মুখফোড় এর ব্লগ

তন্ত্রালাপ

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: বুধ, ১২/০৪/২০০৬ - ২:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গণতন্ত্র এই পোড়ার দেশে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিলো, যেমন করিয়া বহু কাঠ খড় পোড়াইয়া মন্দিরে দেবমূর্তি অধিষ্ঠিত হয়। তবে ডামাডোলে কেহ খায়াল করে নাই, মন্দিরের ছাদখানাই উযু্যগ করিয়া কেহ নিমর্াণে আগাইয়া আসে নাই, তাই বিরূপ প্রকৃতি দেবমূর্তির ন্যায় অচলা গণতন্ত্রের উপর আঘাত হানিয়া চলিলো। উন্মুক্ত দেবতার মস্তকে পক্ষীকূল মলত্যাগ করিয়া পলেস্তারা গড়ে, আমাদের গণতন্ত্রেও নানাবিধ মল জমিতে লাগিলো। আক্রান্ত হইতে হইতে বিকৃতি ও বিবর্তন নামক দুই অমোঘ নিয়তিঅপ্সরার হাত ধরিয়া আমাদের গণতন্ত্র বা ডেমোক্রেসি পর্যবসিত হইলো পুতুলতন্ত্র বা আইডলোক্রেসিতে।

পুতুলতন্ত্রে একজন পুতুল প্রয়োজন হয় (আক্ষরিক অর্থে নিবেন না কেহ, পুতুলের নাম যে পুতুলই হইতে হইবে এমন কোন দিব্য নাই)। পু


কাবিলের কান্ড

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: শনি, ০৮/০৪/২০০৬ - ৪:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হাবিল আর কাবিল দুই ভাই। হাবিল ভেড়া চরায়, কাবিল চাষবাস করে। ফসল উঠলে কাবিলের বউ পায়েস রাঁধে, পোলাও করে, আর হাবিলের বউ ভেড়ার মাংস কাঠিতে গেঁথে পোড়ায়। তারপর দুই ভাই বউপোলাপান নিয়ে বসে খায় গপাগপ।

এভাবেই চলছিলো দিন, হঠাৎ একদিন এক স্বর্গদূত এসে হাজির।

হাবিল কাবিল স্বর্গদূতদের খুব একটা পছন্দ করে না, ঈশ্বরের বার্তা নিয়ে আসে এরা, সে-ই ঈশ্বর যে তাদের বাবাকে পাছায় লাথি মেরে নন্দন কানন থেক...


জীবনানন্দের মরণরহস্য

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: শুক্র, ০৭/০৪/২০০৬ - ৬:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জীবনানন্দ ট্রাম লাইন ধরে হাঁটছেন, হাজার বছর ধরে না হলেও কয়েক মিনিট ধরে। গম্ভীর, অন্যমনস্ক।

মনে মনে ভাবছেন তিনি। কবি মানুষ, ভাবুক কিসিমের লোক, ভাবনায় ডুবে থাকেন।

আজ আমি কবি, ভাবেন জীবনানন্দ। সবাই আমাকে চেনে। জানে। আমার কবিতা নি...


বিশ্বব্যাংক বলে দ্যায়

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: বুধ, ০৫/০৪/২০০৬ - ১২:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হাগু করছিলাম কমোডে বসে
হঠাৎ দরওয়াজা খুলে যায় সটান
ক্রিস্টিন আই ওয়ালিক (এক অর্থে আমার পায়খানার মালিক)
গটগটিয়ে ঢুকে পড়েন আমার অপ্রশস্ত টয়লেটে
বলেন, হচ্ছে না মুখু, ওভাবে নয়
তোলো তোমার বাম পা-খানা ঘাড়ের ওপর
ডান হাতে বাম কান চেপে ধরো, আর বাম হাতে ডান হাঁটু
তারপর করো, তবে হুঁশিয়ার, একবারেই সব করে ফেলো না
মাসছয়েক এভাবে হাগো
তারপর আবার বাৎলে দোবো আধুনিক হাগনপদ্ধতি।

ভয়ে ভয়ে তা-ই করি
শুধাতে যাবো পরিষ্কৃত হবার মারফতি তরিকা
কিন্তু ওয়ালিক (এক অর্থে আমার পড়শীরও সবকিছুর মালিক)
হানা দ্যান পাশের বাড়ির হাগনকোঠিতে
শুনতে পাই খুব ধমকাচ্ছেন কাকে যেন।

