নজমুল আলবাব এর ব্লগ

:: নিষ্ঠুর কথাটা আমাকেই প্রথম শুনতে হয় ::

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩১/০৫/২০০৭ - ২:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


শাহ্ আলম এখন আর নেই। আমাদের এই প্রিয় মানুষটি চলে গেছেন না ফেরার দেশে। ২০০৬ সালের ৩০ মে প্রথম প্রহরে মৃত্যুর মুহুর্তে যেসব মানুষ শাহ আলম এর পাশে ছিলেন আমিও তাদের একজন ছিলাম। প্রায় দশ বছরের সম্পর্ক এভাবে অনুষ্ঠানিক আবহে হঠাৎ করে শেষ হয়ে যাবে সেকথা এখনও ভাবতে পারিনা।

আমার সাথে শাহ আলম এর সম্পর্কের কোন বর্ননা আমি দিতে পারবনা। তাঁর সাথে যখন পরিচয় হয় তখন আমরা কেউই আলাদা মানুষ হয়ে উঠিনি। কৈশোর উত্তির্ণ। শাহ আলম সবে তুলির আঁচড়


::লিরিক-২ ::

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: বুধ, ৩০/০৫/২০০৭ - ৩:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি অন্তরের লাগি
তোমারে খুঁজি
আমার বিষন্নতার অন্ধকারে
স্নিগ্ধ আলো তুমি।


:: আজকের এই দিনে বুরুঙ্গায় পাক পাহিনীর হাতে শহীদ হন ৭৮ জন ::

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: রবি, ২৭/০৫/২০০৭ - ৪:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ ২৬ মে। ১৯৭১ সালের এই দিনে সিলেটের বালাগঞ্জে পাক বাহিনী ও তাদের দালালরা মেতে উঠেছিল হত্যাযজ্ঞে।
১৯৭১ সালের ২৫ মে একটি জীপে করে পাকবাহিনী ও রাজকাররা বালাগঞ্জের বুরুঙ্গা বাজারে প্রবেশ করে। লোকজন ভয়ে পালাতে থাকলে বলা হয় ভয়ের কোনো কারন নেই ২৬ মে স্কুল মাঠে কার্ড দেওয়া হবে। আপনারা উপস্থিত থাকবেন। এ আহবানে অনেকেই স্বস্থিবোধ করেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মে লোকজন বুরুঙ্গা হাইস্কুল মাঠে জড়ো হতে থাকেন। পাক ক্যাপ্টেন নূর উদ্দিন রাজাকার ছাদ উদ্দিন ও আবদুল খালিকের নেতৃত্বে সকাল ১০ টায় পাকসেনারা স্কুল মাঠে অবস্থান নেয়। তারপর উপস্থিত লোকজনকে ২ ভাগে ভাগ করে গাছের নিচে বসানো হয়।
চারদিক থেকে পাকসেনার সশস্ত্র ভাবে ঘিরে রাখে স্থানটিকে। তারপর ক্যাপ্টেন নূর উদ্দ


:: কাল ঘুম নেমে আসে তার দু'চোখ জুড়ে ::

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: শুক্র, ২৫/০৫/২০০৭ - ৪:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
কাল রাতেও ঘটনাটা ঘটল। আমি খেতে বসতেই অনন্যা এসে হাজির। হিস হিস করে বলে, ‘ ভাবী তোমার লজ্জা করেনা? নিজের বুঝ ঠিকই বুঝ, আর অন্যের কিছু পেলে হুলস্তুল বাঁধিয়ে দাও!’ আমি আর খেতে পারলামনা। গলায় কষ্ট দলা পাকিয়ে ব্যাথা শুরু হল। চব্বিশ ঘন্টা আগের ঘটনাটা বলতে গিয়েও রুপার গলাটা ধরে আসে। কেঁদে ফেলে। জহির বউকে শান্তনা দেয়। আহা কেঁদনাতো। ঠিক হয়ে যাবে সব। কালই আমি বকে দেব অনন্যাকে। রুপার মন অন্যদিকে ফেরাতে চেস্টা করেন। তবু সে ফুঁপাতে থাকে। বলে যায়, মা-ও কিছু বল্লেন না। যেন আমি মহা অন্যায় করেছি। তারইতো মেয়ে। কিছু যদি হয়, আমার থেকেতো তারই বেশি কষ্ট হবে। কিন্তু তার ভাব দেখে মনে হল অনন্যা যা করছে ঠিক করছে। আমি এ নিয়ে কথা বলে অন্যায় করেছি! আর এমন কি


:: নাতাশার নানীর গাড়ীতে ::

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৪/০৫/২০০৭ - ২:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আহা আলবাব তুমি আর কত বেচাইন হবে!
নাতাশার নানীর গাড়ীতে বসে বসে তুমি
এইসব উকিল মুহরির দৌড় দেখেই আগামী
দিন কাটানোর জন্য প্রস্তুতি নাও...

আহমেদ নূর বেটা চাঁদাবাজ বটে!
তার আছে আরও অনেক জারিজুরি
তুমি তার কত পাশ টানবে?
তোমার আর কতটুকুনই আছে ক্ষেমতা?

নাতাশার নানী এই গাড়ী কিনেছিল বলে,
তার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দরকার বলেই
আজ এই কাচারির উঠানে তুমি আরামে
বসে আছ আর গেজাতে গেজাতে গিলছ
আমের আচার, গোপালের পান।

বিকেলের নীল প্রিজনভ্যানে দাগী অপরাধীর ভিড়ে
ভাঙ্গা পা টানতে টানতে মৌলির বাবা যখন মিশে
যান, তার আগে পত্রিকায় মোড়ানো মিহিদানা মিস্টি
হাতে পেয়ে লোকটার চোখ কেমন জ্বলজ্বল করে উঠে...

