মুখফোড় এর ব্লগ

মস্তইয়ে!

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: রবি, ১১/০৬/২০০৬ - ১২:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এ এক ভীষণ জন্তু, জবরখাকির মাসতুতো
বোন হয়। কারণে ও অকারণে মেরে বসে গুঁতো।
মস্তকে ভীষণ পট্টি, পকেটে পুস্তক গাদাগাদা
কণ্ঠে বিকট গান, বাদ্যহীন সারেগামাপাধা।
কাঙাবনে বাস তার, বাঙাবনে ছিলো কিছুদিন
মন তার তবু যেন পড়ে থাকে পাকাবনে লীন।
শান্তপ্রাণী সেজে থাকে, তৃণ ফেলে মাংসে জিহবা দড়
তবুও চোয়ালে ফোটে শান্তির বোলচাল বড়বড়।
ঘোরে দুই পায়ে ক্ষুর আর দুই পায়ে থাবা নিয়ে।
সে যে মস্তইয়ে!


ছাগুরাম কাব্য ০৩ ঃ মম ললাটে রুদ্র ছাগুরাম জ্বলে, জ্বলে রে!

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: মঙ্গল, ০৬/০৬/২০০৬ - ৮:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সামহোয়্যার ইন নীড়পাতা ওঠে কাঁপি
কাহার চারণে ব্লগতলে দাপাদাপি?
জায়গা জোটে না, তাই করে চাপাচাপি।
নীড়পাতা বলে, বলে রে
মম ললাটে রুদ্র ছাগুরাম জ্বলে, জ্বলে রে!

কী যে ম্যাৎকারে মুখর করিয়া ব্লগদেশ
বকরিস্তানি ছাগুরাম ঝাড়ে উপদেশ
বোঁটকা লাদিতে ছারখার করে প্রতিবেশ।
নীড়পাতা বলে, বলে রে
মম ললাটে রুদ্র ছাগুরাম জ্বলে, জ্বলে রে!

ধর্ম সমাজ পরিবার আর ডারউইন
নেড়েচেড়ে দেখে বীর ছাগুরাম গাঁঢ়উইন
গুরুগুরু ঝাড়ে শেষ কথা ব্যাটা ভাঁড়উইন।
নীড়পাতা বলে, বলে রে
মম ললাটে রুদ্র ছাগুরাম জ্বলে, জ্বলে রে!

কালে কালে ভালে কত কী জ্বলিবে আহা রে
নীড়পাতা ওঠে শিউরে এসব বাহারে
দুঃখের কথা বলিবে সে বলো কাহারে?
নীড়পাতা বলে, বলে রে
মম ললাট


বিজ্ঞাপন!

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: সোম, ০৫/০৬/২০০৬ - ৭:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকাল অনেকেই দেখি ব্লগে আজান দিয়ে নাটক ল্যাখে (নামটা বললাম না, উনি মাইন্ড খাইতে পারেন)। তাই আমিও ঠিক করেছি বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থায় ফ্রিল্যানস (ফ্রি না কিন্তু!) কামলা খাটবো। খাটনির উদ্দেশ্য, বিজ্ঞাপন নির্মাতাদের কাহিনী যোগানো।

এছাড়াও আমার ইচ্ছা আছে ছাগুরাম নামে একটি কমিক চরিত্র নিমর্াণের। দুঃখের বিষয়, ভালো আঁকতে পারি না। কাটর্ুনিস্ট কেউ থাকলে আওয়াজ দিয়েন, জুটি বেঁধে কাজ করবো গোশিনি আর ইউদেরজোর মতো। মহিলা কাটর্ুনিস্ট হলে আরো ভালো, হে হে হে।

আমার এই উদ্যোগ সম্পর্কে আমার শুভানুধ্যায়ী ব্লগারুগণ উপদেশ খয়রাত করলে বাধিত হবো।


ছাগুরামকাব্য ০২ ঃ নোয়া ছাগুরাম

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: রবি, ০৪/০৬/২০০৬ - ১২:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

না জানি কি প্লাবনের শঙ্কা
বুকে জ্বলে রাবণের লঙ্কা
তাই বুঝি ব্লগে বাজে ডঙ্কা
"নায়ে ওঠো নায়ে ওঠো ছাগুদল।"