এভাবেই চলছে, বুঝলেন
বান্ধবীকে চুমো খেতে যাই, কোথায় ঠোঁট রাখবো আর কোথায়


সুকুমার রায়ের ছড়া ঃ মজহার স্মরণে

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: বুধ, ০৫/০৪/২০০৬ - ২:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দোষ ধরবেন না, গরীবের সক্রেটিস আল্লামা মজহার জিন্দাই আছেন খোদার ফজলে। সাদা চোখে সবই দ্যাখে কিন্তু দর্শনে রুচি নাই এমন জনগোষ্ঠীর জন্য দার্শনিকতার এফএম মেথড যিনি চালু করেছেন, তাঁর কথাই স্মরণে আসে আমার, এই ছড়াটা পড়লে। তাই অন্যের মাল নিজের মনে করে নিয়ে তাঁরই চরণকমলে উৎসর্গিলাম।

সুকুমার রায় ঃ বুঝিয়ে বলা
--------------------------

ও শ্যামাদাস! আয় ত দেখি ব'স ত দেখি এখেনে,
সেই কথাটা বুঝিয়ে দেব পাঁচ মিনিটে, দেখে নে।
জ্বর হয়েছে? মিথ্যে কথা! ওসব তোদের চালাকি---
এই যে বাবা চেঁচাচ্ছিলে, শুনতে পাইনি? কালা কি?
মামার ব্যামো? বদ্যি ডাকবি? ডাকিস না হয় বিকেলে;
না হয় আমি বাৎলে দেব বাঁচবে মামা কি খেলে।
আজকে তোকে সেই কথাটা বোঝাবই বোঝ


আস্তকবিতা

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: শুক্র, ৩১/০৩/২০০৬ - ৩:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কী একটা ওলটপালট হয়ে যায় আস্তমস্তকের ভেতরে
আস্ত আস্ত চিন্তার কৃমি ক্রিমিন্যাল করে তোলে আমাকে
হন্তারকের শবের ওপর বসে তন্ত্রসাধনা করি
ফুসমন্তরে তার মৃত শিশ্নের উত্থান কামনা করি
নিজের ঘরে আস্তআস্তআগুন দেবো বলে আস্তচকমকি ঘষি অর্ধেক বুকে
আত্মার অন্ধকার থেকে পঙ্গুশ্লোকের স্তবক সাজাই
আর বলি এই আমার আস্তচিন্তা আস্তযুক্তি আস্ত সাংখ্যদর্শন
আর পরিষ্কার রোদের নিচে দাঁড়িয়ে সবকিছুকে অস্বীকার করে অন্ধকারকে ভাঁজ করে পট্টি বাঁধি আস্তশিরে
সব কিছু ভেঙেচুরে ভগ্নাংশ বানিয়ে
একা, একা, অনেক একা আমি আস্তলোকে তাঁবু গাড়তে চাই।


কমনওয়েলথ কড়চা

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: মঙ্গল, ২৮/০৩/২০০৬ - ২:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশ দলের ক্রীড়াবিদ গিয়েছিলেন কয়েকজন। এর মধ্যে একজন তৌহিদুল রয়ে গেছেন, আরেকজন আলো ফিরে এসেছেন, তবে তাঁর ইজ্জৎ তৌহিদুলের মতোই নিখোঁজ। ক্রীড়াবিদ পিছু দুইতিনজন করে কর্মকতর্া গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া, কারণ পদকগুলি অনেক ভারি, আলগাতে হবে তো ... কিন্তু একটি মাত্র রূপার পদক নিয়ে তারা কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে হালকা হয়ে ফিরেছেন।

প্রথম স্থান অর্জন করতে না পারলেও প্রথম রিপুকে চর্চিয়ে এসেছেন জনাব আলো, এক তরুণী ভলান্টিয়ারকে হামলে পড়ে জাপটে ধরেছিলেন, হয়তো ভেবেছিলেন শ্বেতাঙ্গ তরুণীও সাড়া দেবে তার আলিঙ্গনে, কিন্তু বেরসিক মাগী একেবারে পুলিশ ডেকে মামলা করে হামলার জবাব দিয়েছে। সুদর্শন আলো গোস্বা করেছেন, তবে জেল খাটতে হয়নি তাঁকে, হাজারখানেক ডলার


তৌহিদুল হারিয়ে গেছেন?