আহা আলবাব তুমি আর কত বেচাইন


:: বৃষ্টির গান ::

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০৫/২০০৭ - ২:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এপাশে বৃষ্টি ওপাশে বৃষ্টি
জারুল বৃক্ষের শিয়রে সংসার
তুমি যোগীনী...
ধ্যানে মগ্ন...

আদম কী ইভ'কে এভাবে কখনো
জড়িয়ে ধরেছিল বৃষ্টির শিয়রে...
আলবাব...
যোগীনীর নিঃশ্বাস...

ইভের ঠোঁট এতটা
কোমল ছিলনা নিশ্চিত।


:: সে রাতে পূর্ণিমার সাথে আমি তোমাকেও দেখেছি ::

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: বুধ, ০৯/০৫/২০০৭ - ১:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


১.
তখনও বুঝিনি আকাশে অতটা উজ্জলতা ছিল। হঠাত করেই ইলেকট্রিসিটি চলে গেল। মুমু বল্ল সে ছাদে যাবে। বন্ধ ঘরে তার ভাল লাগছেনা। দম বন্ধ হয়ে আসছে। বাধ্য হয়ে তাই বেরিয়ে আসি। মোমের আলোয় যতটা দেখা যায় ততটা দেখে সিড়ি বাইতে থাকি। একহাতে মোম অন্য হাতে ধরে রাখি মুমুকে।

সিড়িটা বেশ খাড়া। অন্যবাড়ির দেড় সিড়ি সমান এর একেকটা সিড়ি! মুমুকে বলি, কষ্ট হচ্ছে উঠতে। ম্লান হাসি হেসে বলে, তুমি জিজ্ঞেস করতেই উধাও হয়ে গেল! আমি দাঁড়িয়ে যাই। ওর চোখে চোখ রাখার চেস্ট


:: রুহী ঠাকুর: গানের এই মানুষটা আজ মরে গেল ::

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: মঙ্গল, ০১/০৫/২০০৭ - ১১:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আমাদের প্রাণের রুহী দা। রুহী ঠাকুর। লোক গান, বিশেষ করে সিলেটের আঞ্চলিক গানের এক প্রাণময় পুরুষ। আজ তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন। বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের ভাবশিষ্য ছিলেন রুহী ঠাকুর। ব্যক্তিগতভাবে আমি অসংখ্যদিন খুব কাছে থেকে তার গান শুনেছি। তার স্নেহ পেয়েছি। সহজিয়া এই মানুষ বড় মমতায় বলতেন, 'আইজ্ঞা, অপুভাই বালা আছুইন!' আমরা লজ্জায় পড়ে যেতাম তার বিনয়ে। বলতাম, দাদা আপনারা গুরুজন হয়ে যদি এভাবে কথা বলেন তা হলে শরম লাগে। তিনি আরও বিনয়ি হয়ে যেতেন। বল


: আমাদের ক, খ, গ, ঘ, এবং ঙ :

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: সোম, ৩০/০৪/২০০৭ - ১২:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক.

বাড়ির সামনেই কবরটা। সাদা মার্বেল দিয়ে বাঁধিয়ে রাখা। আগে ছিল লাল রংএর ইটের দেয়াল। তিন বছর আগে দাদা যখন সার্টিফিকেটধারী রাজমিস্ত্রি হল তখন মার্বেল দিয়ে বাঁধিয়ে দিল। এতে নাকি তার মেধার উন্নতি হবে। আগামিতে সে হবে ফাঁটাফাঁটি ইঞ্জিনিয়র। এমনই আমাদের বিশ্বাস। আমরা সবাই বিশ্বাস করি। যতকিছু আছে আমাদের ভালো সবই তার দোয়ায়। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের বিপদ আপদ সবই হয় যখন তিনি রেগে যান।

খ.

আমাদের মূলত নির্ভেজাল জিবনযাপন। আমদের বাড়ির ছেলে মেয়েরা পড়ালেখায় ভাল। পাশ করার আগেই তারা কাজ পেয়ে যায়। ভালো ভালো সব চাকরি। ভালো সব ব্যবসা। সবই আছে আমাদের।

গ.

রোজ স্কুল, কলেজ অথবা অফিস যাওয়ার পথে আমরা শান বাঁধানো কবরটার সামনে দাড়াই। নতজানু


আমার কোনদিন দুধ চা খাওয়া হবেনা

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: বুধ, ২৫/০৪/২০০৭ - ৬:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেশি সময় কারও লাগেনা। বুঝে ফেলে। আমার দৌড়টা তাদের জানা হয়ে যায়। এর জন্য আমি নিজেই আসলে দায়ী। ভাব ধরাটা শিখতে পারলামনা। তাই খুব সহজেই সবাই বুঝে ফেলে আমি মূলত অন্তজ শ্রেনীর মানুষ।

আমি নাকি ঠিক মানানসই নই এই সময়ের জন্য। পরিচিতরা সবাই বলে। এমনকি মাও বলেন, তুই বুঝিসনা দিনদুনিয়া কোন তালে চলে এখন! আমি কোন উত্তর দিতে পারিনা। মাথা চুলকাই।

কাদির মিয়া আমাকে কেন যেন খুব পছন্দ করে। জেলখাটা দাগী আসামী। নামের শেষের মিয়াটা উধাও হয়ে সেখানে ডাকাত শব্দটা ঠেসে ছিল অনেকদিন। কি করে যেন সে আমাদের অফিসে এসে জুটে গেল আর আজব কোন এক কারনে আমার সাথে তার খাতির হয়ে গেল। কাচের মগে লাল চা দিতে দিতে বলত, স্যার আপনার জীবনে কোনদিন দুধ চা খাওয়া হবেনা। আমি অবাক হয়