্দ্রাবতী বিষয়ক

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: রবি, ২১/০১/২০০৭ - ৭:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


রৌদ্র ছায়ায় এত খেলা আকাশে,
চন্দ্রাবতী তোমার আলো ছায়ায়
সব খেলা ম্লান।

কী করে বলো তুমি আসবেনা
আমার কাছে!
চোখে ঠিকই আদর ঝরে পড়ে
তোমার। মুখে বল 'না'।

চন্দ্রাবতী অতটা বেদনা
কীভাবে পোষ ভেতরে তোমার!
অমন বেদনা
কীভাবে দাও আমায়!

তোমার নিরবতায়
আমাকে স্পর্শ করে মৃত্যুর শীতলতা।


::বউ, বাটা, বল সাবান::

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: শুক্র, ১৯/০১/২০০৭ - ১০:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


সমস্যা শুরু হয়েছিল বিয়ের দিনেই। শ্বশুর বাড়ির লোকজন দাদাকে মাত্র এক হাজার টাকা নজরানা দিলো! খেপে গেলেন মা, বাবা, বড় চাচা...।

ভাবী যে শো-কেস এনেছে সেটার তাকগুলো কদম কাঠের। সোফার ফোম খুব বাজে, দুদিনেই বসে যাবে। ড্রেসিং টেবিলটার ডিজাইন সেই মান্ধাতা আমলের। আরো কতো ভেজাল যে আছে.....!

ভাবীর অনেক খুঁতও বেরুতে লাগলো। কথা বলে কেমন করে, তিন বাড়ির মানুষ শুনতে পায়!
ঠা ঠা করে হাসে। বাপের বাড়ির এতো অপরাধের ব্যাপারেও তার কোনো বিকার নেই। এমন ভাব দেখা


ব্যক্তিগত ব্যাখ্যান

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/০১/২০০৭ - ১:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


প্রাইমারি স্কুলে একটা বিষয় ছিল ছবি আঁকার। বাংলা স্যার মাঝে মাঝে কিছু একটা আঁকতে বলতেন। আমরা আলতো হাতে তা আঁকতাম।ক্লাস বলতে এই পর্যন্ত। কিন্তু পরীক্ষার সময় ছবি আঁকার আলাদা পরীক্ষা ঠিকই হতো। পরীক্ষার দিনে ক্লাসের সবাই রঙ, রঙ পেন্সিল, তুলি, স্কেল কত কি নিয়ে আসতো। ...আমার সে সব নেওয়া হতো না। বড় আপা কচি সীমপাতা তুলে দিত বেশ কটা, সাথে বাবার লাল কালির কলম। আর আমার লেখার কলমটাতো থাকতই। এ জন্য আমার আঁকা ছবি সব সময়ই তিন রঙের হতো। কচি সীমপাতা সবুজ, লাল আর