গ্রুপ খুলি ইয়াহুর মাঝারে
যোগ দাও দলে দলে হাজারে
এ সুযোগ দিও নাকো কাজা রে
"নায়ে ওঠো নায়ে ওঠো ছাগুদল।"

ছাগুরাম এ যুগের নোয়া যে
সাথী তার কত শত ওয়া যে
জেহাদি জোশের লাগে ছোঁয়া যে,
"নায়ে ওঠো নায়ে ওঠো ছাগুদল।"

যূথচারী ছাগলের বিপ্লব
এ যুগেই, এ ব্লগেই সম্ভব
ছাগুরাম ছাগাদের গৌরব
"নায়ে ওঠো নায়ে ওঠো ছাগুদল।"

মডারেটু কে কে হবে নাম দাও
আগে তবে ছাগুয়াকে পাম দাও
কিঞ্চিৎ তাকে আজি দাম দাও
"নায়ে ওঠো নায়ে ওঠো ছাগুদল।"

নতুন পথিক কেউ ঢুকিলে
ছাগুদের সুরে বাঁশি ফুঁকিলে
ডাক দিবে ছাগুদের উকিলে
"নায়ে


ছাগুরামকাব্য ০১ : যাজাকুল্লা খাইর

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: বুধ, ৩১/০৫/২০০৬ - ৩:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(ছাগুরামের ভাষ্য রপ্ত করা দরিদ্র মুখফোড়ের জন্য দুঃসাধ্য। তবুও গরীবের এই সামান্য কোশেশ ...।)

ছাগুরাম জড়োসড়ো গোবেচারা নহে
যাহাই উচিত বলে মনে করে, কহে।
বুঝুক বা না বুঝুক, বক্তব্যে সে বীর
সঙ্গে হানে ঘনঘন রেফারেনসে তীর।
লক্ষবস্তু ভেদ নয়, বাণনিক্ষেপে পটু
মাঝে মাঝে ঘন ঘন ব্যা ব্যা করে কটু।
কাঁঠালপাতার তাপে আস্ফালিয়া ওঠে
এলিপসিসে পুষ্ট পত্রে অগি্নধারা ছোটে।
তিন বাহুতে পেশী ঝলকে, বুঝি দেবে মাইর!
শেষ মূহুর্তে সামলে বলে, যাজাকুল্লা খাইর।

ছিলো ছাগু নির্বিরোধী, পনসপূজারী
পাতা খেয়ে লতা খেয়ে ফূর্তি ছিলো ভারি।
লাদি ছাড়ে গুটি গুটি ধন্বন্তরী বড়ি ...
কবিরাজি পাতা খেয়ে বায়ু গেলো চড়ি।
হঠাৎ ক্ষেপিয়া শেষে ব্লগে হানে বাজ
ভি


আদমচরিত ০০৭

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: শনি, ২৭/০৫/২০০৬ - ৯:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

স্বর্গে মহা ক্যাচাল লাগিয়া গিয়াছে। পালের গোদা স্বর্গদূতগণের মধ্যে কাজকর্মে ফাঁকি দিয়া দুই নম্বরি কাজে মন দেয়ার কারণে স্বর্গের বড়বড় কাজ সব ভজঘট লাগিবার যোগাড়।

গুজরিলের দায়িত্ব ছিলো প্রাণসংহারের। সে বড়সড় একখানি রশ্মিনির্মিত দাও লইয়া ঘুরিয়া বেড়ায়, কারো আয়ু ফুরাইলে সে গিয়া দাও দিয়া কোপাইয়া সংশ্লিষ্ট হতভাগ্যের জান কাটিয়া লইয়া আসে। সম্প্রতি তাহার কী জানি হইয়াছে, সে আনমন...


দুষ্কুমার রায়ের ছড়া ০০১

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: শুক্র, ২৬/০৫/২০০৬ - ৩:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জংলাদেশের গপপো বলি শোনো,
না, সেখানে রাজা তো নেই কোন
মন্ত্রী নামের আজব কিছু প্রাণী
সে দেশ চালায়, এমন কথাই জানি।
কিন্তু রাজা নেই সে কেমন দেশ?
পাত্রমিত্র চুলকে মাথা শেষ
বিদূষক এক চুলকে মাথা কয়
"নামের রাজা, কামের রাজা নয়
এমন রাজা সিংহাসনে তুলে
চুকিয়ে ল্যাঠা সমস্যা যাও ভুলে।"