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: শুক্র, ২৪/০৩/২০০৬ - ৯:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছাতাটা জুতাটা মানুষ ভুল করে, বা অন্যের ইচ্ছায় হারিয়ে ফেলে। তৌহিদুল তো ছুটিয়াল, ওভাবে হারানোর মানুষ নন। দক্ষিণ মহাদেশের ক্রীড়াপল্লী থেকে হারালেন কিভাবে?

তৌহিদুল অনেক দৌড়েছেন। ছেলেবেলায়, আরেকটু বড় হয়ে, সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের সময়, প্রশিক্ষণের পরে ... সারাটা জীবন ধরেই তো ছুটছেন বলতে গেলে। ছুটিয়াল তৌহিদুলকে আবার দেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য পাঠানো হয়েছে বিদেশবিভুঁইয়ে।

তৌহিদুল বিমান থেকে নেমে ক্রীড়াপল্লীতে পৌঁছানোর পথে যা দেখেন তাতেই বিস্মিত হন। কী লম্বা লম্বা লোকজন, মাছের পেটের মতো সাদা একেকজন, ব্যস্তসমস্ত মানুষ সবাই, কী এক তাড়ায় সবাই হুড়োহুড়ি করে চলছে এদিকওদিক। তৌহিদুল আপন মনে হাসেন। ছোটে রে, সবাই ছোটে।

ট্র্যাকে প্র্যা


মোগলাই গল্প ০২

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: বুধ, ২২/০৩/২০০৬ - ৮:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সম্রাট আকবর একদিন বিকেলে যমুনা তীরে এক প্রাসাদে দাঁড়িয়ে প্রকৃতির রূপসুধা পান করছিলেন, হঠাৎ কোত্থেকে এসে হাজির হলো বীরবল। বীরবল যথারীতি সস্তা চুটকি ফুটকি শোনাচ্ছিলেন, কিন্তু আকবর কিছুটা আনমনা হয়ে রইলেন। শেষটায় বীরবল বললেন, "জাঁহাপনা, আপনি কী নিয়ে চিন্তিত?"

আকবর বললেন, "সেলিম বড় বাড়াবাড়ি করছে বীরবল। আমি শুনেছি সে ছোটখাটো মনসবদারদের খেপিয়ে তুলছে আমার বিরূদ্ধে। কে জানে, হয়তো শিগগীরই ওর বিরূদ্ধে তলোয়ার ধরতে হবে আমাকে।"

বীরবল বললেন, "না জাঁহাপনা! তলোয়ার কেন ধরবেন এই বিজ্ঞানের যুগে? আপনি কি আমাদের হালফ্যাশনের কবীরা গুলতি [1] দ্যাখেননি?"

আকবর সন্দিগ্ধ গলায় বললেন, "সগীরা গুলতি [2] দিয়ে ছোটকালে বিস্তর তিতির মেরে পুড়িয়ে খেয়েছি, কিন্ত


মোগলাই গল্প ০১

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: রবি, ১৯/০৩/২০০৬ - ৯:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সম্রাট জহিরুদ্দিন মুহাম্মদ বাবর একদিন কাবুলের এক বাগিচায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, হঠাৎ তাঁর চোখে পড়লো, বাগানের এক কোণে বুড়োমতো এক লোক শুয়ে ঘুমুচ্ছে। বাবরের কৌতূহল হলো। বাগানের ভেতর শুয়ে নিদ্রা যাওয়া অপরাধ নয়, কিন্তু লাই দেবার মতো কোন ব্যাপারও নয়। তিনি বুড়োর পাঁজরে তলোয়ারের খাপের ডগা দিয়ে আলতো গুঁতো দিলেন।

বুড়ো ঘুম ভেঙে উঠে চোখ ডলতে ডলতে বললো, "কে রে বেয়াদব, মুরুবি্বকে খোঁচাস?"

বাবর বললেন, "হে বৃদ্ধ, এই অপরূপ পৃথিবীর অপরূপ শহরের অপরূপ বাগিচায় শুয়ে তুমি নিদ্রামগ্ন কেন? কেন তুমি এর সৌন্দর্য উপভোগে ব্যস্ত নও?"

বাবর সাধারণ জামাকাপড় পরতেন বলে তাকে চিনতে না পেরে বৃদ্ধ মাড়ি খিঁচিয়ে বললো, "তাতে তোর কী রে অলপেপয়ে বদমায়েশ? ঘুমের সময় দিষ্ট