মন্ত্রী যিনি গোটা পালের গোদা
চক্ষু দুটি ভাবের ঝোঁকে মোদা
কোন সে টোলের পন্ডিতেরে ডাকি
কন, "হে রাজন, প্রণাম কোথা রাখি?"
মন্ত্রীসকল মস্ত সেলাম ঠুকে
হাসলো। রাজার ল্যাঠাও গেলো চুকে।

টুলো রাজন কাজ তো না পায় ঢুঁড়ে
মর্জি হলে বেড়ায় সে যে ঘুরে।
রাজ্যে যত বেসরকারি টোলে
বক্তিমা দেয় একঘেয়ে সব বোলে।
পার্বণে আর উৎসবে দরবারে
সবাই মিলে দেখত


কেন আমি ছাগুরাম প্রতিযোগিতায় অংশ নিলাম না

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৫/০৫/২০০৬ - ১:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আপনারা জানতে চাইতেই পারেন। বিশেষ করে যখন আমি বেইসবল ব্যাট হাতে ওয়া এবং ঠোলা শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় আমার প্র(তি)বন্ধ জমা দিয়েছিলাম।

আমি জানি আমার কাছে আপনাদের কিছু অনুচ্চারিত প্রত্যাশাও ছিলো। কিন্তু হায়, আমি ব্যর্থ হয়েছি তা পূরণে।

কারণ সবকিছু নিয়েই আমি লিখি না।

ছাগুকে জ্ঞানবৃক্ষের ছালবাকল বেটে খাইয়ে সুস্থ করে তুলুক কেউ, এই কামনায়।


একটি গন্ডারের অপমৃতু্য

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: সোম, ১৫/০৫/২০০৬ - ৭:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হঠাৎ সেদির চৌরাস্তার মোড়ে এসে একটি গন্ডার পাটের রশি গলায় বেঁধে লটকে পড়ে। রশির আরেক মাথা কিসের সাথে বেঁধেছিলো ঠিক স্মরণে নাই। যাই হোক।

পৃথিবীতে সব মহৎ কাজের উদ্যোগ সফল হয় না। গন্ডারটাও প্রাণে বেঁচে যায়। উঁহু, রশি ছেঁড়ে নাই, বরং ও বেচারাই ঠিক মতো গিট্টু দিতে পারে নাই। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে দিনকতক কাটানোর বাদে গন্ডারটা একটু সুস্থ হয়ে ওঠে, লেজ নাড়ায়, কান নাড়ায়, হৈ হৈ করে ছুটে আসে ইলেকট্রনিক মাধ্যমের লোকজন।

সন্ত্রাস মন্ডল তাঁর মাইক বাড়িয়ে ধরে সানগ্লাস উঁচিয়ে শুধান, "মিস্টার গন্ডার, আপনি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন কেন?"

গন্ডারটার ঠোঁট কেঁপে ওঠে। একজন ডাক্তার রেগ


ইন্দুর দমন কমিশন

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: বিষ্যুদ, ১১/০৫/২০০৬ - ১২:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই গল্পটি প্রাচীন বাংলার পটভূমিতে। অধূনা বাংলার কোন কিছুর সাথে মিল খুঁজে পেলে সেটা আপনার কল্পনাপ্রবণ মনের সমস্যা।

আলিশান সদাগরী জাহাজ "নোয়ার দোয়া"। চাটগাঁও বন্দরের গর্ব। সদাগর জনগণ শেঠের জাহাজ। কী না যায় ওতে! চাল, ডাল, পানসুপারি, কাপড়, তেল, গ্যাস, জনশক্তি ... কতকিছু! পণ্যের পসরা সাজিয়ে চাটগাঁও থেকে এ জাহাজ নিয়মিত যায় সিংহলের বন্দর ঘুরে সুদূর গুজরাটের শূপর্ারক বন্দরে। সেখানে মাল বেচে ফিরতি যাত্রায় নিয়ে আসে নানারকম ভারতীয় পণ্য, নিরমা সাবান, বোম্বাই নর্তকী, দিলি্লর লাড্ডু, বিএসএফ মার্কা গুলি, টাটা মার্কা চিরুনী, আরব থেকে আসা দুম্বা, আরো কত কী!

জনগণ শেঠ লোকটা যেন কেমন। মতিগতি বোঝা দায়। জাহাজের কাপ্তানি ঘনঘন পালটান। একবার একে দেন